মুফতি ইশমাম আহমেদ
প্রশ্ন: জানাজার নামাজ আদায়ের পদ্ধতি কী? এতে কোন কাজটি করা আবশ্যক এবং কোনটি সুন্নত? শরিয়তের আলোকে জানালে উপকৃত হব। মুফিদুল ইসলাম, নরসিংদী
উত্তর: ইসলামে মৃত মানুষকে দাফন করার আগে জানাজার নামাজ আদায় করার আবশ্যক বিধান রয়েছে। জানাজার নামাজের ফরজ ২টি। যথা—
» চারটি তাকবির বলা।
» জানাজার নামাজ দাঁড়িয়ে পড়া।
জানাজার নামাজের সুন্নত ৪টি। যথা—
» মৃত ব্যক্তির বুক বরাবর দাঁড়ানো।
» প্রথম তাকবিরের পর সানা পড়া। জানাজার নামাজের সানা সাধারণ নামাজের সানার চেয়ে সামান্য ভিন্ন। উচ্চারণ: সুবহানাকাল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা, ওয়া তাবারকাসমুকা, ওয়া তাআলা জাদ্দুকা, ওয়া জাল্লা সানাউকাও ওয়া লা ইলাহা গায়রুক।
» দ্বিতীয় তাকবিরের পর দরুদ পড়া।
» তৃতীয় তাকবিরের পর দোয়া পড়া।
জানাজার নামাজ আদায়ের নিয়ম হলো, ইমাম মৃত ব্যক্তির বুক বরাবর দাঁড়াবে। (বুখারি: ১২৪৬)। ইমামের পেছনে মুক্তাদিদের কাতার হবে। (ইবনে হিব্বান: ৩১০২) সবাই আল্লাহর ইবাদত হিসেবে জানাজার ফরজ আদায়ের নিয়ত করবে। (বুখারি: ১) এরপর তাকবিরে তাহরিমা বলবে এবং কান পর্যন্ত হাত ওঠাবে। এরপর সানা পড়বে। এরপর তাকবির বলে দরুদ পাঠ করবে। এই তাকবিরে হাত ওঠাবে না।
তারপর তৃতীয় তাকবির বলে মৃত ব্যক্তি ও মুসলমানদের জন্য দোয়া করবে। তখনো হাত ওঠাবে না। তারপর চতুর্থ তাকবির বলবে। তখনো হাত ওঠাবে না। (দারাকুতনি: ১৮৫৩)। এরপর ডান ও বাম দিকে সালাম ফেরাবে। (সুনানে কুবরা: ৭২৩৮) ইমাম তাকবির উচ্চ স্বরে বলবে এবং বাকি দোয়া-দরুদ অনুচ্চ স্বরে পড়বে। মুক্তাদিরা সবই অনুচ্চ স্বরে করবে। (আবু দাউদ: ২৭৮৪)
মৃত ব্যক্তি যদি বালেগ পুরুষ বা মহিলা হয় তবে এই দোয়া পড়া—আল্লাহুম্মাগফির লিহাইয়্যিনা ওয়া মাইয়্যিতিনা ওয়া শাহিদিনা ওয়া গায়েবিনা ওয়া ছগিরিনা ওয়া কাবিরিনা ওয়া জাকারিনা ওয়া উনসানা, আল্লাহুম্মা মান আহয়াইতাহু মিন্না ফাআহয়িহি আলাল ইসলাম ওয়া মান তাওয়াফফাইতাহু মিন্না ফাতাওয়াফফাহু আলাল ইমান। অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমাদের জীবিত ও মৃতদের, উপস্থিত ও অনুপস্থিতদের, ছোট ও বড়দের এবং আমাদের নারী-পুরুষ সবাইকে ক্ষমা করুন। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের মধ্য থেকে যাকে জীবিত রাখবেন, তাকে ইসলামের ওপরই জীবিত রাখুন। যাকে মৃত্যু দান করবেন, তাকে ইমানের সঙ্গেই মৃত্যু দিন। (তিরমিজি: ৯৪৫)
চতুর্থ তাকবিরের পর সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করা। প্রথম তাকবির ছাড়া হাত না ওঠানো। নামাজিদের কাতার তিন, পাঁচ, সাত এভাবে বিজোড় হওয়া। (সুনানে কুবরা: ৭২৩৮, দারাকুতনি: ১৮৫৩)
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি ইশমাম আহমেদ, ফতোয়া গবেষক
প্রশ্ন: জানাজার নামাজ আদায়ের পদ্ধতি কী? এতে কোন কাজটি করা আবশ্যক এবং কোনটি সুন্নত? শরিয়তের আলোকে জানালে উপকৃত হব। মুফিদুল ইসলাম, নরসিংদী
উত্তর: ইসলামে মৃত মানুষকে দাফন করার আগে জানাজার নামাজ আদায় করার আবশ্যক বিধান রয়েছে। জানাজার নামাজের ফরজ ২টি। যথা—
» চারটি তাকবির বলা।
» জানাজার নামাজ দাঁড়িয়ে পড়া।
জানাজার নামাজের সুন্নত ৪টি। যথা—
» মৃত ব্যক্তির বুক বরাবর দাঁড়ানো।
» প্রথম তাকবিরের পর সানা পড়া। জানাজার নামাজের সানা সাধারণ নামাজের সানার চেয়ে সামান্য ভিন্ন। উচ্চারণ: সুবহানাকাল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা, ওয়া তাবারকাসমুকা, ওয়া তাআলা জাদ্দুকা, ওয়া জাল্লা সানাউকাও ওয়া লা ইলাহা গায়রুক।
» দ্বিতীয় তাকবিরের পর দরুদ পড়া।
» তৃতীয় তাকবিরের পর দোয়া পড়া।
জানাজার নামাজ আদায়ের নিয়ম হলো, ইমাম মৃত ব্যক্তির বুক বরাবর দাঁড়াবে। (বুখারি: ১২৪৬)। ইমামের পেছনে মুক্তাদিদের কাতার হবে। (ইবনে হিব্বান: ৩১০২) সবাই আল্লাহর ইবাদত হিসেবে জানাজার ফরজ আদায়ের নিয়ত করবে। (বুখারি: ১) এরপর তাকবিরে তাহরিমা বলবে এবং কান পর্যন্ত হাত ওঠাবে। এরপর সানা পড়বে। এরপর তাকবির বলে দরুদ পাঠ করবে। এই তাকবিরে হাত ওঠাবে না।
তারপর তৃতীয় তাকবির বলে মৃত ব্যক্তি ও মুসলমানদের জন্য দোয়া করবে। তখনো হাত ওঠাবে না। তারপর চতুর্থ তাকবির বলবে। তখনো হাত ওঠাবে না। (দারাকুতনি: ১৮৫৩)। এরপর ডান ও বাম দিকে সালাম ফেরাবে। (সুনানে কুবরা: ৭২৩৮) ইমাম তাকবির উচ্চ স্বরে বলবে এবং বাকি দোয়া-দরুদ অনুচ্চ স্বরে পড়বে। মুক্তাদিরা সবই অনুচ্চ স্বরে করবে। (আবু দাউদ: ২৭৮৪)
মৃত ব্যক্তি যদি বালেগ পুরুষ বা মহিলা হয় তবে এই দোয়া পড়া—আল্লাহুম্মাগফির লিহাইয়্যিনা ওয়া মাইয়্যিতিনা ওয়া শাহিদিনা ওয়া গায়েবিনা ওয়া ছগিরিনা ওয়া কাবিরিনা ওয়া জাকারিনা ওয়া উনসানা, আল্লাহুম্মা মান আহয়াইতাহু মিন্না ফাআহয়িহি আলাল ইসলাম ওয়া মান তাওয়াফফাইতাহু মিন্না ফাতাওয়াফফাহু আলাল ইমান। অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমাদের জীবিত ও মৃতদের, উপস্থিত ও অনুপস্থিতদের, ছোট ও বড়দের এবং আমাদের নারী-পুরুষ সবাইকে ক্ষমা করুন। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের মধ্য থেকে যাকে জীবিত রাখবেন, তাকে ইসলামের ওপরই জীবিত রাখুন। যাকে মৃত্যু দান করবেন, তাকে ইমানের সঙ্গেই মৃত্যু দিন। (তিরমিজি: ৯৪৫)
চতুর্থ তাকবিরের পর সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করা। প্রথম তাকবির ছাড়া হাত না ওঠানো। নামাজিদের কাতার তিন, পাঁচ, সাত এভাবে বিজোড় হওয়া। (সুনানে কুবরা: ৭২৩৮, দারাকুতনি: ১৮৫৩)
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি ইশমাম আহমেদ, ফতোয়া গবেষক
মানুষ মানুষের জন্য। একজনের বিপদে আরেকজন এগিয়ে আসা মানবতার পরিচয়। অসুস্থতা, দুর্ঘটনা বা অন্য কোনো কারণে মানুষের রক্তের প্রয়োজন হয়। প্রয়োজনের সময় রক্তের কোনো বিকল্প নেই—তাই অন্য কারও কাছ থেকে রক্ত নিতে হয়। সেই সংকটময় সময়ে একজন সুস্থ সবল মানুষ স্বেচ্ছায় রক্তদান করে একটি প্রাণ বাঁচাতে এগিয়ে আসতে পারেন।
৯ ঘণ্টা আগেজীবন ও মৃত্যু একমাত্র আল্লাহর হাতে। কিন্তু কার মৃত্যু কেমনভাবে ঘটবে এবং সেই মৃত্যু কী মর্যাদা বহন করবে—ইসলাম তা ব্যাখ্যা করেছে অত্যন্ত মানবিক ও অর্থপূর্ণভাবে। বিশেষ করে যে মৃত্যুগুলোতে রয়েছে শারীরিক কষ্ট, আত্মত্যাগ ও ধৈর্যের পরীক্ষার ছাপ; ইসলাম সেগুলোর জন্য রেখেছে বিশেষ পুরস্কার ও মর্যাদা।
৯ ঘণ্টা আগেরোগী গুরুতর অসুস্থ হোক কিংবা কম। তাকে সান্ত্বনা দেওয়া। হতাশ না করা কিংবা ভয় না দেখানো। অসুস্থ ব্যক্তিকে কী বলে সান্ত্বনা দিতে হয় তা হাদিস অনুসন্ধান পাওয়া যায়। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) এক বেদুইনের ঘরে প্রবেশ করলেন তার রোগের খোঁজখবর নিতে। তিনি বললেন—‘তোমার চিন্তার...
১০ ঘণ্টা আগেমৃত্যু যদি প্রস্তুতির সুযোগ ছাড়াই হঠাৎ আসে, তখন সেটি হয়ে উঠতে পারে অনুতাপের কারণ। যদি কেউ পাপের মধ্যে লিপ্ত অবস্থায় মৃত্যু বরণ করে—বিশেষ করে হঠাৎ মৃত্যু হয়, তবে তা বড় বিপদের কারণ। কেননা, এতে তাওবার সুযোগ নেই, সংশোধনের অবকাশ থাকে না, কারও কাছে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগও থাকে না।
১০ ঘণ্টা আগে