ইসলামের ইতিহাসে হজ সনদের রয়েছে হাজার বছরের সমৃদ্ধ এক অতীত। ইসলামের পঞ্চম ফরজ ইবাদত হজ আদায়ের স্মারক হিসেবে এটি দেওয়ার প্রচলন করা শুরু হয় ১১ শতকে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হজ সনদের ধরন, উপাদান ও শৈলীতে এসেছে নানা পরিবর্তন। হজ সনদের সেকাল-একালের কথা লিখেছেন ইজাজুল হক।
ইজাজুল হক
ইসলামি শিল্পকলার গবেষকদের মতে, ১১ শতকে হজ সনদের প্রচলন শুরু হয়। তবে তা কেবল ধনীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। ১৮ শতকে কাগজ, মুদ্রণ ও অন্যান্য উপকরণ সহজলভ্য হয়ে উঠলে এসব সনদের কদর বাড়তে শুরু করে। ধনী-দরিদ্র সব হজযাত্রীই এ ধরনের সনদ সংগ্রহ করতে শুরু করেন। বর্তমানে অবশ্য আগের মতো কাগজ-কলমের সনদের প্রচলন নেই, তবে এখনো অনলাইনে হজ সনদের ব্যবস্থা রয়েছে। সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় পরিচালিত নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে হজ সনদ নেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
মূলত হাজার বছরের সনদের নমুনা গবেষকদের সংগ্রহে রয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন জাদুঘর ও সংগ্রহশালায় এসব সনদ সুরক্ষিত আছে। ব্রিটিশ লাইব্রেরি, তুরস্কের ইসলামিক আর্ট জাদুঘর, কাতার ন্যাশনাল লাইব্রেরি, খলিলি কালেকশনস এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এসব হজ সনদ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এসব সনদের উপাদান, বিষয়বস্তু ও শৈলীর মধ্যে নানা বৈচিত্র্য এসেছে, যা আমাদের অতীতে ফিরিয়ে নেয়।
সনদগুলোর উপকরণ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, কাগজ, কালো ও রঙিন কালি, সোনা, রুপা, জলরং ইত্যাদি দিয়ে তা তৈরি হতো। সেখানে হাজির নাম, হজের সময়কাল, হাজি কোথায় কোথায় গমন করেছেন তার বিবরণসহ অনেক তথ্যই লেখা থাকত। পাশাপাশি মক্কার পবিত্র কাবাঘর, মদিনার পবিত্র মসজিদে নববি ও রাসুল (সা.)-এর রওজা শরিফ, কাবা শরিফের দরজা, হাজরে আসওয়াদ, পবিত্র মসজিদুল আকসা ইত্যাদির ছবি নিপুণভাবে আঁকা থাকত। থাকত যত্ন করে আঁকা আরবি ক্যালিগ্রাফি। আবার ছবি বা রঙিন কালি ছাড়াও একেবারে সাদাসিধে লেখার সনদও পাওয়া যায়। এসব উপাদান সনদটি কোন সময়ের, হাজির আর্থিক অবস্থা কেমন ছিল, সেই আমলের সংস্কৃতি কেমন ছিল, তা বুঝতে সহায়তা করে।
কিছু সনদে বদলি হজের প্রমাণও পাওয়া যায়। অর্থাৎ হজ ফরজ হয়েছে এক ব্যক্তির, তিনি অক্ষম হওয়ায় অন্য কাউকে বদলি হজের জন্য পাঠিয়েছেন। সেটিরও তথ্য হজ সনদে লিপিবদ্ধ থাকত। সনদগুলোতে হাজি সাহেব শুধু কেবল মক্কায় গিয়েছেন নাকি মদিনাও ভ্রমণ করেছেন এবং মহানবী (সা.)-এর রওজা শরিফ জিয়ারত করেছেন, তারও তথ্য পাওয়া যায়।
ইসলামি শিল্পকলার গবেষকদের মতে, ১১ শতকে হজ সনদের প্রচলন শুরু হয়। তবে তা কেবল ধনীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। ১৮ শতকে কাগজ, মুদ্রণ ও অন্যান্য উপকরণ সহজলভ্য হয়ে উঠলে এসব সনদের কদর বাড়তে শুরু করে। ধনী-দরিদ্র সব হজযাত্রীই এ ধরনের সনদ সংগ্রহ করতে শুরু করেন। বর্তমানে অবশ্য আগের মতো কাগজ-কলমের সনদের প্রচলন নেই, তবে এখনো অনলাইনে হজ সনদের ব্যবস্থা রয়েছে। সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় পরিচালিত নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে হজ সনদ নেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
মূলত হাজার বছরের সনদের নমুনা গবেষকদের সংগ্রহে রয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন জাদুঘর ও সংগ্রহশালায় এসব সনদ সুরক্ষিত আছে। ব্রিটিশ লাইব্রেরি, তুরস্কের ইসলামিক আর্ট জাদুঘর, কাতার ন্যাশনাল লাইব্রেরি, খলিলি কালেকশনস এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এসব হজ সনদ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এসব সনদের উপাদান, বিষয়বস্তু ও শৈলীর মধ্যে নানা বৈচিত্র্য এসেছে, যা আমাদের অতীতে ফিরিয়ে নেয়।
সনদগুলোর উপকরণ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, কাগজ, কালো ও রঙিন কালি, সোনা, রুপা, জলরং ইত্যাদি দিয়ে তা তৈরি হতো। সেখানে হাজির নাম, হজের সময়কাল, হাজি কোথায় কোথায় গমন করেছেন তার বিবরণসহ অনেক তথ্যই লেখা থাকত। পাশাপাশি মক্কার পবিত্র কাবাঘর, মদিনার পবিত্র মসজিদে নববি ও রাসুল (সা.)-এর রওজা শরিফ, কাবা শরিফের দরজা, হাজরে আসওয়াদ, পবিত্র মসজিদুল আকসা ইত্যাদির ছবি নিপুণভাবে আঁকা থাকত। থাকত যত্ন করে আঁকা আরবি ক্যালিগ্রাফি। আবার ছবি বা রঙিন কালি ছাড়াও একেবারে সাদাসিধে লেখার সনদও পাওয়া যায়। এসব উপাদান সনদটি কোন সময়ের, হাজির আর্থিক অবস্থা কেমন ছিল, সেই আমলের সংস্কৃতি কেমন ছিল, তা বুঝতে সহায়তা করে।
কিছু সনদে বদলি হজের প্রমাণও পাওয়া যায়। অর্থাৎ হজ ফরজ হয়েছে এক ব্যক্তির, তিনি অক্ষম হওয়ায় অন্য কাউকে বদলি হজের জন্য পাঠিয়েছেন। সেটিরও তথ্য হজ সনদে লিপিবদ্ধ থাকত। সনদগুলোতে হাজি সাহেব শুধু কেবল মক্কায় গিয়েছেন নাকি মদিনাও ভ্রমণ করেছেন এবং মহানবী (সা.)-এর রওজা শরিফ জিয়ারত করেছেন, তারও তথ্য পাওয়া যায়।
সুখময় পরিবার জীবনের অমূল্য সম্পদ। সুখী সংসারকে বলা হয় দুনিয়ার জান্নাত। পরিবার আমাদের আশ্রয়, ভালোবাসা ও সাহসের উৎস। পরিবারে একে অপরের পাশে থাকলে সব বাধা সহজে অতিক্রম করা যায়। ছোঁয়া যায় ভালোবাসার আকাশ। মাখা যায় সুখের আবেশ। এ ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) হতে পারেন উত্তম আদর্শ। কীভাবে তিনি পারিবারিক ও...
১ দিন আগেজুমার দিন মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনে আল্লাহর বিশেষ রহমত বর্ষিত হয়। ইসলামে জুমার দিন সপ্তাহের সেরা হিসেবে বিবেচিত। নবী করিম (সা.) বলেন, পৃথিবীতে যত দিন সূর্য উদিত হবে, তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো জুমার দিন। (সহিহ্ মুসলিম: ৮৫৪)। অন্য এক হাদিসে তিনি বলেন, দিবসসমূহের মধ্যে...
১ দিন আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে ঘিবলি স্টাইল কার্টুন তৈরির বিষয়টি ইসলাম কীভাবে দেখে?
১ দিন আগেতসবি জিকির-আজকারের গুরুত্বপূর্ণ এক উপকরণ। আল্লাহর স্মরণে মুমিনদের সাহায্য করে এই জপমালা। হাতে তসবি, মুখে জিকির—মুমিনের হৃদয়ে ওঠে আল্লাহর প্রেম। যুগ যুগ ধরেই জিকির-আজকারে মুসলমানরা তসবি ব্যবহার করে আসছে। যেমন তুরস্কের কেসেরি প্রদেশের ‘সুওয়াসি সিতি হাতুন’ মসজিদে ৭০০ বছর ধরে ব্যবহৃত হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন..
১ দিন আগে