উত্তর প্রদেশে অভিযুক্তের বাড়িঘর বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। আজ রোববারই ছিল বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের শেষ কর্মদিবস। কাল থেকেই তিনি অবসরে যাচ্ছেন।
উত্তর প্রদেশ রাজ্যের এক সাংবাদিকের পৈতৃক বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার মামলায় শেষ শুনানি ছিল প্রধান বিচারপতি হিসেবে ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের এজলাসে। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ‘সম্পত্তি ধ্বংস করে জনগণের কণ্ঠরোধ করা যাবে না। জনগণের বাড়ির সুরক্ষা ও নিরাপত্তা মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। রাজ্যও এই নিয়ম মানতে বাধ্য। কোনো বেআইনি নির্মাণ বা জমি দখলের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনেই পদক্ষেপ করতে হবে।’
রায় ঘোষণায় বিচারপতি বলেন, কোনো সভ্য দেশে বুলডোজার দিয়ে বিচার হয়ে থাকে এমন দেখা যায় না। যদি কোনো রাজ্যের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ ধরনের অনৈতিক ও বেআইনি কাজের অনুমতি দেয়, সে ক্ষেত্রে মানতেই হবে যে তা অত্যন্ত ভয়াবহ বিষয়।
এর আগে গত বুধবার ২০১৯ সালে শাস্তিস্বরূপ এক ব্যক্তির বাড়ির গুঁড়িয়ে দেওয়ার জন্য উত্তর প্রদেশ সরকারকে তিরস্কার করেন সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোকে সড়ক প্রশস্তকরণ এবং দখল হওয়া সরকারি জায়গা পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে নির্দেশনা মেনে চলার নির্দেশ দেন আদালত।
২০১৯ সালে মহারাজগঞ্জ জেলার ওই সাংবাদিকের বাবার বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে তদন্ত করতে উত্তর প্রদেশের মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি তাঁকে ২৫ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ।
বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, একজন মানুষের চূড়ান্ত নিরাপত্তার স্থান হচ্ছে তাঁর বাড়ি। আইন নিঃসন্দেহে বেআইনিভাবে সরকারি সম্পত্তি দখল ও দখলদারত্বকে প্রশ্রয় দেয় না। আইনের শাসনে ‘বুলডোজার বিচার’ একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। এসব বিচার চলমান থাকলে সংবিধানের ৩০০এ ধারায় সম্পত্তির অধিকারের কোনো মানে থাকবে না।
সুপ্রিম কোর্ট বলেন, যদি কোনো জবরদখলের প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে রাষ্ট্রকে অবশ্যই এর বিপরীতে নোটিশ জারি করতে হবে। যদি নোটিশের যথার্থতা ও বৈধতা নিয়ে আপত্তি জানানো হয় তবে রাজ্য প্রাকৃতিক ন্যায়বিচারের নীতিগুলো মাথায় রেখে একটি ‘স্পিকিং অর্ডার’ জারি করবে। আপত্তি প্রত্যাখ্যাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে জবরদখলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে উচ্ছেদের জন্য একটি যুক্তিসংগত নোটিশ দেওয়া হবে।
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘বুলডোজারের মাধ্যমে বিচার—এটি সভ্য সমাজে অজানা। যদি রাজ্য সরকারি কর্মকর্তা বা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এ ধরনের অনৈতিক ও বেআইনি কার্যকলাপের অনুমতি দেওয়া হয়, তবে তা অত্যন্ত ভয়ংকর ব্যাপার।’
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টে বুলডোজার অ্যাকশন বা বুলডোজার জাস্টিস নিয়ে একাধিক মামলা চলছে। যেখানে অপরাধীদের বা কেবল সন্দেহের বশে কোনো ব্যক্তির বাড়ি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে এই ঘটনা প্রায়ই ঘটছে।
গত জুনেও ফ্রিজে গরুর মাংস রাখার অভিযোগে পুলিশের নির্দেশে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ১১টি বাড়ি। ঘটনাটি ঘটে ভারতের মধ্যপ্রদেশের আদিবাসী অধ্যুষিত মান্দলায়।
উত্তর প্রদেশে অভিযুক্তের বাড়িঘর বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। আজ রোববারই ছিল বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের শেষ কর্মদিবস। কাল থেকেই তিনি অবসরে যাচ্ছেন।
উত্তর প্রদেশ রাজ্যের এক সাংবাদিকের পৈতৃক বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার মামলায় শেষ শুনানি ছিল প্রধান বিচারপতি হিসেবে ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের এজলাসে। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ‘সম্পত্তি ধ্বংস করে জনগণের কণ্ঠরোধ করা যাবে না। জনগণের বাড়ির সুরক্ষা ও নিরাপত্তা মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। রাজ্যও এই নিয়ম মানতে বাধ্য। কোনো বেআইনি নির্মাণ বা জমি দখলের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনেই পদক্ষেপ করতে হবে।’
রায় ঘোষণায় বিচারপতি বলেন, কোনো সভ্য দেশে বুলডোজার দিয়ে বিচার হয়ে থাকে এমন দেখা যায় না। যদি কোনো রাজ্যের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ ধরনের অনৈতিক ও বেআইনি কাজের অনুমতি দেয়, সে ক্ষেত্রে মানতেই হবে যে তা অত্যন্ত ভয়াবহ বিষয়।
এর আগে গত বুধবার ২০১৯ সালে শাস্তিস্বরূপ এক ব্যক্তির বাড়ির গুঁড়িয়ে দেওয়ার জন্য উত্তর প্রদেশ সরকারকে তিরস্কার করেন সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোকে সড়ক প্রশস্তকরণ এবং দখল হওয়া সরকারি জায়গা পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে নির্দেশনা মেনে চলার নির্দেশ দেন আদালত।
২০১৯ সালে মহারাজগঞ্জ জেলার ওই সাংবাদিকের বাবার বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে তদন্ত করতে উত্তর প্রদেশের মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি তাঁকে ২৫ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ।
বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, একজন মানুষের চূড়ান্ত নিরাপত্তার স্থান হচ্ছে তাঁর বাড়ি। আইন নিঃসন্দেহে বেআইনিভাবে সরকারি সম্পত্তি দখল ও দখলদারত্বকে প্রশ্রয় দেয় না। আইনের শাসনে ‘বুলডোজার বিচার’ একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। এসব বিচার চলমান থাকলে সংবিধানের ৩০০এ ধারায় সম্পত্তির অধিকারের কোনো মানে থাকবে না।
সুপ্রিম কোর্ট বলেন, যদি কোনো জবরদখলের প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে রাষ্ট্রকে অবশ্যই এর বিপরীতে নোটিশ জারি করতে হবে। যদি নোটিশের যথার্থতা ও বৈধতা নিয়ে আপত্তি জানানো হয় তবে রাজ্য প্রাকৃতিক ন্যায়বিচারের নীতিগুলো মাথায় রেখে একটি ‘স্পিকিং অর্ডার’ জারি করবে। আপত্তি প্রত্যাখ্যাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে জবরদখলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে উচ্ছেদের জন্য একটি যুক্তিসংগত নোটিশ দেওয়া হবে।
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘বুলডোজারের মাধ্যমে বিচার—এটি সভ্য সমাজে অজানা। যদি রাজ্য সরকারি কর্মকর্তা বা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এ ধরনের অনৈতিক ও বেআইনি কার্যকলাপের অনুমতি দেওয়া হয়, তবে তা অত্যন্ত ভয়ংকর ব্যাপার।’
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টে বুলডোজার অ্যাকশন বা বুলডোজার জাস্টিস নিয়ে একাধিক মামলা চলছে। যেখানে অপরাধীদের বা কেবল সন্দেহের বশে কোনো ব্যক্তির বাড়ি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে এই ঘটনা প্রায়ই ঘটছে।
গত জুনেও ফ্রিজে গরুর মাংস রাখার অভিযোগে পুলিশের নির্দেশে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ১১টি বাড়ি। ঘটনাটি ঘটে ভারতের মধ্যপ্রদেশের আদিবাসী অধ্যুষিত মান্দলায়।
বিশ্বখ্যাত কোমলপানীয় নির্মাতা কোকা-কোলা নিশ্চিত করেছে, আসন্ন শরতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আখের চিনি দিয়ে তৈরি একটি নতুন সংস্করণ বাজারে আনছে কোম্পানিটি। তবে কোকা-কোলার মূল রেসিপিতে কোনো পরিবর্তন আসছে না।
১ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নিউইয়র্ক সিটির ডেমোক্রেটিক মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানির কিছু নির্বাচনী প্রস্তাবকে ‘নিরর্থক ও মূর্খামি’ বলে মন্তব্য করেছেন। ‘দ্য ফুল সেন্ড পডকাস্ট’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, এই ধরনের প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে মামদানি মেয়র নির্বাচিত হলেও মাত্র এক
২ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি ইসরায়েলের সঙ্গে ১২ দিনের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ইরান ১ হাজার ৬২ জন মানুষকে হারিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। আজ মঙ্গলবার সাপ্তাহিক এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ইরানের সরকারি মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজারানি জানান, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৭৮৬ জন ছিলেন সামরিক বাহিনীর সদস্য এবং ২৭৬ জন ছিলেন বেসামরিক নাগরিক।
৩ ঘণ্টা আগে২০২৪ সালে যুক্তরাজ্যে আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১ লাখ ৮ হাজারে, যাঁদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তান। সরকার প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এ বছর পাকিস্তানি আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় ৭৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৫৪২ জনে। উল্লেখযোগ্য হারে আবেদন বেড়েছে ভিয়েতনামিজ নাগরি
৫ ঘণ্টা আগে