মুফতি আবু দারদা
মৌলিকভাবে সোনা-রুপা ছাড়া অন্য কোনো খনিজ সম্পদ বা অলংকারে জাকাত ফরজ নয়। এই নীতির আলোকে ডায়মন্ডসহ অন্যান্য মণি-মুক্তা ও অলংকারের জন্য জাকাত ফরজ হয় না। তবে এসব অলংকার ব্যবসার উদ্দেশ্যে কেনা হলে জাকাত দিতে হবে। ইমাম নববি (রহ.) বলেন, ‘সোনা-রুপা ছাড়া অন্যান্য অলংকার যেমন ইয়াকুত, ফিরুজ ও মারজান পাথরে জাকাত ওয়াজিব নয়।’ (দুররুল মুখতার: ২ / ৩৪) ফতোয়ায়ে আলমগিরিতে বলা হয়েছে, ‘ইয়াকুত, মুক্তা, জহরতে জাকাত দিতে হবে না—তা অলংকার হিসেবে থাকলেও। তবে ব্যবসার জন্য হলে দিতে হবে।’ (ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ১ / ১৮০)
তবে একালে বেশির ভাগ মানুষ সম্পদ রক্ষায় এবং কর থেকে বাঁচতে নগদ টাকার বদলে হীরা-জহরত জমা রাখেন। এই দৃষ্টিকোণ থেকে হীরা-জহরত অর্জন করা তাঁদের আসল উদ্দেশ্য নয়, বরং সম্পদের সুরক্ষাই তাঁদের মূল উদ্দেশ্য। তাই অনেক ফকিহর মত হলো, এমন উদ্দেশ্য নিয়ে ডায়মন্ডসহ অন্যান্য অলংকার কিনলে তাতে জাকাত দিতে হবে।
তবে সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য মত হলো, জাকাত ওয়াজিব হবে না। কারণ জাকাত ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত এবং জাকাতের সম্পদ ও পরিমাণ কোরআন-হাদিস থেকে নির্ধারিত, তাই তাতে কিয়াস ও ইজতিহাদ করে নতুন বিষয় বের করার সুযোগ নেই। সুতরাং ব্যবসায়ের উদ্দেশ্য ছাড়া ডায়মন্ড কিনলে জাকাত ওয়াজিব হবে না। এটিই অধিকাংশ ফকিহর মত।
তবে মতভেদপূর্ণ বিষয় হওয়ায় কেউ যদি সতর্কতা অবলম্বন করতে এবং মতভেদ থেকে বাঁচতে এসব সম্পদেরও জাকাত আদায় করে দেন, তা অধিক সওয়াবের কারণ হবে। (জদিদ ফিকহি মাসায়েল: ১ / ১৪১)
মৌলিকভাবে সোনা-রুপা ছাড়া অন্য কোনো খনিজ সম্পদ বা অলংকারে জাকাত ফরজ নয়। এই নীতির আলোকে ডায়মন্ডসহ অন্যান্য মণি-মুক্তা ও অলংকারের জন্য জাকাত ফরজ হয় না। তবে এসব অলংকার ব্যবসার উদ্দেশ্যে কেনা হলে জাকাত দিতে হবে। ইমাম নববি (রহ.) বলেন, ‘সোনা-রুপা ছাড়া অন্যান্য অলংকার যেমন ইয়াকুত, ফিরুজ ও মারজান পাথরে জাকাত ওয়াজিব নয়।’ (দুররুল মুখতার: ২ / ৩৪) ফতোয়ায়ে আলমগিরিতে বলা হয়েছে, ‘ইয়াকুত, মুক্তা, জহরতে জাকাত দিতে হবে না—তা অলংকার হিসেবে থাকলেও। তবে ব্যবসার জন্য হলে দিতে হবে।’ (ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ১ / ১৮০)
তবে একালে বেশির ভাগ মানুষ সম্পদ রক্ষায় এবং কর থেকে বাঁচতে নগদ টাকার বদলে হীরা-জহরত জমা রাখেন। এই দৃষ্টিকোণ থেকে হীরা-জহরত অর্জন করা তাঁদের আসল উদ্দেশ্য নয়, বরং সম্পদের সুরক্ষাই তাঁদের মূল উদ্দেশ্য। তাই অনেক ফকিহর মত হলো, এমন উদ্দেশ্য নিয়ে ডায়মন্ডসহ অন্যান্য অলংকার কিনলে তাতে জাকাত দিতে হবে।
তবে সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য মত হলো, জাকাত ওয়াজিব হবে না। কারণ জাকাত ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত এবং জাকাতের সম্পদ ও পরিমাণ কোরআন-হাদিস থেকে নির্ধারিত, তাই তাতে কিয়াস ও ইজতিহাদ করে নতুন বিষয় বের করার সুযোগ নেই। সুতরাং ব্যবসায়ের উদ্দেশ্য ছাড়া ডায়মন্ড কিনলে জাকাত ওয়াজিব হবে না। এটিই অধিকাংশ ফকিহর মত।
তবে মতভেদপূর্ণ বিষয় হওয়ায় কেউ যদি সতর্কতা অবলম্বন করতে এবং মতভেদ থেকে বাঁচতে এসব সম্পদেরও জাকাত আদায় করে দেন, তা অধিক সওয়াবের কারণ হবে। (জদিদ ফিকহি মাসায়েল: ১ / ১৪১)
মানুষ মানুষের জন্য। একজনের বিপদে আরেকজন এগিয়ে আসা মানবতার পরিচয়। অসুস্থতা, দুর্ঘটনা বা অন্য কোনো কারণে মানুষের রক্তের প্রয়োজন হয়। প্রয়োজনের সময় রক্তের কোনো বিকল্প নেই—তাই অন্য কারও কাছ থেকে রক্ত নিতে হয়। সেই সংকটময় সময়ে একজন সুস্থ সবল মানুষ স্বেচ্ছায় রক্তদান করে একটি প্রাণ বাঁচাতে এগিয়ে আসতে পারেন।
৮ ঘণ্টা আগেজীবন ও মৃত্যু একমাত্র আল্লাহর হাতে। কিন্তু কার মৃত্যু কেমনভাবে ঘটবে এবং সেই মৃত্যু কী মর্যাদা বহন করবে—ইসলাম তা ব্যাখ্যা করেছে অত্যন্ত মানবিক ও অর্থপূর্ণভাবে। বিশেষ করে যে মৃত্যুগুলোতে রয়েছে শারীরিক কষ্ট, আত্মত্যাগ ও ধৈর্যের পরীক্ষার ছাপ; ইসলাম সেগুলোর জন্য রেখেছে বিশেষ পুরস্কার ও মর্যাদা।
৯ ঘণ্টা আগেরোগী গুরুতর অসুস্থ হোক কিংবা কম। তাকে সান্ত্বনা দেওয়া। হতাশ না করা কিংবা ভয় না দেখানো। অসুস্থ ব্যক্তিকে কী বলে সান্ত্বনা দিতে হয় তা হাদিস অনুসন্ধান পাওয়া যায়। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) এক বেদুইনের ঘরে প্রবেশ করলেন তার রোগের খোঁজখবর নিতে। তিনি বললেন—‘তোমার চিন্তার...
৯ ঘণ্টা আগেমৃত্যু যদি প্রস্তুতির সুযোগ ছাড়াই হঠাৎ আসে, তখন সেটি হয়ে উঠতে পারে অনুতাপের কারণ। যদি কেউ পাপের মধ্যে লিপ্ত অবস্থায় মৃত্যু বরণ করে—বিশেষ করে হঠাৎ মৃত্যু হয়, তবে তা বড় বিপদের কারণ। কেননা, এতে তাওবার সুযোগ নেই, সংশোধনের অবকাশ থাকে না, কারও কাছে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগও থাকে না।
৯ ঘণ্টা আগে