Ajker Patrika

চীন-ভারত সীমান্তে সামরিক সংঘাতের বিষয়ে সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২৪, ১৬: ২৯
Thumbnail image

চীন ও ভারতের বিতর্কিত সীমান্তে আবার সামরিক সংঘাত হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে। মূলত, দুই দেশের সাধারণ সীমান্তে বিপুল পরিমাণ সেনা মোতায়েনের প্রেক্ষাপটে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ১১ মার্চ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স (এনআই)। 

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স (এনআই) প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে ভারত ও চীনের মধ্যকার বিক্ষিপ্ত সম্পর্ক আমলে নিয়ে বলা হয়েছে, দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে অতীতের বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষগুলোর বিষয়ে ভুল-বোঝাবুঝি সহিংসতার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘চীন ও ভারতের মধ্যে যে সাধারণ দ্বন্দ্বগুলো বিদ্যমান তা দেশ দুটির দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলতেই থাকবে। যদিও দেশ দুটি ২০২০ সালের পর সীমান্তে বড় ধরনের কোনো সংঘাতে জড়ায়নি কিন্তু উভয় দেশই সীমান্তে বিপুল পরিমাণ সেনা মজুত করেছে। এই অবস্থায় যেকোনো ভুল-বোঝাবুঝি দুই দেশের মধ্যে সশস্ত্র সংঘাত সৃষ্টি করতে পারে।’
 
মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানে চীনা সামরিক ঘাঁটির বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে, এই দুই দেশে চীনা সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি দেশটির জ্বালানি ও অন্যান্য কৌশলগত স্বার্থ রক্ষার জন্য রক্ষাকবচ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। 

এদিকে, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে উভয় দেশই সীমান্তে অন্তত ৫০ হাজার করে সেনা মোতায়েন করে রেখেছে। অপরদিকে, ভারত স্পষ্ট করে বলেছে, সীমান্ত এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না।

ভারত সরকারকে দেওয়া গোয়েন্দা তথ্য অনুসারে, ভারত ২০২০ সালে লাদাখে প্রায় ১ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা চীনা নিয়ন্ত্রণে হারিয়েছে। সেই বছরের সংঘাতের পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে ২৮ দফা আলোচনা হয়েছে। কিন্তু এসব আলোচনা অচলাবস্থা কাটাতে ব্যর্থ হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত