রুবাইয়া হক, ঢাকা
ঠিক এক বছর আগের এই দিনে গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নজিরবিহীন সহিংসতা ও রক্তক্ষয়ের বিনিময়ে শেখ হাসিনার স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের অবসান ঘটেছিল। চাকরিতে বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন থেকে রূপ নেওয়া এই অভ্যুত্থানে নেতৃত্বের অগ্রভাগে ছিলেন তরুণেরা। তাঁদেরই একটি বড় অংশ মিলে গঠিত হয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
অভ্যুত্থানের দলিল হিসেবে ‘জুলাই সনদ’ প্রণয়নের জন্য গত এক বছরে সবচেয়ে সোচ্চার ছিল এনসিপি। সেই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র পাঠের অনুষ্ঠান ছিল আজ মঙ্গলবার। শুধু তা-ই নয়, জুলাই শহীদদের সংবর্ধনাসহ গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির দিনে রাজধানীতে একাধিক অনুষ্ঠানও চলছিল। এমন দিনে এনসিপির পাঁচজন শীর্ষ নেতাকে হঠাৎ কক্সবাজারে দেখা গেছে। গুরুত্বপূর্ণ এই দিনে এনসিপির শীর্ষ ৫ নেতা হঠাৎ কেন কক্সবাজারে গেলেন, তা নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
তাঁদের কক্সবাজারে যাওয়া নিয়ে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর তাঁদের ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে। জোরালো গুঞ্জন উঠেছে, বাংলাদেশে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করতেই তাঁরা সেখানে গেছেন। এখন টিভিসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে এই গুঞ্জনের খবর প্রকাশিত হয়েছে। তবে বৈঠকের খবরকে ‘অপপ্রচার’ ও ‘গুজব’ বলে দাবি করেছেন এনসিপির নেতারা।
সূত্রমতে, এই সফরে ছিলেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা ও তাঁর স্বামী এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ। তাঁদের আরও কারও সঙ্গে পরিবারের সদস্য থাকতে পারেন।
পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে এনসিপির কারও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এনসিপি নেতাদের যে বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে, তাতে তাঁরা সবাই বৈঠকের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তাহলে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির মতো গুরুত্বপূর্ণ দিনে দলটির নেতারা কক্সবাজারে কেন গেলেন, তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে চলছে নানা আলোচনা।
পিটার হাসের সঙ্গে তাঁদের কোনো মিটিং হয়নি দাবি করে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এখন টিভিকে বলেছেন, ‘পুরোটাই গুজব ও প্রোপাগান্ডা। আমরা ঘুরতে এসেছি। হোটেলে চেক-ইন করে এমন নিউজ দেখলাম।’ খালেদ সাইফুল্লাহও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের কাছে এটাকে ‘সম্পূর্ণ ভুয়া খবর’ বলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা কয়েকজন এখানে ঘুরতে এসেছি।’
এ বিষয়ে জানতে কক্সবাজারে সংশ্লিষ্ট হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে আজকের পত্রিকা। সি পার্ল হোটেল কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, আজ হঠাৎ এনসিপি নেতারা কক্সবাজারে উপস্থিত হন। আগে থেকে তাঁদের রিজার্ভেশন ছিল না। তাঁরা পরে পাঁচতলার দুটি রুম বুক করেন।
এই প্রেক্ষাপটে বোঝা যায়, তাঁদের এই সফর হঠাৎ এবং জরুরি হতে পারে। আবার রিজার্ভেশন না করার সিদ্ধান্তও পরিকল্পিত হতে পারে।
একাধিক সূত্র দাবি করছে, কক্সবাজারের রয়েল টিউলিপ হোটেলে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে এনসিপির ‘গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের গোপন বৈঠক’ হয়েছে। বৈঠকে নাসীরুদ্দীন, হাসনাত, সারজিস, জারা ও খালেদ ছিলেন বলে শোনা গেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ যাতে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা না করেন, সেজন্য তাঁকে প্রভাবিত করতে এনসিপি নেতারা পিটার হাসকে অনুরোধ করেছেন বলে তাঁদের বিশ্বাস।
সূত্রমতে, গোপন বৈঠকটি বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি; বিশেষ করে, ‘গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ ঘিরে গুরুত্ব বহন করছে। এনসিপি নেতাদের এই সফরের ব্যাপারে জেলা পুলিশকে আগে অবহিত করা হয়নি। তাঁদের প্রটোকলের জন্য পুলিশের এক শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তার স্ত্রী নিজের মোবাইল ফোনে কক্সবাজার এসবিকে ফোন করেন বলেও জানা গেছে।
২০২৪ সালের এই দিনে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করে ভারতে চলে যান। এরপরই গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন সরকারের অন্যতম প্রধান অঙ্গীকার ছিল ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ এবং ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ প্রণয়ন ও প্রকাশ। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আজ বিকেল ৫টার দিকে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।
ঠিক এক বছর আগের এই দিনে গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নজিরবিহীন সহিংসতা ও রক্তক্ষয়ের বিনিময়ে শেখ হাসিনার স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের অবসান ঘটেছিল। চাকরিতে বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন থেকে রূপ নেওয়া এই অভ্যুত্থানে নেতৃত্বের অগ্রভাগে ছিলেন তরুণেরা। তাঁদেরই একটি বড় অংশ মিলে গঠিত হয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
অভ্যুত্থানের দলিল হিসেবে ‘জুলাই সনদ’ প্রণয়নের জন্য গত এক বছরে সবচেয়ে সোচ্চার ছিল এনসিপি। সেই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র পাঠের অনুষ্ঠান ছিল আজ মঙ্গলবার। শুধু তা-ই নয়, জুলাই শহীদদের সংবর্ধনাসহ গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির দিনে রাজধানীতে একাধিক অনুষ্ঠানও চলছিল। এমন দিনে এনসিপির পাঁচজন শীর্ষ নেতাকে হঠাৎ কক্সবাজারে দেখা গেছে। গুরুত্বপূর্ণ এই দিনে এনসিপির শীর্ষ ৫ নেতা হঠাৎ কেন কক্সবাজারে গেলেন, তা নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
তাঁদের কক্সবাজারে যাওয়া নিয়ে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর তাঁদের ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে। জোরালো গুঞ্জন উঠেছে, বাংলাদেশে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করতেই তাঁরা সেখানে গেছেন। এখন টিভিসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে এই গুঞ্জনের খবর প্রকাশিত হয়েছে। তবে বৈঠকের খবরকে ‘অপপ্রচার’ ও ‘গুজব’ বলে দাবি করেছেন এনসিপির নেতারা।
সূত্রমতে, এই সফরে ছিলেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা ও তাঁর স্বামী এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ। তাঁদের আরও কারও সঙ্গে পরিবারের সদস্য থাকতে পারেন।
পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে এনসিপির কারও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এনসিপি নেতাদের যে বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে, তাতে তাঁরা সবাই বৈঠকের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তাহলে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির মতো গুরুত্বপূর্ণ দিনে দলটির নেতারা কক্সবাজারে কেন গেলেন, তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে চলছে নানা আলোচনা।
পিটার হাসের সঙ্গে তাঁদের কোনো মিটিং হয়নি দাবি করে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এখন টিভিকে বলেছেন, ‘পুরোটাই গুজব ও প্রোপাগান্ডা। আমরা ঘুরতে এসেছি। হোটেলে চেক-ইন করে এমন নিউজ দেখলাম।’ খালেদ সাইফুল্লাহও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের কাছে এটাকে ‘সম্পূর্ণ ভুয়া খবর’ বলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা কয়েকজন এখানে ঘুরতে এসেছি।’
এ বিষয়ে জানতে কক্সবাজারে সংশ্লিষ্ট হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে আজকের পত্রিকা। সি পার্ল হোটেল কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, আজ হঠাৎ এনসিপি নেতারা কক্সবাজারে উপস্থিত হন। আগে থেকে তাঁদের রিজার্ভেশন ছিল না। তাঁরা পরে পাঁচতলার দুটি রুম বুক করেন।
এই প্রেক্ষাপটে বোঝা যায়, তাঁদের এই সফর হঠাৎ এবং জরুরি হতে পারে। আবার রিজার্ভেশন না করার সিদ্ধান্তও পরিকল্পিত হতে পারে।
একাধিক সূত্র দাবি করছে, কক্সবাজারের রয়েল টিউলিপ হোটেলে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে এনসিপির ‘গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের গোপন বৈঠক’ হয়েছে। বৈঠকে নাসীরুদ্দীন, হাসনাত, সারজিস, জারা ও খালেদ ছিলেন বলে শোনা গেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ যাতে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা না করেন, সেজন্য তাঁকে প্রভাবিত করতে এনসিপি নেতারা পিটার হাসকে অনুরোধ করেছেন বলে তাঁদের বিশ্বাস।
সূত্রমতে, গোপন বৈঠকটি বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি; বিশেষ করে, ‘গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ ঘিরে গুরুত্ব বহন করছে। এনসিপি নেতাদের এই সফরের ব্যাপারে জেলা পুলিশকে আগে অবহিত করা হয়নি। তাঁদের প্রটোকলের জন্য পুলিশের এক শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তার স্ত্রী নিজের মোবাইল ফোনে কক্সবাজার এসবিকে ফোন করেন বলেও জানা গেছে।
২০২৪ সালের এই দিনে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করে ভারতে চলে যান। এরপরই গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন সরকারের অন্যতম প্রধান অঙ্গীকার ছিল ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ এবং ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ প্রণয়ন ও প্রকাশ। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আজ বিকেল ৫টার দিকে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।
তিনি বলেন, ‘আন্দোলনে শহীদ পরিবার, আহতদের ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো নির্দেশিকা নেই। যাঁরা শহীদ হয়েছেন, এমনকি যাঁরা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, জাতির পক্ষ থেকে দাবি ছিল, তাঁদের বিভিন্ন উপাধিতে ভূষিত করার। মুক্তিযুদ্ধে যেমনটা হয়েছে। তাঁদের ভাতা দেওয়ার ঘোষণা আসা উচিত ছিল; রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়ার ঘোষণা আসা উ
২ ঘণ্টা আগেসংবাদ সম্মেলনে শঙ্কা প্রকাশ করে মঞ্জু বলেন, ‘এই দেশে এখনো হাসিনার প্রেতাত্মা বিদ্যমান। ভারতের প্রেতাত্মাও রয়ে গেছে। এখানে ফ্যাসিবাদ শুধু রূপ পরিবর্তন করেছে। সমঝোতার ভিত্তিতে আগামী পাঁচ বছরের জন্য জাতীয় সরকার গঠন করা সম্ভব কি না, তা এখনই ভাবতে হবে। অন্যথায় অন্তর্দলীয় বিভেদ ও পরিণতির ভার সবাইকে বহন
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেছেন, শহীদের রক্তের বিনিময়ে ক্ষমতায় এসেছে, সেই অন্তর্বর্তী সরকার আজ বিপরীত পথে হাঁটছে।
৬ ঘণ্টা আগেছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ‘এত তথ্য-উপাত্ত থাকার পরও যদি গণহত্যার বিচার না হয়, তাহলে সেটা সরকারের চরম ব্যর্থতা প্রমাণ করে। এ সরকার কোনো বিপ্লবী সরকার নয়, এটি অলস সরকার।’
৬ ঘণ্টা আগে