Ajker Patrika

গাজায় ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যেই যুদ্ধবিরতির বিপক্ষে ওয়াশিংটনে সমাবেশ

আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০২৩, ১৮: ৫৬
গাজায় ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যেই যুদ্ধবিরতির বিপক্ষে ওয়াশিংটনে সমাবেশ

এক মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজায় নির্বিচারে চলছে ইসরায়েলি বাহিনীর (আইডিএফ) হামলা। প্রাণহানি ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। বিশ্বের নানা প্রান্তে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার দাবি জোরালো হয়ে উঠলেও যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে প্রায় ১০ হাজার ইসরায়েলপন্থী যুদ্ধবিরতির বিপক্ষে অবস্থান জানিয়ে সমাবেশ করেছে।

দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে জানান হয়, স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার ওয়াশিংটনের ন্যাশনাল মলের সামনে সমবেত হয় ইসরায়েলপন্থীরা। গাজায় যুদ্ধবিরতির সমালোচনা করার পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে ইহুদিবিদ্বেষ বেড়ে যাওয়ার প্রতিবাদ করে তারা। তাদের হাতে দেখা গেছে ইসরায়েলি পতাকা এবং যুদ্ধবিরতির বিপক্ষে লেখা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড।

প্রতিবাদ সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ, সাবেক সোভিয়েত ভিন্নমতাবলম্বী ও ইহুদি সংস্থার নির্বাহী চেয়ার নাটান শারনাস্কি এবং মার্কিন পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা চাক শুমারের নেতৃত্বে জ্যেষ্ঠ কংগ্রেস সদস্যদের একটি দল। ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ঘনিষ্ঠ ও উষ্ণ সম্পর্কের কথা বলেন তাঁরা।

আইজ্যাক হারজগ বলেন, ‘শুধু ইহুদি হওয়ার কারণে ইসরায়েলের ইহুদিরা হামলার শিকার হচ্ছে। এটা সব সভ্য দেশ ও মানুষকে বিব্রত করছে।’

মার্কিন কংগ্রেসে সদ্য নিয়োগ পাওয়া স্পিকার মাইক জনসন বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘ইসরায়েলের প্রতি যুদ্ধবিরতির আহ্বান আপত্তিজনক।’ বিক্ষোভকারীরা তাঁর এই কথায় সমর্থন জানিয়ে সমস্বরে বলে, ‘যুদ্ধবিরতি নয়।’

ডেমোক্রেটিক হাউসের সংখ্যালঘু নেতা হাকিম জেফরিসও সমাবেশে বক্তব্য দেন। ডানপন্থী খ্রিষ্টান যাজক জন হ্যাগিও বক্তব্য দেন। ইহুদিবিদ্বেষ এবং ইসলামভীতি—দুই-ই উসকে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে জন হ্যাগির বিরুদ্ধে।
 
সমাবেশে যোগ দেওয়া কম্পোজার জুডাহ ক্লুজনার উল্লেখ করেছেন হামাসের হুমকির কথা। হামাসের সিনিয়র নেতা গাজি হামাস ৭ অক্টোবরের হামলার পুনরাবৃত্তির হুমকি দিয়েছিলেন। সেটা উল্লেখ করে জুডাহ বলেন, ‘তাঁদের নেতা ইসরায়েলে বারবার সন্ত্রাসী হামলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধবিরতির কোনো যুক্তি দেখছি না।’

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ প্রতিরক্ষা বিভাগের একটি তালিকার উদ্ধৃতি দিয়ে মার্কিন গণমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ইসরায়েলে সামরিক সহায়তা বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলের অনুরোধের ভিত্তিতে অস্ত্র বহনকারী অ্যাপাচি বিমানে আরও বেশি পরিমাণে লেজারযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র, ১৫৫ মিলিমিটার শেল, নাইট ভিশন ডিভাইস, বাংকার ধ্বংসকারী যুদ্ধাস্ত্র, নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ও সাঁজোয়া যান অন্তর্ভুক্ত করেছে পেন্টাগন।

গাজা উপত্যকায় বোমা হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। এই পরিস্থিতিতে ওয়াশিংটনের প্রতি ইসরায়েলি সরকারকে দ্ব্যর্থহীন সমর্থন প্রদান ও অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন মানবাধিকার আইনজীবীরা। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবছর ইসরায়েলকে ৩৮০ কোটি ডলার সামরিক সহায়তা দেয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইতিহাস দরজায় কড়া নেড়ে বলছে, ১৯৭১ থেকে পাকিস্তান কি শেখেনি কিছুই

‘আমাদের মরদেহ বাড়িতে নিয়ো না’

কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের খামারবাড়ি অবরোধের ঘোষণা

মারধর করে ছাত্রলীগ কর্মীর পিঠে পাড়া দিয়ে অটোরিকশায় শহর ঘোরাল ছাত্রদল, সঙ্গে উচ্চ স্বরে গান

যশোরে আত্মগোপনে থাকা আ.লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বাড়িতে পুলিশের অভিযান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত