মানুষের হারানো দাঁত আবার গজাতে পারে—এমনই সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছেন জাপানি গবেষকেরা। তাঁরা একটি নতুন ওষুধও পরীক্ষা করছেন। এই পরীক্ষা সফল হলে দাঁত হারানোর সমস্যার সমাধানে ডেনচার বা ইমপ্লান্টের বিকল্প হতে পারে ওষুধটি।
সাধারণত, মানুষ এবং অধিকাংশ স্তন্যপায়ী প্রাণীর দাঁত দুইবার গজায়, শৈশবে আর কিশোরে। তবে ওসাকার মেডিকেল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মুখগহ্বর শল্যচিকিৎসা বিভাগের প্রধান কাতসু তাকাহাশির মতে, মানুষের মাড়ির নিচে লুকানো থাকে তৃতীয় প্রজন্মের আরও এক সেট দাঁতের কুঁড়ি!
এক প্রতিবেদনে এএফপি জানিয়েছে, তাকাহাশি এবং তাঁর দল সম্প্রতি কিয়োটো ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে এই ওষুধের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করেছেন। তাঁরা এমন একটি ওষুধ তৈরি করেছেন যা এই লুকানো দাঁত গজানোর প্রক্রিয়া সক্রিয় করতে পারে। তাকাহাশি বলেন, ‘এটি এমন একটি প্রযুক্তি যা পৃথিবীতে সম্পূর্ণ নতুন।’
ক্ষয় বা আঘাতে হারানো দাঁতের প্রতিস্থাপন বর্তমানে ব্যয়বহুল এবং অনেক ক্ষেত্রেই জটিল। তাকাহাশি মনে করেন, প্রাকৃতিক দাঁত পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হলে এর অনেক সুবিধা পাওয়া সম্ভব।
গবেষণায় দেখা গেছে, ইউএসএজি-১ নামের একটি প্রোটিন ব্লক করলে তৃতীয় প্রজন্মের দাঁত গজানোর প্রক্রিয়া শুরু করা যায়। ইঁদুর ও ফারেট নিয়ে করা পরীক্ষায় গবেষকেরা তৃতীয়বার দাঁত গজাতে সক্ষম হয়েছেন।
এদিকে মানুষের ক্ষেত্রে পরীক্ষার অংশ হিসেবে গবেষকেরা প্রথমে সেই রোগীদের দিকে মনোযোগ দিচ্ছেন, যাদের ছয় বা তার বেশি স্থায়ী দাঁত জন্মগতভাবে অনুপস্থিত। এই বিরল সমস্যায় ভোগা রোগীরা প্রায়ই চিবানোর সমস্যায় ভোগেন এবং অনেক সময় মুখের ফাঁকা জায়গা ঢাকতে মাস্ক পরেন।
তাকাহাশি বলেন, ‘এই ওষুধ তাদের জন্য জীবন বদলে দিতে পারে।’
২০৩০ সালের মধ্যেই ওষুধটি শিশুদের জন্য সহজলভ্য করার পরিকল্পনা রয়েছে।
লন্ডনের কুইন মেরি ইউনিভার্সিটির ডেন্টিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক আংগ্রে কাং বলেন, ‘তাকাহাশির দল এই ক্ষেত্রে এগিয়ে গেছে।’ তিনি জানান, এই গবেষণার সাফল্য অন্যান্য জটিল চিকিৎসার জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। তবে তিনি এটাও সতর্ক করেছেন—পরীক্ষাটির সাফল্য নির্ভর করছে দীর্ঘ মেয়াদি একাধিক পরীক্ষার ফলাফলের ওপর।
হংকং ইউনিভার্সিটির ক্লিনিক্যাল এন্ডোডন্টিক্সের অধ্যাপক চেংফেই ঝ্যাং এই গবেষণাকে অভিনব এবং সম্ভাবনাময় বলছেন। তবে তিনি মনে করিয়ে দেন—প্রাণীদের ওপর পরীক্ষা সফল হলেও মানুষের ক্ষেত্রেও তা সফল হবে, এমনটি নিশ্চিত নয়।
নিজেদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী তাকাহাশি জানান, নতুন ওষুধ দিয়ে নতুন দাঁতের অবস্থান নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। যদি তা ভুল জায়গায় গজায়, তবে অর্থোডন্টিক চিকিৎসার মাধ্যমে এটি সঠিক অবস্থানে সরানো যাবে।
বর্তমানে মানুষের ওপর প্রথম পরীক্ষায় কোনো শিশুকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এই পরীক্ষা মূলত ওষুধের নিরাপত্তা যাচাইয়ের জন্য। তবে যদি অংশগ্রহণকারী প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে কারও নতুন দাঁত গজায়, তবে এটি দাঁত পুনর্জন্মের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী আবিষ্কার হবে।
তাকাহাশি বলেন, ‘যদি এমনটি ঘটে, তবে আমি অত্যন্ত আনন্দিত হব।’
উল্লেখ্য, জাপানের মতো বয়স্ক জনগোষ্ঠীর জন্য এই আবিষ্কার বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। দেশটিতে ৭৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ৯০ শতাংশ মানুষের অন্তত একটি দাঁত অনুপস্থিত। তাকাহাশি বলেন, ‘আমাদের প্রযুক্তি তাঁদের স্বাস্থ্যকর জীবনকাল বাড়াতে সাহায্য করবে বলে আশা করছি।’
মানুষের হারানো দাঁত আবার গজাতে পারে—এমনই সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছেন জাপানি গবেষকেরা। তাঁরা একটি নতুন ওষুধও পরীক্ষা করছেন। এই পরীক্ষা সফল হলে দাঁত হারানোর সমস্যার সমাধানে ডেনচার বা ইমপ্লান্টের বিকল্প হতে পারে ওষুধটি।
সাধারণত, মানুষ এবং অধিকাংশ স্তন্যপায়ী প্রাণীর দাঁত দুইবার গজায়, শৈশবে আর কিশোরে। তবে ওসাকার মেডিকেল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মুখগহ্বর শল্যচিকিৎসা বিভাগের প্রধান কাতসু তাকাহাশির মতে, মানুষের মাড়ির নিচে লুকানো থাকে তৃতীয় প্রজন্মের আরও এক সেট দাঁতের কুঁড়ি!
এক প্রতিবেদনে এএফপি জানিয়েছে, তাকাহাশি এবং তাঁর দল সম্প্রতি কিয়োটো ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে এই ওষুধের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করেছেন। তাঁরা এমন একটি ওষুধ তৈরি করেছেন যা এই লুকানো দাঁত গজানোর প্রক্রিয়া সক্রিয় করতে পারে। তাকাহাশি বলেন, ‘এটি এমন একটি প্রযুক্তি যা পৃথিবীতে সম্পূর্ণ নতুন।’
ক্ষয় বা আঘাতে হারানো দাঁতের প্রতিস্থাপন বর্তমানে ব্যয়বহুল এবং অনেক ক্ষেত্রেই জটিল। তাকাহাশি মনে করেন, প্রাকৃতিক দাঁত পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হলে এর অনেক সুবিধা পাওয়া সম্ভব।
গবেষণায় দেখা গেছে, ইউএসএজি-১ নামের একটি প্রোটিন ব্লক করলে তৃতীয় প্রজন্মের দাঁত গজানোর প্রক্রিয়া শুরু করা যায়। ইঁদুর ও ফারেট নিয়ে করা পরীক্ষায় গবেষকেরা তৃতীয়বার দাঁত গজাতে সক্ষম হয়েছেন।
এদিকে মানুষের ক্ষেত্রে পরীক্ষার অংশ হিসেবে গবেষকেরা প্রথমে সেই রোগীদের দিকে মনোযোগ দিচ্ছেন, যাদের ছয় বা তার বেশি স্থায়ী দাঁত জন্মগতভাবে অনুপস্থিত। এই বিরল সমস্যায় ভোগা রোগীরা প্রায়ই চিবানোর সমস্যায় ভোগেন এবং অনেক সময় মুখের ফাঁকা জায়গা ঢাকতে মাস্ক পরেন।
তাকাহাশি বলেন, ‘এই ওষুধ তাদের জন্য জীবন বদলে দিতে পারে।’
২০৩০ সালের মধ্যেই ওষুধটি শিশুদের জন্য সহজলভ্য করার পরিকল্পনা রয়েছে।
লন্ডনের কুইন মেরি ইউনিভার্সিটির ডেন্টিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক আংগ্রে কাং বলেন, ‘তাকাহাশির দল এই ক্ষেত্রে এগিয়ে গেছে।’ তিনি জানান, এই গবেষণার সাফল্য অন্যান্য জটিল চিকিৎসার জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। তবে তিনি এটাও সতর্ক করেছেন—পরীক্ষাটির সাফল্য নির্ভর করছে দীর্ঘ মেয়াদি একাধিক পরীক্ষার ফলাফলের ওপর।
হংকং ইউনিভার্সিটির ক্লিনিক্যাল এন্ডোডন্টিক্সের অধ্যাপক চেংফেই ঝ্যাং এই গবেষণাকে অভিনব এবং সম্ভাবনাময় বলছেন। তবে তিনি মনে করিয়ে দেন—প্রাণীদের ওপর পরীক্ষা সফল হলেও মানুষের ক্ষেত্রেও তা সফল হবে, এমনটি নিশ্চিত নয়।
নিজেদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী তাকাহাশি জানান, নতুন ওষুধ দিয়ে নতুন দাঁতের অবস্থান নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। যদি তা ভুল জায়গায় গজায়, তবে অর্থোডন্টিক চিকিৎসার মাধ্যমে এটি সঠিক অবস্থানে সরানো যাবে।
বর্তমানে মানুষের ওপর প্রথম পরীক্ষায় কোনো শিশুকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এই পরীক্ষা মূলত ওষুধের নিরাপত্তা যাচাইয়ের জন্য। তবে যদি অংশগ্রহণকারী প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে কারও নতুন দাঁত গজায়, তবে এটি দাঁত পুনর্জন্মের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী আবিষ্কার হবে।
তাকাহাশি বলেন, ‘যদি এমনটি ঘটে, তবে আমি অত্যন্ত আনন্দিত হব।’
উল্লেখ্য, জাপানের মতো বয়স্ক জনগোষ্ঠীর জন্য এই আবিষ্কার বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। দেশটিতে ৭৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ৯০ শতাংশ মানুষের অন্তত একটি দাঁত অনুপস্থিত। তাকাহাশি বলেন, ‘আমাদের প্রযুক্তি তাঁদের স্বাস্থ্যকর জীবনকাল বাড়াতে সাহায্য করবে বলে আশা করছি।’
দুই মাস বয়সী ছেলেকে নিয়ে ঢাকার মহাখালীতে সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে আছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের এক ব্যক্তি। জলবসন্তে (চিকেনপক্স) আক্রান্ত ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করান ৯ এপ্রিল। সংক্রামক এ রোগ শিশুটির শরীরে মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি করেছে। এখন পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেক্যাম্পিউটেড টোমোগ্রাফি। এই খটমটে নামে না চিনলেও ‘সিটি স্ক্যান’ বললে সহজে চিনে ফেলি আমরা। চিকিৎসাক্ষেত্রে রোগ শনাক্ত ও পর্যবেক্ষণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা এটি। অনেক সময় জীবন রক্ষাকারী প্রযুক্তি হিসেবে কাজ করে এটি। সাধারণত রোগনির্ণয়ে বা কোনো দুর্ঘটনার শিকার হলে কতটা ক্ষতি হয়েছে...
১ দিন আগেখুবই কমদামি দুটি ওষুধের সমন্বিত ব্যবহার প্রতিরোধ করতে পারে হাজার হাজার স্ট্রোক ও হৃদ্রোগ। সাম্প্রতিক এক গবেষণার বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন ব্রিটিশ ও সুইডিশ একদল গবেষক। তাঁরা বলেছেন, দুটি সস্তা ওষুধ একসঙ্গে ব্যবহার করলে হাজার হাজার হৃদ্রোগ বা স্ট্রোক প্রতিরোধ করা যেতে পারে এবং বহু মানুষের জীবন...
১ দিন আগেপেটের ফ্লু, যাকে ভাইরাল গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিসও বলা হয়, এটি পেটের এক ধরনের সংক্রমণ। এই সমস্যায় বমি ভাব, ডায়রিয়া, পেটব্যথা এবং ক্র্যাম্পের (পেটে মোচড় দেওয়া) মতো লক্ষণ দেখা যায়। এটি সাধারণত ভাইরাস সংক্রমণের কারণে হয়। সাধারণত বেশির ভাগ পেটের ফ্লু–এর জন্য দায়ী নরোভাইরাস।
১ দিন আগে