নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি ও উক্ত আদেশের ওপর আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দাবিতে আরও সাতটি রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ। আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘সমমনা রাজনৈতিক দলসমূহ’ ব্যানারে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এ সময় জুলাই সনদে স্বাক্ষর করার পরও কেন নতুন কর্মসূচি দেওয়া হচ্ছে, তার ব্যাখ্যা দেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন খেলাফত মজলিশের মহাসচিব ড. আহমেদ আবদুল কাদের। কর্মসূচি নিয়ে তিনি বলেন, আগামী ২০ অক্টোবর রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল, ২৫ অক্টোবর সব বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল ও ২৭ অক্টোবর সব জেলা শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল। আগামী ২৭ অক্টোবরের মধ্যে দাবি মানা না হলে দেশব্যাপী বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে বলেও জানান খেলাফত মজলিশের এই নেতা।
নতুন কর্মসূচি ঘোষণার বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করার পরও আপনারা কেন আবার আন্দোলনের কর্মসূচি দিলেন—এই প্রশ্নটি আসতে পারে। এর উত্তরে আমাদের এই দলগুলোর পক্ষ থেকে পরিষ্কার বক্তব্য হচ্ছে, আমরা যে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছি, এর মধ্য দিয়ে জুলাই চার্টারে থাকা সমস্ত সংস্কারমূলক প্রস্তাবে আমরা একমত প্রকাশ করেছি। কিন্তু এখন কাজ বাকি আছে। কাজগুলো হলো—জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে, আর এটাকে আইনি ভিত্তি দিতে একটা গণভোট করতে হবে, তারপর জাতীয় নির্বাচন।’
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘গণভোট কখন হবে আর জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশটা কখন হবে—জুলাই সনদে লিখিতভাবে অন্তর্ভুক্ত নেই। এই কারণে অনেকেই প্রশ্ন করছেন যে আপনারা যে স্বাক্ষর করলেন, সেটার বাস্তবায়ন কবে হবে, কবে আদেশ জারি হবে, কবে গণভোট হবে? এই নিষ্পত্তি তো এখনো হয়নি।’
দলগুলোর ঘোষিত ৫ দফার মধ্যে রয়েছে—জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও উক্ত আদেশের ওপর আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোট আয়োজন করা। আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে/উচ্চ কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা। ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা। ‘স্বৈরাচারের দোসর’ জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব, ইউনুছ আহমাদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব জালাল উদ্দিন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মুসা বিন ইযহার, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান হামিদী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির মহাসচিব নিজামুল হক নাঈম।
যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া দলগুলো হলো—বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলামি পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জাগপা (জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি) এবং নতুন যুক্ত হওয়া বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি।
উল্লেখ্য, ১৭ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে জুলাই সনদে সই করে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ ২৪টি রাজনৈতিক দল। এরপর গণফোরামও আজ রোববার সনদে সই করেছে। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও চারটি বাম দল এ সনদে সই করেনি।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি ও উক্ত আদেশের ওপর আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দাবিতে আরও সাতটি রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ। আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘সমমনা রাজনৈতিক দলসমূহ’ ব্যানারে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এ সময় জুলাই সনদে স্বাক্ষর করার পরও কেন নতুন কর্মসূচি দেওয়া হচ্ছে, তার ব্যাখ্যা দেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন খেলাফত মজলিশের মহাসচিব ড. আহমেদ আবদুল কাদের। কর্মসূচি নিয়ে তিনি বলেন, আগামী ২০ অক্টোবর রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল, ২৫ অক্টোবর সব বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল ও ২৭ অক্টোবর সব জেলা শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল। আগামী ২৭ অক্টোবরের মধ্যে দাবি মানা না হলে দেশব্যাপী বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে বলেও জানান খেলাফত মজলিশের এই নেতা।
নতুন কর্মসূচি ঘোষণার বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করার পরও আপনারা কেন আবার আন্দোলনের কর্মসূচি দিলেন—এই প্রশ্নটি আসতে পারে। এর উত্তরে আমাদের এই দলগুলোর পক্ষ থেকে পরিষ্কার বক্তব্য হচ্ছে, আমরা যে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছি, এর মধ্য দিয়ে জুলাই চার্টারে থাকা সমস্ত সংস্কারমূলক প্রস্তাবে আমরা একমত প্রকাশ করেছি। কিন্তু এখন কাজ বাকি আছে। কাজগুলো হলো—জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে, আর এটাকে আইনি ভিত্তি দিতে একটা গণভোট করতে হবে, তারপর জাতীয় নির্বাচন।’
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘গণভোট কখন হবে আর জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশটা কখন হবে—জুলাই সনদে লিখিতভাবে অন্তর্ভুক্ত নেই। এই কারণে অনেকেই প্রশ্ন করছেন যে আপনারা যে স্বাক্ষর করলেন, সেটার বাস্তবায়ন কবে হবে, কবে আদেশ জারি হবে, কবে গণভোট হবে? এই নিষ্পত্তি তো এখনো হয়নি।’
দলগুলোর ঘোষিত ৫ দফার মধ্যে রয়েছে—জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও উক্ত আদেশের ওপর আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোট আয়োজন করা। আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে/উচ্চ কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা। ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা। ‘স্বৈরাচারের দোসর’ জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব, ইউনুছ আহমাদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব জালাল উদ্দিন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মুসা বিন ইযহার, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান হামিদী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির মহাসচিব নিজামুল হক নাঈম।
যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া দলগুলো হলো—বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলামি পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জাগপা (জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি) এবং নতুন যুক্ত হওয়া বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি।
উল্লেখ্য, ১৭ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে জুলাই সনদে সই করে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ ২৪টি রাজনৈতিক দল। এরপর গণফোরামও আজ রোববার সনদে সই করেছে। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও চারটি বাম দল এ সনদে সই করেনি।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট বিভাগে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বিভাগের চার জেলার ১৯টি সংসদীয় আসনে দলের প্রায় ৮০ জন মনোনয়নপ্রত্যাশী অংশ নেন বলে জানা গেছে।
২০ মিনিট আগেনির্বাচন কমিশনকে ‘গনিমতের মাল’ হিসেবে সেনাবাহিনী, বিএনপি ও জামায়াত ভাগ করে নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। আজ রোববার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সামনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগেহেনস্তার শিকার আমার দেশ পত্রিকার প্রতিবেদক জাহিদুল ইসলাম জানান, আজ সকাল থেকে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন তিনি। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ভেতরে ঢুকে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে হট্টগোলের সময় কয়েকজন ব্যক্তি তাঁকে মারধর করেন।
৩ ঘণ্টা আগেসালাহউদ্দিন বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ১৬ বছরের ধারাবাহিক আন্দোলন-সংগ্রামের ফসল। সুতরাং, বিএনপিকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বিপরীতে দাঁড় করানোর যেকোনো অপচেষ্টা আমার মনে হয় সফল হবে না।’
৪ ঘণ্টা আগে