নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বুক না কেটেই দেশে আরেকবার দুই রোগীর অ্যাওটিক ভাল্ভ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। গত সোম ও মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. প্রদীপ কুমার কর্মকারের নেতৃত্বে একটি দল এই ভাল্ভ প্রতিস্থাপন সম্পন্ন করেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৬৫ বছর বয়সী একজন পুরুষ ও ৮০ বছর বয়সী এক নারীর শরীরে ট্রান্স ক্যাথেটার অ্যাওটিক ভাল্ভ রিপ্লেসমেন্ট (টিএভিআর) পদ্ধতিতে ভাল্ভ প্রতিস্থাপন করা হয়। বর্তমানে দুজনই সুস্থ।
চিকিৎসকেরা বলছেন, হৃৎপিণ্ড মানবদেহে রক্ত সঞ্চালন করে। এই সঞ্চালন প্রক্রিয়ায় হৃৎপিণ্ডের বিভিন্ন ধরনের ভাল্ভ থাকে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভাল্ভ হলো অ্যাওটিক ভাল্ভ, যা হৃৎপিণ্ড থেকে শরীরে রক্ত সঞ্চালন করে। এই ভাল্ভ সরু হয়ে গেলে হৃৎপিণ্ড থেকে শরীরে রক্ত সঞ্চালন করতে পারে না এবং রোগীর শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা ও অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে। এসব উপসর্গ দেখা দিলে দুই বছরের মধ্যে বেশির ভাগ রোগী মারা যায়।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, অ্যাওটিক ভাল্ভ সরু হয়ে যাওয়া রোগীরা ফুসফুস ক্যানসার রোগীদের চেয়েও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এবং কম দিন বাঁচে।
ভাল্ভ প্রতিস্থাপনে নেতৃত্বদানকারী এবং হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক প্রদীপ কুমার কর্মকার বলেন, দুভাবে এই রোগের চিকিৎসা দেওয়া যায়। একটি হলো বুক কেটে। এই পদ্ধতিতে রোগীকে সম্পূর্ণ অজ্ঞান করতে হয়, বুকের হাড় কাটতে হয় এবং প্রক্রিয়াটি ঝুঁকিপূর্ণ এবং পরিপূর্ণ সুস্থ হতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগে। অন্যদিকে দ্বিতীয় পদ্ধতিতে বুক কাটতে হয় না। অজ্ঞান না করেই কম ঝুঁকিপূর্ণ এ পদ্ধতিতে পায়ের কুঁচকি দিয়ে ভাল্ভ প্রতিস্থাপন করা হয়, যাকে টিএভিআর বলা হয়।
প্রদীপ কর্মকার বলেন, ‘এ পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচারের পরে রোগী হাসপাতাল থেকে তিন দিনের মধ্যে বাসায় চলে যেতে পারেন। এমনকি এক সপ্তাহের মধ্যে কাজে যোগ দিতে পারে। তাই সারা বিশ্বে এই চিকিৎসা পদ্ধতি খুব দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘দেশে এই চিকিৎসা পদ্ধতি না থাকায় এত দিন এ ধরনের রোগীদের বিদেশে উচ্চ মূল্যে সেবা নিতে হতো। এই পদ্ধতি পরিপূর্ণভাবে দেশে চালু হলে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে বলে আমরা আশা করছি।
এর আগে ২০১৯ সালের ৫ জানুয়ারি সরকারিভাবে প্রথমবারের মতো অপেক্ষাকৃত কম খরচে এই চিকিৎসা পদ্ধতি চালু করেন এই কার্ডিওলজিস্ট।
বুক না কেটেই দেশে আরেকবার দুই রোগীর অ্যাওটিক ভাল্ভ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। গত সোম ও মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. প্রদীপ কুমার কর্মকারের নেতৃত্বে একটি দল এই ভাল্ভ প্রতিস্থাপন সম্পন্ন করেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৬৫ বছর বয়সী একজন পুরুষ ও ৮০ বছর বয়সী এক নারীর শরীরে ট্রান্স ক্যাথেটার অ্যাওটিক ভাল্ভ রিপ্লেসমেন্ট (টিএভিআর) পদ্ধতিতে ভাল্ভ প্রতিস্থাপন করা হয়। বর্তমানে দুজনই সুস্থ।
চিকিৎসকেরা বলছেন, হৃৎপিণ্ড মানবদেহে রক্ত সঞ্চালন করে। এই সঞ্চালন প্রক্রিয়ায় হৃৎপিণ্ডের বিভিন্ন ধরনের ভাল্ভ থাকে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভাল্ভ হলো অ্যাওটিক ভাল্ভ, যা হৃৎপিণ্ড থেকে শরীরে রক্ত সঞ্চালন করে। এই ভাল্ভ সরু হয়ে গেলে হৃৎপিণ্ড থেকে শরীরে রক্ত সঞ্চালন করতে পারে না এবং রোগীর শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা ও অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে। এসব উপসর্গ দেখা দিলে দুই বছরের মধ্যে বেশির ভাগ রোগী মারা যায়।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, অ্যাওটিক ভাল্ভ সরু হয়ে যাওয়া রোগীরা ফুসফুস ক্যানসার রোগীদের চেয়েও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এবং কম দিন বাঁচে।
ভাল্ভ প্রতিস্থাপনে নেতৃত্বদানকারী এবং হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক প্রদীপ কুমার কর্মকার বলেন, দুভাবে এই রোগের চিকিৎসা দেওয়া যায়। একটি হলো বুক কেটে। এই পদ্ধতিতে রোগীকে সম্পূর্ণ অজ্ঞান করতে হয়, বুকের হাড় কাটতে হয় এবং প্রক্রিয়াটি ঝুঁকিপূর্ণ এবং পরিপূর্ণ সুস্থ হতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগে। অন্যদিকে দ্বিতীয় পদ্ধতিতে বুক কাটতে হয় না। অজ্ঞান না করেই কম ঝুঁকিপূর্ণ এ পদ্ধতিতে পায়ের কুঁচকি দিয়ে ভাল্ভ প্রতিস্থাপন করা হয়, যাকে টিএভিআর বলা হয়।
প্রদীপ কর্মকার বলেন, ‘এ পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচারের পরে রোগী হাসপাতাল থেকে তিন দিনের মধ্যে বাসায় চলে যেতে পারেন। এমনকি এক সপ্তাহের মধ্যে কাজে যোগ দিতে পারে। তাই সারা বিশ্বে এই চিকিৎসা পদ্ধতি খুব দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘দেশে এই চিকিৎসা পদ্ধতি না থাকায় এত দিন এ ধরনের রোগীদের বিদেশে উচ্চ মূল্যে সেবা নিতে হতো। এই পদ্ধতি পরিপূর্ণভাবে দেশে চালু হলে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে বলে আমরা আশা করছি।
এর আগে ২০১৯ সালের ৫ জানুয়ারি সরকারিভাবে প্রথমবারের মতো অপেক্ষাকৃত কম খরচে এই চিকিৎসা পদ্ধতি চালু করেন এই কার্ডিওলজিস্ট।
নানা কারণে ঘুম নেই, মেজাজ খিটখিটে, অতিরিক্ত রাগ আর কোনো কিছুতেই প্রশান্তি নেই। এসব কারণে ইদানীং মানসিক সমস্যার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। মানসিক সমস্যা মানুষেরই হয়। বিশেষ করে যুবসমাজ এ সমস্যায় ভুগছে মারাত্মকভাবে। যে কারণেই হোক না কেন, মানসিক সমস্যা রোগী নিজে বুঝতে পারে না। তাকে বলাও যায় না...
২ দিন আগেঅফিসে বারবার ঘুম পেলে তা কাজের ওপর বড় প্রভাব ফেলে। ডেডলাইন মিস করা, কাজ জমে যাওয়া, এমনকি চাকরিও ঝুঁকিতে পড়তে পারে। ঘুমের সমস্যা থাকলে চিকিৎসা জরুরি। তবে কিছু বিষয় মেনে চললে কাজের সময় ঘুম পাওয়া থেকে রেহাই পেতে পারেন।
২ দিন আগেবাতরোগ সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের সমস্যা বলে বিবেচিত। কিন্তু শিশুরাও এতে আক্রান্ত হতে পারে। অনেক সময় অভিভাবকেরা ভাবেন, এই বয়সে এমন ব্যথা বা অস্বস্তি সাময়িক। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, অনেক শিশু দীর্ঘস্থায়ী বাতরোগে ভোগে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এই রোগকে বলা হয় জুভেনাইল ইডিওপ্যাথিক আর্থ্রারাইটিস...
২ দিন আগেশরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে তাকে জ্বর বলা হয়। জ্বর আসলে কোনো রোগ নয়, রোগের উপসর্গ। ফলে জ্বর হওয়াকে শরীরের ভেতরের কোনো রোগের সতর্কবার্তা বলা যেতে পারে।
২ দিন আগে