মুফতি ইশমাম আহমেদ
প্রশ্ন: শীতকালে অনেককে অজুর সময় পা না ধুয়ে মোজার ওপর মাসেহ করতে দেখি, এটি কি ইসলামসম্মত? কখন, কীভাবে তা পরিধান করলে মাসেহ করা যাবে? কীভাবে মাসেহ করতে হয়—বিস্তারিত জানালে কৃতজ্ঞ হব।
মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, রাজশাহী
উত্তর: মোজার ওপর মাসেহ করা অজুতে পা ধোয়ার বিকল্প। এটি ইসলামে অনুমোদিত। তবে এ ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যেমন—চামড়ার তৈরি মোজা হতে হবে। পবিত্র হয়ে মোজা পরতে হবে। মোজা দিয়ে টাখনু ঢাকা থাকতে হবে। ছেঁড়া থাকলে তা পায়ের কনিষ্ঠাঙুলের তিন আঙুল পরিমাণের কম হতে হবে। ফিতা দিয়ে বাঁধা ছাড়াই পায়ে আটকে থাকতে হবে। মোজাগুলো পরে জুতা ছাড়াই দীর্ঘক্ষণ হাঁটতে পারতে হবে। (বুখারি, মুসলিম ও আবু দাউদ)
মাসেহ কখন করা যাবে: বছরের যেকোনো সময় মোজার ওপর মাসেহ করা যাবে। মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘মোজার ওপর মাসেহ করার সময় মুসাফিরের জন্য তিন দিন, তিন রাত এবং মুকিমের জন্য এক দিন, এক রাত।’ (আবু দাউদ) অর্থাৎ, ইসলামের দৃষ্টিতে যিনি মুসাফির, তিনি তিন দিন, তিন রাত একটানা মাসেহ করতে পারবেন। সময়টি শুরু হবে মোজা পরার পর যখন প্রথম অজু ভাঙবে, তখন থেকে। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা) কেউ বাড়িতে অবস্থান করা অবস্থায় মাসেহ করার পর মুসাফির হয়ে গেলে মুসাফিরের সময়সীমা পূর্ণ করবে।
একইভাবে মুসাফির মাসেহ শুরু করার পর মুকিম হয়ে গেলে মুকিমের মেয়াদ পূরণ করবে। (আবু দাউদ)
মাসেহ কীভাবে করবেন: হাতের ছোট তিন আঙুলের সমান পায়ের ওপরের অংশ মাসেহ করা ফরজ। (আবু দাউদ) আর পায়ের আঙুলের মাথা থেকে হাতের আঙুলগুলো প্রশস্ত করে টাখনু পর্যন্ত মাসেহ করা সুন্নত। (কিতাবুল আসার)
মাসেহ কখন ভেঙে যায়: যেসব কারণে অজু ভেঙে যায়, সেই সব কারণে মাসেহও ভেঙে যায়। মোজা খোলার কারণে মাসেহ ভেঙে যায়। মোজা পায়ের টাখনুসহ বেশির ভাগ অংশ বের হয়ে গেলে মাসেহ ভেঙে যায়। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার মাধ্যমে মাসেহ ভেঙে যায়। উভয় মোজার কোনো একটির বেশির ভাগ অংশে পানি ঢুকলে মাসেহ ভেঙে যায়। (তিরমিজি, বাদায়েউস সানায়ে, মুআত্তা মুহাম্মদ)
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি ইশমাম আহমেদ, শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক
প্রশ্ন: শীতকালে অনেককে অজুর সময় পা না ধুয়ে মোজার ওপর মাসেহ করতে দেখি, এটি কি ইসলামসম্মত? কখন, কীভাবে তা পরিধান করলে মাসেহ করা যাবে? কীভাবে মাসেহ করতে হয়—বিস্তারিত জানালে কৃতজ্ঞ হব।
মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, রাজশাহী
উত্তর: মোজার ওপর মাসেহ করা অজুতে পা ধোয়ার বিকল্প। এটি ইসলামে অনুমোদিত। তবে এ ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যেমন—চামড়ার তৈরি মোজা হতে হবে। পবিত্র হয়ে মোজা পরতে হবে। মোজা দিয়ে টাখনু ঢাকা থাকতে হবে। ছেঁড়া থাকলে তা পায়ের কনিষ্ঠাঙুলের তিন আঙুল পরিমাণের কম হতে হবে। ফিতা দিয়ে বাঁধা ছাড়াই পায়ে আটকে থাকতে হবে। মোজাগুলো পরে জুতা ছাড়াই দীর্ঘক্ষণ হাঁটতে পারতে হবে। (বুখারি, মুসলিম ও আবু দাউদ)
মাসেহ কখন করা যাবে: বছরের যেকোনো সময় মোজার ওপর মাসেহ করা যাবে। মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘মোজার ওপর মাসেহ করার সময় মুসাফিরের জন্য তিন দিন, তিন রাত এবং মুকিমের জন্য এক দিন, এক রাত।’ (আবু দাউদ) অর্থাৎ, ইসলামের দৃষ্টিতে যিনি মুসাফির, তিনি তিন দিন, তিন রাত একটানা মাসেহ করতে পারবেন। সময়টি শুরু হবে মোজা পরার পর যখন প্রথম অজু ভাঙবে, তখন থেকে। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা) কেউ বাড়িতে অবস্থান করা অবস্থায় মাসেহ করার পর মুসাফির হয়ে গেলে মুসাফিরের সময়সীমা পূর্ণ করবে।
একইভাবে মুসাফির মাসেহ শুরু করার পর মুকিম হয়ে গেলে মুকিমের মেয়াদ পূরণ করবে। (আবু দাউদ)
মাসেহ কীভাবে করবেন: হাতের ছোট তিন আঙুলের সমান পায়ের ওপরের অংশ মাসেহ করা ফরজ। (আবু দাউদ) আর পায়ের আঙুলের মাথা থেকে হাতের আঙুলগুলো প্রশস্ত করে টাখনু পর্যন্ত মাসেহ করা সুন্নত। (কিতাবুল আসার)
মাসেহ কখন ভেঙে যায়: যেসব কারণে অজু ভেঙে যায়, সেই সব কারণে মাসেহও ভেঙে যায়। মোজা খোলার কারণে মাসেহ ভেঙে যায়। মোজা পায়ের টাখনুসহ বেশির ভাগ অংশ বের হয়ে গেলে মাসেহ ভেঙে যায়। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার মাধ্যমে মাসেহ ভেঙে যায়। উভয় মোজার কোনো একটির বেশির ভাগ অংশে পানি ঢুকলে মাসেহ ভেঙে যায়। (তিরমিজি, বাদায়েউস সানায়ে, মুআত্তা মুহাম্মদ)
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি ইশমাম আহমেদ, শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক
ইসলামে ব্যবহৃত অনেক গুরুত্বপূর্ণ শব্দের মধ্যে ‘ইনশা আল্লাহ’ অন্যতম। এটি শুধুমাত্র একটি শব্দ নয়, বরং এটি আমাদের বিশ্বাস, আচরণ এবং আল্লাহর ওপর ভরসার প্রতীক। প্রায়ই আমরা এটি শুনে থাকি, কিন্তু এর প্রকৃত অর্থ এবং সঠিক ব্যবহার জানাটা জরুরি।
৯ ঘণ্টা আগেআল্লাহ তাআলা কোরআনের বিভিন্ন স্থানে পূর্ববর্তী জাতিগোষ্ঠী ও তাদের ভয়াবহ পরিণতির কথা উল্লেখ করেছেন। এর উদ্দেশ্য হলো, মানুষ যেন এই দৃষ্টান্ত দেখে আল্লাহর প্রতি ইমান আনে এবং সঠিক পথে ফিরে আসে। সুরা ইয়াসিনে তেমনই এক জনপদের কথা এসেছে, যার নাম ছিল ‘ইন্তাকিয়া।’
১৬ ঘণ্টা আগেমুখ দ্বারা আমরা প্রতিনিয়তই মারাত্মক সব গুনাহ করি—যেগুলো কিছুতেই করা উচিত নয়। মুখের গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে পারলে জান্নাত সুনিশ্চিত। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে আমাকে তার দুই চোয়ালের মাঝের অঙ্গ অর্থাৎ জবান এবং দুই পায়ের মাঝের...
১ দিন আগেসাহাবায়ে কেরাম ছিলেন উম্মতের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ও উত্তম মানুষ। নবীজি (সা.)-এর প্রতি তাদের গভীর ভালোবাসা ছিল, যার কারণে তাঁরা তাঁর প্রতিটি কথা ও কাজ অত্যন্ত যত্ন সহকারে সংরক্ষণ করেছেন। এমনকি তিনি কোন কাজ কোন হাতে এবং কোন দিক থেকে শুরু করতেন, তাও তাঁরা বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছেন।
১ দিন আগে