আমজাদ ইউনুস
সুরা জিলজাল পবিত্র কোরআনের ৯৯তম সুরা। এটি মদিনায় অবতীর্ণ। এতে মোট ৮টি আয়াত রয়েছে। এ সুরার অনেক ফজিলত রয়েছে। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, সুরা ‘ইজা জুলজিলাতিল আরদু’ কোরআনের অর্ধেকের সমান।(তিরমিজি) এ সুরার মূল বিষয় হলো, পৃথিবীর ধ্বংস তথা কিয়ামত সংঘটিত হওয়া, মানুষের পুনরুত্থান এবং পুনরুত্থান-পরবর্তী মানুষের অবস্থার বিবরণ।
সুরা জিলজালের বয়ান অনুসারে, শিঙায় প্রথমবার ফুৎকার দেওয়ার পর চূড়ান্ত ভূমিকম্পের কারণে সারা পৃথিবী কেঁপে উঠবে। সব বস্তু চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যাবে। (তাফসিরে সাদি) শিঙায় দ্বিতীয়বার ফুৎকারের পর ভূগর্ভ তার বোঝাসমূহ বের করে দেবে। অর্থাৎ আল্লাহর আদেশে কবরবাসী সবাই জীবিত হয়ে বের হবে। অনুরূপভাবে যাবতীয় খনিজ পদার্থ ও গুপ্তধনসমূহও বের হয়ে পড়বে। সেদিন মাটি তার ওপরে যেসব ভালো ও মন্দ কর্ম সংঘটিত হয়েছে, সব বলে দেবে। মহান আল্লাহ সেদিন মাটিকে কথা বলার শক্তি দান করবেন। (তাফসিরে সাদি)
সেদিন মানুষ হাশরের মাঠ থেকে তাদের আমল অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে যাবে; তাদের কেউ জান্নাতে যাবে, কেউ যাবে জাহান্নামে। (তাফসিরে জালালাইন) সেদিন মানুষকে নিজেদের আমল দেখানো হবে। প্রত্যেকে দুনিয়ায় কী কাজ করে এসেছে তা তাকে বলা হবে। কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলে তা সে দেখতে পাবে। আর কেউ অণু পরিমাণ অসৎকর্ম করলে তাও সে দেখতে পাবে।
অর্থাৎ সৎ বা অসৎকর্ম, তা যত ছোটই হোক না কেন, সবকিছু ওই দিন হিসাবে চলে আসবে এবং তার যথাযথ প্রতিদান ও প্রতিফল পাবে। তবে কোনো কাফির অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলে তাকে দুনিয়াতেই তার প্রতিদান দেওয়া হবে। সে আখিরাতে সৎকর্মের কোনো প্রতিদান পাবে না। (তফসিরে কুরতুবি)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
সুরা জিলজাল পবিত্র কোরআনের ৯৯তম সুরা। এটি মদিনায় অবতীর্ণ। এতে মোট ৮টি আয়াত রয়েছে। এ সুরার অনেক ফজিলত রয়েছে। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, সুরা ‘ইজা জুলজিলাতিল আরদু’ কোরআনের অর্ধেকের সমান।(তিরমিজি) এ সুরার মূল বিষয় হলো, পৃথিবীর ধ্বংস তথা কিয়ামত সংঘটিত হওয়া, মানুষের পুনরুত্থান এবং পুনরুত্থান-পরবর্তী মানুষের অবস্থার বিবরণ।
সুরা জিলজালের বয়ান অনুসারে, শিঙায় প্রথমবার ফুৎকার দেওয়ার পর চূড়ান্ত ভূমিকম্পের কারণে সারা পৃথিবী কেঁপে উঠবে। সব বস্তু চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যাবে। (তাফসিরে সাদি) শিঙায় দ্বিতীয়বার ফুৎকারের পর ভূগর্ভ তার বোঝাসমূহ বের করে দেবে। অর্থাৎ আল্লাহর আদেশে কবরবাসী সবাই জীবিত হয়ে বের হবে। অনুরূপভাবে যাবতীয় খনিজ পদার্থ ও গুপ্তধনসমূহও বের হয়ে পড়বে। সেদিন মাটি তার ওপরে যেসব ভালো ও মন্দ কর্ম সংঘটিত হয়েছে, সব বলে দেবে। মহান আল্লাহ সেদিন মাটিকে কথা বলার শক্তি দান করবেন। (তাফসিরে সাদি)
সেদিন মানুষ হাশরের মাঠ থেকে তাদের আমল অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে যাবে; তাদের কেউ জান্নাতে যাবে, কেউ যাবে জাহান্নামে। (তাফসিরে জালালাইন) সেদিন মানুষকে নিজেদের আমল দেখানো হবে। প্রত্যেকে দুনিয়ায় কী কাজ করে এসেছে তা তাকে বলা হবে। কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলে তা সে দেখতে পাবে। আর কেউ অণু পরিমাণ অসৎকর্ম করলে তাও সে দেখতে পাবে।
অর্থাৎ সৎ বা অসৎকর্ম, তা যত ছোটই হোক না কেন, সবকিছু ওই দিন হিসাবে চলে আসবে এবং তার যথাযথ প্রতিদান ও প্রতিফল পাবে। তবে কোনো কাফির অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলে তাকে দুনিয়াতেই তার প্রতিদান দেওয়া হবে। সে আখিরাতে সৎকর্মের কোনো প্রতিদান পাবে না। (তফসিরে কুরতুবি)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
লজ্জা বা হায়া ইসলামের একটি মৌলিক গুণ, যা মুমিনের চরিত্রকে সুশোভিত করে। এর কারণে মানুষের মধ্য থেকে কুটিলতা ও পাপ দূর হয়ে যায়। আল্লাহ তাআলা নিজেও এ গুণে গুণান্বিত, তাই তিনি লজ্জাশীল বান্দাকে পছন্দ করেন। এটি কেবল বাহ্যিক শালীনতা নয়, বরং অন্তরের পবিত্রতা ও আল্লাহভীতির প্রকাশ।
১০ ঘণ্টা আগেমানুষের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা-ভালোবাসা প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম হলো সালাম। সালামের দ্বারা দূর হয় অহংকার, গড়ে উঠে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন। সালাম প্রসারে সুগম হয় জান্নাতের পথ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘হে মানুষেরা! তোমরা বেশি বেশি সালামের প্রসার ঘটাও, মানুষকে খাবার খাওয়াও, আর যখন সকল মানুষ ঘুমিয়ে থাকে তখন নামাজ...
১১ ঘণ্টা আগেইসলামে বিশ্বাস ও তাওহিদের ভিত্তিতে মানবজীবন পরিচালিত হয়। সেই বিশ্বাসে জাদু বা জাদুটোনার কোনো স্থান নেই—বরং এটি একটি ঘৃণিত, হারাম এবং গুনাহে কবিরা, অর্থাৎ বড় পাপ হিসেবে চিহ্নিত। জাদুবিদ্যা কেবল একজন মানুষকে শারীরিক বা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে না, বরং তার ইমান ও আত্মিক ভারসাম্যকেও ভেঙে দিতে পারে।
১২ ঘণ্টা আগেশয়তান মানুষের চিরশত্রু। আল্লাহ তাআলা মানুষকে শয়তানের পথে চলতে নিষেধ করেছেন। তবে মানুষের দ্বারা গুনাহ হয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। মূল বিষয় হলো গুনাহের জন্য অনুতপ্ত হওয়া এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘আল্লাহর শপথ, আমি প্রতিদিন আল্লা
১ দিন আগে