আজকের পত্রিকা ডেস্ক

হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত মনোরম শহর পেহেলগাম ‘ভারতের সুইজারল্যান্ড’ হিসেবে খ্যাত। গতকাল মঙ্গলবার ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের এই জনপ্রিয় পর্যটন এলাকায় জঙ্গি হামলা হয়। আকস্মিক এই হামলায় কমপক্ষে ২৬ জন পর্যটক নিহত হয়েছেন।
অঞ্চলটিতে এখন পর্যটনের মৌসুম চলছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অমরনাথ যাত্রার জন্যও নিবন্ধন শুরু হয়েছে। গতকাল এই জায়গায় বেশ কিছু পর্যটকের সমাগম হয়েছিল।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় এই হামলার একটি বিবরণ দিয়েছে—
—প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চার সশস্ত্র হামলাকারী পাশের জঙ্গলে লুকিয়ে ছিল।
—হামলাকারীদের হাতে ছিল অটোমেটিক অস্ত্র। জঙ্গল থেকে বের হয়েই তাঁরা পর্যটকদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে।
—প্রত্যক্ষদর্শী এক নারী বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, হামলাকারী জঙ্গিরা নারীদের ছেড়ে দিয়ে শুধু পুরুষদের লক্ষ্য করে গুলি করে।
—কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মুসলিমদের বাদ দিয়ে হত্যার জন্য শুধু অমুসলিমদের টার্গেট করা হয়েছিল। তবে এই হামলায় একজন মুসলিম দোকানিও নিহত হয়েছেন।
—প্রত্যক্ষদর্শী আরেক নারী এএফপিকে বলেন, তারা নারীদের ছাড় দিচ্ছিল, কিন্তু পুরুষদের একের পর এক গুলি করছিল—এটা ঝড়ের মতো ভয়াবহ ছিল।
—সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, মানুষ আতঙ্কে দৌড়াচ্ছে, একজন নারী তাঁর গুরুতর জখম স্বামীর জন্য চিৎকার করে সাহায্য চাইছেন।
—আহত ব্যক্তিদের ঘোড়ার পিঠে করে প্রথমে নিকটস্থ চিকিৎসাকেন্দ্রে নেওয়া হয়। কারণ, গাড়ি দিয়ে সরাসরি ওই জায়গায় যাওয়া যায় না।
এই জঙ্গি হামলায় চোখের সামনে স্বামীকে মারা যেতে দেখেন পল্লবী নামের এক নারী। তিনি জানান, শোকে মুহ্যমান অবস্থায় হামলাকারীর মুখোমুখি হয়ে বলেন, স্বামীর সঙ্গে তাঁকেও মেরে ফেলা হোক। তবে ওই সন্ত্রাসী জবাব দেয়, পল্লবী ও তাঁর ছেলের কোনো ক্ষতি করা হবে না, তাঁরা যেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে ঘটনার আদ্যোপান্ত প্রকাশ করেন।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এই হামলার পটভূমি, সর্বশেষ হামলায় কী ঘটেছিল, কাশ্মীরের জঙ্গিদের সম্পর্কে আমরা কী জানি—এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
কাশ্মীর হামলার পটভূমি কী
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জম্মু ও কাশ্মীর ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিতর্কিত ভূখণ্ড। হিমালয়ের এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই প্রতিবেশী দেশ একাধিক যুদ্ধে জড়িয়েছে এবং এর মধ্যে অসংখ্য ছোটখাটো সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। ভারত দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ ও অর্থায়নের মাধ্যমে এই অঞ্চলে অস্থিরতা উসকে দেওয়ার জন্য দায়ী করে আসছে।
২০১৯ সালে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কাশ্মীরের সাংবিধানিক বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে অঞ্চলটিকে কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পর্বতমালা ও সবুজ উপত্যকার জন্য পরিচিত এলাকাটি আবারও পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছিল।
সর্বশেষ হামলায় কী ঘটল
প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার খবর অনুযায়ী, শ্রীনগর থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার (৫৬ মাইল) পূর্বে ‘ভারতের সুইজারল্যান্ড’ হিসেবে খ্যাত পেহেলগামে বেড়াতে আসা পর্যটকদের একটি দলের ওপর নির্বিচার গুলি চালায় বন্দুকধারীরা। হামলাকারীদের খুঁজে বের করার জন্য ঘটনার পরপরই একটি সামরিক অভিযান শুরু করা হয়। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ‘কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স’ নামে পরিচিত ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলে বলেছেন, এই হামলার সঙ্গে তাঁর দেশের কোনো সম্পর্ক নেই।
কাশ্মীরে জঙ্গিদের হামলা অস্বাভাবিক না হলেও পর্যটকদের লক্ষ্যবস্তু করার ঘটনা বিরল। এ ছাড়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাজনৈতিক সহিংসতা সামগ্রিকভাবে কমে এসেছিল। ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে এই ধরনের ৪৬টি ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে, যা ২০১৮ সালের ২২৮টি ঘটনার তুলনায় অনেক কম।
কাশ্মীরি জঙ্গি সম্পর্কে যা জানা যায়
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মতে, পাকিস্তান তার সীমানার মধ্যে কাশ্মীরি বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গিদের আশ্রয় দেয়। পাকিস্তানভিত্তিক একাধিক জঙ্গিগোষ্ঠী অতীতে ভারতে বিভিন্ন হামলার দায় স্বীকার করেছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—
২০০৮ সালে মুম্বাইয়ের হামলা
২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর ভারতের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র মুম্বাই শহরের ১২টি স্থানে হামলা চালায় পাকিস্তানের অভ্যন্তরে গড়ে ওঠা লস্কর-ই-তাইয়েবার ১০ জঙ্গি। ওই আক্রমণে ১৮০ জন নিরীহ মানুষ নিহত হন এবং ৩ শতাধিক মানুষ গুরুতর আহত হন, যাঁদের অনেকে পরে মারা যান অথবা সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যান। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল মুম্বাইয়ের দ্য তাজমহল প্যালেস হোটেল ও ওবেরাই ট্রাইডেন্ট হোটেলের হামলা। প্রায় ৬৪ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় সেই হোটেলের ২০০ জিম্মিকে মুক্ত করতে পেরেছিল ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী।
২০০১ সালে দিল্লির পার্লামেন্টে হামলা
বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর থেকে জানা যায়, পাকিস্তানি ইসলামপন্থী সালাফি জিহাদি সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবা ও দেওবন্দি ইসলামপন্থী জঙ্গিগোষ্ঠী জৈস-ই-মহম্মদ বহু আলোচিত এই হামলায় জড়িত ছিল। এই হামলায় একজন সাধারণ নাগরিকসহ ১২ জনের মৃত্যু হয়।
২০১৯ সালে কাশ্মীরের পুলওয়ামার হামলা
২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারির এই হামলায় ৪০ জন সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স বা সিআরপিএফ জওয়ান শহীদ হয়েছিলেন। ৭৮টি বাসে প্রায় আড়াই হাজারের বেশি সিআরপিএফ জওয়ান জম্মু থেকে যাচ্ছিলেন শ্রীনগরে। বিভিন্ন ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানি মদদপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জৈস-ই-মহম্মদ এই হামলায় জড়িত ছিল।
জঙ্গিরা সাধারণত নিয়ন্ত্রণরেখা (Line of Control) বরাবর এবং এর আশপাশে চলাচল করে। এই অংশ কাশ্মীরের ভারত ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত অংশকে বিভক্ত করেছে। জঙ্গিরা মূলত বিচ্ছিন্ন ও জনবসতিহীন এলাকায় থাকে। ফলে নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষে তাদের খুঁজে বের করা কঠিন হয়। এই কারণে সীমান্তবর্তী এই অঞ্চলে কয়েক হাজার ভারতীয় সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের বিষয়টি আবার অনেক স্থানীয় বাসিন্দার মধ্যে অসন্তোষ ও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
কাশ্মীর হামলার প্রতিক্রিয়া
হামলার খবর পেয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সৌদি আরব সফর সংক্ষিপ্ত করে জরুরি বৈঠক করার জন্য শীর্ষ মন্ত্রীদের ডেকে পাঠান। তাঁর সরকার তাৎক্ষণিকভাবে কোনো বড় ধরনের নিরাপত্তা অভিযান শুরু করেনি।
এর আগে ২০১৯ সালে পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলার জবাবে ভারত পাকিস্তানের মাটিতে বিমান হামলা চালিয়েছিল, যা ১৯৭১ সালের পর প্রথম। সেই ঘটনার পর দুই দেশের যুদ্ধবিমানগুলোর মধ্যে ডগ ফাইট বা আকাশযুদ্ধ হয়েছিল। এরপর ২০০১ সালে দিল্লির পার্লামেন্টে হামলার পর প্রতিবেশী এই দুই দেশকে সর্বাত্মক যুদ্ধের কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছিল।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকালের হামলায় নিহত ব্যক্তিদের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে তারা ‘ভারতের অবৈধভাবে’ দখল করা জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায় হামলায় পর্যটকদের প্রাণহানিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত মনোরম শহর পেহেলগাম ‘ভারতের সুইজারল্যান্ড’ হিসেবে খ্যাত। গতকাল মঙ্গলবার ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের এই জনপ্রিয় পর্যটন এলাকায় জঙ্গি হামলা হয়। আকস্মিক এই হামলায় কমপক্ষে ২৬ জন পর্যটক নিহত হয়েছেন।
অঞ্চলটিতে এখন পর্যটনের মৌসুম চলছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অমরনাথ যাত্রার জন্যও নিবন্ধন শুরু হয়েছে। গতকাল এই জায়গায় বেশ কিছু পর্যটকের সমাগম হয়েছিল।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় এই হামলার একটি বিবরণ দিয়েছে—
—প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চার সশস্ত্র হামলাকারী পাশের জঙ্গলে লুকিয়ে ছিল।
—হামলাকারীদের হাতে ছিল অটোমেটিক অস্ত্র। জঙ্গল থেকে বের হয়েই তাঁরা পর্যটকদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে।
—প্রত্যক্ষদর্শী এক নারী বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, হামলাকারী জঙ্গিরা নারীদের ছেড়ে দিয়ে শুধু পুরুষদের লক্ষ্য করে গুলি করে।
—কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মুসলিমদের বাদ দিয়ে হত্যার জন্য শুধু অমুসলিমদের টার্গেট করা হয়েছিল। তবে এই হামলায় একজন মুসলিম দোকানিও নিহত হয়েছেন।
—প্রত্যক্ষদর্শী আরেক নারী এএফপিকে বলেন, তারা নারীদের ছাড় দিচ্ছিল, কিন্তু পুরুষদের একের পর এক গুলি করছিল—এটা ঝড়ের মতো ভয়াবহ ছিল।
—সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, মানুষ আতঙ্কে দৌড়াচ্ছে, একজন নারী তাঁর গুরুতর জখম স্বামীর জন্য চিৎকার করে সাহায্য চাইছেন।
—আহত ব্যক্তিদের ঘোড়ার পিঠে করে প্রথমে নিকটস্থ চিকিৎসাকেন্দ্রে নেওয়া হয়। কারণ, গাড়ি দিয়ে সরাসরি ওই জায়গায় যাওয়া যায় না।
এই জঙ্গি হামলায় চোখের সামনে স্বামীকে মারা যেতে দেখেন পল্লবী নামের এক নারী। তিনি জানান, শোকে মুহ্যমান অবস্থায় হামলাকারীর মুখোমুখি হয়ে বলেন, স্বামীর সঙ্গে তাঁকেও মেরে ফেলা হোক। তবে ওই সন্ত্রাসী জবাব দেয়, পল্লবী ও তাঁর ছেলের কোনো ক্ষতি করা হবে না, তাঁরা যেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে ঘটনার আদ্যোপান্ত প্রকাশ করেন।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এই হামলার পটভূমি, সর্বশেষ হামলায় কী ঘটেছিল, কাশ্মীরের জঙ্গিদের সম্পর্কে আমরা কী জানি—এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
কাশ্মীর হামলার পটভূমি কী
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জম্মু ও কাশ্মীর ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিতর্কিত ভূখণ্ড। হিমালয়ের এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই প্রতিবেশী দেশ একাধিক যুদ্ধে জড়িয়েছে এবং এর মধ্যে অসংখ্য ছোটখাটো সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। ভারত দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ ও অর্থায়নের মাধ্যমে এই অঞ্চলে অস্থিরতা উসকে দেওয়ার জন্য দায়ী করে আসছে।
২০১৯ সালে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কাশ্মীরের সাংবিধানিক বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে অঞ্চলটিকে কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পর্বতমালা ও সবুজ উপত্যকার জন্য পরিচিত এলাকাটি আবারও পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছিল।
সর্বশেষ হামলায় কী ঘটল
প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার খবর অনুযায়ী, শ্রীনগর থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার (৫৬ মাইল) পূর্বে ‘ভারতের সুইজারল্যান্ড’ হিসেবে খ্যাত পেহেলগামে বেড়াতে আসা পর্যটকদের একটি দলের ওপর নির্বিচার গুলি চালায় বন্দুকধারীরা। হামলাকারীদের খুঁজে বের করার জন্য ঘটনার পরপরই একটি সামরিক অভিযান শুরু করা হয়। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ‘কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স’ নামে পরিচিত ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলে বলেছেন, এই হামলার সঙ্গে তাঁর দেশের কোনো সম্পর্ক নেই।
কাশ্মীরে জঙ্গিদের হামলা অস্বাভাবিক না হলেও পর্যটকদের লক্ষ্যবস্তু করার ঘটনা বিরল। এ ছাড়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাজনৈতিক সহিংসতা সামগ্রিকভাবে কমে এসেছিল। ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে এই ধরনের ৪৬টি ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে, যা ২০১৮ সালের ২২৮টি ঘটনার তুলনায় অনেক কম।
কাশ্মীরি জঙ্গি সম্পর্কে যা জানা যায়
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মতে, পাকিস্তান তার সীমানার মধ্যে কাশ্মীরি বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গিদের আশ্রয় দেয়। পাকিস্তানভিত্তিক একাধিক জঙ্গিগোষ্ঠী অতীতে ভারতে বিভিন্ন হামলার দায় স্বীকার করেছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—
২০০৮ সালে মুম্বাইয়ের হামলা
২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর ভারতের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র মুম্বাই শহরের ১২টি স্থানে হামলা চালায় পাকিস্তানের অভ্যন্তরে গড়ে ওঠা লস্কর-ই-তাইয়েবার ১০ জঙ্গি। ওই আক্রমণে ১৮০ জন নিরীহ মানুষ নিহত হন এবং ৩ শতাধিক মানুষ গুরুতর আহত হন, যাঁদের অনেকে পরে মারা যান অথবা সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যান। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল মুম্বাইয়ের দ্য তাজমহল প্যালেস হোটেল ও ওবেরাই ট্রাইডেন্ট হোটেলের হামলা। প্রায় ৬৪ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় সেই হোটেলের ২০০ জিম্মিকে মুক্ত করতে পেরেছিল ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী।
২০০১ সালে দিল্লির পার্লামেন্টে হামলা
বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর থেকে জানা যায়, পাকিস্তানি ইসলামপন্থী সালাফি জিহাদি সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবা ও দেওবন্দি ইসলামপন্থী জঙ্গিগোষ্ঠী জৈস-ই-মহম্মদ বহু আলোচিত এই হামলায় জড়িত ছিল। এই হামলায় একজন সাধারণ নাগরিকসহ ১২ জনের মৃত্যু হয়।
২০১৯ সালে কাশ্মীরের পুলওয়ামার হামলা
২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারির এই হামলায় ৪০ জন সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স বা সিআরপিএফ জওয়ান শহীদ হয়েছিলেন। ৭৮টি বাসে প্রায় আড়াই হাজারের বেশি সিআরপিএফ জওয়ান জম্মু থেকে যাচ্ছিলেন শ্রীনগরে। বিভিন্ন ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানি মদদপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জৈস-ই-মহম্মদ এই হামলায় জড়িত ছিল।
জঙ্গিরা সাধারণত নিয়ন্ত্রণরেখা (Line of Control) বরাবর এবং এর আশপাশে চলাচল করে। এই অংশ কাশ্মীরের ভারত ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত অংশকে বিভক্ত করেছে। জঙ্গিরা মূলত বিচ্ছিন্ন ও জনবসতিহীন এলাকায় থাকে। ফলে নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষে তাদের খুঁজে বের করা কঠিন হয়। এই কারণে সীমান্তবর্তী এই অঞ্চলে কয়েক হাজার ভারতীয় সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের বিষয়টি আবার অনেক স্থানীয় বাসিন্দার মধ্যে অসন্তোষ ও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
কাশ্মীর হামলার প্রতিক্রিয়া
হামলার খবর পেয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সৌদি আরব সফর সংক্ষিপ্ত করে জরুরি বৈঠক করার জন্য শীর্ষ মন্ত্রীদের ডেকে পাঠান। তাঁর সরকার তাৎক্ষণিকভাবে কোনো বড় ধরনের নিরাপত্তা অভিযান শুরু করেনি।
এর আগে ২০১৯ সালে পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলার জবাবে ভারত পাকিস্তানের মাটিতে বিমান হামলা চালিয়েছিল, যা ১৯৭১ সালের পর প্রথম। সেই ঘটনার পর দুই দেশের যুদ্ধবিমানগুলোর মধ্যে ডগ ফাইট বা আকাশযুদ্ধ হয়েছিল। এরপর ২০০১ সালে দিল্লির পার্লামেন্টে হামলার পর প্রতিবেশী এই দুই দেশকে সর্বাত্মক যুদ্ধের কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছিল।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকালের হামলায় নিহত ব্যক্তিদের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে তারা ‘ভারতের অবৈধভাবে’ দখল করা জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায় হামলায় পর্যটকদের প্রাণহানিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

সিয়েরা লিওনের পূর্বাঞ্চলীয় গ্রাম নিমবাদু থেকে ঠিক এক দিন আগে সোনার সন্ধানে বেরিয়েছিল ১৬ বছরের মোহামেদ বাঙ্গুরা ও ১৭ বছরের ইয়ায়াহ জেন্নেহ। উদ্দেশ্য–পরিবারের জন্য বাড়তি উপার্জন।
২৭ মিনিট আগে
মার্কিন কাস্টম অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন ডিপার্টমেন্ট বা শুল্ক ও সীমান্ত সুরক্ষা দপ্তর (সিবিপি) গতকাল মঙ্গলবার একটি প্রস্তাব পেশ করেছে। প্রস্তাব অনুসারে ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশ থেকে আসা পর্যটকদের অচিরেই হয়তো বিগত পাঁচ বছর পর্যন্ত তাদের সামাজিক মাধ্যমের ইতিহাস...
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি তাঁর প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিটের ‘সুন্দর মুখ’ আর ‘ঠোঁট’-এর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। এক অর্থনৈতিক কর্মসূচির প্রচারের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দেওয়ার সময় সেখানেই এহেন মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
২ ঘণ্টা আগে
এইচ-১বি ভিসা প্রার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাকাউন্ট যাচাই-বাছাই করবে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই নতুন সোশ্যাল মিডিয়া নীতিতে আটকে গেল ভারতের আবেদনকারীদের ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট। গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ সংক্রান্ত একটি ঘোষণা দিয়েছে ভারতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস। সেখানে বলা হয়, ভিসা
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওনের এক গ্রামে সাদা কাপড়ে মোড়ানো দুই কিশোরের নিথর দেহের সামনে দাঁড়িয়ে আছে মানুষ। কাঁদছে সবাই। কেউ বিশ্বাসই করতে চাইছে না, কিশোর দুটি তাদের মাঝে আর নেই।
সিয়েরা লিওনের পূর্বাঞ্চলীয় গ্রাম নিমবাদু থেকে ঠিক এক দিন আগে সোনার সন্ধানে বেরিয়েছিল ১৬ বছরের মোহামেদ বাঙ্গুরা ও ১৭ বছরের ইয়ায়াহ জেন্নেহ। উদ্দেশ্য, পরিবারের জন্য বাড়তি উপার্জন।
শেষ পর্যন্ত তাদের আর ফেরা হলো না। সোনার জন্য যে গর্ত তারা খুঁড়ছিল, সেটি ধসে তাদের ওপর পড়ে এবং সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হয়।
ওই অঞ্চলে গত চার বছরে এ নিয়ে তিনটি খনি দুর্ঘটনা ঘটল, যাতে প্রাণ হারায় কমপক্ষে পাঁচটি শিশু।
এলাকার হেডটিচার ও স্থানীয় কর্মীদের মতে, বাঙ্গুরা ও জেন্নেহর মতো সিয়েরা লিওনের আরও অনেক শিশু স্কুল ফেলে ঝুঁকিপূর্ণ খনিতে সোনা তুলতে যায়। এ প্রবণতা সেখানে ক্রমেই বাড়ছে।
বিবিসি আজ বুধবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সিয়েরা লিয়নের পূর্বাঞ্চল হীরার খনির জন্য বিখ্যাত। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হীরার মজুত ফুরিয়ে আসায় সোনা খনন বেড়েছে।
প্রাকৃতিক সম্পদে ভরা অঞ্চলটিতে স্থানীয় মানুষজন যেখানেই কোনো কিছুর মজুত খুঁজে পায়, সেখানেই খনির কাজ শুরু হয়ে যায়। তা চাষের জমি, পুরোনো কবরস্থান বা নদীর তীর—যাই হোক না কেন।
অঞ্চলটিতে নামীদামি কোনো খনন কোম্পানি নেই বললেই চলে। যেসব এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে খনি চালানো লাভজনক নয়, সেসব জায়গায় ছড়িয়ে আছে এসব অনিয়ন্ত্রিত খনি; যার গভীরতা কখনো কখনো ৪ মিটারও (১৩ ফুট) হয়।
আফ্রিকার আরও বহু দেশে এমন খনির দেখা মেলে, যেখান থেকে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার খবর প্রায়ই পাওয়া যায়।
নিমবাদুর অধিকাংশ পরিবারের জীবিকা চাষাবাদ আর ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর নির্ভরশীল। বিকল্প কর্মসংস্থান খুব কম। তাই বাড়তি আয়ের সুযোগ লোভনীয় মনে হয় গ্রামবাসীর।
তবে গ্রামের মানুষ এও জানে, এই আয় কখনো কখনো মূল্য দাবি করে। এবার সেই মূল্য দিতে হয়েছে সম্ভাবনাময় দুই কিশোরকে।
ইয়ায়াহ জেন্নেহর মা নামিনা জেন্নেহর স্বামী মারা গেছেন। পাঁচ সন্তানের সংসার চালাতে কিশোর ছেলেটির ওপরই ভরসা ছিল তাঁর।
একসময় এসব খনিতে কাজ করতেন নামিনা। বিবিসির কাছে তিনি স্বীকার করেন, ছেলেকে তিনিই খনির কাজে অভ্যস্ত করেছিলেন। তবে বলেন, ‘ও আমাকে বলেনি, ওই জায়গায় যাবে। জানলে আমি যেতে দিতাম না।’

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওনের এক গ্রামে সাদা কাপড়ে মোড়ানো দুই কিশোরের নিথর দেহের সামনে দাঁড়িয়ে আছে মানুষ। কাঁদছে সবাই। কেউ বিশ্বাসই করতে চাইছে না, কিশোর দুটি তাদের মাঝে আর নেই।
সিয়েরা লিওনের পূর্বাঞ্চলীয় গ্রাম নিমবাদু থেকে ঠিক এক দিন আগে সোনার সন্ধানে বেরিয়েছিল ১৬ বছরের মোহামেদ বাঙ্গুরা ও ১৭ বছরের ইয়ায়াহ জেন্নেহ। উদ্দেশ্য, পরিবারের জন্য বাড়তি উপার্জন।
শেষ পর্যন্ত তাদের আর ফেরা হলো না। সোনার জন্য যে গর্ত তারা খুঁড়ছিল, সেটি ধসে তাদের ওপর পড়ে এবং সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হয়।
ওই অঞ্চলে গত চার বছরে এ নিয়ে তিনটি খনি দুর্ঘটনা ঘটল, যাতে প্রাণ হারায় কমপক্ষে পাঁচটি শিশু।
এলাকার হেডটিচার ও স্থানীয় কর্মীদের মতে, বাঙ্গুরা ও জেন্নেহর মতো সিয়েরা লিওনের আরও অনেক শিশু স্কুল ফেলে ঝুঁকিপূর্ণ খনিতে সোনা তুলতে যায়। এ প্রবণতা সেখানে ক্রমেই বাড়ছে।
বিবিসি আজ বুধবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সিয়েরা লিয়নের পূর্বাঞ্চল হীরার খনির জন্য বিখ্যাত। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হীরার মজুত ফুরিয়ে আসায় সোনা খনন বেড়েছে।
প্রাকৃতিক সম্পদে ভরা অঞ্চলটিতে স্থানীয় মানুষজন যেখানেই কোনো কিছুর মজুত খুঁজে পায়, সেখানেই খনির কাজ শুরু হয়ে যায়। তা চাষের জমি, পুরোনো কবরস্থান বা নদীর তীর—যাই হোক না কেন।
অঞ্চলটিতে নামীদামি কোনো খনন কোম্পানি নেই বললেই চলে। যেসব এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে খনি চালানো লাভজনক নয়, সেসব জায়গায় ছড়িয়ে আছে এসব অনিয়ন্ত্রিত খনি; যার গভীরতা কখনো কখনো ৪ মিটারও (১৩ ফুট) হয়।
আফ্রিকার আরও বহু দেশে এমন খনির দেখা মেলে, যেখান থেকে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার খবর প্রায়ই পাওয়া যায়।
নিমবাদুর অধিকাংশ পরিবারের জীবিকা চাষাবাদ আর ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর নির্ভরশীল। বিকল্প কর্মসংস্থান খুব কম। তাই বাড়তি আয়ের সুযোগ লোভনীয় মনে হয় গ্রামবাসীর।
তবে গ্রামের মানুষ এও জানে, এই আয় কখনো কখনো মূল্য দাবি করে। এবার সেই মূল্য দিতে হয়েছে সম্ভাবনাময় দুই কিশোরকে।
ইয়ায়াহ জেন্নেহর মা নামিনা জেন্নেহর স্বামী মারা গেছেন। পাঁচ সন্তানের সংসার চালাতে কিশোর ছেলেটির ওপরই ভরসা ছিল তাঁর।
একসময় এসব খনিতে কাজ করতেন নামিনা। বিবিসির কাছে তিনি স্বীকার করেন, ছেলেকে তিনিই খনির কাজে অভ্যস্ত করেছিলেন। তবে বলেন, ‘ও আমাকে বলেনি, ওই জায়গায় যাবে। জানলে আমি যেতে দিতাম না।’

এই জঙ্গি হামলায় চোখের সামনে স্বামীকে মারা যেতে দেখেন পল্লবী নামের এক নারী। তিনি জানান, শোকে মুহ্যমান অবস্থায় হামলাকারীর মুখোমুখি হয়ে বলেন, স্বামীর সঙ্গে তাঁকেও মেরে ফেলা হোক। তবে ওই সন্ত্রাসী জবাব দেন, পল্লবী ও তাঁর ছেলের কোনো ক্ষতি করা হবে না, তাঁরা যেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির
২৩ এপ্রিল ২০২৫
মার্কিন কাস্টম অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন ডিপার্টমেন্ট বা শুল্ক ও সীমান্ত সুরক্ষা দপ্তর (সিবিপি) গতকাল মঙ্গলবার একটি প্রস্তাব পেশ করেছে। প্রস্তাব অনুসারে ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশ থেকে আসা পর্যটকদের অচিরেই হয়তো বিগত পাঁচ বছর পর্যন্ত তাদের সামাজিক মাধ্যমের ইতিহাস...
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি তাঁর প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিটের ‘সুন্দর মুখ’ আর ‘ঠোঁট’-এর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। এক অর্থনৈতিক কর্মসূচির প্রচারের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দেওয়ার সময় সেখানেই এহেন মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
২ ঘণ্টা আগে
এইচ-১বি ভিসা প্রার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাকাউন্ট যাচাই-বাছাই করবে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই নতুন সোশ্যাল মিডিয়া নীতিতে আটকে গেল ভারতের আবেদনকারীদের ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট। গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ সংক্রান্ত একটি ঘোষণা দিয়েছে ভারতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস। সেখানে বলা হয়, ভিসা
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন কাস্টম অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন ডিপার্টমেন্ট বা শুল্ক ও সীমান্ত সুরক্ষা দপ্তর (সিবিপি) গতকাল মঙ্গলবার একটি প্রস্তাব পেশ করেছে। প্রস্তাব অনুসারে ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশ থেকে আসা পর্যটকদের অচিরেই হয়তো বিগত পাঁচ বছর পর্যন্ত তাদের সামাজিক মাধ্যমের ইতিহাস খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, এই পরিবর্তনের জেরে সেই সব পর্যটকেরা প্রভাবিত হবেন, যারা ভিসা মওকুফ কর্মসূচির যোগ্য। এই কর্মসূচি অনুযায়ী ৪২টি দেশের নাগরিকেরা ইলেকট্রনিক ভ্রমণ অনুমোদন পেলে ভিসা ছাড়াই ৯০ দিন পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ করতে পারেন।
ফেডারেল রেজিস্ট্রারে মঙ্গলবার পেশ করা একটি নথিতে সিবিপি জানিয়েছে, তারা আবেদনকারীদের কাছ থেকে ব্যক্তিগত তথ্যের একটি লম্বা তালিকা চাইবে, যার মধ্যে থাকবে সামাজিকমাধ্যম, গত দশ বছরজুড়ে ব্যবহার করা ই–মেইল ঠিকানা এবং বাবা-মা, জীবনসঙ্গী, ভাই-বোন ও সন্তানদের নাম, জন্মতারিখ, বাসস্থান ও জন্মস্থান।
বর্তমানে ভিসা মওকুফ পাওয়া দেশগুলোর আবেদনকারীদের ইলেকট্রনিক সিস্টেম ফর ট্রাভেল অথোরাইজেশন কর্মসূচিতে নাম নথিভুক্ত করতে হয়। তাঁরা ৪০ ডলার দিয়ে একটি ই-মেইল ঠিকানা, বাড়ির ঠিকানা, ফোন নম্বর এবং জরুরি যোগাযোগের তথ্য জমা দেন। এই অনুমোদনের মেয়াদ থাকে দুই বছর।
সিবিপির এই পদক্ষেপ মার্কিন সরকারের পূর্বের অনুরূপ কার্যক্রমের মতোই। সরকার ইতিমধ্যে দক্ষ বিদেশি কর্মীদের জন্য এইচ১–বি ভিসা এবং শিক্ষার্থী ও গবেষক ভিসার আবেদনকারীদের জন্য সামাজিকমাধ্যম পর্যালোচনার ব্যবস্থা চালু করেছে। এ ছাড়া সরকারের একটি নতুন ২৫০ ডলারের ভিসা ইনটিগ্রিটি ফি সংগ্রহের পরিকল্পনা আছে, যা অনেক ভ্রমণকারীর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে, যদিও ভিসা মওকুফ পাওয়া দেশের ভ্রমণকারীরা সেই ফি থেকে ছাড় পাবেন।
ভিসা ইনটিগ্রিটি ফি নিয়ে ট্রাভেল বা পর্যটন শিল্প আপত্তি জানিয়েছে। গত নভেম্বরে ২০ টিরও বেশি পর্যটন ও ভ্রমণ ব্যবসার একটি জোট বিরোধিতা করে একটি চিঠি স্বাক্ষর করে। তাঁদের উদ্বেগের কারণ, এই ফি আরোপের ফলে আগামী বছরের বিশ্বকাপ ফুটবলের মতো অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ইচ্ছুক কোটি কোটি আন্তর্জাতিক পর্যটককে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করবে।
এক পর্যটন কর্মকর্তা পরিচয় গোপন রেখে কথা বলেছেন, সিবিপি এই পরিকল্পনা নিয়ে শিল্পের অংশীজনদের কিছু জানায়নি। তিনি একে যাত্রী যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এক ‘গুরুত্বপূর্ণ বাড়াবাড়ি’ বলে অভিহিত করেছেন। নোটিশে সিবিপি জানিয়েছে যে, তারা এই প্রস্তাবের ওপর ৬০ দিনের জন্য জনসাধারণের মন্তব্য গ্রহণ করবে।
যদি এই পরিকল্পনা অনুমোদিত হয়, তবে সিবিপি কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাসের মধ্যে ধাপে ধাপে পরিবর্তনগুলি কার্যকর করতে পারে, এমনটাই জানিয়েছে ইমিগ্রেশন আইন সংস্থা ফ্রাগোমেন (Fragomen) . ফ্রাগোমেন-এর অংশীদার বো কুপার সরকারের সামাজিক মাধ্যম পর্যালোচনার নতুন এই পদ্ধতিকে ‘প্যারাডাইম শিফট বা ধারণার আমূল পরিবর্তন’ বলে উল্লেখ করেছেন। কারণ এর আগে সংস্থাগুলি নির্দিষ্ট তথ্য, যেমন অপরাধমূলক কার্যকলাপ, যাচাইয়ের জন্য সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করত।
কুপার বলেন, ‘নতুন পদ্ধতিতে অনলাইন আলাপ-আলোচনা দেখা হবে এবং কী ধরনের কথা বলা হয়েছে সে বিষয়ে নিজস্ব বিবেচনা ও নীতির ভিত্তিতে ভ্রমণ বাতিল করা হবে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘পর্যটন সংখ্যা কেমন থাকে, তা দেখতে বেশ আগ্রহ থাকবে।’
ডিজিটাল অধিকার গোষ্ঠী ইলেকট্রনিক ফ্রন্টিয়ার ফাউন্ডেশনের সিনিয়র স্টাফ অ্যাটর্নি সোফিয়া কোপ বিবৃতিতে বলেন, সামাজিক মাধ্যমের বাধ্যতামূলক প্রকাশ ও নজরদারি ‘নাগরিক স্বাধীনতার ক্ষতিকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদী এবং অন্যান্য বাজে লোককে খুঁজে বার করতে এটা কার্যকরী বলে প্রমাণিত হয়নি। তবে এটি নিরপরাধ ভ্রমণকারী এবং তাদের আমেরিকান পরিবার, বন্ধু ও সহকর্মীদের বাক্স্বাধীনতাকে স্তব্ধ করেছে এবং তাদের গোপনীয়তা লঙ্ঘন করেছে।’
সিবিপি এই বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিক কোনো সাড়া দেয়নি।

মার্কিন কাস্টম অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন ডিপার্টমেন্ট বা শুল্ক ও সীমান্ত সুরক্ষা দপ্তর (সিবিপি) গতকাল মঙ্গলবার একটি প্রস্তাব পেশ করেছে। প্রস্তাব অনুসারে ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশ থেকে আসা পর্যটকদের অচিরেই হয়তো বিগত পাঁচ বছর পর্যন্ত তাদের সামাজিক মাধ্যমের ইতিহাস খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, এই পরিবর্তনের জেরে সেই সব পর্যটকেরা প্রভাবিত হবেন, যারা ভিসা মওকুফ কর্মসূচির যোগ্য। এই কর্মসূচি অনুযায়ী ৪২টি দেশের নাগরিকেরা ইলেকট্রনিক ভ্রমণ অনুমোদন পেলে ভিসা ছাড়াই ৯০ দিন পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ করতে পারেন।
ফেডারেল রেজিস্ট্রারে মঙ্গলবার পেশ করা একটি নথিতে সিবিপি জানিয়েছে, তারা আবেদনকারীদের কাছ থেকে ব্যক্তিগত তথ্যের একটি লম্বা তালিকা চাইবে, যার মধ্যে থাকবে সামাজিকমাধ্যম, গত দশ বছরজুড়ে ব্যবহার করা ই–মেইল ঠিকানা এবং বাবা-মা, জীবনসঙ্গী, ভাই-বোন ও সন্তানদের নাম, জন্মতারিখ, বাসস্থান ও জন্মস্থান।
বর্তমানে ভিসা মওকুফ পাওয়া দেশগুলোর আবেদনকারীদের ইলেকট্রনিক সিস্টেম ফর ট্রাভেল অথোরাইজেশন কর্মসূচিতে নাম নথিভুক্ত করতে হয়। তাঁরা ৪০ ডলার দিয়ে একটি ই-মেইল ঠিকানা, বাড়ির ঠিকানা, ফোন নম্বর এবং জরুরি যোগাযোগের তথ্য জমা দেন। এই অনুমোদনের মেয়াদ থাকে দুই বছর।
সিবিপির এই পদক্ষেপ মার্কিন সরকারের পূর্বের অনুরূপ কার্যক্রমের মতোই। সরকার ইতিমধ্যে দক্ষ বিদেশি কর্মীদের জন্য এইচ১–বি ভিসা এবং শিক্ষার্থী ও গবেষক ভিসার আবেদনকারীদের জন্য সামাজিকমাধ্যম পর্যালোচনার ব্যবস্থা চালু করেছে। এ ছাড়া সরকারের একটি নতুন ২৫০ ডলারের ভিসা ইনটিগ্রিটি ফি সংগ্রহের পরিকল্পনা আছে, যা অনেক ভ্রমণকারীর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে, যদিও ভিসা মওকুফ পাওয়া দেশের ভ্রমণকারীরা সেই ফি থেকে ছাড় পাবেন।
ভিসা ইনটিগ্রিটি ফি নিয়ে ট্রাভেল বা পর্যটন শিল্প আপত্তি জানিয়েছে। গত নভেম্বরে ২০ টিরও বেশি পর্যটন ও ভ্রমণ ব্যবসার একটি জোট বিরোধিতা করে একটি চিঠি স্বাক্ষর করে। তাঁদের উদ্বেগের কারণ, এই ফি আরোপের ফলে আগামী বছরের বিশ্বকাপ ফুটবলের মতো অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ইচ্ছুক কোটি কোটি আন্তর্জাতিক পর্যটককে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করবে।
এক পর্যটন কর্মকর্তা পরিচয় গোপন রেখে কথা বলেছেন, সিবিপি এই পরিকল্পনা নিয়ে শিল্পের অংশীজনদের কিছু জানায়নি। তিনি একে যাত্রী যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এক ‘গুরুত্বপূর্ণ বাড়াবাড়ি’ বলে অভিহিত করেছেন। নোটিশে সিবিপি জানিয়েছে যে, তারা এই প্রস্তাবের ওপর ৬০ দিনের জন্য জনসাধারণের মন্তব্য গ্রহণ করবে।
যদি এই পরিকল্পনা অনুমোদিত হয়, তবে সিবিপি কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাসের মধ্যে ধাপে ধাপে পরিবর্তনগুলি কার্যকর করতে পারে, এমনটাই জানিয়েছে ইমিগ্রেশন আইন সংস্থা ফ্রাগোমেন (Fragomen) . ফ্রাগোমেন-এর অংশীদার বো কুপার সরকারের সামাজিক মাধ্যম পর্যালোচনার নতুন এই পদ্ধতিকে ‘প্যারাডাইম শিফট বা ধারণার আমূল পরিবর্তন’ বলে উল্লেখ করেছেন। কারণ এর আগে সংস্থাগুলি নির্দিষ্ট তথ্য, যেমন অপরাধমূলক কার্যকলাপ, যাচাইয়ের জন্য সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করত।
কুপার বলেন, ‘নতুন পদ্ধতিতে অনলাইন আলাপ-আলোচনা দেখা হবে এবং কী ধরনের কথা বলা হয়েছে সে বিষয়ে নিজস্ব বিবেচনা ও নীতির ভিত্তিতে ভ্রমণ বাতিল করা হবে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘পর্যটন সংখ্যা কেমন থাকে, তা দেখতে বেশ আগ্রহ থাকবে।’
ডিজিটাল অধিকার গোষ্ঠী ইলেকট্রনিক ফ্রন্টিয়ার ফাউন্ডেশনের সিনিয়র স্টাফ অ্যাটর্নি সোফিয়া কোপ বিবৃতিতে বলেন, সামাজিক মাধ্যমের বাধ্যতামূলক প্রকাশ ও নজরদারি ‘নাগরিক স্বাধীনতার ক্ষতিকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদী এবং অন্যান্য বাজে লোককে খুঁজে বার করতে এটা কার্যকরী বলে প্রমাণিত হয়নি। তবে এটি নিরপরাধ ভ্রমণকারী এবং তাদের আমেরিকান পরিবার, বন্ধু ও সহকর্মীদের বাক্স্বাধীনতাকে স্তব্ধ করেছে এবং তাদের গোপনীয়তা লঙ্ঘন করেছে।’
সিবিপি এই বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিক কোনো সাড়া দেয়নি।

এই জঙ্গি হামলায় চোখের সামনে স্বামীকে মারা যেতে দেখেন পল্লবী নামের এক নারী। তিনি জানান, শোকে মুহ্যমান অবস্থায় হামলাকারীর মুখোমুখি হয়ে বলেন, স্বামীর সঙ্গে তাঁকেও মেরে ফেলা হোক। তবে ওই সন্ত্রাসী জবাব দেন, পল্লবী ও তাঁর ছেলের কোনো ক্ষতি করা হবে না, তাঁরা যেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির
২৩ এপ্রিল ২০২৫
সিয়েরা লিওনের পূর্বাঞ্চলীয় গ্রাম নিমবাদু থেকে ঠিক এক দিন আগে সোনার সন্ধানে বেরিয়েছিল ১৬ বছরের মোহামেদ বাঙ্গুরা ও ১৭ বছরের ইয়ায়াহ জেন্নেহ। উদ্দেশ্য–পরিবারের জন্য বাড়তি উপার্জন।
২৭ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি তাঁর প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিটের ‘সুন্দর মুখ’ আর ‘ঠোঁট’-এর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। এক অর্থনৈতিক কর্মসূচির প্রচারের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দেওয়ার সময় সেখানেই এহেন মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
২ ঘণ্টা আগে
এইচ-১বি ভিসা প্রার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাকাউন্ট যাচাই-বাছাই করবে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই নতুন সোশ্যাল মিডিয়া নীতিতে আটকে গেল ভারতের আবেদনকারীদের ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট। গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ সংক্রান্ত একটি ঘোষণা দিয়েছে ভারতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস। সেখানে বলা হয়, ভিসা
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি তাঁর প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিটের ‘সুন্দর মুখ’ আর ‘ঠোঁট’-এর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। এক অর্থনৈতিক কর্মসূচির প্রচারের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দেওয়ার সময় সেখানেই এহেন মন্তব্য করেন ট্রাম্প। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
খবরে বলা হয়েছে, পেনসিলভানিয়ায় এক জনসভায় ৭৯ বছর বয়সী ট্রাম্প তাঁর প্রশাসনের অর্থনৈতিক সফলতার কথা বলছিলেন। তখনই মূল বিষয় থেকে সরে গিয়ে তাঁর ২৮ বছর বয়সী প্রেস সেক্রেটারি কত ‘চমৎকার’ তা নিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, ‘আজ আমরা আমাদের সুপারস্টার ক্যারোলিনকে পর্যন্ত নিয়ে এসেছি। সে কি দারুণ না? ক্যারোলিন কি অসাধারণ?’ উল্লসিত জনতাকে তিনি প্রশ্ন করেন।
এরপর তিনি লেভিটের শারীরিক সৌন্দর্য ও আত্মবিশ্বাসের প্রশংসা করতে শুরু করেন। লেভিট তাঁর চেয়ে ৫০ বছরেরও বেশি ছোট। ট্রাম্প বলেন, ‘যখন সে ফক্সের টেলিভিশন চ্যানেলে যায়, সেখানে সে দাপিয়ে বেড়ায়, দাপিয়ে বেড়ায়...সে যখন মঞ্চে ওঠে তাঁর ওই সুন্দর মুখ আর সেই ঠোঁট নিয়ে, যা থামে না, যেন একটা ছোট্ট মেশিনগান।’
ট্রাম্প বলেন, ‘তাঁর কোনো ভয়ডর নেই...কারণ আমাদের নীতি সঠিক। আমাদের এখানে নারীদের খেলায় পুরুষেরা অংশ নেয় না...আমাদের সবাইকে রূপান্তরকামী হতে বাধ্য করতে হয় না, আর আমাদের উন্মুক্ত সীমান্ত নীতিও নেই যেখান থেকে গোটা বিশ্ব—জেলখানা ও অন্য সব জায়গা থেকে—আমাদের দেশে ঢুকতে পারবে, তাই ওর কাজটা একটু সহজ। আমি তো অন্য পক্ষের প্রেস সেক্রেটারি হতে চাইতাম না।’
এই রিপাবলিকান নেতা আগস্টে নিউজম্যাক্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারেও লেভিটকে নিয়ে একই ধরনের মন্তব্য করেছিলেন। তিনি সে সময় বলেছিলেন, ‘ওই মুখটা, ওই মস্তিষ্কটা, ওই ঠোঁট, যেভাবে চলে। মনে হয় যেন সে একটা মেশিনগান। আমার মনে হয় না ক্যারোলিনের চেয়ে ভালো প্রেস সেক্রেটারি আর কারও হয়েছে।’
লেভিট ট্রাম্পের প্রথম প্রশাসনে ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সহকারী প্রেস সেক্রেটারি হিসেবে কাজ করেছিলেন। নিউ হ্যাম্পশায়ারের বাসিন্দা লেভিট ৬০ বছর বয়সী রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার নিকোলাস রিক্কিও’র সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ এবং তাঁদের নিকো নামে একটি পুত্র সন্তান আছে। কংগ্রেস নির্বাচনে জিততে ব্যর্থ হওয়ার পর তিনি জানুয়ারি মাসে আবারও হোয়াইট হাউসে ফিরে আসেন এবং ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ প্রেস সেক্রেটারি হন। ট্রাম্পের পঞ্চম প্রেস সেক্রেটারি তিনি এবং তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম প্রেস সেক্রেটারি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি তাঁর প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিটের ‘সুন্দর মুখ’ আর ‘ঠোঁট’-এর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। এক অর্থনৈতিক কর্মসূচির প্রচারের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দেওয়ার সময় সেখানেই এহেন মন্তব্য করেন ট্রাম্প। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
খবরে বলা হয়েছে, পেনসিলভানিয়ায় এক জনসভায় ৭৯ বছর বয়সী ট্রাম্প তাঁর প্রশাসনের অর্থনৈতিক সফলতার কথা বলছিলেন। তখনই মূল বিষয় থেকে সরে গিয়ে তাঁর ২৮ বছর বয়সী প্রেস সেক্রেটারি কত ‘চমৎকার’ তা নিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, ‘আজ আমরা আমাদের সুপারস্টার ক্যারোলিনকে পর্যন্ত নিয়ে এসেছি। সে কি দারুণ না? ক্যারোলিন কি অসাধারণ?’ উল্লসিত জনতাকে তিনি প্রশ্ন করেন।
এরপর তিনি লেভিটের শারীরিক সৌন্দর্য ও আত্মবিশ্বাসের প্রশংসা করতে শুরু করেন। লেভিট তাঁর চেয়ে ৫০ বছরেরও বেশি ছোট। ট্রাম্প বলেন, ‘যখন সে ফক্সের টেলিভিশন চ্যানেলে যায়, সেখানে সে দাপিয়ে বেড়ায়, দাপিয়ে বেড়ায়...সে যখন মঞ্চে ওঠে তাঁর ওই সুন্দর মুখ আর সেই ঠোঁট নিয়ে, যা থামে না, যেন একটা ছোট্ট মেশিনগান।’
ট্রাম্প বলেন, ‘তাঁর কোনো ভয়ডর নেই...কারণ আমাদের নীতি সঠিক। আমাদের এখানে নারীদের খেলায় পুরুষেরা অংশ নেয় না...আমাদের সবাইকে রূপান্তরকামী হতে বাধ্য করতে হয় না, আর আমাদের উন্মুক্ত সীমান্ত নীতিও নেই যেখান থেকে গোটা বিশ্ব—জেলখানা ও অন্য সব জায়গা থেকে—আমাদের দেশে ঢুকতে পারবে, তাই ওর কাজটা একটু সহজ। আমি তো অন্য পক্ষের প্রেস সেক্রেটারি হতে চাইতাম না।’
এই রিপাবলিকান নেতা আগস্টে নিউজম্যাক্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারেও লেভিটকে নিয়ে একই ধরনের মন্তব্য করেছিলেন। তিনি সে সময় বলেছিলেন, ‘ওই মুখটা, ওই মস্তিষ্কটা, ওই ঠোঁট, যেভাবে চলে। মনে হয় যেন সে একটা মেশিনগান। আমার মনে হয় না ক্যারোলিনের চেয়ে ভালো প্রেস সেক্রেটারি আর কারও হয়েছে।’
লেভিট ট্রাম্পের প্রথম প্রশাসনে ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সহকারী প্রেস সেক্রেটারি হিসেবে কাজ করেছিলেন। নিউ হ্যাম্পশায়ারের বাসিন্দা লেভিট ৬০ বছর বয়সী রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার নিকোলাস রিক্কিও’র সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ এবং তাঁদের নিকো নামে একটি পুত্র সন্তান আছে। কংগ্রেস নির্বাচনে জিততে ব্যর্থ হওয়ার পর তিনি জানুয়ারি মাসে আবারও হোয়াইট হাউসে ফিরে আসেন এবং ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ প্রেস সেক্রেটারি হন। ট্রাম্পের পঞ্চম প্রেস সেক্রেটারি তিনি এবং তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম প্রেস সেক্রেটারি।

এই জঙ্গি হামলায় চোখের সামনে স্বামীকে মারা যেতে দেখেন পল্লবী নামের এক নারী। তিনি জানান, শোকে মুহ্যমান অবস্থায় হামলাকারীর মুখোমুখি হয়ে বলেন, স্বামীর সঙ্গে তাঁকেও মেরে ফেলা হোক। তবে ওই সন্ত্রাসী জবাব দেন, পল্লবী ও তাঁর ছেলের কোনো ক্ষতি করা হবে না, তাঁরা যেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির
২৩ এপ্রিল ২০২৫
সিয়েরা লিওনের পূর্বাঞ্চলীয় গ্রাম নিমবাদু থেকে ঠিক এক দিন আগে সোনার সন্ধানে বেরিয়েছিল ১৬ বছরের মোহামেদ বাঙ্গুরা ও ১৭ বছরের ইয়ায়াহ জেন্নেহ। উদ্দেশ্য–পরিবারের জন্য বাড়তি উপার্জন।
২৭ মিনিট আগে
মার্কিন কাস্টম অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন ডিপার্টমেন্ট বা শুল্ক ও সীমান্ত সুরক্ষা দপ্তর (সিবিপি) গতকাল মঙ্গলবার একটি প্রস্তাব পেশ করেছে। প্রস্তাব অনুসারে ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশ থেকে আসা পর্যটকদের অচিরেই হয়তো বিগত পাঁচ বছর পর্যন্ত তাদের সামাজিক মাধ্যমের ইতিহাস...
১ ঘণ্টা আগে
এইচ-১বি ভিসা প্রার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাকাউন্ট যাচাই-বাছাই করবে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই নতুন সোশ্যাল মিডিয়া নীতিতে আটকে গেল ভারতের আবেদনকারীদের ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট। গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ সংক্রান্ত একটি ঘোষণা দিয়েছে ভারতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস। সেখানে বলা হয়, ভিসা
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

এইচ-১বি ভিসা প্রার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাকাউন্ট যাচাই-বাছাই করবে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই নতুন সোশ্যাল মিডিয়া নীতিতে আটকে গেল ভারতের আবেদনকারীদের ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট। গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ সংক্রান্ত একটি ঘোষণা দিয়েছে ভারতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস। সেখানে বলা হয়, ভিসা আবেদনকারীদের সাক্ষাৎকারের তারিখ আগামী বছরে পেছানো হয়েছে।
দূতাবাসের বার্তায় আরও বলা হয়, যদি আপনি আপনার ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে ইমেইল পেয়ে থাকেন, তবে মিশন ইন্ডিয়া আপনার নতুন অ্যাপয়েন্টমেন্ট তারিখে নিতে সহায়তা করতে আগ্রহী।’
বার্তায় সতর্ক করে দূতাবাস আরও জানায়, পুনর্নির্ধারণের নোটিফিকেশন পাওয়ার পরও আগের নির্ধারিত তারিখে উপস্থিত হলে দূতাবাস বা কনস্যুলেটে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।
ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে শেষভাগে যেসব সাক্ষাৎকার নির্ধারিত ছিল, সেগুলো আগামী বছরের মার্চে নেওয়া হচ্ছে। তবে ঠিক কতগুলো অ্যাপয়েন্টমেন্ট স্থগিত হয়েছে, তা জানা যায়নি।
শীর্ষ ব্যবসায়িক অভিবাসন আইন প্রতিষ্ঠানের অ্যাটর্নি স্টিভেন ব্রাউন বলেন, ‘মিশন ইন্ডিয়া যা নিশ্চিত করেছে, তা-ই আমরা শুনছিলাম। সোশ্যাল মিডিয়া যাচাইয়ের কারণে তারা আগামী কয়েক সপ্তাহের বেশ কিছু অ্যাপয়েন্টমেন্ট বাতিল করে মার্চে পুনর্নির্ধারণ করেছে।’
এইচ-১বি ভিসা আবেদনকারী ও এইচ-৪ নির্ভরশীলদের জন্য স্ক্রিনিং ও যাচাই–বাছাইয়ের পরিধি বাড়িয়েছে মার্কিন সরকার। নতুন নির্দেশনায় আবেদনকারীদের সব সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলের প্রাইভেসি সেটিং ‘পাবলিক’ রাখতে বলা হয়েছে।
আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অযোগ্য বা জাতীয় নিরাপত্তা কিংবা জননিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারেন কি না তা চিহ্নিত করতে ১৫ ডিসেম্বর থেকে কর্মকর্তারা তাঁদের অনলাইন উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন। তবে শিক্ষার্থী ও এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের আবেদনকারীরা আগে থেকেই এমন পর্যবেক্ষণের আওতায় ছিলেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, প্রতিটি ভিসার ক্ষেত্রেই জাতীয় নিরাপত্তার কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
দক্ষ বিদেশি কর্মীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের অন্যতম প্রধান পথ এইচ-১বি ভিসা নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর নিয়মকানুনের সর্বশেষ আঘাত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নজরদারি। গত সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নতুন এইচ-১বি ভিসার ওপর একবারের জন্য ১ লাখ ডলারের অতিরিক্ত ফি আরোপ করেন। এর কিছুদিন পর, আফগান বংশোদ্ভূত এক ব্যক্তির গুলিতে ন্যাশনাল গার্ড সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্র ১৯টি দেশকে ‘উদ্বেগজনক দেশ’ হিসেবে চিহ্নিত করে আবেদনকারীদের গ্রিন কার্ড, মার্কিন নাগরিকত্ব ও অন্যান্য অভিবাসন প্রক্রিয়া সাময়িকভাবে স্থগিত করে।

এইচ-১বি ভিসা প্রার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাকাউন্ট যাচাই-বাছাই করবে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই নতুন সোশ্যাল মিডিয়া নীতিতে আটকে গেল ভারতের আবেদনকারীদের ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট। গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ সংক্রান্ত একটি ঘোষণা দিয়েছে ভারতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস। সেখানে বলা হয়, ভিসা আবেদনকারীদের সাক্ষাৎকারের তারিখ আগামী বছরে পেছানো হয়েছে।
দূতাবাসের বার্তায় আরও বলা হয়, যদি আপনি আপনার ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে ইমেইল পেয়ে থাকেন, তবে মিশন ইন্ডিয়া আপনার নতুন অ্যাপয়েন্টমেন্ট তারিখে নিতে সহায়তা করতে আগ্রহী।’
বার্তায় সতর্ক করে দূতাবাস আরও জানায়, পুনর্নির্ধারণের নোটিফিকেশন পাওয়ার পরও আগের নির্ধারিত তারিখে উপস্থিত হলে দূতাবাস বা কনস্যুলেটে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।
ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে শেষভাগে যেসব সাক্ষাৎকার নির্ধারিত ছিল, সেগুলো আগামী বছরের মার্চে নেওয়া হচ্ছে। তবে ঠিক কতগুলো অ্যাপয়েন্টমেন্ট স্থগিত হয়েছে, তা জানা যায়নি।
শীর্ষ ব্যবসায়িক অভিবাসন আইন প্রতিষ্ঠানের অ্যাটর্নি স্টিভেন ব্রাউন বলেন, ‘মিশন ইন্ডিয়া যা নিশ্চিত করেছে, তা-ই আমরা শুনছিলাম। সোশ্যাল মিডিয়া যাচাইয়ের কারণে তারা আগামী কয়েক সপ্তাহের বেশ কিছু অ্যাপয়েন্টমেন্ট বাতিল করে মার্চে পুনর্নির্ধারণ করেছে।’
এইচ-১বি ভিসা আবেদনকারী ও এইচ-৪ নির্ভরশীলদের জন্য স্ক্রিনিং ও যাচাই–বাছাইয়ের পরিধি বাড়িয়েছে মার্কিন সরকার। নতুন নির্দেশনায় আবেদনকারীদের সব সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলের প্রাইভেসি সেটিং ‘পাবলিক’ রাখতে বলা হয়েছে।
আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অযোগ্য বা জাতীয় নিরাপত্তা কিংবা জননিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারেন কি না তা চিহ্নিত করতে ১৫ ডিসেম্বর থেকে কর্মকর্তারা তাঁদের অনলাইন উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন। তবে শিক্ষার্থী ও এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের আবেদনকারীরা আগে থেকেই এমন পর্যবেক্ষণের আওতায় ছিলেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, প্রতিটি ভিসার ক্ষেত্রেই জাতীয় নিরাপত্তার কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
দক্ষ বিদেশি কর্মীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের অন্যতম প্রধান পথ এইচ-১বি ভিসা নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর নিয়মকানুনের সর্বশেষ আঘাত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নজরদারি। গত সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নতুন এইচ-১বি ভিসার ওপর একবারের জন্য ১ লাখ ডলারের অতিরিক্ত ফি আরোপ করেন। এর কিছুদিন পর, আফগান বংশোদ্ভূত এক ব্যক্তির গুলিতে ন্যাশনাল গার্ড সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্র ১৯টি দেশকে ‘উদ্বেগজনক দেশ’ হিসেবে চিহ্নিত করে আবেদনকারীদের গ্রিন কার্ড, মার্কিন নাগরিকত্ব ও অন্যান্য অভিবাসন প্রক্রিয়া সাময়িকভাবে স্থগিত করে।

এই জঙ্গি হামলায় চোখের সামনে স্বামীকে মারা যেতে দেখেন পল্লবী নামের এক নারী। তিনি জানান, শোকে মুহ্যমান অবস্থায় হামলাকারীর মুখোমুখি হয়ে বলেন, স্বামীর সঙ্গে তাঁকেও মেরে ফেলা হোক। তবে ওই সন্ত্রাসী জবাব দেন, পল্লবী ও তাঁর ছেলের কোনো ক্ষতি করা হবে না, তাঁরা যেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির
২৩ এপ্রিল ২০২৫
সিয়েরা লিওনের পূর্বাঞ্চলীয় গ্রাম নিমবাদু থেকে ঠিক এক দিন আগে সোনার সন্ধানে বেরিয়েছিল ১৬ বছরের মোহামেদ বাঙ্গুরা ও ১৭ বছরের ইয়ায়াহ জেন্নেহ। উদ্দেশ্য–পরিবারের জন্য বাড়তি উপার্জন।
২৭ মিনিট আগে
মার্কিন কাস্টম অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন ডিপার্টমেন্ট বা শুল্ক ও সীমান্ত সুরক্ষা দপ্তর (সিবিপি) গতকাল মঙ্গলবার একটি প্রস্তাব পেশ করেছে। প্রস্তাব অনুসারে ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশ থেকে আসা পর্যটকদের অচিরেই হয়তো বিগত পাঁচ বছর পর্যন্ত তাদের সামাজিক মাধ্যমের ইতিহাস...
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি তাঁর প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিটের ‘সুন্দর মুখ’ আর ‘ঠোঁট’-এর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। এক অর্থনৈতিক কর্মসূচির প্রচারের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দেওয়ার সময় সেখানেই এহেন মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
২ ঘণ্টা আগে