Ajker Patrika

সৌদি-ইরান কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন: স্বাগত জানাল ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১২ মার্চ ২০২৩, ১২: ৩১
সৌদি-ইরান কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন: স্বাগত জানাল ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র

চীনের মধ্যস্থতায় কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে সম্মত হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশ ইরান ও সৌদি আরব। গত শুক্রবার চীনের বেইজিংয়ে এক বৈঠকে দেশ দুটি সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে সম্মত হয়। এমনকি দেশ দুটি দূতাবাস চালুর বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে দূতাবাস চালু হবে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আল জাজিরা।

বিশ্লেষকেরা এটিকে ‘পরিবর্তনশীল বিশ্বব্যবস্থার’ বড় সংকেত হিসেবে দেখছেন। দীর্ঘ সাত বছর পর নতুন করে দেশ দুটির কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র।

আজ রোববার আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি-ইরান মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

ইইউ মুখপাত্র পিটার স্ট্যানো বলেন, ‘সৌদি-ইরান মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের বিষয়টিকে স্বাগত জানাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এখন এটা বাস্তবায়নের অপেক্ষায় রয়েছে।’

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবির বরাতে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইয়েমেন যুদ্ধের অবসান এবং মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি প্রশমনে যেকোনো উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

জন কিরবি বলেন, `ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের বিষয় নিয়ে যে আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়টি ওয়াশিংটনকে অবগত করেছিল সৌদি। তবে যুক্তরাষ্ট্র এতে সরাসরি যুক্ত ছিল না।'

দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের বিষয়ে সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি এক বিবৃতিতে বলেছে, রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব এবং একে অপরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে ইরান ও সৌদি। ২০০১ সালে স্বাক্ষরিত নিরাপত্তা চুক্তিটি সচল করতেও উভয় দেশ বৈঠকে ঐকমত্য পোষণ করেছে।

মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব বিস্তার নিয়ে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে বিরোধ দীর্ঘদিনের। ২০১৬ সালে ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল সৌদি। আঞ্চলিক নানা ইস্যুতে দেশ দুটির মধ্যে এত দিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। তেহরান ও রিয়াদের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের ফলে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে এর প্রভাব পড়বে বলে আল জাজিরার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০১৬ সালে সৌদি আরব একজন বিশিষ্ট শিয়া মুসলিম ধর্মগুরুকে মৃত্যুদণ্ড দিলে উপসাগরীয় দুটি দেশের মধ্যে সম্পর্ক ছিন্ন হয়। এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ইরানে বিক্ষোভ হয় এবং বিক্ষোভকারীরা তেহরানে সৌদি দূতাবাসে হামলা চালায়। তবে উভয়ের মধ্যে ভূরাজনৈতিক সংঘাত আরও কয়েক দশক আগে থেকেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

৬ জ্যান্ত হাতি নিয়ে রাশিয়ায় মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান, উচ্ছ্বসিত পুতিন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত