Ajker Patrika

দ্বিতীয় আফ্রিকান দেশ হিসেবে ৫-জি নেটওয়ার্কে কেনিয়া

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image

আফ্রিকার দ্বিতীয় দেশ হিসেবে ৫-জি নেটওয়ার্কে প্রবেশ করল কেনিয়া। মোবাইল নেটওয়ার্ক সাফারিকম কেনিয়ার চারটি শহরে এ কার্যক্রম শুরু করেছে। আগামী বছরের মধ্যে নয়টি শহরকে ৫-জি নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে।

বিশ্বখ্যাত ব্যবসায়িক সংবাদ সাইট ইয়াহু ফিন্যান্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাফারিকমের প্রধান নির্বাহী পিটার নিগাওয়া গত সপ্তাহে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি এ কার্যক্রমকে ‘দেশের জন্য বিরাট মাইলফলক’ বলে উল্লেখ করেন। ফিনল্যান্ডের প্রতিষ্ঠান নোকিয়া এবং চীনা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের প্রযুক্তি নিয়ে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে সাফারিকম।

আফ্রিকায় ২০২০ সালে প্রথম ৫-জি চালুর প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান এমটিএন ও ভোডাকম দক্ষিণ আফ্রিকায় এ কার্যক্রম শুরু করে। আফ্রিকার আরও ৫টি দেশে ৫-জির অভ্যন্তরীণ ট্রায়াল চলছে। এ দেশগুলো হলো- গ্যাবন, লেসোথো, নাইজেরিয়া, উগান্ডা ও মরক্কো। তবে এসব দেশে সাধারণ মানুষকে এখন পর্যন্ত এ নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়নি।

কেনিয়া আফ্রিকান দেশ হিসেবে প্রথম দিকেই ৫-জি নেটওয়ার্কে প্রবেশ করলেও মহাদেশজুড়ে প্রযুক্তি কতটা সাড়া ফেলতে পারবে তা এখনি বলা যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে বিনিয়োগকারী ও বাজার প্রস্তুতকারীরা কতটা সফল ভূমিকা পালন করতে পারবেন তা নিয়েও প্রশ্ন আছে।

তবে এ অঞ্চলে ৫-জি ব্যাপকভাবে গৃহীত হলে প্রযুক্তিখাতে বড় সম্ভাবনা দেখছেন বিনিয়োগকারীরা।

উল্লেখ্য, ৫-জি হলো ব্রডব্যান্ড সেলুলার নেটওয়ার্কের জন্য পঞ্চম প্রজন্মের প্রযুক্তিগত মান। এটি ৪-জি ও লোয়ার ল্যাটেন্সির চেয়ে ১০০ গুণ বেশি গতিতে ডেটা সরবরাহ করে। প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১০ লাখ ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রকে ইন্টারনেট সংযোগ দিতে পারে ৫-জি নেটওয়ার্ক, যা ৪-জির তুলনায় এক লাখ গুণ বেশি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত