Ajker Patrika

যুক্তরাষ্ট্রে বৈঠকে বসলেন সি-কিশিদা, আলোচিত হয়েছে যেসব বিষয়

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০২৩, ১৩: ৫৬
Thumbnail image

চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা সাক্ষাৎ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোয় অনুষ্ঠিত এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় সহযোগিতা জোটের ৩০তম শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বৈঠক করেন এ দুই নেতা। স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে দুই নেতা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কৌশলগত বিষয় নিয়ে কথা বলেন। 

চীনা রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই দুই নেতা বৈঠকে চীন-জাপান সম্পর্কের মূল ভিত্তিতে কোনোভাবেই নড়বড়ে বা ক্ষতিগ্রস্ত করা চলবে বলে একমত হন। এ সময় দুই নেতাই তাইওয়ান ও ঐতিহাসিক ইস্যুতেও দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের যে ভিত রয়েছে, তাতে কোনো আঘাত না আসতে দেওয়ার ব্যাপারে একমত হন। 

বৈঠকে চীন ও জাপানের শীর্ষ দুই নেতা উভয় দেশের সাধারণ স্বার্থ রক্ষার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি বিদ্যমান বিভেদ মিটিয়ে চীন-জাপানের মধ্যে ঐতিহাসিক চারটি নথির অনুকূলে দুই দেশের সম্পর্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় মূলনীতি নির্ধারণ করা উচিত বলে মত ব্যক্ত করে, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং। 
 
চীন ও জাপানের বেশ কিছু বিশ্লেষক মনে করেন, সাম্প্রতিক সময়ে জাপানের চীনসংক্রান্ত নীতি আগের স্বকীয়তা হারিয়ে অনেক বেশি যুক্তরাষ্ট্রঘেঁষা হয়ে পড়েছে। আর তাই টোকিওর পররাষ্ট্রনীতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির ছায়া পড়েছে এবং এর ফলে চীন ও জাপানের মধ্যে সহাবস্থান ও অবকাঠামোগত সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। 

এই অবস্থা যদি বেশি দিন ধরে চলতে থাকে, তাহলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখার জন্য উচ্চপর্যায়ের সংলাপের প্রয়োজনীয়তা আরও বাড়বে। বিশ্লেষকদের মতে, দুই দেশের শীর্ষ নেতার বৈঠক দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। 

এর আগে সি চিনপিং ও ফুমিও কিশিদা প্রায় এক বছর আগে বৈঠকে বসেছিলেন। সে সময় অর্থাৎ, ২০২২ সালের নভেম্বরে এ দুই নেতা থাইল্যান্ডের ব্যাংককে এক সম্মেলনের ফাঁকে বৈঠকে বসেছিলেন। তবে তার পরও দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক খুব একটা স্বাভাবিক ছিল না। তাইওয়ান, দক্ষিণ চীন সাগর, ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের তেজস্ক্রিয় পানি সাগরে ফেলাসহ ও অন্যান্য বিভিন্ন ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক ব্যাপক শীতলতার মধ্য দিয়ে গেছে। এই অবস্থায় এ দুই নেতার বৈঠককে বহুল কাঙ্ক্ষিত বলে আখ্যা দিয়েছেন বিশ্লেষকেরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত