Ajker Patrika

বিয়ে করতে বলায় পরকীয়া প্রেমিকাকে খুন, লাশ ৮ মাস ফ্রিজে

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫: ০৮
Thumbnail image
নিহত পিঙ্কি। ছবি: সংগৃহীত

সঞ্জয় পতিদার ভারতের মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়ন জেলার বাসিন্দা। বিবাহিত এই পুরুষের পরকীয়া প্রেমিকা ছিলেন পিঙ্কি (৩০)। তাঁরা দীর্ঘদিন একসঙ্গে থাকার পর একপর্যায়ে পিঙ্কি সঞ্জয়কে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু সঞ্জয় তাঁর আগের সংসার বাঁচাতে খুন করেন পিঙ্কিকে এবং প্রায় আট মাস ধরে তাঁর লাশ রেখে দেন একটি ফ্রিজে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

গতকাল শুক্রবার মধ্যপ্রদেশের দিওয়াস জেলার একটি বাড়ির ফ্রিজ থেকে শাড়ি পরা পিঙ্কির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বাড়িটি ভাড়া নিয়েছিলেন অভিযুক্ত সঞ্জয় পতিদার। মরদেহটির পরনে ছিল শাড়িসহ বিভিন্ন গয়না। তাঁর হাত বাঁধা ছিল এবং গলায় দড়ি ঝুলানো। পুলিশ জানায়, মৃত নারীর নাম পিঙ্কি প্রজাপতি। সম্ভবত তাঁকে গত জুনে হত্যা করা হয়েছিল।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, সঞ্জয় পতিদার পাঁচ বছর ধরে পিঙ্কির সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন এবং তাঁরা প্রায়ই একসঙ্গে থাকতেন। পুলিশের প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুসারে, পিঙ্কি তাঁকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। বিষয়টি পিঙ্কিকে হত্যা করতে প্ররোচিত করে। পরে সঞ্জয় তাঁর এক বন্ধুর সহায়তায় তাঁকে হত্যা করেন।

দিওয়াসের পুলিশ সুপার পুনীত গেহলট বলেন, ‘পিঙ্কির বয়স ৩০-এর মধ্যে। আমাদের সন্দেহ, তাঁকে ২০২৪ সালের জুনে হত্যা করা হয়েছিল। বাড়িটি থেকে দুর্গন্ধ বের হতে শুরু করলে প্রতিবেশীরা বাড়ির মালিককে খবর দেন। পরে তিনি বাড়িটি খুলে দেখতে পান ফ্রিজের মধ্যে মরদেহ। সঞ্জয় ফ্রিজটির তাকগুলো সরিয়ে ফেলে সেখানে ভরে রেখেছিলেন পিঙ্কিকে। এরপর বাড়ির মালিক পুলিশকে জানান।’

গেহলট আরও বলেন, বাড়ির মালিক ধীরেন্দ্র শ্রীবাস্তব ইন্দোরে বসবাস করেন। শ্রীবাস্তব তাঁর বাড়িটি ২০২৩ সালের জুনে পতিদারকে ভাড়া দেন। এক বছর পর পতিদার বাড়িটি ছেড়ে দেন, কিন্তু তাঁর জিনিসপত্র স্টাডি রুম এবং মাস্টার বেডরুমে রেখে দেন। তিনি শ্রীবাস্তবকে জানিয়েছিলেন, বাড়ির ওই অংশ তিনি কিছুদিন পরে ছাড়বেন।’

পুলিশের অপর এক কর্মকর্তা অমিত সোলাঙ্কি জানান, পতিদার মাঝে মাঝে বাড়িতে আসতেন। সম্প্রতি বাড়ির একাংশের বর্তমান ভাড়াটে বাড়ির মালিককে অনুরোধ করেন পতিদারের অংশটি খোলার জন্য। বাড়ির মালিক ওই অংশ ভাড়াটেকে দেখানোর পর আবার বন্ধ করে দেন, কারণ পতিদারের জিনিসপত্র সেখানেই ছিল। পরে গত বুধবার মালিক ওই অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেন।’

এরপর, বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে ফ্রিজটি কাজ করা বন্ধ করে দিলে দুর্গন্ধ বের হয়ে আসতে শুরু করে। এরপরই আসল ঘটনা বেরিয়ে আসে।

এই ঘটনা দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যা মামলার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। সেই ঘটনায় আফতাব আমিন পুনাওয়ালা তাঁর লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধাকে ওয়াকারকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এরপর শ্রদ্ধার মৃতদেহ টুকরো টুকরো করে বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দিয়েছিল। দিল্লির মেহরাওয়ালি এলাকার এই ঘটনা ঘটেছিল ২০২২ সালের মে মাসে। আফতাব শ্রদ্ধার মৃতদেহ টুকরো টুকরো করে ফ্রিজে রেখে দেন, পরে সেগুলো একাধিক স্থানে ছড়িয়ে দেন, যাতে ধরা না পড়ে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত