ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রের দশা হবে পুতিনের রাশিয়া বা ভিক্তর অরবানের হাঙ্গেরির মতো। তিনি আমেরিকান গণতন্ত্র ধ্বংস করবেন। এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির বর্ষীয়ান কংগ্রেসম্যান জেমি রাসকিন।
গতকাল রোববার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এমএসএনবিসির রাজনৈতিক বিশ্লেষক জেন সাকিকে (হোয়াইট হাউসের সাবেক প্রেস সেক্রেটারি) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেমি রাসকিন এমন আশঙ্কার কথা জানান।
ট্রাম্পের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরতে তিনি বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে কঠোর শাসকদের উদাহরণ দেন। রাসকিনের মতে, ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পও সেসব ব্যক্তির মতোই হুমকিস্বরূপ।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিষয়ে রাসকিন বলেন, ‘তাঁর দৃষ্টিতে সরকারের কাজ হলো, শুধুই তাঁর রাজনৈতিক ভাগ্য নির্মাণ করে দেওয়া এবং তাঁর শত্রুদের বিনাশ করা। তাহলে বুঝুন, তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদ কেমন হতে পারে?’
রাসকিন বলেন, ‘তখন যুক্তরাষ্ট্র দেখতে অনেকটাই ভ্লাদিমির পুতিনের রাশিয়ার মতো হবে। এটি দেখতে হবে ভিক্তর অরবানের হাঙ্গেরির মতো—নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্র। অর্থাৎ মানুষের অধিকার বা স্বাধীনতা বা সম্মান বা যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ ছাড়াই একটি নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্র।’
এ কংগ্রেস সদস্য আরও বলেন, ‘এসব নেতাদের অবস্থান এমন যে, নির্বাচনের ফলাফল মন মতো না হলে নির্বাচন মেনে নিতে চান না। তাঁরা রাজনৈতিক সহিংসতাকে অনিবার্য মনে করেন। তাঁরা ক্ষমতা দখলের জন্য রাজনৈতিক সহিংসতাকে উপায় হিসেবে ব্যবহার করেন। এরপর সবকিছু এক ক্ষমতাধর রাজনীতিকের ইচ্ছায় পরিচালিত হতে থাকে এবং এমন রাজনীতিকই হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।’
আরেক মেয়াদে ট্রাম্পের জয় হলে, যুক্তরাষ্ট্র এমন এক সরকার ব্যবস্থায় পর্যবসিত হবে যে আমেরিকাকে আর কেউ চিনতে পারবে না। তখন শি চিন পিংয়ের চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বেশি মিল দেখা যাবে বা জাইর বলসোনারোর ব্রাজিলের মতো হবে পরিণতি। ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণেই গত বছর নির্বাচনে গো–হারা হেরেছেন। ব্রাজিলের আদালত তাঁকে পুনরায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করেছে।
কিছুদিন আগেই ট্রাম্প এক বক্তব্যে বলেন, তিনি আগামী বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হলে তাঁর শত্রুদের জব্দ করতে কেন্দ্রীয় সরকারের তদন্ত সংস্থা ও কৌঁসুলিদের ব্যবহার করবেন। এ মন্তব্যের কদিন পরই ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের এ কংগ্রেস সদস্য সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পকে তুলোধুনো করলেন।
গত শনিবার এক বক্তব্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্র থেকে কমিউনিস্ট, মার্কসবাদী, ফ্যাসিস্ট ও ‘কীটের মতো বেঁচে থাকা কট্টর বামপন্থীদের’ শেকড় উৎপাটনের প্রতিশ্রুতি দেন। অনেকে বলছেন, ট্রাম্পের এ ‘কীট’ শব্দটি নাৎসিদের বলা ইহুদি–বিরোধী অভিধাগুলোর মতোই শোনায়। ৬০ লাখ ইহুদি হত্যা করতে নাৎসি বাহিনী এ ধরনের অভিধাই ব্যবহার করত।
গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ট্রাম্প অভিবাসীদের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন সেটিই সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছেন তিনি। ট্রাম্পের কথায় প্রায়ই পুতিন ও অন্যান্য স্বৈরাচারী শাসকদের প্রতি তাঁর মুগ্ধতা প্রকাশ পেয়েছে।
প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের দেশে ফেরত পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন। এ ছাড়া তিনি যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম দেশ থেকে পর্যটক নিষিদ্ধ করার কথাও বলেছিলেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রের দশা হবে পুতিনের রাশিয়া বা ভিক্তর অরবানের হাঙ্গেরির মতো। তিনি আমেরিকান গণতন্ত্র ধ্বংস করবেন। এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির বর্ষীয়ান কংগ্রেসম্যান জেমি রাসকিন।
গতকাল রোববার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এমএসএনবিসির রাজনৈতিক বিশ্লেষক জেন সাকিকে (হোয়াইট হাউসের সাবেক প্রেস সেক্রেটারি) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেমি রাসকিন এমন আশঙ্কার কথা জানান।
ট্রাম্পের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরতে তিনি বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে কঠোর শাসকদের উদাহরণ দেন। রাসকিনের মতে, ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পও সেসব ব্যক্তির মতোই হুমকিস্বরূপ।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিষয়ে রাসকিন বলেন, ‘তাঁর দৃষ্টিতে সরকারের কাজ হলো, শুধুই তাঁর রাজনৈতিক ভাগ্য নির্মাণ করে দেওয়া এবং তাঁর শত্রুদের বিনাশ করা। তাহলে বুঝুন, তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদ কেমন হতে পারে?’
রাসকিন বলেন, ‘তখন যুক্তরাষ্ট্র দেখতে অনেকটাই ভ্লাদিমির পুতিনের রাশিয়ার মতো হবে। এটি দেখতে হবে ভিক্তর অরবানের হাঙ্গেরির মতো—নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্র। অর্থাৎ মানুষের অধিকার বা স্বাধীনতা বা সম্মান বা যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ ছাড়াই একটি নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্র।’
এ কংগ্রেস সদস্য আরও বলেন, ‘এসব নেতাদের অবস্থান এমন যে, নির্বাচনের ফলাফল মন মতো না হলে নির্বাচন মেনে নিতে চান না। তাঁরা রাজনৈতিক সহিংসতাকে অনিবার্য মনে করেন। তাঁরা ক্ষমতা দখলের জন্য রাজনৈতিক সহিংসতাকে উপায় হিসেবে ব্যবহার করেন। এরপর সবকিছু এক ক্ষমতাধর রাজনীতিকের ইচ্ছায় পরিচালিত হতে থাকে এবং এমন রাজনীতিকই হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।’
আরেক মেয়াদে ট্রাম্পের জয় হলে, যুক্তরাষ্ট্র এমন এক সরকার ব্যবস্থায় পর্যবসিত হবে যে আমেরিকাকে আর কেউ চিনতে পারবে না। তখন শি চিন পিংয়ের চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বেশি মিল দেখা যাবে বা জাইর বলসোনারোর ব্রাজিলের মতো হবে পরিণতি। ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণেই গত বছর নির্বাচনে গো–হারা হেরেছেন। ব্রাজিলের আদালত তাঁকে পুনরায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করেছে।
কিছুদিন আগেই ট্রাম্প এক বক্তব্যে বলেন, তিনি আগামী বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হলে তাঁর শত্রুদের জব্দ করতে কেন্দ্রীয় সরকারের তদন্ত সংস্থা ও কৌঁসুলিদের ব্যবহার করবেন। এ মন্তব্যের কদিন পরই ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের এ কংগ্রেস সদস্য সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পকে তুলোধুনো করলেন।
গত শনিবার এক বক্তব্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্র থেকে কমিউনিস্ট, মার্কসবাদী, ফ্যাসিস্ট ও ‘কীটের মতো বেঁচে থাকা কট্টর বামপন্থীদের’ শেকড় উৎপাটনের প্রতিশ্রুতি দেন। অনেকে বলছেন, ট্রাম্পের এ ‘কীট’ শব্দটি নাৎসিদের বলা ইহুদি–বিরোধী অভিধাগুলোর মতোই শোনায়। ৬০ লাখ ইহুদি হত্যা করতে নাৎসি বাহিনী এ ধরনের অভিধাই ব্যবহার করত।
গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ট্রাম্প অভিবাসীদের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন সেটিই সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছেন তিনি। ট্রাম্পের কথায় প্রায়ই পুতিন ও অন্যান্য স্বৈরাচারী শাসকদের প্রতি তাঁর মুগ্ধতা প্রকাশ পেয়েছে।
প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের দেশে ফেরত পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন। এ ছাড়া তিনি যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম দেশ থেকে পর্যটক নিষিদ্ধ করার কথাও বলেছিলেন।
প্রস্তাবনাটি ইরানের সংসদীয় কমিটিতে ইতিমধ্যে পাস হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশটির জাতীয় মুদ্রা রিয়াল থেকে চারটি শূন্য বাদ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
৪ ঘণ্টা আগেআফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের এক প্রান্তে অবস্থিত তালেবান অনুমোদিত নারীদের মাদ্রাসা নাজি-এ-বসরায় বসে কথা বলছিল মেয়েটি। মুখ ঢাকা, কণ্ঠ জড়ানো ভয় আর সংশয়ে। সহপাঠী আরেক মেয়ে তাকে নিচু স্বরে চুপ করায়। স্মরণ করিয়ে দেয়, তালেবান শাসনের সমালোচনা করা কতটা বিপজ্জনক!
৫ ঘণ্টা আগেআন্দিজ পর্বতের প্রায় ৩ হাজার মিটার উচ্চতায় বিস্তৃত ইকুয়েডরের মাকিজো দেল কাআস অঞ্চলটি একটি বিশেষ ধরনের পরিবেশ—যাকে বলা হয় প্যারামো। প্রাকৃতিক স্পঞ্জের মতো কাজ করে এই অঞ্চলটি। মেঘ থেকে টেনে আনে আর্দ্রতা, আর জল জোগায় ছয়টি বড় নদীকে।
৬ ঘণ্টা আগেট্রাম্প তাঁর ট্রুথ সোশ্যালে পোস্টে লিখেছেন, ‘ভারত শুধু রাশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ তেলই কিনছে না, তারা সেই তেলের বড় অংশ খোলাবাজারে বিক্রি করে বড় লাভ করছে। ইউক্রেনে রুশ যুদ্ধ যন্ত্রের কারণে কত মানুষ মারা যাচ্ছে, তা নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই।’
৭ ঘণ্টা আগে