অনলাইন ডেস্ক
প্রায় দেড় লাখেরও বেশি মুখ ও গলায় ক্যানসারের রোগী নতুন ইমিউনোথেরাপি ওষুধের মাধ্যমে দীর্ঘ সময় ক্যানসার-মুক্ত থাকতে পারবেন। আন্তর্জাতিক ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফল থেকে জানা গেছে, এই ওষুধ ক্যানসার ফিরে আসার ঝুঁকি কমিয়ে রোগীদের রোগমুক্ত থাকার সময় দ্বিগুণ করতে পারে।
গত ২০ বছরে মুখ ও গলার এই জটিল ক্যানসারের চিকিৎসায় বিশেষ কোনো উন্নতি হয়নি। তবে এবার এই নতুন ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে চিকিৎসাব্যবস্থা বদলে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা।
এই ওষুধ ক্যানসার রোগীদের শরীরে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। সেই সঙ্গে নির্দিষ্ট একধরনের প্রোটিনকে লক্ষ্য করে ক্যানসার কোষ ধ্বংস করে।
ডার্বিশায়ারের ৪৫ বছর বয়সী লরা মার্স্টন ছয় বছর আগে উন্নত স্তরের জিহ্বার ক্যানসারে আক্রান্ত হন। চিকিৎসকেরা তাঁর বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম বলে জানিয়েছিলেন। তবে তিনি অপারেশনের আগে ও পরে এই নতুন ইমিউনোথেরাপি ওষুধ ‘পেমব্রোলিজুম্যাব’ সেবন করেন। এটি তাঁর শরীরকে ক্যানসার মোকাবিলায় প্রশিক্ষণ দেয় বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
জিহ্বা ও গলার ক্যানসার চিকিৎসায় গত দুই দশকে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়নি। এই ক্যানসারে আক্রান্তদের অর্ধেকের বেশি পাঁচ বছরের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেন।
লরা জানালেন, জিহ্বায় এক ফোঁড়া সারছিল না। এটি পরীক্ষার পর ২০১৯ সালে তাঁর ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর তাঁকে জিহ্বাসহ গলায় অবস্থিত লিম্ফ নোড অপসারণ করতে হয়। তারপর নতুন করে তাঁকে আবার কথা বলা ও খাওয়ার অভ্যাস শিখতে হয়।
এই গবেষণায় লরাসহ প্রায় ৩৫০ জন রোগীকে অপারেশনের আগে ও পরে পেমব্রোলিজুম্যাব দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে শরীরকে ক্যানসারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করা হয়।
গবেষণার প্রধান অধ্যাপক কেভিন হ্যারিংটন বলেন, ‘আমরা প্রথমে শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে (রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থা) টিউমার চেনাতে সাহায্য করি, এরপর অপারেশনের পরও ওষুধ দিয়ে সেই প্রতিরোধক্ষমতা বজায় রাখি।’
অন্যদিকে, একই ধরনের রোগী যাঁরা প্রচলিত চিকিৎসাই পেয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে তুলনা করলে পেমব্রোলিজুম্যাব গ্রহণকারীদের ক্ষেত্রে ক্যানসারমুক্ত থাকার সময় গড়ে আড়াই থেকে বেড়ে পাঁচ বছর হয়েছে।
তিন বছর পর দেখা গেছে, পেমব্রোলিজুম্যাব পাওয়া রোগীদের ক্যানসার অন্য স্থানে ছড়ানোর ঝুঁকি ১০ শতাংশ কম।
লরা এখন পূর্ণকালীন কাজ করছেন এবং বলছেন, ‘আমি এখানে আছি, কথা বলতে পারছি। এটা আমার জন্য এক অসাধারণ ব্যাপার।’
তিনি জানান, তার বাঁ হাতের পেশি নিয়ে মুখে জিহ্বার জায়গা পূরণ করা হয়েছে এবং খুব কঠিন সময় পার করেছি। তবে নতুন ইমিউনোথেরাপি তাঁকে জীবন ফিরিয়ে দিয়েছে।
অধ্যাপক হ্যারিংটন বলেন, ‘এই চিকিৎসা পদ্ধতি রোগীদের পুরো জগৎ বদলে দিতে পারে।’
যুক্তরাজ্যে প্রতি বছর প্রায় ১২ হাজার ৮০০ জন মুখ ও গলার ক্যানসার রোগী শনাক্ত হয়।
এই চিকিৎসা পদ্ধতি বিশেষ কিছু রোগীর জন্য আরও ভালো কাজ করেছে। তবে গবেষকেরা বলছেন, পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সব রোগীর ক্ষেত্রেই এর সুফল পাওয়া গেছে। এখনই এই ওষুধ যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যসেবায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
যুক্তরাজ্যে বছরে প্রায় ১২ হাজার ৮০০ জন মুখ ও গলার ক্যানসারে আক্রান্ত হন।
কিনোট নামে এই ট্রায়াল ২৪টি দেশের ১৯২টি হাসপাতালে পরিচালিত হয় এবং ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি মেডিকেল স্কুলের নেতৃত্বে চালানো হয়েছে। ওষুধ কোম্পানি এসএসডি এতে অর্থায়ন করে।
গবেষণার ফলাফল আমেরিকার সিস্টেমিক অনকোলোজি সমিতির বার্ষিক সম্মেলনে উপস্থাপন করা হয়েছে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি
প্রায় দেড় লাখেরও বেশি মুখ ও গলায় ক্যানসারের রোগী নতুন ইমিউনোথেরাপি ওষুধের মাধ্যমে দীর্ঘ সময় ক্যানসার-মুক্ত থাকতে পারবেন। আন্তর্জাতিক ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফল থেকে জানা গেছে, এই ওষুধ ক্যানসার ফিরে আসার ঝুঁকি কমিয়ে রোগীদের রোগমুক্ত থাকার সময় দ্বিগুণ করতে পারে।
গত ২০ বছরে মুখ ও গলার এই জটিল ক্যানসারের চিকিৎসায় বিশেষ কোনো উন্নতি হয়নি। তবে এবার এই নতুন ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে চিকিৎসাব্যবস্থা বদলে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা।
এই ওষুধ ক্যানসার রোগীদের শরীরে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। সেই সঙ্গে নির্দিষ্ট একধরনের প্রোটিনকে লক্ষ্য করে ক্যানসার কোষ ধ্বংস করে।
ডার্বিশায়ারের ৪৫ বছর বয়সী লরা মার্স্টন ছয় বছর আগে উন্নত স্তরের জিহ্বার ক্যানসারে আক্রান্ত হন। চিকিৎসকেরা তাঁর বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম বলে জানিয়েছিলেন। তবে তিনি অপারেশনের আগে ও পরে এই নতুন ইমিউনোথেরাপি ওষুধ ‘পেমব্রোলিজুম্যাব’ সেবন করেন। এটি তাঁর শরীরকে ক্যানসার মোকাবিলায় প্রশিক্ষণ দেয় বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
জিহ্বা ও গলার ক্যানসার চিকিৎসায় গত দুই দশকে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়নি। এই ক্যানসারে আক্রান্তদের অর্ধেকের বেশি পাঁচ বছরের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেন।
লরা জানালেন, জিহ্বায় এক ফোঁড়া সারছিল না। এটি পরীক্ষার পর ২০১৯ সালে তাঁর ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর তাঁকে জিহ্বাসহ গলায় অবস্থিত লিম্ফ নোড অপসারণ করতে হয়। তারপর নতুন করে তাঁকে আবার কথা বলা ও খাওয়ার অভ্যাস শিখতে হয়।
এই গবেষণায় লরাসহ প্রায় ৩৫০ জন রোগীকে অপারেশনের আগে ও পরে পেমব্রোলিজুম্যাব দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে শরীরকে ক্যানসারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করা হয়।
গবেষণার প্রধান অধ্যাপক কেভিন হ্যারিংটন বলেন, ‘আমরা প্রথমে শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে (রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থা) টিউমার চেনাতে সাহায্য করি, এরপর অপারেশনের পরও ওষুধ দিয়ে সেই প্রতিরোধক্ষমতা বজায় রাখি।’
অন্যদিকে, একই ধরনের রোগী যাঁরা প্রচলিত চিকিৎসাই পেয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে তুলনা করলে পেমব্রোলিজুম্যাব গ্রহণকারীদের ক্ষেত্রে ক্যানসারমুক্ত থাকার সময় গড়ে আড়াই থেকে বেড়ে পাঁচ বছর হয়েছে।
তিন বছর পর দেখা গেছে, পেমব্রোলিজুম্যাব পাওয়া রোগীদের ক্যানসার অন্য স্থানে ছড়ানোর ঝুঁকি ১০ শতাংশ কম।
লরা এখন পূর্ণকালীন কাজ করছেন এবং বলছেন, ‘আমি এখানে আছি, কথা বলতে পারছি। এটা আমার জন্য এক অসাধারণ ব্যাপার।’
তিনি জানান, তার বাঁ হাতের পেশি নিয়ে মুখে জিহ্বার জায়গা পূরণ করা হয়েছে এবং খুব কঠিন সময় পার করেছি। তবে নতুন ইমিউনোথেরাপি তাঁকে জীবন ফিরিয়ে দিয়েছে।
অধ্যাপক হ্যারিংটন বলেন, ‘এই চিকিৎসা পদ্ধতি রোগীদের পুরো জগৎ বদলে দিতে পারে।’
যুক্তরাজ্যে প্রতি বছর প্রায় ১২ হাজার ৮০০ জন মুখ ও গলার ক্যানসার রোগী শনাক্ত হয়।
এই চিকিৎসা পদ্ধতি বিশেষ কিছু রোগীর জন্য আরও ভালো কাজ করেছে। তবে গবেষকেরা বলছেন, পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সব রোগীর ক্ষেত্রেই এর সুফল পাওয়া গেছে। এখনই এই ওষুধ যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যসেবায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
যুক্তরাজ্যে বছরে প্রায় ১২ হাজার ৮০০ জন মুখ ও গলার ক্যানসারে আক্রান্ত হন।
কিনোট নামে এই ট্রায়াল ২৪টি দেশের ১৯২টি হাসপাতালে পরিচালিত হয় এবং ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি মেডিকেল স্কুলের নেতৃত্বে চালানো হয়েছে। ওষুধ কোম্পানি এসএসডি এতে অর্থায়ন করে।
গবেষণার ফলাফল আমেরিকার সিস্টেমিক অনকোলোজি সমিতির বার্ষিক সম্মেলনে উপস্থাপন করা হয়েছে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গু নিয়ে আরও ৩৯৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আর মারা গেছে চিকিৎসাধীন এক ডেঙ্গু রোগী।
৩ ঘণ্টা আগেলবণ আমাদের খাদ্যতালিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলেও, অতিরিক্ত লবণ খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। শুধু রক্তচাপ বাড়ানোই নয়, এটি ত্বকের ফোলাভাব বা মুখমণ্ডলের স্ফীতিরও একটি প্রধান কারণ হতে পারে—এমনটাই উঠে এসেছে সাম্প্রতিক একটি গবেষণা।
১৫ ঘণ্টা আগেইগলস সিনড্রোম হলো নাক-কান-গলা বিভাগের অন্তর্গত একটি সমস্যা। গলায় টনসিলের ঠিক নিচে একটি হাড় থাকে। তার নাম স্টাইলয়েড প্রসেস। এর স্বাভাবিক দৈর্ঘ্য আড়াই থেকে তিন সেন্টিমিটারের কম।
১৬ ঘণ্টা আগেযেকোনো ফার্মেসিতে ঢুকলেই দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের সাপ্লিমেন্ট। শুধু ভিটামিন-মিনারেল নয়, সঙ্গে আছে হলুদ, ফিশ অয়েল, প্রোবায়োটিক, মেলাটোনিন—আরও কত কি। কিছু পণ্যে লেখা দেখবেন, ‘মেদ কমাবে, পেশি নয়’, আবার কোথাও লেখা, ‘মস্তিষ্ক ভালো রাখবে’,...
১৬ ঘণ্টা আগে