আমজাদ ইউনুস
তরজমানুল কোরআন
স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী মাওলানা আবুল কালাম আজাদ একজন সাচ্চা দেশপ্রেমিক ছিলেন। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে রয়েছে তাঁর অগ্রণী ভূমিকা। তিনি একাধারে ধর্মতাত্ত্বিক, কবি, শিক্ষাবিদ ছিলেন। রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে তিনি বেশ কয়েকবার কারাবরণ করেছেন। কারাগারের অবসর সময়ে তিনি লেখালেখি করতেন। কারাগারে তিনি কয়েকটি বইও লেখেন। এর মধ্যে পবিত্র কোরআনের ব্যাখ্যা গ্রন্থ ‘তরজমানুল কোরআন’ অবিস্মরণীয় কাজ। উর্দু ভাষার রচিত মাওলানা আবুল কালাম আজাদের এই তাফসির গ্রন্থের রয়েছে আলাদা বৈশিষ্ট্য। তরজমানুল কোরআন সুধীমহল ও ইসলামি অঙ্গনে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। বন্দী হওয়ার আগেই এ তাফসিরের কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। ৮ পারার অনুবাদ ও ৩ পারার তাফসির লেখা সম্পন্ন করেছিলেন। তবে পুরো তাফসিরের কাজ কারাবাসের নানা কষ্টের সময় সম্পন্ন হয়েছে। ১৯৩০ সালে পূর্ণাঙ্গ তাফসিরের কাজ শেষ করেন। পরে তাঁর ফাইলপত্র অনুসন্ধানকালে কোরআনের কিছু তাফসির বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। ফলে মাত্র দুই খণ্ড অর্থাৎ মাত্র ১৯ পারার তাফসির মুদ্রিত হয়েছিল। অনুবাদ, ভাষা ও ব্যাখ্যার সব মানদণ্ডে উত্তীর্ণ কালজয়ী এই তাফসির গ্রন্থ সর্বত্র সমাদৃত।
তাফসির ফি জিলালিল কোরআন
সাইয়েদ কুতুব শহীদ মিসরের প্রখ্যাত ইসলামি চিন্তাবিদ ছিলেন। লেখালেখিতে তাঁর সেরা কাজ ‘তাফসির ফি জিলালিল কোরআন’। কারাগারে বসে ১৯৫২ থেকে ১৯৫৪ সালে ১ থেকে ১৮ পারার তাফসির লেখা সম্পন্ন করেন। তবে তৎকালীন সরকার কারাগারে লেখালেখিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। পরে একজন প্রকাশক মামলা করার পর আদালত ফের লেখালেখির অনুমতি দেন। ১৯৫৯ সালে শেষ ১২ পারার ব্যাখ্যা সম্পন্ন করেন। কারাগারেই তিনি পুরো ‘তাফসির ফি জিলালিল কোরআন’ সমাপ্ত করেন। পবিত্র কোরআন অধ্যয়নকালে মনে যে ভাবের উদয় হতো, তা-ই তিনি লিখেছেন এবং প্রতিটি আয়াতের সুনিপুণ ব্যাখ্যা দিয়েছেন। ৮ খণ্ডের এ তাফসির গ্রন্থ জ্ঞানের এক মহাসাগর।
তরজমায়ে কোরআন
শাইখুল হিন্দ মাহমুদুল হাসান ছিলেন জামিয়া মিল্লিয়া ইসলামিয়ার সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং ব্রিটিশবিরোধী রেশমি রুমাল আন্দোলনের প্রথম সারির নেতাদের একজন। ভারতের বিখ্যাত ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দের প্রথম ছাত্র ছিলেন তিনি। মুক্তজীবনে পাঠদান ও রাজনৈতিক ব্যস্ততার কারণে লেখালেখির তেমন ফুরসত পাননি। সুদূর মাল্টার কারাগারে বন্দী থাকাকালে তিনি লেখালেখিতে পূর্ণ মনোযোগ দেন। জেলে যাওয়ার আগে পবিত্র কোরআনের অনুবাদ ও ব্যাখ্যা লেখার কাজে হাত দিয়েছিলেন এবং ১০ পারা অনুবাদের কাজ সম্পন্ন করেছিলেন। কারাগারে অবস্থানকালে অনুবাদের কাজ সম্পন্ন করেন। অনুবাদের পাশাপাশি সুরা নিসা পর্যন্ত টীকা ও ব্যাখ্যাও লেখেন।
কাসাসুল কোরআন
হিফজুর রহমান সিওয়াহারভি ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নেতা ছিলেন। পাশাপাশি আলেম ও দক্ষ লেখক ছিলেন। অনেক আলিমের মতো তিনিও জেলে বন্দী হন। জেলে লেখালেখি অব্যাহত রাখেন। তাঁর বইসমূহের মধ্যে ‘কাসাসুল কোরআন’ বেশ সমাদৃত। এতে কোরআনকেই সব ঘটনার ভিত্তি বানানো হয়েছে। বিশুদ্ধ হাদিস ও ইতিহাসের ঘটনাবলির আলোকে সেগুলোর ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এর তৃতীয় খণ্ডটি গবেষণার দিক থেকে সবচেয়ে মূল্যবান। এ খণ্ডটির কাজ মোরাদাবাদ জেলা কারাগারে সম্পন্ন করেন।
তরজমানুল কোরআন
স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী মাওলানা আবুল কালাম আজাদ একজন সাচ্চা দেশপ্রেমিক ছিলেন। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে রয়েছে তাঁর অগ্রণী ভূমিকা। তিনি একাধারে ধর্মতাত্ত্বিক, কবি, শিক্ষাবিদ ছিলেন। রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে তিনি বেশ কয়েকবার কারাবরণ করেছেন। কারাগারের অবসর সময়ে তিনি লেখালেখি করতেন। কারাগারে তিনি কয়েকটি বইও লেখেন। এর মধ্যে পবিত্র কোরআনের ব্যাখ্যা গ্রন্থ ‘তরজমানুল কোরআন’ অবিস্মরণীয় কাজ। উর্দু ভাষার রচিত মাওলানা আবুল কালাম আজাদের এই তাফসির গ্রন্থের রয়েছে আলাদা বৈশিষ্ট্য। তরজমানুল কোরআন সুধীমহল ও ইসলামি অঙ্গনে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। বন্দী হওয়ার আগেই এ তাফসিরের কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। ৮ পারার অনুবাদ ও ৩ পারার তাফসির লেখা সম্পন্ন করেছিলেন। তবে পুরো তাফসিরের কাজ কারাবাসের নানা কষ্টের সময় সম্পন্ন হয়েছে। ১৯৩০ সালে পূর্ণাঙ্গ তাফসিরের কাজ শেষ করেন। পরে তাঁর ফাইলপত্র অনুসন্ধানকালে কোরআনের কিছু তাফসির বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। ফলে মাত্র দুই খণ্ড অর্থাৎ মাত্র ১৯ পারার তাফসির মুদ্রিত হয়েছিল। অনুবাদ, ভাষা ও ব্যাখ্যার সব মানদণ্ডে উত্তীর্ণ কালজয়ী এই তাফসির গ্রন্থ সর্বত্র সমাদৃত।
তাফসির ফি জিলালিল কোরআন
সাইয়েদ কুতুব শহীদ মিসরের প্রখ্যাত ইসলামি চিন্তাবিদ ছিলেন। লেখালেখিতে তাঁর সেরা কাজ ‘তাফসির ফি জিলালিল কোরআন’। কারাগারে বসে ১৯৫২ থেকে ১৯৫৪ সালে ১ থেকে ১৮ পারার তাফসির লেখা সম্পন্ন করেন। তবে তৎকালীন সরকার কারাগারে লেখালেখিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। পরে একজন প্রকাশক মামলা করার পর আদালত ফের লেখালেখির অনুমতি দেন। ১৯৫৯ সালে শেষ ১২ পারার ব্যাখ্যা সম্পন্ন করেন। কারাগারেই তিনি পুরো ‘তাফসির ফি জিলালিল কোরআন’ সমাপ্ত করেন। পবিত্র কোরআন অধ্যয়নকালে মনে যে ভাবের উদয় হতো, তা-ই তিনি লিখেছেন এবং প্রতিটি আয়াতের সুনিপুণ ব্যাখ্যা দিয়েছেন। ৮ খণ্ডের এ তাফসির গ্রন্থ জ্ঞানের এক মহাসাগর।
তরজমায়ে কোরআন
শাইখুল হিন্দ মাহমুদুল হাসান ছিলেন জামিয়া মিল্লিয়া ইসলামিয়ার সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং ব্রিটিশবিরোধী রেশমি রুমাল আন্দোলনের প্রথম সারির নেতাদের একজন। ভারতের বিখ্যাত ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দের প্রথম ছাত্র ছিলেন তিনি। মুক্তজীবনে পাঠদান ও রাজনৈতিক ব্যস্ততার কারণে লেখালেখির তেমন ফুরসত পাননি। সুদূর মাল্টার কারাগারে বন্দী থাকাকালে তিনি লেখালেখিতে পূর্ণ মনোযোগ দেন। জেলে যাওয়ার আগে পবিত্র কোরআনের অনুবাদ ও ব্যাখ্যা লেখার কাজে হাত দিয়েছিলেন এবং ১০ পারা অনুবাদের কাজ সম্পন্ন করেছিলেন। কারাগারে অবস্থানকালে অনুবাদের কাজ সম্পন্ন করেন। অনুবাদের পাশাপাশি সুরা নিসা পর্যন্ত টীকা ও ব্যাখ্যাও লেখেন।
কাসাসুল কোরআন
হিফজুর রহমান সিওয়াহারভি ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নেতা ছিলেন। পাশাপাশি আলেম ও দক্ষ লেখক ছিলেন। অনেক আলিমের মতো তিনিও জেলে বন্দী হন। জেলে লেখালেখি অব্যাহত রাখেন। তাঁর বইসমূহের মধ্যে ‘কাসাসুল কোরআন’ বেশ সমাদৃত। এতে কোরআনকেই সব ঘটনার ভিত্তি বানানো হয়েছে। বিশুদ্ধ হাদিস ও ইতিহাসের ঘটনাবলির আলোকে সেগুলোর ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এর তৃতীয় খণ্ডটি গবেষণার দিক থেকে সবচেয়ে মূল্যবান। এ খণ্ডটির কাজ মোরাদাবাদ জেলা কারাগারে সম্পন্ন করেন।
লজ্জা বা হায়া ইসলামের একটি মৌলিক গুণ, যা মুমিনের চরিত্রকে সুশোভিত করে। এর কারণে মানুষের মধ্য থেকে কুটিলতা ও পাপ দূর হয়ে যায়। আল্লাহ তাআলা নিজেও এ গুণে গুণান্বিত, তাই তিনি লজ্জাশীল বান্দাকে পছন্দ করেন। এটি কেবল বাহ্যিক শালীনতা নয়, বরং অন্তরের পবিত্রতা ও আল্লাহভীতির প্রকাশ।
১১ ঘণ্টা আগেমানুষের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা-ভালোবাসা প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম হলো সালাম। সালামের দ্বারা দূর হয় অহংকার, গড়ে উঠে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন। সালাম প্রসারে সুগম হয় জান্নাতের পথ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘হে মানুষেরা! তোমরা বেশি বেশি সালামের প্রসার ঘটাও, মানুষকে খাবার খাওয়াও, আর যখন সকল মানুষ ঘুমিয়ে থাকে তখন নামাজ...
১২ ঘণ্টা আগেইসলামে বিশ্বাস ও তাওহিদের ভিত্তিতে মানবজীবন পরিচালিত হয়। সেই বিশ্বাসে জাদু বা জাদুটোনার কোনো স্থান নেই—বরং এটি একটি ঘৃণিত, হারাম এবং গুনাহে কবিরা, অর্থাৎ বড় পাপ হিসেবে চিহ্নিত। জাদুবিদ্যা কেবল একজন মানুষকে শারীরিক বা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে না, বরং তার ইমান ও আত্মিক ভারসাম্যকেও ভেঙে দিতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগেশয়তান মানুষের চিরশত্রু। আল্লাহ তাআলা মানুষকে শয়তানের পথে চলতে নিষেধ করেছেন। তবে মানুষের দ্বারা গুনাহ হয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। মূল বিষয় হলো গুনাহের জন্য অনুতপ্ত হওয়া এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘আল্লাহর শপথ, আমি প্রতিদিন আল্লা
১ দিন আগে