হার্টের রিংয়ের (কার্ডিয়াক স্টেন্ট) দাম কমিয়ে জনসাধারণের প্রশংসা পাওয়া ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর তিন মাসের মধ্যে দাম বাড়িয়ে দিল এবার। গতকাল মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে হার্টের রিংয়ের দাম পুনর্নির্ধারণ করার কথা জানিয়েছে অধিদপ্তর। এতে ব্র্যান্ডভেদে ১৩ থেকে ২৫ শতাংশ বাড়ল রিংয়ের দাম।
মূলত ডিসেম্বরে মূল্য সমন্বয়ের পর থেকে ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালীদের অব্যাহত চাপের মুখে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর রিংয়ের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য খাতের বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, দীর্ঘ আলোচনা-পর্যালোচনা এবং যৌক্তিক চাপ প্রয়োগের একপর্যায়ে গত ডিসেম্বরে হার্টের রিংয়ের দাম সমন্বয় করা হয়, যা পরবর্তী সময়ে আরও কমিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশের সমপর্যায়ে আনার কথা ছিল। কিন্তু তার পরিবর্তে উল্টো দাম বাড়ানো হলো। এটি দেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণার শামিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কিছু অসাধু কর্মকর্তা এবং কিছু অর্থলোভী চিকিৎসকের লোভের কাছে জাতীয় স্বার্থ পরাজিত হয়েছে। তবে ঔষধ প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিদের স্বজনেরা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে উপস্থিত হয়ে দাম বাড়াতে বাধ্য করেছেন। এখানে আমাদের অসহায় আত্মসমর্পণ ছাড়া কিছুই করার ছিল না।’
ঔষধ প্রশাসন এ দফায় ২৩টি রিংয়ের দাম বাড়িয়েছে। সংস্থাটির নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী পোল্যান্ড থেকে আমদানি হওয়া অ্যালেক্স প্লাস স্টেন্টের দাম নির্ধারণ হয়েছে ৬০ হাজার টাকা। তিন মাসে আগে এটির দাম ধার্য করা হয়েছিল ৫৩ হাজার টাকা। অর্থাৎ তিন মাসের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ৭ হাজার টাকা। সুইজারল্যান্ডের অরসিরো স্টেন্টের দাম আগে ছিল ৫৮ হাজার টাকা; এটি বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬৮ হাজার টাকা। প্রো-নাইটিক এনার্জির দাম ছিল ১৫ হাজার; এটি বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে। এ ছাড়া দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমদানি করা জেনাস ডিইএস স্টেন্টের দাম ৪৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫৬ হাজার টাকা করা হয়েছে। স্পেনের আইভাসকুরার দাম ৫৩ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৬২ হাজার টাকা করা হয়েছে।
গত ডিসেম্বরে মূল্য সমন্বয়ের মাধ্যমে ভারতের এভারমাইনের স্টেন্টের দাম ৪০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল; এখন সেটি বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা ডিরেক্ট স্টেন্টসিরোর স্টেন্টের দাম ছিল ৫৫ হাজার টাকা; সেটি বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬৬ হাজার টাকা।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফের সভাপতিত্বে ইউরোপীয় এবং অন্যান্য দেশের হার্টের রিং উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সদ্য সাবেক মুখপাত্র ও উপপরিচালক মো. নূরুল আলম বলেন, গত ডিসেম্বরে দাম কমানোর পরে উচ্চ আদালতে একটি রিট মামলা হয়। তা ছাড়া আমদানিকারকদের ক্রমাগত দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আলোচনা হয়। সেখানে তাঁরা ডালারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আমদানি ব্যয় বাড়ার যুক্তি দেখান। তাই সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়।
হার্টের রিংয়ের (কার্ডিয়াক স্টেন্ট) দাম কমিয়ে জনসাধারণের প্রশংসা পাওয়া ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর তিন মাসের মধ্যে দাম বাড়িয়ে দিল এবার। গতকাল মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে হার্টের রিংয়ের দাম পুনর্নির্ধারণ করার কথা জানিয়েছে অধিদপ্তর। এতে ব্র্যান্ডভেদে ১৩ থেকে ২৫ শতাংশ বাড়ল রিংয়ের দাম।
মূলত ডিসেম্বরে মূল্য সমন্বয়ের পর থেকে ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালীদের অব্যাহত চাপের মুখে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর রিংয়ের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য খাতের বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, দীর্ঘ আলোচনা-পর্যালোচনা এবং যৌক্তিক চাপ প্রয়োগের একপর্যায়ে গত ডিসেম্বরে হার্টের রিংয়ের দাম সমন্বয় করা হয়, যা পরবর্তী সময়ে আরও কমিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশের সমপর্যায়ে আনার কথা ছিল। কিন্তু তার পরিবর্তে উল্টো দাম বাড়ানো হলো। এটি দেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণার শামিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কিছু অসাধু কর্মকর্তা এবং কিছু অর্থলোভী চিকিৎসকের লোভের কাছে জাতীয় স্বার্থ পরাজিত হয়েছে। তবে ঔষধ প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিদের স্বজনেরা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে উপস্থিত হয়ে দাম বাড়াতে বাধ্য করেছেন। এখানে আমাদের অসহায় আত্মসমর্পণ ছাড়া কিছুই করার ছিল না।’
ঔষধ প্রশাসন এ দফায় ২৩টি রিংয়ের দাম বাড়িয়েছে। সংস্থাটির নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী পোল্যান্ড থেকে আমদানি হওয়া অ্যালেক্স প্লাস স্টেন্টের দাম নির্ধারণ হয়েছে ৬০ হাজার টাকা। তিন মাসে আগে এটির দাম ধার্য করা হয়েছিল ৫৩ হাজার টাকা। অর্থাৎ তিন মাসের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ৭ হাজার টাকা। সুইজারল্যান্ডের অরসিরো স্টেন্টের দাম আগে ছিল ৫৮ হাজার টাকা; এটি বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬৮ হাজার টাকা। প্রো-নাইটিক এনার্জির দাম ছিল ১৫ হাজার; এটি বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে। এ ছাড়া দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমদানি করা জেনাস ডিইএস স্টেন্টের দাম ৪৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫৬ হাজার টাকা করা হয়েছে। স্পেনের আইভাসকুরার দাম ৫৩ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৬২ হাজার টাকা করা হয়েছে।
গত ডিসেম্বরে মূল্য সমন্বয়ের মাধ্যমে ভারতের এভারমাইনের স্টেন্টের দাম ৪০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল; এখন সেটি বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা ডিরেক্ট স্টেন্টসিরোর স্টেন্টের দাম ছিল ৫৫ হাজার টাকা; সেটি বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬৬ হাজার টাকা।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফের সভাপতিত্বে ইউরোপীয় এবং অন্যান্য দেশের হার্টের রিং উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সদ্য সাবেক মুখপাত্র ও উপপরিচালক মো. নূরুল আলম বলেন, গত ডিসেম্বরে দাম কমানোর পরে উচ্চ আদালতে একটি রিট মামলা হয়। তা ছাড়া আমদানিকারকদের ক্রমাগত দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আলোচনা হয়। সেখানে তাঁরা ডালারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আমদানি ব্যয় বাড়ার যুক্তি দেখান। তাই সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়।
দুই মাস বয়সী ছেলেকে নিয়ে ঢাকার মহাখালীতে সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে আছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের এক ব্যক্তি। জলবসন্তে (চিকেনপক্স) আক্রান্ত ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করান ৯ এপ্রিল। সংক্রামক এ রোগ শিশুটির শরীরে মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি করেছে। এখন পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগেক্যাম্পিউটেড টোমোগ্রাফি। এই খটমটে নামে না চিনলেও ‘সিটি স্ক্যান’ বললে সহজে চিনে ফেলি আমরা। চিকিৎসাক্ষেত্রে রোগ শনাক্ত ও পর্যবেক্ষণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা এটি। অনেক সময় জীবন রক্ষাকারী প্রযুক্তি হিসেবে কাজ করে এটি। সাধারণত রোগনির্ণয়ে বা কোনো দুর্ঘটনার শিকার হলে কতটা ক্ষতি হয়েছে...
২ দিন আগেখুবই কমদামি দুটি ওষুধের সমন্বিত ব্যবহার প্রতিরোধ করতে পারে হাজার হাজার স্ট্রোক ও হৃদ্রোগ। সাম্প্রতিক এক গবেষণার বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন ব্রিটিশ ও সুইডিশ একদল গবেষক। তাঁরা বলেছেন, দুটি সস্তা ওষুধ একসঙ্গে ব্যবহার করলে হাজার হাজার হৃদ্রোগ বা স্ট্রোক প্রতিরোধ করা যেতে পারে এবং বহু মানুষের জীবন...
২ দিন আগেপেটের ফ্লু, যাকে ভাইরাল গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিসও বলা হয়, এটি পেটের এক ধরনের সংক্রমণ। এই সমস্যায় বমি ভাব, ডায়রিয়া, পেটব্যথা এবং ক্র্যাম্পের (পেটে মোচড় দেওয়া) মতো লক্ষণ দেখা যায়। এটি সাধারণত ভাইরাস সংক্রমণের কারণে হয়। সাধারণত বেশির ভাগ পেটের ফ্লু–এর জন্য দায়ী নরোভাইরাস।
২ দিন আগে