তাসনিফ আবীদ
মানুষের জীবনে প্রিয়জনের মৃত্যু এক গভীর শোক ও বেদনার সময়। এমন পরিস্থিতিতে একজন মুমিনের করণীয় কী হবে—ইসলাম সেই পথ নির্দেশনা স্পষ্টভাবে দিয়েছে। ইসলাম স্বাভাবিক আবেগকে দমন করতে বলেনি, বরং ধৈর্য ধারণের শিক্ষা দিয়েছে। প্রিয়জন হারিয়ে চোখের পানি ঝরানো নিষিদ্ধ নয়, কিন্তু শোক প্রকাশের কিছু সীমা-পরিসীমা ইসলামে নির্ধারিত রয়েছে।
প্রিয়জনের মৃত্যু মানুষের জীবনে বড় বিপদ ও পরীক্ষা। এমন মুহূর্তে আল্লাহর ফয়সালায় ধৈর্য ধারণ করার আদেশ দিয়েছে ইসলাম। তবে অনেক সময় শোক এতই গভীর হয় যে কান্না নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। এ ধরনের আবেগপ্রবণ কান্নার ব্যাপারে ইসলামে নিষেধাজ্ঞা নেই।
প্রিয় পুত্র ইবরাহিম (রা.)-এর মৃত্যুতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কেও অশ্রুপাত করতে দেখা যায়। তখন সাহাবি আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বিস্মিত হয়ে বলেছিলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আপনিও কাঁদছেন?’ জবাবে রাসুল (সা.) বলেন, ‘এ কান্না হচ্ছে স্নেহ ও ভালোবাসার প্রকাশ।’
এরপর তিনি বলেন, ‘আমার হৃদয় বেদনাহত, চোখ দুটো অশ্রুসিক্ত। তবে আমি শুধু সে কথাগুলোই বলছি, যা আমার রবকে সন্তুষ্ট করে। ইবরাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।’ (সহিহ্ বুখারি)
তবে কান্না যদি সীমালঙ্ঘন করে উচ্চ আওয়াজ, বিলাপ বা চিৎকারের রূপ নেয়, তাহলে তা ইসলামে নিরুৎসাহিত।
রাসুল (সা.) বলেন, ‘মৃত ব্যক্তির জন্য বিলাপ করা জাহেলি যুগের প্রথা। যে ব্যক্তি মৃত্যুর আগে এসব কাজ থেকে তওবা না করে, কিয়ামতের দিন তাকে আগুনের পোশাক পরানো হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)
উল্লিখিত হাদিস থেকে বোঝা যায়, ইসলামে চোখের পানি ঝরানো নিষেধ নয়, কিন্তু অতিরিক্ত বিলাপ, চিৎকার বা অপসংস্কৃতিমূলক আচরণ অনুমোদিত নয়। মুমিন ব্যক্তি শোকের মধ্যেও ধৈর্য ও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্টি বজায় রাখে। প্রিয়জন হারানোর কষ্টে হৃদয় বিদীর্ণ হলেও মুখে উচ্চারিত হওয়া উচিত এমন কথাই, যা রবের সন্তুষ্টির কারণ হয়।
মানুষের জীবনে প্রিয়জনের মৃত্যু এক গভীর শোক ও বেদনার সময়। এমন পরিস্থিতিতে একজন মুমিনের করণীয় কী হবে—ইসলাম সেই পথ নির্দেশনা স্পষ্টভাবে দিয়েছে। ইসলাম স্বাভাবিক আবেগকে দমন করতে বলেনি, বরং ধৈর্য ধারণের শিক্ষা দিয়েছে। প্রিয়জন হারিয়ে চোখের পানি ঝরানো নিষিদ্ধ নয়, কিন্তু শোক প্রকাশের কিছু সীমা-পরিসীমা ইসলামে নির্ধারিত রয়েছে।
প্রিয়জনের মৃত্যু মানুষের জীবনে বড় বিপদ ও পরীক্ষা। এমন মুহূর্তে আল্লাহর ফয়সালায় ধৈর্য ধারণ করার আদেশ দিয়েছে ইসলাম। তবে অনেক সময় শোক এতই গভীর হয় যে কান্না নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। এ ধরনের আবেগপ্রবণ কান্নার ব্যাপারে ইসলামে নিষেধাজ্ঞা নেই।
প্রিয় পুত্র ইবরাহিম (রা.)-এর মৃত্যুতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কেও অশ্রুপাত করতে দেখা যায়। তখন সাহাবি আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বিস্মিত হয়ে বলেছিলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আপনিও কাঁদছেন?’ জবাবে রাসুল (সা.) বলেন, ‘এ কান্না হচ্ছে স্নেহ ও ভালোবাসার প্রকাশ।’
এরপর তিনি বলেন, ‘আমার হৃদয় বেদনাহত, চোখ দুটো অশ্রুসিক্ত। তবে আমি শুধু সে কথাগুলোই বলছি, যা আমার রবকে সন্তুষ্ট করে। ইবরাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।’ (সহিহ্ বুখারি)
তবে কান্না যদি সীমালঙ্ঘন করে উচ্চ আওয়াজ, বিলাপ বা চিৎকারের রূপ নেয়, তাহলে তা ইসলামে নিরুৎসাহিত।
রাসুল (সা.) বলেন, ‘মৃত ব্যক্তির জন্য বিলাপ করা জাহেলি যুগের প্রথা। যে ব্যক্তি মৃত্যুর আগে এসব কাজ থেকে তওবা না করে, কিয়ামতের দিন তাকে আগুনের পোশাক পরানো হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)
উল্লিখিত হাদিস থেকে বোঝা যায়, ইসলামে চোখের পানি ঝরানো নিষেধ নয়, কিন্তু অতিরিক্ত বিলাপ, চিৎকার বা অপসংস্কৃতিমূলক আচরণ অনুমোদিত নয়। মুমিন ব্যক্তি শোকের মধ্যেও ধৈর্য ও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্টি বজায় রাখে। প্রিয়জন হারানোর কষ্টে হৃদয় বিদীর্ণ হলেও মুখে উচ্চারিত হওয়া উচিত এমন কথাই, যা রবের সন্তুষ্টির কারণ হয়।
ইসলাম ধর্ম এমন একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যেখানে মানুষের জানমালের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাই একজন নিরপরাধ মানুষের জীবন রক্ষা করা ইসলামে অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ কাজ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। পাশাপাশি কোনো নির্দোষ প্রাণ হরণ করা ইসলামে শুধু নিষিদ্ধই নয়, বরং একে মানবতার বিরুদ্ধে ঘৃণ্য...
৩ ঘণ্টা আগেমানুষ স্বভাবতই সমাজবদ্ধ জীব। একাকী জীবন মানব প্রকৃতির সঙ্গে যায় না। সমাজে টিকে থাকতে হলে একজন মানুষের জন্য অন্যের সহযোগিতা অপরিহার্য। জীবনের চলার পথে নানা চ্যালেঞ্জ ও বিপদের সময় একে অপরের পাশে দাঁড়ানোই মানবিকতা ও ধর্মীয় দায়িত্বের প্রতিচ্ছবি। বিশেষত, বিপদগ্রস্ত মানুষ যখন অসহায় হয়ে পড়ে, তখন তার জন্য এ
৩ ঘণ্টা আগেমানুষ সামাজিক জীব। তাই সমাজবদ্ধ জীবনে কোনো মানুষের পক্ষে একাকী বসবাস করা সম্ভব নয়। বিভিন্ন প্রয়োজনে একে অপরের সাহায্য ছাড়া মানুষ চলতে পারে না। তাই বিপৎসংকুল পরিস্থিতিতে অন্যের সাহায্যের প্রয়োজন পড়ে।
৮ ঘণ্টা আগেসম্পদ মানুষের জীবন পরিচালনার একটি অপরিহার্য উপকরণ। দৈনন্দিন প্রয়োজন পূরণ, পারিবারিক শান্তি বজায় রাখা ও সামাজিক দায়িত্ব পালনের জন্য এটি অপরিসীম গুরুত্বপূর্ণ। ইসলাম শুধু সম্পদ উপার্জনের নির্দেশই দেয়নি, বরং তার যথাযথ ব্যবহার, অপচয় থেকে বিরত থাকা এবং কৃতজ্ঞতার সঙ্গে খরচ করার নির্দেশও দিয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগে