আজকের পত্রিকা ডেস্ক

নারীর শারীরিক শক্তি নিয়ে প্রচলিত ধারণা বদলে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা পুরুষদের ছাপিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি একাধিক নারী ক্রীড়াবিদ এমন নজির স্থাপন করেছেন, যা কেবল ক্রীড়াঙ্গনের সীমানায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং এসব সাফল্য আমাদের শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে বহু পুরোনো ধ্যানধারণার ভিতে নাড়া দিচ্ছে। এটি একধরনের সাংস্কৃতিক পরিবর্তন, যা নতুনভাবে চিনিয়ে দিচ্ছে নারীর শরীর ও শক্তির প্রকৃত সক্ষমতাকে।
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের টারা ডোয়ার অ্যাপালাচিয়ান ট্রেইল শেষ করেছেন মাত্র ৪০ দিন ১৮ ঘণ্টা ৬ মিনিটে, যা আগের রেকর্ডধারী পুরুষের চেয়ে ১৩ ঘণ্টা কম। একই বছর, অ্যারিজোনার অড্রে জিমেনেজ ইতিহাস গড়েছেন—ছেলেদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করেই ডিভিশন-১ হাইস্কুল কুস্তি চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন তিনি। দীর্ঘ ম্যারাথন, পাহাড়ে দৌড়, সাঁতার ও রক ক্লাইম্বিং—এসব খেলায় নারীরা নিয়মিতভাবে পুরুষদের চেয়ে ভালো করছেন।
গত বছর জাসমিন প্যারিস বিশ্বের অন্যতম কঠিন ১০০ মাইলের বার্কলে ম্যারাথন শেষ করেছেন ৬০ ঘণ্টারও কম সময়েই। একই সময়ে তিনি একজন স্তন্যদায়ী মায়ের ভূমিকাও পালন করেছেন।
এদিকে নদীপথে দীর্ঘ দূরত্ব সাঁতারে এখন নারীরা এতটাই এগিয়ে যে, তাদের কীর্তি অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০২৪ সালে বার্বারা ‘বাবসি’ জ্যাঙ্গার্ল ইয়োসেমাইট ন্যাশনাল পার্কের এল ক্যাপিটান পর্বত অপ্রস্তুত অবস্থায় জয় করেছেন—এটাই প্রথমবার কেউ এমনটি করতে পেরেছেন। এই অর্জনগুলো শুধু শারীরিক নয়, সাংস্কৃতিক পরিবর্তনেরও প্রতীক।
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও অনুশীলন বিজ্ঞানী স্ট্যাসি সিমস বলছেন, ‘৭০ বছর ঊর্ধ্ব নারীরাও এখন ডেডলিফট (ভারউত্তোলন) রেকর্ড গড়ছেন।’
সহনশীলতায় নারীর জয়
যখন ‘শক্তি’র কথা বলা হয়, তখন সাধারণত তা বোঝায় স্বল্প সময়ে সর্বোচ্চ গতি, যেখানে পুরুষদের দেহ কিছুটা এগিয়ে থাকে। তবে সহনশীলতা, দ্রুত পুনরুদ্ধার, মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা—এসব ক্ষেত্রেও নারীরা শারীরিকভাবে এগিয়ে।
ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, প্রাচীন মানবসমাজে নারীরা শুধু গৃহস্থালি নয়, জীবনসংগ্রামের ময়দানেও ছিলেন সক্রিয়। তাঁরা নিয়মিতভাবে ভারী সামগ্রী বহন করতেন, শিকারের পেছনে হাঁটতেন এবং দৈনিক ৮ থেকে ১০ মাইল পথ অতিক্রম করতেন—অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায়, পিরিয়ডের সময় বা শিশুকে কোলে নিয়েও।
অস্ট্রেলিয়ার পার্থের ইডিথ কোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পোর্টস বিজ্ঞান উপ-উপাচার্য সোফিয়া নিমফিয়াস বলেন, ‘নারীদের দেহ অধিক ক্লান্তি প্রতিরোধী।’
মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যায়াম বিশেষজ্ঞ সান্দ্রা হান্টারের গবেষণায় দেখা গেছে, নারীদের পেশি দীর্ঘ সময় ধরে হালকা ভারে কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে—যেখানে পুরুষেরা শুরুতেই শারীরিক শক্তিতে এগিয়ে থাকলেও, দীর্ঘ মেয়াদে নারীরাই এগিয়ে থাকেন। কারণ হিসেবে দেখা গেছে, নারীরা শক্তির জন্য অপেক্ষাকৃত ধীরগতিতে চর্বি পোড়াতে পারদর্শী, যা দীর্ঘ সময় ধরে দেহকে শক্তি দেয়।
নারীদের শরীরে সাধারণত ‘স্লো-টুইচ’ মাংসপেশির পরিমাণ বেশি থাকে, যা ধীরগতির হলেও অধিক দক্ষ ও ক্লান্তিহীন। অন্যদিকে পুরুষদের দেহে ‘ফাস্ট-টুইচ’ মাংসপেশি বেশি, যা শক্তিশালী হলেও দ্রুত ক্লান্ত হয়।
দ্রুত পুনরুদ্ধার এবং লড়াকু মনোভাব
নারীদের এই ধীরগতির পেশি শুধু সহনশীলতাই নয়, দ্রুত পুনরুদ্ধারের ক্ষমতাও বাড়িয়ে দেয়। ছোট আকারের কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, দ্রুতগতির দৌড় বা ভার উত্তোলনের পর নারীদের শরীর পুরুষদের তুলনায় দ্রুত সেরে ওঠে। ইস্ট্রোজেন হরমোন শরীরের প্রদাহ কমায় ও মাংসপেশি সারাতে সাহায্য করে—এটাই এই পার্থক্যের অন্যতম ব্যাখ্যা।
তবে, নারীরা নির্দিষ্ট কিছু ইনজুরির ঝুঁকিতে বেশি থাকেন—বিশেষ করে হাঁটু ও এসিএল ইনজুরিতে। এর পেছনে জৈবিক, হরমোনজনিত বা পুরুষদের উপযোগী প্রশিক্ষণ পদ্ধতি দায়ী হতে পারে।
শারীরিক শক্তির পাশাপাশি মানসিক দৃঢ়তাও নারীর সাফল্যের পেছনে বড় ভূমিকা রাখে। স্ট্যানফোর্ডের ‘ফাস্টার’ প্রোগ্রামের পরিচালক এমিলি ক্রাউস বলেন, ‘নারীরা এমন এক মানসিক অবস্থায় যেতে পারেন, যা তাঁদের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার শক্তি দেয়।’
নারীর শরীরের চারটি অসাধারণ ক্ষমতা
১. ব্যথা সহ্য করার ক্ষমতা
নারীর দেহ নানা ধরনের ব্যথা সহ্য করে—পিরিয়ডের ব্যথা, সন্তান জন্মদানের যন্ত্রণা, পিঠে আঘাত বা হাড়ভাঙা যন্ত্রণা। এসব ব্যথা পরিমাপ করা কঠিন হলেও, অধিকাংশ গবেষণা একমত যে নারীরা ব্যথা পুরুষদের চেয়েও ভালোভাবে সহ্য করতে পারেন।
ক্রীড়াবিদেরা ব্যথা সহ্য করার সত্যিকারের পরিক্ষার্থী। বহু গবেষণায় দেখা গেছে, সাধারণ মানুষের তুলনায় ক্রীড়াবিদেরা ব্যথা বেশি সহ্য করতে পারেন, আর সেখানে নারী-পুরুষের তুলনায় নারী ক্রীড়াবিদদের সহ্যক্ষমতা কম নয় বরং অনেক সময় বেশি। যদিও নারীরা ব্যথা বেশি অনুভব করেন, তবু তারা তুলনামূলক ইনজুরি নিয়েও বেশি সময় ধরে খেলতে পারেন।
অস্ট্রেলিয়ার পার্থের ইডিথ কোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পোর্টস বিভাগের উপ-উপাচার্য সোফিয়া নিমফিয়াস বলেন, এটি আসলে জীববিজ্ঞান এবং অভিজ্ঞতার মিশ্রণ। ১৯৮১ সালের একটি গবেষণায় স্পষ্ট বলা হয়, ‘নারী ক্রীড়াবিদদের ব্যথা সহ্যক্ষমতা এবং সহ্যসীমা সর্বোচ্চ।’
২. রোগ প্রতিরোধক্ষমতা
মানুষসহ অধিকাংশ স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে নারীর রোগ প্রতিরোধক্ষমতা পুরুষের তুলনায় শক্তিশালী। এর পেছনে রয়েছে ইস্ট্রোজেন হরমোন এবং নারীদের দুটি ‘এক্স’ ক্রোমোজোম, যা রোগ প্রতিরোধব্যবস্থায় বৈচিত্র্য ও শক্তি জোগায়।
২০০৯ সালের এক নিবন্ধে মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবর্তন জীববিজ্ঞানী মার্লেন জুক লিখেছেন, ‘কে বেশি অসুস্থ হয়, এ বিষয়ে কোনো বিতর্ক নেই—প্রায় সব সময়ই তা পুরুষ।’
তবে এর একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে। অধিক প্রতিরোধব্যবস্থার কারণে নারীরা অটোইমিউন রোগে বেশি আক্রান্ত হন। এ যেন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে নিজেদের শরীরই আঘাত পায়।
৩. স্থিতিস্থাপকতা
দীর্ঘ সময় ধরে শারীরিক পরিশ্রমে নারীদের শরীর কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দীর্ঘমেয়াদি ব্যায়ামের তথ্য অনুযায়ী, শারীরিক চাপ সামলাতে নারীর শরীর পুরুষের তুলনায় কম ক্ষয় হয়। উদাহরণস্বরূপ, ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশন ৪০ বছরের ওপরের ৩০০ জন অ্যাথলেটের রক্তনালির অবস্থা পরীক্ষা করে। এদের মধ্যে ছিলেন দীর্ঘ দৌড়বিদ, সাইক্লিস্ট, রোয়ার এবং সাঁতারু।
গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষ অ্যাথলেটদের রক্তনালির বয়স বেড়ে হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বেড়েছে, কখনো কখনো ১০ বছর পর্যন্ত। তবে নারীদের ক্ষেত্রে এর বিপরীত ফল পাওয়া গেছে। তাদের রক্তনালি জৈবিকভাবে আরও তরুণ এবং হৃদ্রোগের ঝুঁকি কম।
৪. দীর্ঘায়ু
মানবদেহের চূড়ান্ত পরীক্ষাই হলো জীবনকাল। আর সেখানে নারীরাই এগিয়ে। প্রায় প্রতিটি সমাজ ও প্রজাতিতে নারীরা পুরুষদের তুলনায় বেশি দিন বাঁচে।
এর কিছুটা ব্যাখ্যা আচরণগত। কারণ পুরুষ বেশি ঝুঁকি নেয়, নারীরা পুরুষদের তুলনায় বেশি দিন বাঁচে। তবে এটি মূলত জৈবিক। নারী রোগ, অপুষ্টি ও আঘাত থেকে পুরুষদের তুলনায় বেশি টিকে যায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষদের ওয়াই ক্রোমোজোম সময়ের সঙ্গে বেশি ক্ষয় হয়, যাকে বলা হয় ‘মোজাইক লস অব ওয়াই’। এই ক্ষয়ের সঙ্গে পুরুষদের হৃদ্রোগ, ক্যানসারসহ নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি যুক্ত।
এ কারণে নারীর জীবনকাল সাধারণত পুরুষের থেকে দীর্ঘ হয়।
ঐতিহ্যগতভাবে আমরা শক্তিকে বোঝাই পুরুষের প্রাধান্যযুক্ত দক্ষতা—যেমন সর্বোচ্চ ওজন তোলা বা দ্রুততম দৌড়। অথচ যদি পরিমাপ হয় ধৈর্য, পুনরুদ্ধার, টিকে থাকার ক্ষমতা আর দীর্ঘায়ু দিয়ে—তাহলে সেই শক্তির সংজ্ঞায় নারীদেহই এগিয়ে থাকবে।
তবে এখনো নারীকে নিয়ে পর্যাপ্ত গবেষণা পরিচালনা হয় না। তারা পুরুষের মতো প্রশিক্ষণ বা উৎসাহ পায় না। ২০২১ সালের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ক্রীড়া ও ব্যায়ামবিষয়ক গবেষণার মাত্র ৬ শতাংশ নারীর শরীর নিয়ে হয়েছে।
তথ্যসূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট

নারীর শারীরিক শক্তি নিয়ে প্রচলিত ধারণা বদলে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা পুরুষদের ছাপিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি একাধিক নারী ক্রীড়াবিদ এমন নজির স্থাপন করেছেন, যা কেবল ক্রীড়াঙ্গনের সীমানায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং এসব সাফল্য আমাদের শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে বহু পুরোনো ধ্যানধারণার ভিতে নাড়া দিচ্ছে। এটি একধরনের সাংস্কৃতিক পরিবর্তন, যা নতুনভাবে চিনিয়ে দিচ্ছে নারীর শরীর ও শক্তির প্রকৃত সক্ষমতাকে।
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের টারা ডোয়ার অ্যাপালাচিয়ান ট্রেইল শেষ করেছেন মাত্র ৪০ দিন ১৮ ঘণ্টা ৬ মিনিটে, যা আগের রেকর্ডধারী পুরুষের চেয়ে ১৩ ঘণ্টা কম। একই বছর, অ্যারিজোনার অড্রে জিমেনেজ ইতিহাস গড়েছেন—ছেলেদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করেই ডিভিশন-১ হাইস্কুল কুস্তি চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন তিনি। দীর্ঘ ম্যারাথন, পাহাড়ে দৌড়, সাঁতার ও রক ক্লাইম্বিং—এসব খেলায় নারীরা নিয়মিতভাবে পুরুষদের চেয়ে ভালো করছেন।
গত বছর জাসমিন প্যারিস বিশ্বের অন্যতম কঠিন ১০০ মাইলের বার্কলে ম্যারাথন শেষ করেছেন ৬০ ঘণ্টারও কম সময়েই। একই সময়ে তিনি একজন স্তন্যদায়ী মায়ের ভূমিকাও পালন করেছেন।
এদিকে নদীপথে দীর্ঘ দূরত্ব সাঁতারে এখন নারীরা এতটাই এগিয়ে যে, তাদের কীর্তি অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০২৪ সালে বার্বারা ‘বাবসি’ জ্যাঙ্গার্ল ইয়োসেমাইট ন্যাশনাল পার্কের এল ক্যাপিটান পর্বত অপ্রস্তুত অবস্থায় জয় করেছেন—এটাই প্রথমবার কেউ এমনটি করতে পেরেছেন। এই অর্জনগুলো শুধু শারীরিক নয়, সাংস্কৃতিক পরিবর্তনেরও প্রতীক।
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও অনুশীলন বিজ্ঞানী স্ট্যাসি সিমস বলছেন, ‘৭০ বছর ঊর্ধ্ব নারীরাও এখন ডেডলিফট (ভারউত্তোলন) রেকর্ড গড়ছেন।’
সহনশীলতায় নারীর জয়
যখন ‘শক্তি’র কথা বলা হয়, তখন সাধারণত তা বোঝায় স্বল্প সময়ে সর্বোচ্চ গতি, যেখানে পুরুষদের দেহ কিছুটা এগিয়ে থাকে। তবে সহনশীলতা, দ্রুত পুনরুদ্ধার, মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা—এসব ক্ষেত্রেও নারীরা শারীরিকভাবে এগিয়ে।
ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, প্রাচীন মানবসমাজে নারীরা শুধু গৃহস্থালি নয়, জীবনসংগ্রামের ময়দানেও ছিলেন সক্রিয়। তাঁরা নিয়মিতভাবে ভারী সামগ্রী বহন করতেন, শিকারের পেছনে হাঁটতেন এবং দৈনিক ৮ থেকে ১০ মাইল পথ অতিক্রম করতেন—অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায়, পিরিয়ডের সময় বা শিশুকে কোলে নিয়েও।
অস্ট্রেলিয়ার পার্থের ইডিথ কোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পোর্টস বিজ্ঞান উপ-উপাচার্য সোফিয়া নিমফিয়াস বলেন, ‘নারীদের দেহ অধিক ক্লান্তি প্রতিরোধী।’
মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যায়াম বিশেষজ্ঞ সান্দ্রা হান্টারের গবেষণায় দেখা গেছে, নারীদের পেশি দীর্ঘ সময় ধরে হালকা ভারে কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে—যেখানে পুরুষেরা শুরুতেই শারীরিক শক্তিতে এগিয়ে থাকলেও, দীর্ঘ মেয়াদে নারীরাই এগিয়ে থাকেন। কারণ হিসেবে দেখা গেছে, নারীরা শক্তির জন্য অপেক্ষাকৃত ধীরগতিতে চর্বি পোড়াতে পারদর্শী, যা দীর্ঘ সময় ধরে দেহকে শক্তি দেয়।
নারীদের শরীরে সাধারণত ‘স্লো-টুইচ’ মাংসপেশির পরিমাণ বেশি থাকে, যা ধীরগতির হলেও অধিক দক্ষ ও ক্লান্তিহীন। অন্যদিকে পুরুষদের দেহে ‘ফাস্ট-টুইচ’ মাংসপেশি বেশি, যা শক্তিশালী হলেও দ্রুত ক্লান্ত হয়।
দ্রুত পুনরুদ্ধার এবং লড়াকু মনোভাব
নারীদের এই ধীরগতির পেশি শুধু সহনশীলতাই নয়, দ্রুত পুনরুদ্ধারের ক্ষমতাও বাড়িয়ে দেয়। ছোট আকারের কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, দ্রুতগতির দৌড় বা ভার উত্তোলনের পর নারীদের শরীর পুরুষদের তুলনায় দ্রুত সেরে ওঠে। ইস্ট্রোজেন হরমোন শরীরের প্রদাহ কমায় ও মাংসপেশি সারাতে সাহায্য করে—এটাই এই পার্থক্যের অন্যতম ব্যাখ্যা।
তবে, নারীরা নির্দিষ্ট কিছু ইনজুরির ঝুঁকিতে বেশি থাকেন—বিশেষ করে হাঁটু ও এসিএল ইনজুরিতে। এর পেছনে জৈবিক, হরমোনজনিত বা পুরুষদের উপযোগী প্রশিক্ষণ পদ্ধতি দায়ী হতে পারে।
শারীরিক শক্তির পাশাপাশি মানসিক দৃঢ়তাও নারীর সাফল্যের পেছনে বড় ভূমিকা রাখে। স্ট্যানফোর্ডের ‘ফাস্টার’ প্রোগ্রামের পরিচালক এমিলি ক্রাউস বলেন, ‘নারীরা এমন এক মানসিক অবস্থায় যেতে পারেন, যা তাঁদের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার শক্তি দেয়।’
নারীর শরীরের চারটি অসাধারণ ক্ষমতা
১. ব্যথা সহ্য করার ক্ষমতা
নারীর দেহ নানা ধরনের ব্যথা সহ্য করে—পিরিয়ডের ব্যথা, সন্তান জন্মদানের যন্ত্রণা, পিঠে আঘাত বা হাড়ভাঙা যন্ত্রণা। এসব ব্যথা পরিমাপ করা কঠিন হলেও, অধিকাংশ গবেষণা একমত যে নারীরা ব্যথা পুরুষদের চেয়েও ভালোভাবে সহ্য করতে পারেন।
ক্রীড়াবিদেরা ব্যথা সহ্য করার সত্যিকারের পরিক্ষার্থী। বহু গবেষণায় দেখা গেছে, সাধারণ মানুষের তুলনায় ক্রীড়াবিদেরা ব্যথা বেশি সহ্য করতে পারেন, আর সেখানে নারী-পুরুষের তুলনায় নারী ক্রীড়াবিদদের সহ্যক্ষমতা কম নয় বরং অনেক সময় বেশি। যদিও নারীরা ব্যথা বেশি অনুভব করেন, তবু তারা তুলনামূলক ইনজুরি নিয়েও বেশি সময় ধরে খেলতে পারেন।
অস্ট্রেলিয়ার পার্থের ইডিথ কোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পোর্টস বিভাগের উপ-উপাচার্য সোফিয়া নিমফিয়াস বলেন, এটি আসলে জীববিজ্ঞান এবং অভিজ্ঞতার মিশ্রণ। ১৯৮১ সালের একটি গবেষণায় স্পষ্ট বলা হয়, ‘নারী ক্রীড়াবিদদের ব্যথা সহ্যক্ষমতা এবং সহ্যসীমা সর্বোচ্চ।’
২. রোগ প্রতিরোধক্ষমতা
মানুষসহ অধিকাংশ স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে নারীর রোগ প্রতিরোধক্ষমতা পুরুষের তুলনায় শক্তিশালী। এর পেছনে রয়েছে ইস্ট্রোজেন হরমোন এবং নারীদের দুটি ‘এক্স’ ক্রোমোজোম, যা রোগ প্রতিরোধব্যবস্থায় বৈচিত্র্য ও শক্তি জোগায়।
২০০৯ সালের এক নিবন্ধে মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবর্তন জীববিজ্ঞানী মার্লেন জুক লিখেছেন, ‘কে বেশি অসুস্থ হয়, এ বিষয়ে কোনো বিতর্ক নেই—প্রায় সব সময়ই তা পুরুষ।’
তবে এর একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে। অধিক প্রতিরোধব্যবস্থার কারণে নারীরা অটোইমিউন রোগে বেশি আক্রান্ত হন। এ যেন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে নিজেদের শরীরই আঘাত পায়।
৩. স্থিতিস্থাপকতা
দীর্ঘ সময় ধরে শারীরিক পরিশ্রমে নারীদের শরীর কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দীর্ঘমেয়াদি ব্যায়ামের তথ্য অনুযায়ী, শারীরিক চাপ সামলাতে নারীর শরীর পুরুষের তুলনায় কম ক্ষয় হয়। উদাহরণস্বরূপ, ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশন ৪০ বছরের ওপরের ৩০০ জন অ্যাথলেটের রক্তনালির অবস্থা পরীক্ষা করে। এদের মধ্যে ছিলেন দীর্ঘ দৌড়বিদ, সাইক্লিস্ট, রোয়ার এবং সাঁতারু।
গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষ অ্যাথলেটদের রক্তনালির বয়স বেড়ে হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বেড়েছে, কখনো কখনো ১০ বছর পর্যন্ত। তবে নারীদের ক্ষেত্রে এর বিপরীত ফল পাওয়া গেছে। তাদের রক্তনালি জৈবিকভাবে আরও তরুণ এবং হৃদ্রোগের ঝুঁকি কম।
৪. দীর্ঘায়ু
মানবদেহের চূড়ান্ত পরীক্ষাই হলো জীবনকাল। আর সেখানে নারীরাই এগিয়ে। প্রায় প্রতিটি সমাজ ও প্রজাতিতে নারীরা পুরুষদের তুলনায় বেশি দিন বাঁচে।
এর কিছুটা ব্যাখ্যা আচরণগত। কারণ পুরুষ বেশি ঝুঁকি নেয়, নারীরা পুরুষদের তুলনায় বেশি দিন বাঁচে। তবে এটি মূলত জৈবিক। নারী রোগ, অপুষ্টি ও আঘাত থেকে পুরুষদের তুলনায় বেশি টিকে যায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষদের ওয়াই ক্রোমোজোম সময়ের সঙ্গে বেশি ক্ষয় হয়, যাকে বলা হয় ‘মোজাইক লস অব ওয়াই’। এই ক্ষয়ের সঙ্গে পুরুষদের হৃদ্রোগ, ক্যানসারসহ নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি যুক্ত।
এ কারণে নারীর জীবনকাল সাধারণত পুরুষের থেকে দীর্ঘ হয়।
ঐতিহ্যগতভাবে আমরা শক্তিকে বোঝাই পুরুষের প্রাধান্যযুক্ত দক্ষতা—যেমন সর্বোচ্চ ওজন তোলা বা দ্রুততম দৌড়। অথচ যদি পরিমাপ হয় ধৈর্য, পুনরুদ্ধার, টিকে থাকার ক্ষমতা আর দীর্ঘায়ু দিয়ে—তাহলে সেই শক্তির সংজ্ঞায় নারীদেহই এগিয়ে থাকবে।
তবে এখনো নারীকে নিয়ে পর্যাপ্ত গবেষণা পরিচালনা হয় না। তারা পুরুষের মতো প্রশিক্ষণ বা উৎসাহ পায় না। ২০২১ সালের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ক্রীড়া ও ব্যায়ামবিষয়ক গবেষণার মাত্র ৬ শতাংশ নারীর শরীর নিয়ে হয়েছে।
তথ্যসূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট

ঘুমিয়ে পড়া কি আপনাকে লোকের সামনে হাসির পাত্র বানিয়ে তুলছে? এ জন্য কি কারও সঙ্গে ঘুমাতে সংকোচ বোধ করছেন? সোজাভাবে জিজ্ঞাসা করি, ঘুমালে কি আপনি নাক ডাকেন? নাক ডাকা একটি সাধারণ সমস্যা। কিন্তু এটি শুধু আপনার সঙ্গীর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় না, বরং অনেক সময় গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
৬ ঘণ্টা আগে
চোখের রোগ বিভিন্ন কারণে হতে পারে এবং কিছু রোগ পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। পুরুষদের চোখের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করার জন্য অনেক ধরনের রোগ ও সমস্যার সৃষ্টি হয়, যেমন জেনেটিক ফ্যাক্টর, জীবনযাত্রার স্টাইল এবং পরিবেশগত কারণে। এখানে এমন কিছু চোখের রোগের কথা বলা হলো, যা পুরুষদের মধ্যে বেশি হয়।
৮ ঘণ্টা আগে
পিঠব্যথা বা লো ব্যাক পেইন সাধারণ কারণে শুরু হলেও সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে এটি দীর্ঘমেয়াদি অস্বস্তি, চলাফেরায় সীমাবদ্ধতা এবং দৈনন্দিন জীবনে নানা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
৮ ঘণ্টা আগে
শীতকাল মানেই টাটকা, সবুজ ও বাহারি সবজির সমাহার। বাজারে ঢুকলে দেখা মেলে নানান সবজির। কম দামে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, গাজর, মটরশুঁটি, ব্রকলি এবং ধনেপাতার মতো সবজি কিনে সারা বছর এগুলোর স্বাদ উপভোগ করতে চান অনেকে। তবে কিনে বাড়ি ফিরলেই যে এর পুষ্টিগুণ সব আপনার পেটে যাবে, এমন নয়।
৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

ঘুমিয়ে পড়া কি আপনাকে লোকের সামনে হাসির পাত্র বানিয়ে তুলছে? এ জন্য কি কারও সঙ্গে ঘুমাতে সংকোচ বোধ করছেন? সোজাভাবে জিজ্ঞাসা করি, ঘুমালে কি আপনি নাক ডাকেন? নাক ডাকা একটি সাধারণ সমস্যা। কিন্তু এটি শুধু আপনার সঙ্গীর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় না, বরং অনেক সময় গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। যেমন অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া। গবেষণায় দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ এই সমস্যায় ভোগেন।
পুরুষের মধ্যে এর প্রবণতা বেশি। পুরুষ ও নারী নাক ডাকার অনুপাত ২.৩: ১। নাক ডাকার প্রধান কারণ স্থূলতা হলেও এক-তৃতীয়াংশ হালকা-পাতলা মানুষও নাক ডাকেন। শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় বাতাসের প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হলে গলার শিথিল টিস্যুগুলো কেঁপে ওঠে এবং জোরে শব্দ সৃষ্টি হয়। শিশুবিশেষজ্ঞ আমিনুল ইসলাম শেখ বলেন, শরীরের অতিরিক্ত ওজন নাক ডাকার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। বাড়তি ওজন নাকের ভেতরে বাতাস চলাচলের জায়গা সংকীর্ণ করে দেয়। এতে শ্বাসপ্রশ্বাস চলাচলের সময় শব্দের সৃষ্টি হয়। তাই ওজন কমালে এই সমস্যা থেকে অনেকটা রেহাই পাওয়া সম্ভব।

ঘুমিয়ে পড়া কি আপনাকে লোকের সামনে হাসির পাত্র বানিয়ে তুলছে? এ জন্য কি কারও সঙ্গে ঘুমাতে সংকোচ বোধ করছেন? সোজাভাবে জিজ্ঞাসা করি, ঘুমালে কি আপনি নাক ডাকেন? নাক ডাকা একটি সাধারণ সমস্যা। কিন্তু এটি শুধু আপনার সঙ্গীর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় না, বরং অনেক সময় গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। যেমন অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া। গবেষণায় দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ এই সমস্যায় ভোগেন।
পুরুষের মধ্যে এর প্রবণতা বেশি। পুরুষ ও নারী নাক ডাকার অনুপাত ২.৩: ১। নাক ডাকার প্রধান কারণ স্থূলতা হলেও এক-তৃতীয়াংশ হালকা-পাতলা মানুষও নাক ডাকেন। শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় বাতাসের প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হলে গলার শিথিল টিস্যুগুলো কেঁপে ওঠে এবং জোরে শব্দ সৃষ্টি হয়। শিশুবিশেষজ্ঞ আমিনুল ইসলাম শেখ বলেন, শরীরের অতিরিক্ত ওজন নাক ডাকার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। বাড়তি ওজন নাকের ভেতরে বাতাস চলাচলের জায়গা সংকীর্ণ করে দেয়। এতে শ্বাসপ্রশ্বাস চলাচলের সময় শব্দের সৃষ্টি হয়। তাই ওজন কমালে এই সমস্যা থেকে অনেকটা রেহাই পাওয়া সম্ভব।

নারীর শারীরিক শক্তি নিয়ে প্রচলিত ধারণা বদলে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা পুরুষদের ছাপিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি একাধিক নারী ক্রীড়াবিদ এমন নজির স্থাপন করেছেন, যা কেবল ক্রীড়াঙ্গনের সীমানায় সীমাবদ্ধ নয়। বরং এসব সাফল্য আমাদের শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে বহু পুরোনো ধ্যানধারণার ভিতে নাড়া দিচ্ছে।
০১ জুন ২০২৫
চোখের রোগ বিভিন্ন কারণে হতে পারে এবং কিছু রোগ পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। পুরুষদের চোখের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করার জন্য অনেক ধরনের রোগ ও সমস্যার সৃষ্টি হয়, যেমন জেনেটিক ফ্যাক্টর, জীবনযাত্রার স্টাইল এবং পরিবেশগত কারণে। এখানে এমন কিছু চোখের রোগের কথা বলা হলো, যা পুরুষদের মধ্যে বেশি হয়।
৮ ঘণ্টা আগে
পিঠব্যথা বা লো ব্যাক পেইন সাধারণ কারণে শুরু হলেও সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে এটি দীর্ঘমেয়াদি অস্বস্তি, চলাফেরায় সীমাবদ্ধতা এবং দৈনন্দিন জীবনে নানা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
৮ ঘণ্টা আগে
শীতকাল মানেই টাটকা, সবুজ ও বাহারি সবজির সমাহার। বাজারে ঢুকলে দেখা মেলে নানান সবজির। কম দামে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, গাজর, মটরশুঁটি, ব্রকলি এবং ধনেপাতার মতো সবজি কিনে সারা বছর এগুলোর স্বাদ উপভোগ করতে চান অনেকে। তবে কিনে বাড়ি ফিরলেই যে এর পুষ্টিগুণ সব আপনার পেটে যাবে, এমন নয়।
৮ ঘণ্টা আগেডা. মো. আরমান হোসেন রনি

চোখের রোগ বিভিন্ন কারণে হতে পারে এবং কিছু রোগ পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। পুরুষদের চোখের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করার জন্য অনেক ধরনের রোগ ও সমস্যার সৃষ্টি হয়, যেমন জেনেটিক ফ্যাক্টর, জীবনযাত্রার স্টাইল এবং পরিবেশগত কারণে। এখানে এমন কিছু চোখের রোগের কথা বলা হলো, যা পুরুষদের মধ্যে বেশি হয়।
চোখের মণির অস্বাভাবিকতা: পুরুষদের মধ্যে চোখের মণির অস্বাভাবিকতা বা চোখের মণি সঠিকভাবে কাজ না করা একটি সাধারণ সমস্যা। চোখের মণি বা কর্নিয়া হলো চোখের সামনের স্বচ্ছ অংশ, যা চোখে আসা আলোকে সঠিকভাবে লেন্সে নিয়ে যায়। কোনো কারণে যদি কর্নিয়ার গঠন পরিবর্তিত হয়, তাহলে সেটি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে। কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, পুরুষদের মধ্যে কর্নিয়া সমস্যা বেশি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
রেটিনাল ডিস্ট্রফি: রেটিনাল ডিস্ট্রফি একটি বিরল চোখের রোগ, যেখানে চোখের রেটিনা (যা চোখের পেছনের অংশে থাকে এবং দৃষ্টির জন্য দায়ী) ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে। এই রোগ পুরুষদের মধ্যে বেশি। রেটিনাল ডিস্ট্রফির কারণে দৃষ্টিশক্তি কমে এবং এটি সাধারণত প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চলে আসে।
গ্লুকোমা: গ্লুকোমা এমন একটি রোগ, যা চোখের চাপের কারণে রেটিনার স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত করে। পুরুষদের মধ্যে গ্লুকোমার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। গ্লুকোমা হলে দৃষ্টিশক্তি ধীরে ধীরে কমে যেতে পারে এবং এতে চোখের ভেতরে চাপ বাড়তে থাকে। এটি একধরনের নীরব রোগ। কারণ, এতে প্রথম দিকে কোনো উপসর্গ দেখা যায় না। গ্লুকোমার কারণে যে কারও দৃষ্টিশক্তি পুরোপুরি হারিয়ে যেতে পারে।
ক্যাটারাক্ট: ক্যাটারাক্ট হলো চোখের লেন্সের ঘোলা হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া। ফলে দৃষ্টিশক্তি কমে যায়। পুরুষদের মধ্যে বয়স হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই রোগ বেশি দেখা যায়। যদিও ক্যাটারাক্ট সাধারণত বৃদ্ধ বয়সে দেখা যায়, তবে কিছু বিশেষ কারণে এটি পুরুষদের মধ্যে কম বয়সেও হতে পারে। ক্যাটারাক্টের কারণে দৃষ্টিশক্তির সমস্যা সৃষ্টি হয় এবং এটি একমাত্র অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ঠিক করা সম্ভব।
ম্যাকুলার ডিজেনারেশন: ম্যাকুলার ডিজেনারেশন হলো চোখের রেটিনার একটি অংশ, যা কেন্দ্রীয় দৃষ্টি নিয়ে কাজ করে, তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া। এটি সাধারণত বৃদ্ধ বয়সে দেখা যায়, কিন্তু পুরুষদের মধ্যে এটির প্রবণতা কিছুটা বেশি। এটি চোখের দৃষ্টি কমিয়ে আনে এবং ব্যক্তি নির্দিষ্ট কিছু কাজ করতে অক্ষম হতে পারে। যেমন পড়াশোনা কিংবা ছোটখাটো খুঁটিনাটি কাজ।
কনজাংটিভাইটিস: কনজাংটিভাইটিস কিংবা চোখের সাদা অংশে প্রদাহ একটি সাধারণ চোখের সমস্যা, যা পুরুষদের মধ্যে বেশি।
এটি সাধারণত ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া অথবা অ্যালার্জির কারণে হয়। কনজাংটিভাইটিসের লক্ষণ হিসেবে চোখ লাল হয়ে যাওয়া, চোখে জ্বালা কিংবা অস্বস্তি অনুভব হওয়া এবং চোখ দিয়ে পানি পড়া ইত্যাদি হতে পারে। যদিও এটি সবার মধ্যে হতে পারে। তবে পুরুষদের মধ্যে এটি বেশি প্রকট হতে দেখা যায়।
প্রেসবায়োপিয়া বা চালশে: প্রেসবায়োপিয়া হলো চোখের এমন একটি অবস্থা, যেখানে বয়স্ক ব্যক্তির কাছে থেকে ছোট জিনিস পড়তে সমস্যা হয়। সাধারণত ৪০ বছর বয়সের পর এই রোগ দেখা যায়। যদিও এটি অনেক মানুষের মধ্যে হয়, তবে পুরুষদের মধ্যে এটি কিছুটা বেশি।
শুষ্ক চোখের সিনড্রোম: শুষ্ক চোখের সিনড্রোম হলো এমন একটি সমস্যা, যেখানে চোখের পৃষ্ঠে সঠিক পরিমাণে আর্দ্রতা থাকে না। এটি পুরুষদের মধ্যে বেশির ভাগ সময় দেখা যায়, বিশেষ করে যাদের দীর্ঘ সময় কম্পিউটার অথবা মোবাইল স্ক্রিনের সামনে বসে কাজ করতে হয়। শুষ্ক চোখের কারণে চোখে চুলকানি, লাল ভাব এবং চোখের চারপাশে চাপ অনুভূত হতে পারে।
রক্তনালিতে সমস্যা: ছেলেদের মধ্যে চোখের রক্তনালিতে সমস্যা হতে পারে এবং তা চোখে রক্তক্ষরণ সৃষ্টি করতে পারে। এই ধরনের সমস্যা সাধারণত রেটিনা অথবা চোখের অন্য অংশে রক্তপ্রবাহের সমস্যা সৃষ্টি করে এবং তা দৃষ্টির সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
রং দেখার সমস্যা: রং দেখার সমস্যা কিংবা বর্ণান্ধতা একটি জেনেটিক রোগ, যা ছেলেদের মধ্যে অনেক বেশি দেখা যায়। এটি সাধারণত পুরুষদের মধ্যে ৮০% বেশি দেখা যায়। কারণ, এটি X-ক্রোমোজোমের ওপর নির্ভরশীল। রঙের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে না পারার কারণে কিছু সামাজিক বা পেশাগত কাজের ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
চক্ষুবিশেষজ্ঞ ও সার্জন, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা।

চোখের রোগ বিভিন্ন কারণে হতে পারে এবং কিছু রোগ পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। পুরুষদের চোখের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করার জন্য অনেক ধরনের রোগ ও সমস্যার সৃষ্টি হয়, যেমন জেনেটিক ফ্যাক্টর, জীবনযাত্রার স্টাইল এবং পরিবেশগত কারণে। এখানে এমন কিছু চোখের রোগের কথা বলা হলো, যা পুরুষদের মধ্যে বেশি হয়।
চোখের মণির অস্বাভাবিকতা: পুরুষদের মধ্যে চোখের মণির অস্বাভাবিকতা বা চোখের মণি সঠিকভাবে কাজ না করা একটি সাধারণ সমস্যা। চোখের মণি বা কর্নিয়া হলো চোখের সামনের স্বচ্ছ অংশ, যা চোখে আসা আলোকে সঠিকভাবে লেন্সে নিয়ে যায়। কোনো কারণে যদি কর্নিয়ার গঠন পরিবর্তিত হয়, তাহলে সেটি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে। কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, পুরুষদের মধ্যে কর্নিয়া সমস্যা বেশি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
রেটিনাল ডিস্ট্রফি: রেটিনাল ডিস্ট্রফি একটি বিরল চোখের রোগ, যেখানে চোখের রেটিনা (যা চোখের পেছনের অংশে থাকে এবং দৃষ্টির জন্য দায়ী) ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে। এই রোগ পুরুষদের মধ্যে বেশি। রেটিনাল ডিস্ট্রফির কারণে দৃষ্টিশক্তি কমে এবং এটি সাধারণত প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চলে আসে।
গ্লুকোমা: গ্লুকোমা এমন একটি রোগ, যা চোখের চাপের কারণে রেটিনার স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত করে। পুরুষদের মধ্যে গ্লুকোমার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। গ্লুকোমা হলে দৃষ্টিশক্তি ধীরে ধীরে কমে যেতে পারে এবং এতে চোখের ভেতরে চাপ বাড়তে থাকে। এটি একধরনের নীরব রোগ। কারণ, এতে প্রথম দিকে কোনো উপসর্গ দেখা যায় না। গ্লুকোমার কারণে যে কারও দৃষ্টিশক্তি পুরোপুরি হারিয়ে যেতে পারে।
ক্যাটারাক্ট: ক্যাটারাক্ট হলো চোখের লেন্সের ঘোলা হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া। ফলে দৃষ্টিশক্তি কমে যায়। পুরুষদের মধ্যে বয়স হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই রোগ বেশি দেখা যায়। যদিও ক্যাটারাক্ট সাধারণত বৃদ্ধ বয়সে দেখা যায়, তবে কিছু বিশেষ কারণে এটি পুরুষদের মধ্যে কম বয়সেও হতে পারে। ক্যাটারাক্টের কারণে দৃষ্টিশক্তির সমস্যা সৃষ্টি হয় এবং এটি একমাত্র অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ঠিক করা সম্ভব।
ম্যাকুলার ডিজেনারেশন: ম্যাকুলার ডিজেনারেশন হলো চোখের রেটিনার একটি অংশ, যা কেন্দ্রীয় দৃষ্টি নিয়ে কাজ করে, তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া। এটি সাধারণত বৃদ্ধ বয়সে দেখা যায়, কিন্তু পুরুষদের মধ্যে এটির প্রবণতা কিছুটা বেশি। এটি চোখের দৃষ্টি কমিয়ে আনে এবং ব্যক্তি নির্দিষ্ট কিছু কাজ করতে অক্ষম হতে পারে। যেমন পড়াশোনা কিংবা ছোটখাটো খুঁটিনাটি কাজ।
কনজাংটিভাইটিস: কনজাংটিভাইটিস কিংবা চোখের সাদা অংশে প্রদাহ একটি সাধারণ চোখের সমস্যা, যা পুরুষদের মধ্যে বেশি।
এটি সাধারণত ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া অথবা অ্যালার্জির কারণে হয়। কনজাংটিভাইটিসের লক্ষণ হিসেবে চোখ লাল হয়ে যাওয়া, চোখে জ্বালা কিংবা অস্বস্তি অনুভব হওয়া এবং চোখ দিয়ে পানি পড়া ইত্যাদি হতে পারে। যদিও এটি সবার মধ্যে হতে পারে। তবে পুরুষদের মধ্যে এটি বেশি প্রকট হতে দেখা যায়।
প্রেসবায়োপিয়া বা চালশে: প্রেসবায়োপিয়া হলো চোখের এমন একটি অবস্থা, যেখানে বয়স্ক ব্যক্তির কাছে থেকে ছোট জিনিস পড়তে সমস্যা হয়। সাধারণত ৪০ বছর বয়সের পর এই রোগ দেখা যায়। যদিও এটি অনেক মানুষের মধ্যে হয়, তবে পুরুষদের মধ্যে এটি কিছুটা বেশি।
শুষ্ক চোখের সিনড্রোম: শুষ্ক চোখের সিনড্রোম হলো এমন একটি সমস্যা, যেখানে চোখের পৃষ্ঠে সঠিক পরিমাণে আর্দ্রতা থাকে না। এটি পুরুষদের মধ্যে বেশির ভাগ সময় দেখা যায়, বিশেষ করে যাদের দীর্ঘ সময় কম্পিউটার অথবা মোবাইল স্ক্রিনের সামনে বসে কাজ করতে হয়। শুষ্ক চোখের কারণে চোখে চুলকানি, লাল ভাব এবং চোখের চারপাশে চাপ অনুভূত হতে পারে।
রক্তনালিতে সমস্যা: ছেলেদের মধ্যে চোখের রক্তনালিতে সমস্যা হতে পারে এবং তা চোখে রক্তক্ষরণ সৃষ্টি করতে পারে। এই ধরনের সমস্যা সাধারণত রেটিনা অথবা চোখের অন্য অংশে রক্তপ্রবাহের সমস্যা সৃষ্টি করে এবং তা দৃষ্টির সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
রং দেখার সমস্যা: রং দেখার সমস্যা কিংবা বর্ণান্ধতা একটি জেনেটিক রোগ, যা ছেলেদের মধ্যে অনেক বেশি দেখা যায়। এটি সাধারণত পুরুষদের মধ্যে ৮০% বেশি দেখা যায়। কারণ, এটি X-ক্রোমোজোমের ওপর নির্ভরশীল। রঙের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে না পারার কারণে কিছু সামাজিক বা পেশাগত কাজের ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
চক্ষুবিশেষজ্ঞ ও সার্জন, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা।

নারীর শারীরিক শক্তি নিয়ে প্রচলিত ধারণা বদলে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা পুরুষদের ছাপিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি একাধিক নারী ক্রীড়াবিদ এমন নজির স্থাপন করেছেন, যা কেবল ক্রীড়াঙ্গনের সীমানায় সীমাবদ্ধ নয়। বরং এসব সাফল্য আমাদের শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে বহু পুরোনো ধ্যানধারণার ভিতে নাড়া দিচ্ছে।
০১ জুন ২০২৫
ঘুমিয়ে পড়া কি আপনাকে লোকের সামনে হাসির পাত্র বানিয়ে তুলছে? এ জন্য কি কারও সঙ্গে ঘুমাতে সংকোচ বোধ করছেন? সোজাভাবে জিজ্ঞাসা করি, ঘুমালে কি আপনি নাক ডাকেন? নাক ডাকা একটি সাধারণ সমস্যা। কিন্তু এটি শুধু আপনার সঙ্গীর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় না, বরং অনেক সময় গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
৬ ঘণ্টা আগে
পিঠব্যথা বা লো ব্যাক পেইন সাধারণ কারণে শুরু হলেও সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে এটি দীর্ঘমেয়াদি অস্বস্তি, চলাফেরায় সীমাবদ্ধতা এবং দৈনন্দিন জীবনে নানা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
৮ ঘণ্টা আগে
শীতকাল মানেই টাটকা, সবুজ ও বাহারি সবজির সমাহার। বাজারে ঢুকলে দেখা মেলে নানান সবজির। কম দামে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, গাজর, মটরশুঁটি, ব্রকলি এবং ধনেপাতার মতো সবজি কিনে সারা বছর এগুলোর স্বাদ উপভোগ করতে চান অনেকে। তবে কিনে বাড়ি ফিরলেই যে এর পুষ্টিগুণ সব আপনার পেটে যাবে, এমন নয়।
৮ ঘণ্টা আগেডা. অনিক সরকার পলাশ

পিঠব্যথা বা লো ব্যাক পেইন সাধারণ কারণে শুরু হলেও সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে এটি দীর্ঘমেয়াদি অস্বস্তি, চলাফেরায় সীমাবদ্ধতা এবং দৈনন্দিন জীবনে নানা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
পিঠে ব্যথা হওয়ার পেছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ কয়েকটি হলো—
ভুলভাবে বসা, ঝুঁকে কাজ করা, মোবাইল বা ল্যাপটপ দীর্ঘ সময় ব্যবহার, নরম বিছানায় ঘুমানো সবই মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক অবস্থান নষ্ট করে ব্যথা বাড়াতে পারে।
দৈনন্দিন শারীরিক পরিশ্রম ও ব্যায়ামের অভাবে পিঠের পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে সামান্য চাপেই ব্যথা দেখা দেয়।
হঠাৎ ভারী জিনিস তোলা, ভুলভাবে নড়াচড়া বা অতিরিক্ত শ্রমের কারণে পেশি ও লিগামেন্টে টান ধরে। এটিও তীব্র পিঠব্যথার সাধারণ কারণ।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেরুদণ্ডের ডিস্কগুলো ক্ষয় হতে থাকে। এর ফলে স্পন্ডাইলোসিস, সায়াটিকা ও ডিস্ক প্রল্যাপসের মতো রোগ দেখা দেয়।
অনেক সময় কিডনি, পিত্তথলি বা অগ্ন্যাশয়ের সমস্যা থেকেও পিঠব্যথা অনুভূত হতে পারে। তাই দীর্ঘস্থায়ী বা অস্বাভাবিক ব্যথার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরি।
পিঠব্যথা কম থেকে তীব্র—উভয় মাত্রার হতে পারে। কারও ব্যথা কয়েক দিনে কমে যায়, আবার
কারও ক্ষেত্রে সপ্তাহ বা মাস ধরে চলতে পারে। হাঁটতে গেলে ব্যথা বাড়া, পা পর্যন্ত ব্যথা ছড়িয়ে পড়া, কোমর শক্ত হয়ে যাওয়া কিংবা বারবার শোয়া-বসায় অস্বস্তি এসবই সাধারণ উপসর্গ।
অভ্যাস ও জীবনযাত্রায় কয়েকটি পরিবর্তন আনলে পিঠব্যথা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
সঠিক অঙ্গভঙ্গি বজায় রাখা: বসে অথবা দাঁড়িয়ে কাজ করার সময় মেরুদণ্ড সোজা রাখতে হবে। চেয়ারে বসলে কোমর পুরোটা ব্যাকরেস্টে ঠেকিয়ে বসা উচিত। ঘুমানোর সময় খুব নরম গদি এড়িয়ে চলুন।
নিয়মিত ব্যায়াম করা: পিঠের পেশি শক্তিশালী রাখতে প্রতিদিন কিছুক্ষণ হাঁটা, হালকা স্ট্রেচিং কিংবা ফিজিওথেরাপি,
এ ধরনের ব্যায়াম বেশ উপকারী। ব্যথা বেড়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যায়াম না করাই ভালো।
ওজন নিয়ন্ত্রণ করা: অতিরিক্ত ওজন কোমরের নিচের দিকে বাড়তি চাপ তৈরি করে। সুস্থ খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত চলাফেরায় ওজন ঠিক রাখলে ব্যথা অনেকটা কমে।
একই ভঙ্গিতে দীর্ঘ সময় না থাকা: দীর্ঘ সময় একভাবে বসে বা দাঁড়িয়ে থাকলে পেশিতে চাপ জমে। প্রতি ঘণ্টায় ২-৩ মিনিট হেঁটে নিন বা অঙ্গভঙ্গি পরিবর্তন করুন।
অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ, আলোক হাসপাতাল, মিরপুর-৬

পিঠব্যথা বা লো ব্যাক পেইন সাধারণ কারণে শুরু হলেও সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে এটি দীর্ঘমেয়াদি অস্বস্তি, চলাফেরায় সীমাবদ্ধতা এবং দৈনন্দিন জীবনে নানা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
পিঠে ব্যথা হওয়ার পেছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ কয়েকটি হলো—
ভুলভাবে বসা, ঝুঁকে কাজ করা, মোবাইল বা ল্যাপটপ দীর্ঘ সময় ব্যবহার, নরম বিছানায় ঘুমানো সবই মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক অবস্থান নষ্ট করে ব্যথা বাড়াতে পারে।
দৈনন্দিন শারীরিক পরিশ্রম ও ব্যায়ামের অভাবে পিঠের পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে সামান্য চাপেই ব্যথা দেখা দেয়।
হঠাৎ ভারী জিনিস তোলা, ভুলভাবে নড়াচড়া বা অতিরিক্ত শ্রমের কারণে পেশি ও লিগামেন্টে টান ধরে। এটিও তীব্র পিঠব্যথার সাধারণ কারণ।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেরুদণ্ডের ডিস্কগুলো ক্ষয় হতে থাকে। এর ফলে স্পন্ডাইলোসিস, সায়াটিকা ও ডিস্ক প্রল্যাপসের মতো রোগ দেখা দেয়।
অনেক সময় কিডনি, পিত্তথলি বা অগ্ন্যাশয়ের সমস্যা থেকেও পিঠব্যথা অনুভূত হতে পারে। তাই দীর্ঘস্থায়ী বা অস্বাভাবিক ব্যথার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরি।
পিঠব্যথা কম থেকে তীব্র—উভয় মাত্রার হতে পারে। কারও ব্যথা কয়েক দিনে কমে যায়, আবার
কারও ক্ষেত্রে সপ্তাহ বা মাস ধরে চলতে পারে। হাঁটতে গেলে ব্যথা বাড়া, পা পর্যন্ত ব্যথা ছড়িয়ে পড়া, কোমর শক্ত হয়ে যাওয়া কিংবা বারবার শোয়া-বসায় অস্বস্তি এসবই সাধারণ উপসর্গ।
অভ্যাস ও জীবনযাত্রায় কয়েকটি পরিবর্তন আনলে পিঠব্যথা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
সঠিক অঙ্গভঙ্গি বজায় রাখা: বসে অথবা দাঁড়িয়ে কাজ করার সময় মেরুদণ্ড সোজা রাখতে হবে। চেয়ারে বসলে কোমর পুরোটা ব্যাকরেস্টে ঠেকিয়ে বসা উচিত। ঘুমানোর সময় খুব নরম গদি এড়িয়ে চলুন।
নিয়মিত ব্যায়াম করা: পিঠের পেশি শক্তিশালী রাখতে প্রতিদিন কিছুক্ষণ হাঁটা, হালকা স্ট্রেচিং কিংবা ফিজিওথেরাপি,
এ ধরনের ব্যায়াম বেশ উপকারী। ব্যথা বেড়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যায়াম না করাই ভালো।
ওজন নিয়ন্ত্রণ করা: অতিরিক্ত ওজন কোমরের নিচের দিকে বাড়তি চাপ তৈরি করে। সুস্থ খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত চলাফেরায় ওজন ঠিক রাখলে ব্যথা অনেকটা কমে।
একই ভঙ্গিতে দীর্ঘ সময় না থাকা: দীর্ঘ সময় একভাবে বসে বা দাঁড়িয়ে থাকলে পেশিতে চাপ জমে। প্রতি ঘণ্টায় ২-৩ মিনিট হেঁটে নিন বা অঙ্গভঙ্গি পরিবর্তন করুন।
অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ, আলোক হাসপাতাল, মিরপুর-৬

নারীর শারীরিক শক্তি নিয়ে প্রচলিত ধারণা বদলে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা পুরুষদের ছাপিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি একাধিক নারী ক্রীড়াবিদ এমন নজির স্থাপন করেছেন, যা কেবল ক্রীড়াঙ্গনের সীমানায় সীমাবদ্ধ নয়। বরং এসব সাফল্য আমাদের শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে বহু পুরোনো ধ্যানধারণার ভিতে নাড়া দিচ্ছে।
০১ জুন ২০২৫
ঘুমিয়ে পড়া কি আপনাকে লোকের সামনে হাসির পাত্র বানিয়ে তুলছে? এ জন্য কি কারও সঙ্গে ঘুমাতে সংকোচ বোধ করছেন? সোজাভাবে জিজ্ঞাসা করি, ঘুমালে কি আপনি নাক ডাকেন? নাক ডাকা একটি সাধারণ সমস্যা। কিন্তু এটি শুধু আপনার সঙ্গীর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় না, বরং অনেক সময় গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
৬ ঘণ্টা আগে
চোখের রোগ বিভিন্ন কারণে হতে পারে এবং কিছু রোগ পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। পুরুষদের চোখের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করার জন্য অনেক ধরনের রোগ ও সমস্যার সৃষ্টি হয়, যেমন জেনেটিক ফ্যাক্টর, জীবনযাত্রার স্টাইল এবং পরিবেশগত কারণে। এখানে এমন কিছু চোখের রোগের কথা বলা হলো, যা পুরুষদের মধ্যে বেশি হয়।
৮ ঘণ্টা আগে
শীতকাল মানেই টাটকা, সবুজ ও বাহারি সবজির সমাহার। বাজারে ঢুকলে দেখা মেলে নানান সবজির। কম দামে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, গাজর, মটরশুঁটি, ব্রকলি এবং ধনেপাতার মতো সবজি কিনে সারা বছর এগুলোর স্বাদ উপভোগ করতে চান অনেকে। তবে কিনে বাড়ি ফিরলেই যে এর পুষ্টিগুণ সব আপনার পেটে যাবে, এমন নয়।
৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

শীতকাল মানেই টাটকা, সবুজ ও বাহারি সবজির সমাহার। বাজারে ঢুকলে দেখা মেলে নানান সবজির। কম দামে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, গাজর, মটরশুঁটি, ব্রকলি এবং ধনেপাতার মতো সবজি কিনে সারা বছর এগুলোর স্বাদ উপভোগ করতে চান অনেকে। তবে কিনে বাড়ি ফিরলেই যে এর পুষ্টিগুণ সব আপনার পেটে যাবে, এমন নয়। সঠিক পদ্ধতি জানা না থাকলে এসব সবজির রং, স্বাদ ও পুষ্টিগুণ দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, শরীরের বিভিন্ন রকমের পেশি এবং স্নায়ুতন্ত্রের সুরক্ষায় খনিজ লবণের ভূমিকা অনেক বেশি।
এই অতি গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও খনিজ লবণগুলো প্রধানত শাকসবজি এবং ফলমূল থেকে পাই। কিন্তু ছোট ছোট কিছু অসাবধানতার কারণে আমরা শাকসবজি এবং ফলমূলের পুষ্টির একটা বড় অংশ থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়ি।
সংরক্ষণ করার প্রাথমিক ধাপ: ধোয়া ও শুকানো সবজি সংরক্ষণের আগে কিছু প্রাথমিক প্রস্তুতি অত্যন্ত জরুরি। যেমন সবজি আস্ত অবস্থায় ধোয়া। বাজার থেকে আনার পর, কাটার আগেই পরিষ্কার পানিতে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। পুষ্টিবিদ মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ধুয়ে নিলে পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন বি এবং সি পানির সঙ্গে মিশে শাকসবজির বাইরে চলে যায়। ফলে আমরা ওই শাকসবজি থেকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ লবণ পাই না। সবজি কাটা হয়ে গেলে আর ধোয়া উচিত নয়। মনে রাখতে হবে, সবজি কাটা হলে ধোয়া হলে তার নিজস্ব আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে যায়। এরপর সেগুলো ভালো করে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। সংরক্ষণের পাত্র বা ব্যাগ যেন শুকনো থাকে। শুকনো কাপড় দিয়ে পাত্রগুলো ভালো করে মুছে নিন। মনে রাখবেন, আলু ও পেঁয়াজ একসঙ্গে সংরক্ষণ করবেন না। সবজিগুলো ফ্রিজে রাখার সময় চাপাচাপি না করে কিছুটা ফাঁকাভাবে ছোট ছিদ্রযুক্ত ড্রয়ার বা তাকে রাখুন।
দীর্ঘমেয়াদি সংরক্ষণের প্রধান কৌশল ব্লাঞ্চিং
সবজির স্বাদ, রং, ফ্লেভার ও টেক্সচার অক্ষুণ্ন রেখে দীর্ঘ সময়ের জন্য সংরক্ষণ কিংবা হিমায়িত করার প্রধান ও সঠিক পদ্ধতি হলো ব্লাঞ্চিং। ব্লাঞ্চিং হলো হালকা সেদ্ধ করা। অর্থাৎ ফুটন্ত পানিতে বা বাষ্পে (স্টিমিং পদ্ধতিতে) শাকসবজি অল্প সময়ের জন্য হালকা সেদ্ধ করে নেওয়া। আর সেদ্ধ করার সঙ্গে সঙ্গেই সবজিগুলোকে বরফ-ঠান্ডা পানিতে ডুবিয়ে দিতে হবে। এতে কুকিং প্রক্রিয়া থেমে যায় এবং সবজি বেশি সেদ্ধ হয় না। লাউ, মিষ্টি কুমড়া, মিষ্টিআলু কিংবা স্কোয়াশ জাতীয় সবজি ফ্রোজেন করার জন্য পুরোপুরি সেদ্ধ করে নিতে হয়। এই পদ্ধতি সবজিতে থাকা এনজাইমের ক্রিয়া বন্ধ করে দেয়, যা সবজির স্বাদ, রং, ফ্লেভার এবং টেক্সচারের কোনো পরিবর্তন না এনে তার প্রাকৃতিক সতেজতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি সবজির বাইরের ময়লা ও জীবাণু পরিষ্কার করে এবং পুষ্টিমান নষ্ট হওয়া রোধ করে। এ বিষয়ে পুষ্টিবিদ ইকবাল হোসেন বলেন, রান্না করতে যদি শিমের সবুজ রং কালো হয়ে যায় কিংবা গাজরের লাল রং কালচে হয়ে যায়, তাহলে বুঝতে হবে, এখানে শাকসবজির পুষ্টিগুণ বেশি নষ্ট হয়েছে।
হিমায়িত করার জন্য মোড়কীকরণ
ব্লাঞ্চিং এবং পুরোপুরি শুকানোর পরে সবজি সংরক্ষণের জন্য এয়ারটাইট পাত্র বা ব্যাগ ব্যবহার করুন। ভালোভাবে শুকনো সবজি এয়ারটাইট বক্স অথবা জিপলক ব্যাগে ভরে সংরক্ষণ করতে হবে। জিপলক ব্যাগ ব্যবহার করলে ভেতরের বাতাস সম্পূর্ণ বের করে দিয়ে মুখ ভালো করে বন্ধ করতে হবে, যেন ভেতরে বাতাস না থাকে। ধনেপাতার মতো শাকসবজিকে পাতলা ও স্বচ্ছ পলিথিনের ব্যাগে মোড়কায়ন করা ভালো। কারণ, এতে জলীয় বাষ্প চলাচল করতে পারে না এবং নেতিয়ে পড়া কমে যায়। ব্লাঞ্চিং করা সবজি এয়ারটাইট কনটেইনারে ভরে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিলে তা আপনি ব্যবহার করতে পারবেন সারা বছর।

শীতকাল মানেই টাটকা, সবুজ ও বাহারি সবজির সমাহার। বাজারে ঢুকলে দেখা মেলে নানান সবজির। কম দামে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, গাজর, মটরশুঁটি, ব্রকলি এবং ধনেপাতার মতো সবজি কিনে সারা বছর এগুলোর স্বাদ উপভোগ করতে চান অনেকে। তবে কিনে বাড়ি ফিরলেই যে এর পুষ্টিগুণ সব আপনার পেটে যাবে, এমন নয়। সঠিক পদ্ধতি জানা না থাকলে এসব সবজির রং, স্বাদ ও পুষ্টিগুণ দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, শরীরের বিভিন্ন রকমের পেশি এবং স্নায়ুতন্ত্রের সুরক্ষায় খনিজ লবণের ভূমিকা অনেক বেশি।
এই অতি গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও খনিজ লবণগুলো প্রধানত শাকসবজি এবং ফলমূল থেকে পাই। কিন্তু ছোট ছোট কিছু অসাবধানতার কারণে আমরা শাকসবজি এবং ফলমূলের পুষ্টির একটা বড় অংশ থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়ি।
সংরক্ষণ করার প্রাথমিক ধাপ: ধোয়া ও শুকানো সবজি সংরক্ষণের আগে কিছু প্রাথমিক প্রস্তুতি অত্যন্ত জরুরি। যেমন সবজি আস্ত অবস্থায় ধোয়া। বাজার থেকে আনার পর, কাটার আগেই পরিষ্কার পানিতে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। পুষ্টিবিদ মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ধুয়ে নিলে পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন বি এবং সি পানির সঙ্গে মিশে শাকসবজির বাইরে চলে যায়। ফলে আমরা ওই শাকসবজি থেকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ লবণ পাই না। সবজি কাটা হয়ে গেলে আর ধোয়া উচিত নয়। মনে রাখতে হবে, সবজি কাটা হলে ধোয়া হলে তার নিজস্ব আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে যায়। এরপর সেগুলো ভালো করে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। সংরক্ষণের পাত্র বা ব্যাগ যেন শুকনো থাকে। শুকনো কাপড় দিয়ে পাত্রগুলো ভালো করে মুছে নিন। মনে রাখবেন, আলু ও পেঁয়াজ একসঙ্গে সংরক্ষণ করবেন না। সবজিগুলো ফ্রিজে রাখার সময় চাপাচাপি না করে কিছুটা ফাঁকাভাবে ছোট ছিদ্রযুক্ত ড্রয়ার বা তাকে রাখুন।
দীর্ঘমেয়াদি সংরক্ষণের প্রধান কৌশল ব্লাঞ্চিং
সবজির স্বাদ, রং, ফ্লেভার ও টেক্সচার অক্ষুণ্ন রেখে দীর্ঘ সময়ের জন্য সংরক্ষণ কিংবা হিমায়িত করার প্রধান ও সঠিক পদ্ধতি হলো ব্লাঞ্চিং। ব্লাঞ্চিং হলো হালকা সেদ্ধ করা। অর্থাৎ ফুটন্ত পানিতে বা বাষ্পে (স্টিমিং পদ্ধতিতে) শাকসবজি অল্প সময়ের জন্য হালকা সেদ্ধ করে নেওয়া। আর সেদ্ধ করার সঙ্গে সঙ্গেই সবজিগুলোকে বরফ-ঠান্ডা পানিতে ডুবিয়ে দিতে হবে। এতে কুকিং প্রক্রিয়া থেমে যায় এবং সবজি বেশি সেদ্ধ হয় না। লাউ, মিষ্টি কুমড়া, মিষ্টিআলু কিংবা স্কোয়াশ জাতীয় সবজি ফ্রোজেন করার জন্য পুরোপুরি সেদ্ধ করে নিতে হয়। এই পদ্ধতি সবজিতে থাকা এনজাইমের ক্রিয়া বন্ধ করে দেয়, যা সবজির স্বাদ, রং, ফ্লেভার এবং টেক্সচারের কোনো পরিবর্তন না এনে তার প্রাকৃতিক সতেজতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি সবজির বাইরের ময়লা ও জীবাণু পরিষ্কার করে এবং পুষ্টিমান নষ্ট হওয়া রোধ করে। এ বিষয়ে পুষ্টিবিদ ইকবাল হোসেন বলেন, রান্না করতে যদি শিমের সবুজ রং কালো হয়ে যায় কিংবা গাজরের লাল রং কালচে হয়ে যায়, তাহলে বুঝতে হবে, এখানে শাকসবজির পুষ্টিগুণ বেশি নষ্ট হয়েছে।
হিমায়িত করার জন্য মোড়কীকরণ
ব্লাঞ্চিং এবং পুরোপুরি শুকানোর পরে সবজি সংরক্ষণের জন্য এয়ারটাইট পাত্র বা ব্যাগ ব্যবহার করুন। ভালোভাবে শুকনো সবজি এয়ারটাইট বক্স অথবা জিপলক ব্যাগে ভরে সংরক্ষণ করতে হবে। জিপলক ব্যাগ ব্যবহার করলে ভেতরের বাতাস সম্পূর্ণ বের করে দিয়ে মুখ ভালো করে বন্ধ করতে হবে, যেন ভেতরে বাতাস না থাকে। ধনেপাতার মতো শাকসবজিকে পাতলা ও স্বচ্ছ পলিথিনের ব্যাগে মোড়কায়ন করা ভালো। কারণ, এতে জলীয় বাষ্প চলাচল করতে পারে না এবং নেতিয়ে পড়া কমে যায়। ব্লাঞ্চিং করা সবজি এয়ারটাইট কনটেইনারে ভরে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিলে তা আপনি ব্যবহার করতে পারবেন সারা বছর।

নারীর শারীরিক শক্তি নিয়ে প্রচলিত ধারণা বদলে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা পুরুষদের ছাপিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি একাধিক নারী ক্রীড়াবিদ এমন নজির স্থাপন করেছেন, যা কেবল ক্রীড়াঙ্গনের সীমানায় সীমাবদ্ধ নয়। বরং এসব সাফল্য আমাদের শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে বহু পুরোনো ধ্যানধারণার ভিতে নাড়া দিচ্ছে।
০১ জুন ২০২৫
ঘুমিয়ে পড়া কি আপনাকে লোকের সামনে হাসির পাত্র বানিয়ে তুলছে? এ জন্য কি কারও সঙ্গে ঘুমাতে সংকোচ বোধ করছেন? সোজাভাবে জিজ্ঞাসা করি, ঘুমালে কি আপনি নাক ডাকেন? নাক ডাকা একটি সাধারণ সমস্যা। কিন্তু এটি শুধু আপনার সঙ্গীর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় না, বরং অনেক সময় গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
৬ ঘণ্টা আগে
চোখের রোগ বিভিন্ন কারণে হতে পারে এবং কিছু রোগ পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। পুরুষদের চোখের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করার জন্য অনেক ধরনের রোগ ও সমস্যার সৃষ্টি হয়, যেমন জেনেটিক ফ্যাক্টর, জীবনযাত্রার স্টাইল এবং পরিবেশগত কারণে। এখানে এমন কিছু চোখের রোগের কথা বলা হলো, যা পুরুষদের মধ্যে বেশি হয়।
৮ ঘণ্টা আগে
পিঠব্যথা বা লো ব্যাক পেইন সাধারণ কারণে শুরু হলেও সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে এটি দীর্ঘমেয়াদি অস্বস্তি, চলাফেরায় সীমাবদ্ধতা এবং দৈনন্দিন জীবনে নানা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
৮ ঘণ্টা আগে