জার্মানি থেকে অভিবাসীদের গণহারে বের করে দিতে চাওয়ায় কট্টর ডানপন্থী রাজনৈতিক দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানির (এএফডি) বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে লাখ লাখ মানুষ। গতকাল শনিবার জার্মানির বড় ও ছোট শহর মিলিয়ে শতাধিক স্থানে হয়েছে এসব বিক্ষোভ। জার্মান গণমাধ্যম জানিয়েছে, গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান নিয়ে এসব জমায়েতে এএফডিকে উপহাস করে ‘ফ্যাসিজম কোনো বিকল্প নয়’ লেখা ব্যানার প্রদর্শন করা হয়।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
এএফডি সদস্যরা সম্প্রতি কট্টর ডানপন্থী কয়েকজন রাজনৈতিক কর্মীর সঙ্গে বৈঠক করে জার্মানি থেকে বিদেশি অভিবাসীদের গণহারে বের করে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর পরই অভিবাসী বিরোধী এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে জার্মানি জুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ।
পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল জার্মানির অর্থনৈতিক প্রাণকেন্দ্র ফ্রাঙ্কফুর্টে মিছিলে যোগ দেয় প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ। ‘গণতন্ত্র রক্ষা করুন—এএফডির বিরুদ্ধে ফ্রাঙ্কফুর্ট’ লেখা ব্যানার নিয়ে তাঁরা বিক্ষোভে অংশ নেন।
উত্তরের শহর হ্যানোভারেও বিক্ষোভকারীর সংখ্যা অনেকটা একই রকম ছিল। ‘নাৎসি তাড়াও’-এর মতো পোস্টারও তাঁরা বহন করেন। এ ছাড়া ডর্টমুন্ডেও জড়ো হয়েছিলেন প্রায় ৩০ হাজার বিক্ষোভকারী। গত সপ্তাহ থেকে চলা বিক্ষোভের ধারাবাহিকতায় ব্রাউনশউইগ, আরফুর্ট, ক্যাসেলসহ অনেক ছোট শহরেও গতকাল বিক্ষোভ হয়েছে।
জার্মানির এআরডি পাবলিক টেলিভিশনের মতে, শনিবার জার্মানি জুড়ে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন ২ লাখেরও বেশি মানুষ। গত রোববার বার্লিনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ থেকে শুরু করে গতকাল পর্যন্ত জার্মানির অন্তত শতাধিক স্থানে এএফডির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে। রাজনীতিবিদ, চার্চ থেকে শুরু করে বুন্দেসলিগার (জার্মানির প্রিমিয়ার লিগ ফুটবল) কোচরাও জনগণের সমর্থনে এএফডির বিরুদ্ধে অবস্থান জানিয়েছেন।
জার্মানির অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যম কারেকটিভ গত ১০ জানুয়ারি এক প্রতিবেদনে বলে, এএফডির সদস্যরা জার্মানদের মূল স্রোতের সঙ্গে যারা মিশে যেতে পারেনি এমন মানুষ এবং অভিবাসীদের জার্মানি থেকে বের করে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। সেই বৈঠকে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন অস্ট্রিয়ার আইডেন্টিটারিয়ান মুভমেন্টের নেতা মার্টিন সেলনার। ‘গ্রেট রিপ্লেসমেন্ট’ নামক এক ষড়যন্ত্রতত্ত্বের সমর্থক তিনি—যে তত্ত্ব দাবি করে যে, অশ্বেতাঙ্গ অভিবাসীরা ইউরোপ থেকে শ্বেতাঙ্গ মানুষদের বের করে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
পূর্ব জার্মানিতে তিনটি বৃহৎ আঞ্চলিক নির্বাচনের মাত্র মাসখানেক বাকি থাকতে এসেছে এএফডির এই বৈঠকের খবর। সারা দেশের জরিপে জনপ্রিয়তায় এএফডির অবস্থান দ্বিতীয়। আর পূর্ব ইউরোপে রয়েছে কট্টর ডানপন্থী দলটির শক্ত ঘাঁটি। এই বৈঠকের খবরে তাই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরো জার্মানিতে।
তবে চ্যান্সেলর ওলাফ শলজসহ নেতৃস্থানীয় রাজনীতিবিদেরা সমর্থন জানিয়েছেন অভিবাসনবিরোধীদের বিক্ষোভে। জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, ‘অভিবাসী বা নাগরিকদের বের করে দেওয়ার যেকোনো পরিকল্পনাই গণতন্ত্র ও আমাদের সবার বিরুদ্ধে আঘাত।’ গণতান্ত্রিক জার্মানির জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ও সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
জার্মান ব্যবসায়ীরাও অভিবাসনবিরোধী অবস্থানের ব্যাপারে উদ্বেগ জানিয়েছেন। সিমেন্স এনার্জির তত্ত্বাবধায়ক বোর্ডের চেয়ারম্যান জো কায়সার বলেন, ‘যদি রিপোর্টে আসা সবকিছুই সত্য হয়, তবে তা একেবারেই ঘৃণ্য।’
চিপ প্রস্তুতকারক কোম্পানি ইনফিনিওন এবং রাসায়নিক প্রস্তুতকারক ইভোনিকসহ জার্মান সংস্থাগুলোর নেতারা এ সপ্তাহের শুরুতে ইস্যুটিতে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।
জার্মানি থেকে অভিবাসীদের গণহারে বের করে দিতে চাওয়ায় কট্টর ডানপন্থী রাজনৈতিক দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানির (এএফডি) বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে লাখ লাখ মানুষ। গতকাল শনিবার জার্মানির বড় ও ছোট শহর মিলিয়ে শতাধিক স্থানে হয়েছে এসব বিক্ষোভ। জার্মান গণমাধ্যম জানিয়েছে, গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান নিয়ে এসব জমায়েতে এএফডিকে উপহাস করে ‘ফ্যাসিজম কোনো বিকল্প নয়’ লেখা ব্যানার প্রদর্শন করা হয়।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
এএফডি সদস্যরা সম্প্রতি কট্টর ডানপন্থী কয়েকজন রাজনৈতিক কর্মীর সঙ্গে বৈঠক করে জার্মানি থেকে বিদেশি অভিবাসীদের গণহারে বের করে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর পরই অভিবাসী বিরোধী এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে জার্মানি জুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ।
পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল জার্মানির অর্থনৈতিক প্রাণকেন্দ্র ফ্রাঙ্কফুর্টে মিছিলে যোগ দেয় প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ। ‘গণতন্ত্র রক্ষা করুন—এএফডির বিরুদ্ধে ফ্রাঙ্কফুর্ট’ লেখা ব্যানার নিয়ে তাঁরা বিক্ষোভে অংশ নেন।
উত্তরের শহর হ্যানোভারেও বিক্ষোভকারীর সংখ্যা অনেকটা একই রকম ছিল। ‘নাৎসি তাড়াও’-এর মতো পোস্টারও তাঁরা বহন করেন। এ ছাড়া ডর্টমুন্ডেও জড়ো হয়েছিলেন প্রায় ৩০ হাজার বিক্ষোভকারী। গত সপ্তাহ থেকে চলা বিক্ষোভের ধারাবাহিকতায় ব্রাউনশউইগ, আরফুর্ট, ক্যাসেলসহ অনেক ছোট শহরেও গতকাল বিক্ষোভ হয়েছে।
জার্মানির এআরডি পাবলিক টেলিভিশনের মতে, শনিবার জার্মানি জুড়ে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন ২ লাখেরও বেশি মানুষ। গত রোববার বার্লিনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ থেকে শুরু করে গতকাল পর্যন্ত জার্মানির অন্তত শতাধিক স্থানে এএফডির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে। রাজনীতিবিদ, চার্চ থেকে শুরু করে বুন্দেসলিগার (জার্মানির প্রিমিয়ার লিগ ফুটবল) কোচরাও জনগণের সমর্থনে এএফডির বিরুদ্ধে অবস্থান জানিয়েছেন।
জার্মানির অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যম কারেকটিভ গত ১০ জানুয়ারি এক প্রতিবেদনে বলে, এএফডির সদস্যরা জার্মানদের মূল স্রোতের সঙ্গে যারা মিশে যেতে পারেনি এমন মানুষ এবং অভিবাসীদের জার্মানি থেকে বের করে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। সেই বৈঠকে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন অস্ট্রিয়ার আইডেন্টিটারিয়ান মুভমেন্টের নেতা মার্টিন সেলনার। ‘গ্রেট রিপ্লেসমেন্ট’ নামক এক ষড়যন্ত্রতত্ত্বের সমর্থক তিনি—যে তত্ত্ব দাবি করে যে, অশ্বেতাঙ্গ অভিবাসীরা ইউরোপ থেকে শ্বেতাঙ্গ মানুষদের বের করে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
পূর্ব জার্মানিতে তিনটি বৃহৎ আঞ্চলিক নির্বাচনের মাত্র মাসখানেক বাকি থাকতে এসেছে এএফডির এই বৈঠকের খবর। সারা দেশের জরিপে জনপ্রিয়তায় এএফডির অবস্থান দ্বিতীয়। আর পূর্ব ইউরোপে রয়েছে কট্টর ডানপন্থী দলটির শক্ত ঘাঁটি। এই বৈঠকের খবরে তাই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরো জার্মানিতে।
তবে চ্যান্সেলর ওলাফ শলজসহ নেতৃস্থানীয় রাজনীতিবিদেরা সমর্থন জানিয়েছেন অভিবাসনবিরোধীদের বিক্ষোভে। জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, ‘অভিবাসী বা নাগরিকদের বের করে দেওয়ার যেকোনো পরিকল্পনাই গণতন্ত্র ও আমাদের সবার বিরুদ্ধে আঘাত।’ গণতান্ত্রিক জার্মানির জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ও সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
জার্মান ব্যবসায়ীরাও অভিবাসনবিরোধী অবস্থানের ব্যাপারে উদ্বেগ জানিয়েছেন। সিমেন্স এনার্জির তত্ত্বাবধায়ক বোর্ডের চেয়ারম্যান জো কায়সার বলেন, ‘যদি রিপোর্টে আসা সবকিছুই সত্য হয়, তবে তা একেবারেই ঘৃণ্য।’
চিপ প্রস্তুতকারক কোম্পানি ইনফিনিওন এবং রাসায়নিক প্রস্তুতকারক ইভোনিকসহ জার্মান সংস্থাগুলোর নেতারা এ সপ্তাহের শুরুতে ইস্যুটিতে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।
ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মের সর্বোচ্চ নেতা পোপ ফ্রান্সিস আজ সোমবার সকালে মারা গেছেন। ভ্যাটিকান এই খবর নিশ্চিত করেছে। শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের চিকিৎসার পর কয়েক দিন আগে তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। পোপ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের ১২ বছর পর তাঁর মৃত্যু হলো।
১ ঘণ্টা আগেমূলত তিনি ইতালির নাগরিক। তবে তাঁর জন্মের আগেই ফ্যাসিবাদের নিপীড়ন থেকে বাঁচতে আর্জেন্টিনায় পালিয়ে আসেন তাঁর বাবা-মা। পরে সেখানে থাকতেই জন্ম হয় মারিওর। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে মারিওই ছিলেন সবার বড়। তরুণ বয়সে নিজের ও পরিবারের দায়িত্ব ঘাড়ে এসে পড়ায় তিনি ঝাড়ুদার-নাইটক্লাবে নিরাপত্তাকর্মীর...
২ ঘণ্টা আগেক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের শীর্ষ ধর্মীয় নেতা পোপ ফ্রান্সিস মারা গেছেন। ৮৮ বছর বয়সে ভ্যাটিকানের কাসা সান্তা মার্তায় নিজ বাসভবনে আজ সোমবার মারা যান তিনি। ভ্যাটিকানের বিবৃতির বরাত দিয়ে এই মৃত্যু সংবাদ জানিয়েছে বিবিসি।
৪ ঘণ্টা আগেভেনেজুয়েলার কারাগারে আটক রাজনৈতিক বন্দীদের বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে নির্বাসিত ২৫২ ভেনেজুয়েলান বন্দীকে প্রত্যর্পণের প্রস্তাব দিয়েছে এল সালভাদর। গতকাল রোববার সামাজিক মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে এ প্রস্তাব দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট নায়িব বুকেলে।
৪ ঘণ্টা আগে