তাসনিফ আবীদ
সামাজিক সম্পর্কের অসামান্য বন্ধন দাওয়াত, যেখানে খাবারের সঙ্গে মিশে যায় আন্তরিকতা, স্নেহ ও ভালোবাসা। দেশ, ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে এই সংস্কৃতি চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। এ ছাড়া মেহমানদারি নবী-রাসুলেরও আদর্শ।
কেউ দাওয়াত দিলে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া, তার কল্যাণের জন্য দোয়া করা উচিত। এটা মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা। রাসুলুল্লাহ (সা.) কারও বাড়িতে দাওয়াত খেতে গেলে মেজবানের জন্য দোয়া না করে ফিরতেন না।
আবুল হাইসাম (রা.) একবার নবী করিম (সা.) ও তাঁর সাহাবিদের দাওয়াত করলেন। খাওয়া শেষে নবীজি (সা.) বললেন, তোমাদের ভাইকে সওয়াব দান করো। তাঁরা বললেন, আমরা তাঁকে কীভাবে সওয়াব দান করব? তিনি বললেন, কাউকে যখন কোনো ঘরে খাওয়ার জন্য ডাকা হবে, তখন পানাহার করার পর সে যদি মেজবানের জন্য (নিমন্ত্রণকারীর জন্য) দোয়া করে, তাহলে সেটিই হবে মেজবানের জন্য সওয়াব পৌঁছানো।
মহানবী (সা.) একবার সাদ বিন উবাদা (রা.)-এর ঘরে দাওয়াত খেয়ে দোয়া করেছেন, ‘আকালা তা-আমাকুমুল আবরার, ওয়াসাল্লাত আলাইকুমুল মালায়িকা, ওয়া আফতারা ইনদাকুমুস সায়িমুন।’
অর্থ: ‘আল্লাহ এমন করুন, যেন (এমনভাবে) নেককার লোকেরা তোমাদের খানা খায় এবং ফেরেশতাগণ যেন তোমাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনার দোয়া করে এবং রোজাদারগণ যেন তোমাদের বাড়িতে ইফতার করে।’ (সুনানে আবু দাউদ)
আবদুল্লাহ ইবনে বুসর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের বাড়িতে খাবার খেয়ে এই দোয়া করেছেন, ‘আল্লাহুম্মা বারিক লাহুম ফি-মা রাজাকতাহুম, ওয়াগফির লাহুম ওয়ারহামহুম।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ, তাদের যে রিজিক দিয়েছেন, তাতে বরকত দান করুন, তাদের ক্ষমা করুন এবং তাদের প্রতি দয়া করুন।’ (সুনানে তিরমিজি: ৩৫৭৬)
সামাজিক সম্পর্কের অসামান্য বন্ধন দাওয়াত, যেখানে খাবারের সঙ্গে মিশে যায় আন্তরিকতা, স্নেহ ও ভালোবাসা। দেশ, ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে এই সংস্কৃতি চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। এ ছাড়া মেহমানদারি নবী-রাসুলেরও আদর্শ।
কেউ দাওয়াত দিলে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া, তার কল্যাণের জন্য দোয়া করা উচিত। এটা মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা। রাসুলুল্লাহ (সা.) কারও বাড়িতে দাওয়াত খেতে গেলে মেজবানের জন্য দোয়া না করে ফিরতেন না।
আবুল হাইসাম (রা.) একবার নবী করিম (সা.) ও তাঁর সাহাবিদের দাওয়াত করলেন। খাওয়া শেষে নবীজি (সা.) বললেন, তোমাদের ভাইকে সওয়াব দান করো। তাঁরা বললেন, আমরা তাঁকে কীভাবে সওয়াব দান করব? তিনি বললেন, কাউকে যখন কোনো ঘরে খাওয়ার জন্য ডাকা হবে, তখন পানাহার করার পর সে যদি মেজবানের জন্য (নিমন্ত্রণকারীর জন্য) দোয়া করে, তাহলে সেটিই হবে মেজবানের জন্য সওয়াব পৌঁছানো।
মহানবী (সা.) একবার সাদ বিন উবাদা (রা.)-এর ঘরে দাওয়াত খেয়ে দোয়া করেছেন, ‘আকালা তা-আমাকুমুল আবরার, ওয়াসাল্লাত আলাইকুমুল মালায়িকা, ওয়া আফতারা ইনদাকুমুস সায়িমুন।’
অর্থ: ‘আল্লাহ এমন করুন, যেন (এমনভাবে) নেককার লোকেরা তোমাদের খানা খায় এবং ফেরেশতাগণ যেন তোমাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনার দোয়া করে এবং রোজাদারগণ যেন তোমাদের বাড়িতে ইফতার করে।’ (সুনানে আবু দাউদ)
আবদুল্লাহ ইবনে বুসর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের বাড়িতে খাবার খেয়ে এই দোয়া করেছেন, ‘আল্লাহুম্মা বারিক লাহুম ফি-মা রাজাকতাহুম, ওয়াগফির লাহুম ওয়ারহামহুম।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ, তাদের যে রিজিক দিয়েছেন, তাতে বরকত দান করুন, তাদের ক্ষমা করুন এবং তাদের প্রতি দয়া করুন।’ (সুনানে তিরমিজি: ৩৫৭৬)
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নতুন কাপড় কেনা ও তা পরিধান করা একটি সাধারণ ঘটনা। কেউ ঈদের জন্য কেনে, কেউ বিয়ে-সাদির জন্য, কেউ বা নিজের প্রয়োজনে। নতুন কাপড় কিনে পরিধান করার সময় দোয়া পড়লে আল্লাহর বিশেষ রহমত পাওয়া যায়।
১৯ ঘণ্টা আগেসপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন হচ্ছে শ্রেষ্ঠতম ও সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ দিন। এই দিনটি মুসলমানদের জন্য একটি সাপ্তাহিক ঈদের মতো, যা আত্মশুদ্ধি, ইবাদত এবং কল্যাণ অর্জনের বিশেষ সুযোগ এনে দেয়। এই বরকতময় দিনে কী কী করণীয় তা জানা এবং তা মেনে চলা একজন মুমিনের দায়িত্ব।
২ দিন আগেমানুষের জীবনে সবচেয়ে কষ্টকর মুহূর্তগুলোর একটি হলো আপনজন হারানোর বেদনা। এমন শোকের সময় মানুষ থাকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত, দুর্বল ও অনেকটা একা। ঠিক তখনই সে আশায় থাকে কারও সহানুভূতির, সান্ত্বনার কিংবা একটু অনুভব করার মতো মানবিক উপস্থিতির। এই বিপদ ও কষ্টের সময়টিতে...
২ দিন আগেহিজরি সনের দ্বিতীয় মাস সফর। জাহিলি যুগে এই মাসকে অশুভ, বিপৎসংকুল ও অলক্ষুনে মাস হিসেবে বিবেচনা করা হতো। মানুষ মনে করত, এ মাসে শুভ কিছু হয় না—বিয়ে করলে বিচ্ছেদ হয়, ব্যবসা করলে লোকসান হয়, রোগবালাই বাড়ে। এমনকি সফরকে বলা হতো ‘আস-সাফারুল মুসাফফার’, অর্থাৎ বিবর্ণ সফর মাস। কারণ তখন খরা ও খাদ্যসংকট দেখা...
২ দিন আগে