Ajker Patrika

তুরস্ক উপকূলে পৌঁছাল ইউক্রেনের শস্যবাহী জাহাজ

আপডেট : ০৩ আগস্ট ২০২২, ১২: ৪৫
তুরস্ক উপকূলে পৌঁছাল ইউক্রেনের শস্যবাহী জাহাজ

জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় গত মাসে শস্য ও সার রপ্তানি নিয়ে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে চুক্তি হওয়ার পর প্রথম খাদ্যশস্যবাহী একটি জাহাজ তুরস্ক উপকূলে পৌঁছেছে। 

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার তুরস্কের উপকূলে নিরাপদে নোঙর করে ইউক্রেনের শস্য বহনকারী জাহাজ। আঙ্কারার একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, রপ্তানি চুক্তি বহাল থাকা পর্যন্ত প্রতিদিন অন্তত একটি শস্যবাহী জাহাজ ইউক্রেন থেকে ছেড়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। 

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর ইউক্রেনের বন্দরগুলো অবরুদ্ধ ছিল। তবে সম্প্রতি জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় দুই দেশ জাহাজ চলাচল আবারও শুরু করার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছায়। 

তুরস্ক ও ইউক্রেনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, স্থানীয় সময় সোমবার (১ আগস্ট) সকালে ‘রাজোনি’ নামের জাহাজটি ওডেসা থেকে লেবাননের ত্রিপোলি বন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়। চুক্তির আওতায় সামনে আরও কিছু শস্যবাহী জাহাজ ইউক্রেনের বন্দর ছেড়ে যাবে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। 

বিশ্বে মোট গম রপ্তানির এক-তৃতীয়াংশই রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে হয়ে থাকেবিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, জাতিসংঘ ও তুরস্ক আলোচনার মাধ্যমে স্থির করেছে, সাগরের একটি নিরাপদ করিডর দিয়ে এই শস্যবাহী জাহাজ চলবে। প্রথম জাহাজটি ২৬ হাজার টন শস্য বহন করছে। 

বিশ্বে মোট গম রপ্তানির এক-তৃতীয়াংশই রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে হয়ে থাকে। তবে যুদ্ধকে কেন্দ্র করে কৃষ্ণসাগরে শস্য সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিশ্বজুড়ে খাদ্যসংকট দেখা দেয়। এই সংকট মোকাবিলায় গত ২২ জুলাই জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে শস্য রপ্তানির এক ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। 

চুক্তির অধীনে ইউক্রেনের বৃহত্তম রপ্তানি বন্দর ওডেসাসহ তিনটি বন্দর দিয়ে শস্য ও সার রপ্তানি হবে। চুক্তিতে চেরনোমোরস্ক, ওডেসা ও পিভদেন্নি বন্দর থেকে জাহাজ ছেড়ে যাওয়া এবং অন্য বন্দর থেকে সেখানে জাহাজ আসার জন্য নিরাপদ পথ নিশ্চিত করা হয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত