ডা. মো. নাজমুল হক মাসুম
মলদ্বারে যদি কারও ক্যানসার হয়, সেটা যদি পায়ুপথ থেকে কিছুটা ওপরে থাকে সে ক্ষেত্রে পেটে স্থায়ীভাবে ব্যাগ লাগানোর প্রয়োজন হয় না। আজকাল বিভিন্ন স্ট্যাপলার ডিভাইসের মাধ্যমে এর অপারেশন করা হয়। ক্যানসারের চিকিৎসার পাশাপাশি এর পরে বা আগে থেরাপির প্রয়োজন হয়। তাই মলদ্বারে ক্যানসারের চিকিৎসায় সার্জন, মেডিকেল অনকোলজিস্ট, রেডিওলজিস্ট এবং প্যাথলজিস্টের সমন্বয়ে মাল্টি ডিসিপ্লিনারি টিম গঠনের মাধ্যমে চিকিৎসা হচ্ছে দেশে।
ক্যানসারের চিকিৎসা মানেই বিদেশে যেতে হবে—এমন একটা মনোভাব আছে দেশের মানুষের। বিদেশে চিকিৎসার বড় সমস্যা হলো, পরবর্তী সময়ে রোগীর যে ফলোআপের প্রয়োজন তা অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব হয় না।
মাল্টি ডিসিপ্লিনারি টিমের মাধ্যমে যেহেতু এখন চিকিৎসা দেওয়া হয়, তাই অনেক ভুলভ্রান্তি এড়ানো যায়। এখন পেটে স্থায়ীভাবে ব্যাগ না লাগিয়েও রেকটামের চিকিৎসা সম্ভব। দেশে এখন ল্যাপারস্কোপির মাধ্যমে চিকিৎসা হচ্ছে। তবে ক্যানসারের চিকিৎসার প্রধান শর্ত, প্রাথমিক অবস্থায় ক্যানসার শনাক্ত হতে হবে। এতে চিকিৎসার সফলতা অনেক বেশি। ক্যানসার যদি দীর্ঘদিন ধরে থাকে, শরীরের বিভিন্ন অংশে জড়িয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে এর চিকিৎসা জটিল হয়ে যায়, সেটা দেশে হোক বা বিদেশে।
ক্যানসার হলেই মানুষ মারা যায়, এ থেকে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই, স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারবেন না—এ কথাগুলো সব সময় ঠিক নয়। রেকটামের অপারেশন করার পর রোগীরা স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন বলে আমাদের অভিজ্ঞতায় দেখেছি। অনেক অবিবাহিত মেয়ের ক্যানসার অপারেশন করার পর বিয়ে হয়েছে, সন্তান হয়েছে। পুরুষ রোগীদের ক্ষেত্রেও বিয়ে হয়েছে, সন্তান হয়েছে। তাঁরা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছেন। চাকরি করতে পারছেন। কাজেই অহেতুক ভয় পাবেন না।
কারও যদি রেকটামে ক্যানসার হয়, পেটে স্থায়ীভাবে ব্যাগ লাগানোর প্রয়োজনও হয়ে থাকে; সে ক্ষেত্রেও স্বাভাবিক জীবনযাপন বাধাগ্রস্ত হয় না। তাই অযথাই ভয় পাওয়ার কারণ নেই। মলদ্বারের নিচের অংশে ক্যানসার হলে অনেক ক্ষেত্রে পেটে স্থায়ীভাবে ব্যাগ লাগিয়ে দিতে হয়। অনেকে এটি ভেবে বিভিন্ন রকমের অপচিকিৎসা নেন বা চিকিৎসা না করিয়েই বসে থাকেন। এ ক্ষেত্রে সময় যত গড়াবে, ক্যানসার ততই ছড়িয়ে যেতে থাকবে। তখন চিকিৎসা জটিল হয়ে যাবে। পৃথিবীতে অনেক রোগী রয়েছেন, যাঁরা কোলস্টমি ব্যাগ নিয়েও স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন, ঘরসংসার করছেন। কাজেই রেকটামের ক্যানসার নিয়ে
ভয় পাবেন না।
ডা. মো. নাজমুল হক মাসুম, জেনারেল ও কোলোরেকটাল সার্জন, সহযোগী অধ্যাপক, ঢাকা মেডিকেল কলেজ
মলদ্বারে যদি কারও ক্যানসার হয়, সেটা যদি পায়ুপথ থেকে কিছুটা ওপরে থাকে সে ক্ষেত্রে পেটে স্থায়ীভাবে ব্যাগ লাগানোর প্রয়োজন হয় না। আজকাল বিভিন্ন স্ট্যাপলার ডিভাইসের মাধ্যমে এর অপারেশন করা হয়। ক্যানসারের চিকিৎসার পাশাপাশি এর পরে বা আগে থেরাপির প্রয়োজন হয়। তাই মলদ্বারে ক্যানসারের চিকিৎসায় সার্জন, মেডিকেল অনকোলজিস্ট, রেডিওলজিস্ট এবং প্যাথলজিস্টের সমন্বয়ে মাল্টি ডিসিপ্লিনারি টিম গঠনের মাধ্যমে চিকিৎসা হচ্ছে দেশে।
ক্যানসারের চিকিৎসা মানেই বিদেশে যেতে হবে—এমন একটা মনোভাব আছে দেশের মানুষের। বিদেশে চিকিৎসার বড় সমস্যা হলো, পরবর্তী সময়ে রোগীর যে ফলোআপের প্রয়োজন তা অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব হয় না।
মাল্টি ডিসিপ্লিনারি টিমের মাধ্যমে যেহেতু এখন চিকিৎসা দেওয়া হয়, তাই অনেক ভুলভ্রান্তি এড়ানো যায়। এখন পেটে স্থায়ীভাবে ব্যাগ না লাগিয়েও রেকটামের চিকিৎসা সম্ভব। দেশে এখন ল্যাপারস্কোপির মাধ্যমে চিকিৎসা হচ্ছে। তবে ক্যানসারের চিকিৎসার প্রধান শর্ত, প্রাথমিক অবস্থায় ক্যানসার শনাক্ত হতে হবে। এতে চিকিৎসার সফলতা অনেক বেশি। ক্যানসার যদি দীর্ঘদিন ধরে থাকে, শরীরের বিভিন্ন অংশে জড়িয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে এর চিকিৎসা জটিল হয়ে যায়, সেটা দেশে হোক বা বিদেশে।
ক্যানসার হলেই মানুষ মারা যায়, এ থেকে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই, স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারবেন না—এ কথাগুলো সব সময় ঠিক নয়। রেকটামের অপারেশন করার পর রোগীরা স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন বলে আমাদের অভিজ্ঞতায় দেখেছি। অনেক অবিবাহিত মেয়ের ক্যানসার অপারেশন করার পর বিয়ে হয়েছে, সন্তান হয়েছে। পুরুষ রোগীদের ক্ষেত্রেও বিয়ে হয়েছে, সন্তান হয়েছে। তাঁরা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছেন। চাকরি করতে পারছেন। কাজেই অহেতুক ভয় পাবেন না।
কারও যদি রেকটামে ক্যানসার হয়, পেটে স্থায়ীভাবে ব্যাগ লাগানোর প্রয়োজনও হয়ে থাকে; সে ক্ষেত্রেও স্বাভাবিক জীবনযাপন বাধাগ্রস্ত হয় না। তাই অযথাই ভয় পাওয়ার কারণ নেই। মলদ্বারের নিচের অংশে ক্যানসার হলে অনেক ক্ষেত্রে পেটে স্থায়ীভাবে ব্যাগ লাগিয়ে দিতে হয়। অনেকে এটি ভেবে বিভিন্ন রকমের অপচিকিৎসা নেন বা চিকিৎসা না করিয়েই বসে থাকেন। এ ক্ষেত্রে সময় যত গড়াবে, ক্যানসার ততই ছড়িয়ে যেতে থাকবে। তখন চিকিৎসা জটিল হয়ে যাবে। পৃথিবীতে অনেক রোগী রয়েছেন, যাঁরা কোলস্টমি ব্যাগ নিয়েও স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন, ঘরসংসার করছেন। কাজেই রেকটামের ক্যানসার নিয়ে
ভয় পাবেন না।
ডা. মো. নাজমুল হক মাসুম, জেনারেল ও কোলোরেকটাল সার্জন, সহযোগী অধ্যাপক, ঢাকা মেডিকেল কলেজ
বিগত কয়েক দশক ধরেই বিশ্বে অন্যতম স্বাস্থ্য সমস্যা মুটিয়ে যাওয়া ও স্থূলতা। আগামী কয়েক দশকে এই সমস্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, বিশ্বব্যাপী ২০৫০ সালের মধ্যে অর্ধেকের বেশি প্রাপ্তবয়স্ক এবং এক-তৃতীয়াংশ শিশু ও কিশোর-কিশোরী অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতার শিকার হবে। এই বিষয়টি
৫ ঘণ্টা আগে২০২৫ সালে এসেও এই চিত্র খুব একটা বদলায়নি। এখনো স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি ৪টি উপাদান লৌহ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি ১২, জিংকের ঘাটতিতে ভুগছে প্রায় ২৫ শতাংশ কিশোরী এবং স্থূলতায় আক্রান্ত কমপক্ষে ১০ শতাংশ।
৬ ঘণ্টা আগেআত্মহত্যা একটি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে বাংলাদেশে আত্মহত্যার প্রবণতা বিশেষভাবে উদ্বেগজনক। বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যা প্রতিরোধের উদ্যোগ নেওয়া হলেও বাংলাদেশে এখনো আত্মহত্যা সংক্রান্ত পর্যাপ্ত গবেষণা ও কার্যকর নীতিমালা তৈরি হয়নি
৭ ঘণ্টা আগেদেশে এক দশক আগে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এবার এক স্থানে একাধিক ব্যক্তির শরীরে ভাইরাসটির সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে, যাকে ক্লাস্টার (গুচ্ছ) সংক্রমণ বলা হয়। একই এলাকার পাঁচ ব্যক্তির সংক্রমণের বিষয়টি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)।
৮ ঘণ্টা আগে