Ajker Patrika

আরএসএস-এর শতবর্ষ উদ্‌যাপনে আমন্ত্রণ পাচ্ছে না বাংলাদেশ-পাকিস্তান-তুরস্ক

অনলাইন ডেস্ক
আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। ছবি: সংগৃহীত
আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) তাদের শতবর্ষ উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও তুরস্কের দূতাবাসগুলোকে আমন্ত্রণ জানাবে না। তবে যেসব দেশের দূতাবাসের সঙ্গে সংগঠনটির নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে, সেগুলোর প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। আরএসএসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বর্তমানে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, আগামী ২৬ আগস্ট দিল্লিতে তিন দিনব্যাপী একটি সংলাপ আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে আরএসএস-এর শতবর্ষ উদ্‌যাপনের মূল অনুষ্ঠানমালা। ‘সংঘের শতবর্ষের যাত্রা, রাষ্ট্র গঠনে ভূমিকা এবং ভবিষ্যৎ ভারতের রূপরেখা’—এই তিনটি মূল বিষয়ে আলোচনার জন্য অনুষ্ঠিত হবে এই সংলাপ। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৫টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে অনুষ্ঠান, যার নেতৃত্ব দেবেন সংগঠনের সরসংঘচালক মোহন ভাগবত।

এই সংলাপ হবে চারটি বড় আয়োজনের প্রথমটি। বাকি তিন অনুষ্ঠানের মধ্যে—একটি হবে নভেম্বরে বেঙ্গালুরুতে, এরপর কলকাতা ও মুম্বাইতে। প্রতিটি শহরে অনুষ্ঠান হবে তিন দিনব্যাপী। প্রথম দুই দিন ভাগবতের ধারাবাহিক বক্তৃতা এবং তৃতীয় দিন আগেভাবে জমা দেওয়া প্রশ্নের উত্তরপর্ব অনুষ্ঠিত হবে।

দিল্লির অনুষ্ঠানে আলোচনা হবে ‘পঞ্চ পরিবর্তন’ বা পাঁচ রূপান্তরের বিষয়েও। এটি আরএসএস-এর শতবর্ষ উদ্‌যাপনের মূল এজেন্ডার অংশ, যেখানে ভারতকে তার নিজস্ব শক্তির ওপর দাঁড়িয়ে গড়ে তোলার ধারণা প্রাধান্য পাচ্ছে। মোহন ভাগবতের বক্তৃতায় উঠে আসতে পারে—ঔপনিবেশিক ধ্যানধারণার বাইরে এসে স্বকীয় চেতনার ওপর ভিত্তি করে দেশের ভবিষ্যৎ নির্মাণ, নানা খাতে অজানা সক্ষমতা খুঁজে বের করা এবং বিশ্বমঞ্চে ভারতের উদীয়মান ভূমিকার কথা।

আরএসএস-এর প্রচার বিভাগের প্রধান সুনীল আম্বেকর জানিয়েছেন, শতবর্ষ উদ্‌যাপনের এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে ১৭টি মূল বিভাগ ও ১৩৮টি উপবিভাগ ধরে। এর মধ্যে রয়েছে—সামাজিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয়, আধ্যাত্মিক, ক্রীড়া, শিল্প, গণমাধ্যম ও বুদ্ধিজীবী শ্রেণি। এতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি অঙ্গনের পরিচিত মুখ, চিন্তাবিদ এবং স্টার্টআপ, প্রযুক্তি ও ভারতীয় জ্ঞানচর্চা খাতের উদ্যোক্তারা থাকছেন।

আম্বেকর বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য, সমাজের সব স্তরের সঙ্গে সংলাপে বসা। আমরা চাই, গোটা দেশ যেন একসঙ্গে এগিয়ে চলে উন্নয়নের পথে।’

তবে বিদেশি মিশনগুলোর মধ্যে বাছাই করা হচ্ছে কাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। এই প্রসঙ্গে সুনীল আম্বেকর বলেন, ‘আমরা অনেক দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ জানানো হবে না।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংগঠনের এক অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও তুরস্ককেও আমন্ত্রণ জানানো হবে না।

শুধু প্রথাগত অতিথিরাই নন, নতুন প্রজন্মের তরুণ উদ্ভাবকদেরও এই আয়োজনের আওতায় আনা হচ্ছে। যারা প্রযুক্তি, ভাষা সংরক্ষণ ও উদ্ভাবনী উদ্যোগে কাজ করছেন, এমন অনেক তরুণ উদ্যোক্তাকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে। এই বিশাল আয়োজনকে ঘিরে ইতিমধ্যেই আরএসএস নানা মহলে যোগাযোগ শুরু করেছে। বিজয়াদশমী তথা ২ অক্টোবর হবে তাদের শতবর্ষ উদ্‌যাপনের মূলদিন। তার আগপর্যন্ত চলবে দেশব্যাপী নানা আয়োজন ও প্রচার কর্মসূচি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির দিনে এনসিপির শীর্ষ ৫ নেতা হঠাৎ কক্সবাজারে কেন

কক্সবাজারে পিটার হাসের সঙ্গে এনসিপি নেতাদের বৈঠকের খবর, ‘গুজব’ বললেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

জুলাই ঘোষণাপত্র: গণ-অভ্যুত্থানের দলিলে যা যা রয়েছে

২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারতের শুল্ক অনেক বাড়িয়ে দেব: ট্রাম্পের হুমকি

যুক্তরাষ্ট্রে পর্যটন ভিসা পেতে লাগতে পারে ১১ লাখ টাকার জামানত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত