অধ্যাপক ডা. এ কে এম মূসা
শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে তাকে জ্বর বলা হয়। জ্বর আসলে কোনো রোগ নয়, রোগের উপসর্গ। ফলে জ্বর হওয়াকে শরীরের ভেতরের কোনো রোগের সতর্কবার্তা বলা যেতে পারে।
পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা এর বেশি হলেই সেটা জ্বর। সাধারণত শরীরের তাপমাত্রা ৯৯ থেকে ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের মধ্যে থাকলে সেটি অল্প জ্বর এবং এর বেশি হলে তীব্র জ্বর ধরা হয়।
শরীরের ভেতর কোনো জীবাণু আক্রমণ করলে সেটা ঠেকাতে শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা হিসেবে বিভিন্ন কোষ থেকে পাইরোজেন নামক একধরনের পদার্থ নিঃসৃত হয়। এটি শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে। তাই এ সময় তাপমাত্রা বেড়ে জ্বরের অনুভূতি হয়।
জ্বর কেন হয়
» অনেক কারণে জ্বর হতে পারে।
» বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়াসহ বিভিন্ন অণুজীবের সংক্রমণ হতে পারে দেহে।
» অটো ইমিউন ডিজিজের কারণে জ্বর হতে পারে।
» যেকোনো ধরনের ক্যানসারের কারণেও জ্বর হতে পারে।
» আকস্মিক ভয় বা মানসিক আঘাত থেকেও জ্বর হতে পারে।
কিছু পরামর্শ
যে কারণেই জ্বর হোক না কেন, চিকিৎসকের শরণাপন্ন না হওয়া পর্যন্ত নিজেকে নিরাপদ রাখতে কিছু কাজ করতে হবে। সেগুলো হলো:
» ঘুম বা বিশ্রামে থাকা।
» প্রচুর তরল পান করা।
» পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ।
» আরামদায়ক পরিবেশে থাকা।
» জ্বর ১০১ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি হলে প্যারাসিটামল খেতে হবে। সঙ্গে ভেজা কাপড় দিয়ে মাথা ও পুরো শরীর মুছে দিতে হবে।
চিকিৎসকের কাছে যখন যাবেন
» উল্লেখযোগ্য কিছু লক্ষণ দেখামাত্র বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। যেমন:
» ১০৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট কিংবা ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কিংবা তার বেশি তাপমাত্রার জ্বর হলে।
» ৩ থেকে ৫ দিনের বেশি স্থায়ী জ্বর হলে।
» তীব্র মাথাব্যথার সঙ্গে ঘাড় শক্ত হয়ে গিয়ে শরীরে র্যাশ দেখা দিলে।
» শ্বাসকষ্ট ও বুক ব্যথা হলে।
» মানসিক বিভ্রান্তি, অদ্ভুত আচরণ কিংবা প্রলাপ বকলে।
» খিঁচুনি হলে।
» ক্রমাগত বমি ও পেটব্যথা হলে।
» ত্বকে ফুসকুড়ি বের হলে।
» প্রস্রাব করার সময় ব্যথা, জ্বালাপোড়া হলে।
» উজ্জ্বল আলোতে সংবেদনশীল হলে।
» পানিশূন্যতা হলে।
» রাতে ঘাম হলে এবং লসিকা গ্রন্থি ফুলে গেলে।
» কাশির সঙ্গে হলুদ, সবুজ কিংবা রক্তযুক্ত কফ গেলে।
» অতি সম্প্রতি বিদেশ সফর থেকে এসে জ্বরে আক্রান্ত হলে।
» দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা, যেমন অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ, ক্যানসার, লিভারের সমস্যা হলে।
» ডেঙ্গু মৌসুমে গা ও মাথাব্যথার সঙ্গে জ্বর হলে।
» উচ্চমাত্রার জ্বর বা হাইপারপাইরেক্সিয়া হলে।
জ্বর হলে যা করা উচিত নয়
» জ্বর কমানোর জন্য ব্যথানাশক ওষুধ, যেমন ন্যাপরোক্স, ডাইক্লোফেনাক ব্যবহার করা যাবে না।
» চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ও স্টরয়েডজাতীয় ওষুধ সেবন করা যাবে না।
পরামর্শ দিয়েছেন: মেডিসিন বিভাগ, ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ, শাহবাগ, ঢাকা; চেম্বার: আলোক হেলথকেয়ার, মিরপুর ১০, ঢাকা
শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে তাকে জ্বর বলা হয়। জ্বর আসলে কোনো রোগ নয়, রোগের উপসর্গ। ফলে জ্বর হওয়াকে শরীরের ভেতরের কোনো রোগের সতর্কবার্তা বলা যেতে পারে।
পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা এর বেশি হলেই সেটা জ্বর। সাধারণত শরীরের তাপমাত্রা ৯৯ থেকে ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের মধ্যে থাকলে সেটি অল্প জ্বর এবং এর বেশি হলে তীব্র জ্বর ধরা হয়।
শরীরের ভেতর কোনো জীবাণু আক্রমণ করলে সেটা ঠেকাতে শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা হিসেবে বিভিন্ন কোষ থেকে পাইরোজেন নামক একধরনের পদার্থ নিঃসৃত হয়। এটি শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে। তাই এ সময় তাপমাত্রা বেড়ে জ্বরের অনুভূতি হয়।
জ্বর কেন হয়
» অনেক কারণে জ্বর হতে পারে।
» বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়াসহ বিভিন্ন অণুজীবের সংক্রমণ হতে পারে দেহে।
» অটো ইমিউন ডিজিজের কারণে জ্বর হতে পারে।
» যেকোনো ধরনের ক্যানসারের কারণেও জ্বর হতে পারে।
» আকস্মিক ভয় বা মানসিক আঘাত থেকেও জ্বর হতে পারে।
কিছু পরামর্শ
যে কারণেই জ্বর হোক না কেন, চিকিৎসকের শরণাপন্ন না হওয়া পর্যন্ত নিজেকে নিরাপদ রাখতে কিছু কাজ করতে হবে। সেগুলো হলো:
» ঘুম বা বিশ্রামে থাকা।
» প্রচুর তরল পান করা।
» পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ।
» আরামদায়ক পরিবেশে থাকা।
» জ্বর ১০১ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি হলে প্যারাসিটামল খেতে হবে। সঙ্গে ভেজা কাপড় দিয়ে মাথা ও পুরো শরীর মুছে দিতে হবে।
চিকিৎসকের কাছে যখন যাবেন
» উল্লেখযোগ্য কিছু লক্ষণ দেখামাত্র বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। যেমন:
» ১০৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট কিংবা ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কিংবা তার বেশি তাপমাত্রার জ্বর হলে।
» ৩ থেকে ৫ দিনের বেশি স্থায়ী জ্বর হলে।
» তীব্র মাথাব্যথার সঙ্গে ঘাড় শক্ত হয়ে গিয়ে শরীরে র্যাশ দেখা দিলে।
» শ্বাসকষ্ট ও বুক ব্যথা হলে।
» মানসিক বিভ্রান্তি, অদ্ভুত আচরণ কিংবা প্রলাপ বকলে।
» খিঁচুনি হলে।
» ক্রমাগত বমি ও পেটব্যথা হলে।
» ত্বকে ফুসকুড়ি বের হলে।
» প্রস্রাব করার সময় ব্যথা, জ্বালাপোড়া হলে।
» উজ্জ্বল আলোতে সংবেদনশীল হলে।
» পানিশূন্যতা হলে।
» রাতে ঘাম হলে এবং লসিকা গ্রন্থি ফুলে গেলে।
» কাশির সঙ্গে হলুদ, সবুজ কিংবা রক্তযুক্ত কফ গেলে।
» অতি সম্প্রতি বিদেশ সফর থেকে এসে জ্বরে আক্রান্ত হলে।
» দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা, যেমন অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ, ক্যানসার, লিভারের সমস্যা হলে।
» ডেঙ্গু মৌসুমে গা ও মাথাব্যথার সঙ্গে জ্বর হলে।
» উচ্চমাত্রার জ্বর বা হাইপারপাইরেক্সিয়া হলে।
জ্বর হলে যা করা উচিত নয়
» জ্বর কমানোর জন্য ব্যথানাশক ওষুধ, যেমন ন্যাপরোক্স, ডাইক্লোফেনাক ব্যবহার করা যাবে না।
» চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ও স্টরয়েডজাতীয় ওষুধ সেবন করা যাবে না।
পরামর্শ দিয়েছেন: মেডিসিন বিভাগ, ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ, শাহবাগ, ঢাকা; চেম্বার: আলোক হেলথকেয়ার, মিরপুর ১০, ঢাকা
নানা কারণে ঘুম নেই, মেজাজ খিটখিটে, অতিরিক্ত রাগ আর কোনো কিছুতেই প্রশান্তি নেই। এসব কারণে ইদানীং মানসিক সমস্যার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। মানসিক সমস্যা মানুষেরই হয়। বিশেষ করে যুবসমাজ এ সমস্যায় ভুগছে মারাত্মকভাবে। যে কারণেই হোক না কেন, মানসিক সমস্যা রোগী নিজে বুঝতে পারে না। তাকে বলাও যায় না...
১৩ ঘণ্টা আগেঅফিসে বারবার ঘুম পেলে তা কাজের ওপর বড় প্রভাব ফেলে। ডেডলাইন মিস করা, কাজ জমে যাওয়া, এমনকি চাকরিও ঝুঁকিতে পড়তে পারে। ঘুমের সমস্যা থাকলে চিকিৎসা জরুরি। তবে কিছু বিষয় মেনে চললে কাজের সময় ঘুম পাওয়া থেকে রেহাই পেতে পারেন।
১৩ ঘণ্টা আগেবাতরোগ সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের সমস্যা বলে বিবেচিত। কিন্তু শিশুরাও এতে আক্রান্ত হতে পারে। অনেক সময় অভিভাবকেরা ভাবেন, এই বয়সে এমন ব্যথা বা অস্বস্তি সাময়িক। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, অনেক শিশু দীর্ঘস্থায়ী বাতরোগে ভোগে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এই রোগকে বলা হয় জুভেনাইল ইডিওপ্যাথিক আর্থ্রারাইটিস...
১৪ ঘণ্টা আগেডিম প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেলের অন্যতম উৎস। তবে এর উপকার পেতে হলে রান্নার পদ্ধতির দিকে নজর দেওয়া জরুরি। ভুল পদ্ধতিতে ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়।
১৪ ঘণ্টা আগে