Ajker Patrika

এক নয়, একাধিক শীর্ষ নেতা ফর্মুলায় যেতে পারে হামাস

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ২২: ০৪
Thumbnail image

মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের শীর্ষ দুই নেতা নিহত হয়েছেন। গত জুলাইয়ে তেহরানে গুপ্তহত্যার শিকার হন হামাসের তৎকালীন প্রধান ইসমাইল হানিয়া। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন নতুন প্রধান ইয়াহইয়া সিনওয়ার। 

এ অবস্থায় হামাসের নতুন প্রধান কে হবেন এবং গোষ্ঠীটি পরবর্তী নেতৃত্ব কীভাবে গঠিত হবে, তা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, হানিয়া ও সিনওয়ার হত্যার পর হামাস আর হয়তো একক নেতা নির্বাচনের ফর্মুলায় যাবে না। গোষ্ঠীটি বরং একাধিক শীর্ষ নেতা ফর্মুলায় যেতে পারে। যাকে বলা হচ্ছে, ‘হাইড্রা অ্যাপ্রোচ’ বা হাইড্রা পদ্ধতি। 

কাতারভিত্তিক থিঙ্কট্যাংক মিডল ইস্ট কাউন্সিল অন ফরেন অ্যাফেয়ার্সের বেভারলি মিলটন-এডওয়ার্ডস বলেন, ‘ইরানে হানিয়াকে হত্যার পর জনসমক্ষে দেখা গেছে—সিনওয়ার সশস্ত্র শাখার পাশাপাশি রাজনৈতিক ব্যুরোসহ পুরো আন্দোলনের নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছেন।’ 

বেভারলি মিলটন-এডওয়ার্ডস বলেন, ‘কিন্তু একই সময়ে গোষ্ঠীটির নেতৃত্ব অভ্যন্তরীণভাবে বৈঠকে বসেছিলেন একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য এবং তাঁরা একটি চুক্তিতে পৌঁছেছিলেন, একটি সমান্তরাল নেতৃত্ব থাকবে। যার মধ্যে উপপ্রধান খলিল আল-হাইয়্যা অন্যতম, তিনি সিনওয়ারের খুব ঘনিষ্ঠ এবং তাঁর সঙ্গেই বেড়ে উঠেছেন।’ 

এই বিশ্লেষক আরও বলেছেন, সম্ভবত এই গোষ্ঠীটির দুই নেতা থাকবেন। ইসরায়েলি কারাগারে বন্দী শীর্ষ নেতারা ছাড়াও অন্যান্য স্থানে থাকা ব্যক্তিদেরও এই কাঠামোতে অনেককেই স্থান দেওয়া হবে। যা ঘটতে যাচ্ছে তা হলো—গোষ্ঠীটির নেতৃত্বের ক্ষেত্রে ‘একটি দুই শাখা’ বা ‘হাইড্রা পদ্ধতি’ অনুসরণ করতে পারে এবং গোষ্ঠীটির ‘নেতৃত্ব বা নেতৃত্ব সম্পর্কে তথ্য’ আরও গোপন হয়ে উঠতে পারে। 

বেভারলি মিলটন-এডওয়ার্ডস মনে করিয়ে দেন, ফিলিস্তিনের প্রথম ইন্তিফাদার পর যখন হামাস প্রতিষ্ঠিত হয় তখনো একই রকম গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়েছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত