ভারতে সংখ্যালঘু ধর্মের প্রতি কোনো ধরনের বৈষম্যমূলক অনুভূতি নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ কথা বলেছেন। মূলত কেন ভারতে মুসলিমবিদ্বেষী মনোভাব বাড়ছে এবং ভারতে মুসলমানদের ভবিষ্যৎ কী—এমন এক প্রশ্নের জবাবে মোদি এ কথা বলেন।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ২০১৪ সাল থেকে ভারতের ক্ষমতায় থাকা মোদি দেশটির মুসলিমদের ভবিষ্যৎ নিয়ে করা প্রশ্নের জবাবে দেশটির অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অন্যান্য অগ্রযাত্রার কথা তুলে ধরেন। এ সময় তিনি যারা বলে যে মোদি ক্ষমতায় আসার পর ভারতে ইসলামবিদ্বেষী মনোভাব বেড়ে গেছে—তাদের তিরস্কার করেন এবং সেই দাবিকে উড়িয়ে দেন।
মোদি বলেন, ভারতীয় সমাজে কোনো সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যমূলক মনোভাব নেই। এ সময় তিনি ভারতের পারসিদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন। তিনি পারসি সম্প্রদায়কে ‘ভারতে বসবাসকারী ক্ষুদ্র সংখ্যালঘু সম্প্রদায়’ বলেও আখ্যা দেন।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে মোদি বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে পারসিরা নিপীড়নের শিকার হলেও তাঁরা ভারতকে নিরাপদ স্বর্গ হিসেবেই উপভোগ করছেন এবং তাঁরা এখানে সমৃদ্ধি লাভ করছেন।’
তবে এ সময় তিনি ভারতের আরও ২০ কোটি মুসলমানের কথা উল্লেখ করেননি।
মোদির এই মন্তব্য গত জুনে যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় করা মন্তব্যেরই পুনরাবৃত্তি। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘ভারতে বর্ণ, গোষ্ঠী, ধর্ম বা লিঙ্গের ভিত্তিতে বৈষম্যের কোনো স্থান নেই...।’ পরে সেপ্টেম্বরে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মনিয়াম জয়শঙ্করও মোদির কথা আরও জোর দিয়ে উল্লেখ করেন। সে সময় জয়শঙ্কর ভারতে কোনো বৈষম্য আছে—এমন কথা মানতেই অস্বীকার করেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আপনি আমাকে বৈষম্য দেখানোর কথা বলছেন—আমি আপনার এই বক্তব্যই অস্বীকার করছি।’
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সরকারবিরোধীদের ওপর দমন–পীড়ন চালানোর অভিযোগ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মোদি বিষয়টি হেসে উড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে এমন একটি ব্যবস্থা রয়েছে যা পূর্ণ স্বাধীনতা নিয়ে সম্পাদকীয়, টিভি চ্যানেল, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বিভিন্ন ভিডিও, টুইটের মাধ্যমে আমাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগগুলো তুলছে।’
এ সময় বিরোধী নেতাদের হেয় করতে বিজেপি নেতা–কর্মীদের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন গ্যাং যেমন ‘টুলকিট’ ও ‘টুকড়ে টুকড়ে’ যেসব কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে সে বিষয়টি উল্লেখ করা হলে মোদি বলেন, ‘তাদের এমনটা করার অধিকার রয়েছে। তবে অন্যদেরও প্রমাণ সহকারে এসব বক্তব্যের জবাব দেওয়ার পূর্ণ অধিকার রয়েছে।’
সাক্ষাৎকারে মোদি তাঁর সরকার ভারতের সেক্যুলার, গণতান্ত্রিক চরিত্র ও ঐতিহ্য ভূলণ্ঠিত করছে এমন অভিযোগের জবাব দেন। তিনি বলেন, ‘আপনারা যেসব বিস্তৃত অভিযোগ করেছেন বিষয়টি নিয়ে তা যদি সত্যিই এত ব্যাপক হতো, তাহলে ভারত বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি হতে পারত না। এই বিষয়টিও স্বীকার করা জরুরি।’
মোদি আরও বলেন, ‘আমাদের সমালোচকেরা মতামত প্রকাশের ব্যাপারে স্বাধীন। তবে এ ধরনের অভিযোগের একটি মৌলিক সমস্যা রয়েছে—যা প্রায়ই সমালোচনা হিসেবে উপস্থাপিত হয়। এই দাবিগুলো কেবল ভারতীয় জনগণের বুদ্ধিমত্তাকেই অপমান করে না, বরং বৈচিত্র্য ও গণতন্ত্রের মতো মূল্যবোধের প্রতি তাঁদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতিকেও অবমূল্যায়ন করে।’
ভারতে সংখ্যালঘু ধর্মের প্রতি কোনো ধরনের বৈষম্যমূলক অনুভূতি নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ কথা বলেছেন। মূলত কেন ভারতে মুসলিমবিদ্বেষী মনোভাব বাড়ছে এবং ভারতে মুসলমানদের ভবিষ্যৎ কী—এমন এক প্রশ্নের জবাবে মোদি এ কথা বলেন।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ২০১৪ সাল থেকে ভারতের ক্ষমতায় থাকা মোদি দেশটির মুসলিমদের ভবিষ্যৎ নিয়ে করা প্রশ্নের জবাবে দেশটির অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অন্যান্য অগ্রযাত্রার কথা তুলে ধরেন। এ সময় তিনি যারা বলে যে মোদি ক্ষমতায় আসার পর ভারতে ইসলামবিদ্বেষী মনোভাব বেড়ে গেছে—তাদের তিরস্কার করেন এবং সেই দাবিকে উড়িয়ে দেন।
মোদি বলেন, ভারতীয় সমাজে কোনো সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যমূলক মনোভাব নেই। এ সময় তিনি ভারতের পারসিদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন। তিনি পারসি সম্প্রদায়কে ‘ভারতে বসবাসকারী ক্ষুদ্র সংখ্যালঘু সম্প্রদায়’ বলেও আখ্যা দেন।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে মোদি বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে পারসিরা নিপীড়নের শিকার হলেও তাঁরা ভারতকে নিরাপদ স্বর্গ হিসেবেই উপভোগ করছেন এবং তাঁরা এখানে সমৃদ্ধি লাভ করছেন।’
তবে এ সময় তিনি ভারতের আরও ২০ কোটি মুসলমানের কথা উল্লেখ করেননি।
মোদির এই মন্তব্য গত জুনে যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় করা মন্তব্যেরই পুনরাবৃত্তি। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘ভারতে বর্ণ, গোষ্ঠী, ধর্ম বা লিঙ্গের ভিত্তিতে বৈষম্যের কোনো স্থান নেই...।’ পরে সেপ্টেম্বরে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মনিয়াম জয়শঙ্করও মোদির কথা আরও জোর দিয়ে উল্লেখ করেন। সে সময় জয়শঙ্কর ভারতে কোনো বৈষম্য আছে—এমন কথা মানতেই অস্বীকার করেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আপনি আমাকে বৈষম্য দেখানোর কথা বলছেন—আমি আপনার এই বক্তব্যই অস্বীকার করছি।’
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সরকারবিরোধীদের ওপর দমন–পীড়ন চালানোর অভিযোগ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মোদি বিষয়টি হেসে উড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে এমন একটি ব্যবস্থা রয়েছে যা পূর্ণ স্বাধীনতা নিয়ে সম্পাদকীয়, টিভি চ্যানেল, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বিভিন্ন ভিডিও, টুইটের মাধ্যমে আমাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগগুলো তুলছে।’
এ সময় বিরোধী নেতাদের হেয় করতে বিজেপি নেতা–কর্মীদের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন গ্যাং যেমন ‘টুলকিট’ ও ‘টুকড়ে টুকড়ে’ যেসব কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে সে বিষয়টি উল্লেখ করা হলে মোদি বলেন, ‘তাদের এমনটা করার অধিকার রয়েছে। তবে অন্যদেরও প্রমাণ সহকারে এসব বক্তব্যের জবাব দেওয়ার পূর্ণ অধিকার রয়েছে।’
সাক্ষাৎকারে মোদি তাঁর সরকার ভারতের সেক্যুলার, গণতান্ত্রিক চরিত্র ও ঐতিহ্য ভূলণ্ঠিত করছে এমন অভিযোগের জবাব দেন। তিনি বলেন, ‘আপনারা যেসব বিস্তৃত অভিযোগ করেছেন বিষয়টি নিয়ে তা যদি সত্যিই এত ব্যাপক হতো, তাহলে ভারত বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি হতে পারত না। এই বিষয়টিও স্বীকার করা জরুরি।’
মোদি আরও বলেন, ‘আমাদের সমালোচকেরা মতামত প্রকাশের ব্যাপারে স্বাধীন। তবে এ ধরনের অভিযোগের একটি মৌলিক সমস্যা রয়েছে—যা প্রায়ই সমালোচনা হিসেবে উপস্থাপিত হয়। এই দাবিগুলো কেবল ভারতীয় জনগণের বুদ্ধিমত্তাকেই অপমান করে না, বরং বৈচিত্র্য ও গণতন্ত্রের মতো মূল্যবোধের প্রতি তাঁদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতিকেও অবমূল্যায়ন করে।’
প্রস্তাবনাটি ইরানের সংসদীয় কমিটিতে ইতিমধ্যে পাস হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশটির জাতীয় মুদ্রা রিয়াল থেকে চারটি শূন্য বাদ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
৯ ঘণ্টা আগেআফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের এক প্রান্তে অবস্থিত তালেবান অনুমোদিত নারীদের মাদ্রাসা নাজি-এ-বসরায় বসে কথা বলছিল মেয়েটি। মুখ ঢাকা, কণ্ঠ জড়ানো ভয় আর সংশয়ে। সহপাঠী আরেক মেয়ে তাকে নিচু স্বরে চুপ করায়। স্মরণ করিয়ে দেয়, তালেবান শাসনের সমালোচনা করা কতটা বিপজ্জনক!
১০ ঘণ্টা আগেআন্দিজ পর্বতের প্রায় ৩ হাজার মিটার উচ্চতায় বিস্তৃত ইকুয়েডরের মাকিজো দেল কাআস অঞ্চলটি একটি বিশেষ ধরনের পরিবেশ—যাকে বলা হয় প্যারামো। প্রাকৃতিক স্পঞ্জের মতো কাজ করে এই অঞ্চলটি। মেঘ থেকে টেনে আনে আর্দ্রতা, আর জল জোগায় ছয়টি বড় নদীকে।
১১ ঘণ্টা আগেট্রাম্প তাঁর ট্রুথ সোশ্যালে পোস্টে লিখেছেন, ‘ভারত শুধু রাশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ তেলই কিনছে না, তারা সেই তেলের বড় অংশ খোলাবাজারে বিক্রি করে বড় লাভ করছে। ইউক্রেনে রুশ যুদ্ধ যন্ত্রের কারণে কত মানুষ মারা যাচ্ছে, তা নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই।’
১২ ঘণ্টা আগে