আবরার নাঈম
জীবিকার তাগিদে মানুষ নিজ বাসস্থান থেকে দূরে থাকে। যে যেখানেই থাকুক নিজের আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা, আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখার বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে জোর নির্দেশ।
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘...আর আল্লাহ যে সম্পর্ক অক্ষুণ্ন রাখতে আদেশ করেছেন, যারা তা অক্ষুণ্ন রাখে..., তাদের জন্যই রয়েছে আখেরাতের শুভ পরিণাম।’ (সুরা রাদ)
অনেক সময় পারিবারিক কোন্দলে আত্মীয়স্বজনের মাঝে সম্পর্ক ছিন্ন হয়। কেউ সমঝোতা করতে চাইলে অন্যজন এড়িয়ে চলে। এ সময় আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখাই হলো মূল। দুপক্ষের মধ্যে সুসম্পর্ক থাকা আত্মীয়তার বন্ধন নয়। কেউ সম্পর্ক ছিন্ন করলে তা পুনঃস্থাপন করাই হচ্ছে মূল উদ্দেশ্য।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সম্পর্ক বজায় রাখা বলতে কেবল পারস্পরিক প্রতিদান দেওয়া বোঝানো হয় না। বরং প্রকৃত সম্পর্ক বজায় রাখে সে ব্যক্তি, যার সঙ্গে আত্মীয়তা ছিন্ন করা হলে সে তবুও তা পুনঃস্থাপন করে। (সুনানে আবু দাউদ: ১৬৯৭)
আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখার অনেক ফজিলত রয়েছে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি নবী (সা.)-এর নিকট এসে বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় আছে। আমি তাদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখি, কিন্তু তারা সম্পর্ক ছিন্ন করে। আমি তাদের উপকার করি, কিন্তু তারা আমার ক্ষতি করে। তারা আমার সঙ্গে মূর্খের আচরণ করে, কিন্তু আমি তা সহ্য করি।’
তিনি বলেন, যদি তোমার বক্তব্য সঠিক হয়, তবে তুমি যেন তাদের মুখে উত্তপ্ত ছাই পুরে দিচ্ছো। তোমার কারণে তাদের দুর্ভোগ আছে। যতক্ষণ পর্যন্ত তুমি এমন করতে থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন সাহায্যকারী তাদের মোকাবিলায় তোমার সঙ্গে থাকবেন।’ (আদাবুল মুফরাদ: ৫২)
আয়ু বৃদ্ধি ও জীবিকার প্রশস্ততার অন্যতম মাধ্যম আত্মীয়তার সম্পর্ক অটুট রাখা। হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি চায় যে, তার জীবিকা প্রশস্ত হোক এবং তার আয়ু বৃদ্ধি হোক, সে যেন তার আত্মীয় সম্পর্ক বজায় রাখে। (আদাবুল মুফরাদ: ৫৬)
জীবিকার তাগিদে মানুষ নিজ বাসস্থান থেকে দূরে থাকে। যে যেখানেই থাকুক নিজের আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা, আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখার বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে জোর নির্দেশ।
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘...আর আল্লাহ যে সম্পর্ক অক্ষুণ্ন রাখতে আদেশ করেছেন, যারা তা অক্ষুণ্ন রাখে..., তাদের জন্যই রয়েছে আখেরাতের শুভ পরিণাম।’ (সুরা রাদ)
অনেক সময় পারিবারিক কোন্দলে আত্মীয়স্বজনের মাঝে সম্পর্ক ছিন্ন হয়। কেউ সমঝোতা করতে চাইলে অন্যজন এড়িয়ে চলে। এ সময় আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখাই হলো মূল। দুপক্ষের মধ্যে সুসম্পর্ক থাকা আত্মীয়তার বন্ধন নয়। কেউ সম্পর্ক ছিন্ন করলে তা পুনঃস্থাপন করাই হচ্ছে মূল উদ্দেশ্য।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সম্পর্ক বজায় রাখা বলতে কেবল পারস্পরিক প্রতিদান দেওয়া বোঝানো হয় না। বরং প্রকৃত সম্পর্ক বজায় রাখে সে ব্যক্তি, যার সঙ্গে আত্মীয়তা ছিন্ন করা হলে সে তবুও তা পুনঃস্থাপন করে। (সুনানে আবু দাউদ: ১৬৯৭)
আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখার অনেক ফজিলত রয়েছে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি নবী (সা.)-এর নিকট এসে বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় আছে। আমি তাদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখি, কিন্তু তারা সম্পর্ক ছিন্ন করে। আমি তাদের উপকার করি, কিন্তু তারা আমার ক্ষতি করে। তারা আমার সঙ্গে মূর্খের আচরণ করে, কিন্তু আমি তা সহ্য করি।’
তিনি বলেন, যদি তোমার বক্তব্য সঠিক হয়, তবে তুমি যেন তাদের মুখে উত্তপ্ত ছাই পুরে দিচ্ছো। তোমার কারণে তাদের দুর্ভোগ আছে। যতক্ষণ পর্যন্ত তুমি এমন করতে থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন সাহায্যকারী তাদের মোকাবিলায় তোমার সঙ্গে থাকবেন।’ (আদাবুল মুফরাদ: ৫২)
আয়ু বৃদ্ধি ও জীবিকার প্রশস্ততার অন্যতম মাধ্যম আত্মীয়তার সম্পর্ক অটুট রাখা। হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি চায় যে, তার জীবিকা প্রশস্ত হোক এবং তার আয়ু বৃদ্ধি হোক, সে যেন তার আত্মীয় সম্পর্ক বজায় রাখে। (আদাবুল মুফরাদ: ৫৬)
মানুষ মানুষের জন্য। একজনের বিপদে আরেকজন এগিয়ে আসা মানবতার পরিচয়। অসুস্থতা, দুর্ঘটনা বা অন্য কোনো কারণে মানুষের রক্তের প্রয়োজন হয়। প্রয়োজনের সময় রক্তের কোনো বিকল্প নেই—তাই অন্য কারও কাছ থেকে রক্ত নিতে হয়। সেই সংকটময় সময়ে একজন সুস্থ সবল মানুষ স্বেচ্ছায় রক্তদান করে একটি প্রাণ বাঁচাতে এগিয়ে আসতে পারেন।
৫ ঘণ্টা আগেজীবন ও মৃত্যু একমাত্র আল্লাহর হাতে। কিন্তু কার মৃত্যু কেমনভাবে ঘটবে এবং সেই মৃত্যু কী মর্যাদা বহন করবে—ইসলাম তা ব্যাখ্যা করেছে অত্যন্ত মানবিক ও অর্থপূর্ণভাবে। বিশেষ করে যে মৃত্যুগুলোতে রয়েছে শারীরিক কষ্ট, আত্মত্যাগ ও ধৈর্যের পরীক্ষার ছাপ; ইসলাম সেগুলোর জন্য রেখেছে বিশেষ পুরস্কার ও মর্যাদা।
৬ ঘণ্টা আগেরোগী গুরুতর অসুস্থ হোক কিংবা কম। তাকে সান্ত্বনা দেওয়া। হতাশ না করা কিংবা ভয় না দেখানো। অসুস্থ ব্যক্তিকে কী বলে সান্ত্বনা দিতে হয় তা হাদিস অনুসন্ধান পাওয়া যায়। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) এক বেদুইনের ঘরে প্রবেশ করলেন তার রোগের খোঁজখবর নিতে। তিনি বললেন—‘তোমার চিন্তার...
৬ ঘণ্টা আগেমৃত্যু যদি প্রস্তুতির সুযোগ ছাড়াই হঠাৎ আসে, তখন সেটি হয়ে উঠতে পারে অনুতাপের কারণ। যদি কেউ পাপের মধ্যে লিপ্ত অবস্থায় মৃত্যু বরণ করে—বিশেষ করে হঠাৎ মৃত্যু হয়, তবে তা বড় বিপদের কারণ। কেননা, এতে তাওবার সুযোগ নেই, সংশোধনের অবকাশ থাকে না, কারও কাছে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগও থাকে না।
৬ ঘণ্টা আগে