ডা. অদিতি সরকার
বাতরোগ সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের সমস্যা বলে বিবেচিত। কিন্তু শিশুরাও এতে আক্রান্ত হতে পারে। অনেক সময় অভিভাবকেরা ভাবেন, এই বয়সে এমন ব্যথা বা অস্বস্তি সাময়িক। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, অনেক শিশু দীর্ঘস্থায়ী বাতরোগে ভোগে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এই রোগকে বলা হয় জুভেনাইল ইডিওপ্যাথিক আর্থ্রারাইটিস (জেআইএ) বা শিশু বাতরোগ। এই রোগ মূলত অল্প বয়সী শিশুদের শরীরের জয়েন্ট বা গাঁটে প্রদাহ সৃষ্টি করে এবং দীর্ঘমেয়াদি সমস্যার জন্ম দিতে পারে।
রোগটি সাধারণত ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে দেখা যায় এবং তিন সপ্তাহ থেকে শুরু করে মাসের পর মাস, এমনকি বছরের পর বছর ধরে চলতে পারে। কখনো কখনো একাধিক গাঁটে একযোগে প্রদাহ দেখা যায়। এ অবস্থা শিশুর দৈনন্দিন চলাফেরা, খাওয়াদাওয়া, এমনকি পড়াশোনার ওপরেও প্রভাব ফেলে।
শিশুদের বাতরোগের কয়েকটি সাধারণ লক্ষণ হলো—
» সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর হাঁটাচলা করতে অসুবিধা হওয়া।
» এক বা একাধিক গাঁটে ফোলা, ব্যথা বা গরম অনুভব।
» খেলাধুলা এবং আগের মতো দৌড়ঝাঁপ না করা।
» জ্বর দেখা দেওয়া।
» শরীর ক্লান্ত, মেজাজ খিটখিটে হয়ে পড়া।
এই লক্ষণগুলো সাধারণ ভাইরাস সংক্রমণ বা অন্যান্য অস্থায়ী অসুস্থতার মতো মনে হলেও দীর্ঘস্থায়ী হলে অবশ্যই শিশু বাতরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
রোগের ধরন
» সীমিত গাঁটে বাত (এক বা দুটি গাঁটে প্রদাহ)
» বিস্তৃত গাঁটে বাত (পাঁচ বা তার বেশি গাঁটে একসঙ্গে প্রদাহ)
» জ্বরসহ বাত (সঙ্গে উচ্চ তাপমাত্রা, লালচে চামড়া ও অভ্যন্তরীণ অঙ্গের প্রদাহ)
» হাড়ের সংযোগস্থলে প্রদাহ
» প্রতিটি শ্রেণির উপসর্গ ও চিকিৎসাপদ্ধতি আলাদা। ফলে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে নির্ভুলভাবে লক্ষণ নির্ণয় করা গুরুত্বপূর্ণ।
প্রয়োজনীয় পরীক্ষা
এই রোগ নির্ণয়ে বিভিন্ন রক্ত পরীক্ষা, এক্স-রে, অস্থিসন্ধি আলট্রাসনোগ্রাফি এবং প্রয়োজনে আরও উন্নত পরীক্ষার দরকার হতে পারে। শিশুদের শরীর অনেক সময় রোগের লক্ষণ প্রকাশ করে না, তাই পারিপার্শ্বিক আচরণ, খাওয়াদাওয়া, ঘুম ও চলাফেরায় পরিবর্তনের দিকে নজর দেওয়া জরুরি।
চিকিৎসা ও যত্ন
শিশুদের বাতরোগে দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। সাধারণত ব্যথা ও প্রদাহ কমাতে ওষুধ দেওয়া হয়। কখনো কখনো বিশেষ ওষুধের সাহায্যে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়; যাতে প্রদাহ বারবার না হয়। পাশাপাশি ফিজিওথেরাপি, ব্যায়াম ও মনোসংযোগমূলক খেলাধুলা চিকিৎসার অংশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ।
এ রোগে শুধু ওষুধে নির্ভর না করে পরিবারের মানসিক সহায়তাও অপরিহার্য। শিশুকে স্বাভাবিক জীবনযাপনে সাহায্য করা, তার আত্মবিশ্বাস বাড়ানো এবং স্কুলে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া জরুরি।
শিশুদের বাতরোগ মোটেও অবহেলার বিষয় নয়। এই রোগ যথাসময়ে ধরা পড়লে নিয়মিত চিকিৎসা এবং যত্নের মাধ্যমে বেশির ভাগ শিশুই সম্পূর্ণ সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেতে পারে। তাই শিশুর হাঁটাচলার ধরনে বা আচরণে পরিবর্তন দেখলেই দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
পরামর্শ দিয়েছেন: রেসিডেন্ট, বিএমইউ
বাতরোগ সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের সমস্যা বলে বিবেচিত। কিন্তু শিশুরাও এতে আক্রান্ত হতে পারে। অনেক সময় অভিভাবকেরা ভাবেন, এই বয়সে এমন ব্যথা বা অস্বস্তি সাময়িক। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, অনেক শিশু দীর্ঘস্থায়ী বাতরোগে ভোগে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এই রোগকে বলা হয় জুভেনাইল ইডিওপ্যাথিক আর্থ্রারাইটিস (জেআইএ) বা শিশু বাতরোগ। এই রোগ মূলত অল্প বয়সী শিশুদের শরীরের জয়েন্ট বা গাঁটে প্রদাহ সৃষ্টি করে এবং দীর্ঘমেয়াদি সমস্যার জন্ম দিতে পারে।
রোগটি সাধারণত ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে দেখা যায় এবং তিন সপ্তাহ থেকে শুরু করে মাসের পর মাস, এমনকি বছরের পর বছর ধরে চলতে পারে। কখনো কখনো একাধিক গাঁটে একযোগে প্রদাহ দেখা যায়। এ অবস্থা শিশুর দৈনন্দিন চলাফেরা, খাওয়াদাওয়া, এমনকি পড়াশোনার ওপরেও প্রভাব ফেলে।
শিশুদের বাতরোগের কয়েকটি সাধারণ লক্ষণ হলো—
» সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর হাঁটাচলা করতে অসুবিধা হওয়া।
» এক বা একাধিক গাঁটে ফোলা, ব্যথা বা গরম অনুভব।
» খেলাধুলা এবং আগের মতো দৌড়ঝাঁপ না করা।
» জ্বর দেখা দেওয়া।
» শরীর ক্লান্ত, মেজাজ খিটখিটে হয়ে পড়া।
এই লক্ষণগুলো সাধারণ ভাইরাস সংক্রমণ বা অন্যান্য অস্থায়ী অসুস্থতার মতো মনে হলেও দীর্ঘস্থায়ী হলে অবশ্যই শিশু বাতরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
রোগের ধরন
» সীমিত গাঁটে বাত (এক বা দুটি গাঁটে প্রদাহ)
» বিস্তৃত গাঁটে বাত (পাঁচ বা তার বেশি গাঁটে একসঙ্গে প্রদাহ)
» জ্বরসহ বাত (সঙ্গে উচ্চ তাপমাত্রা, লালচে চামড়া ও অভ্যন্তরীণ অঙ্গের প্রদাহ)
» হাড়ের সংযোগস্থলে প্রদাহ
» প্রতিটি শ্রেণির উপসর্গ ও চিকিৎসাপদ্ধতি আলাদা। ফলে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে নির্ভুলভাবে লক্ষণ নির্ণয় করা গুরুত্বপূর্ণ।
প্রয়োজনীয় পরীক্ষা
এই রোগ নির্ণয়ে বিভিন্ন রক্ত পরীক্ষা, এক্স-রে, অস্থিসন্ধি আলট্রাসনোগ্রাফি এবং প্রয়োজনে আরও উন্নত পরীক্ষার দরকার হতে পারে। শিশুদের শরীর অনেক সময় রোগের লক্ষণ প্রকাশ করে না, তাই পারিপার্শ্বিক আচরণ, খাওয়াদাওয়া, ঘুম ও চলাফেরায় পরিবর্তনের দিকে নজর দেওয়া জরুরি।
চিকিৎসা ও যত্ন
শিশুদের বাতরোগে দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। সাধারণত ব্যথা ও প্রদাহ কমাতে ওষুধ দেওয়া হয়। কখনো কখনো বিশেষ ওষুধের সাহায্যে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়; যাতে প্রদাহ বারবার না হয়। পাশাপাশি ফিজিওথেরাপি, ব্যায়াম ও মনোসংযোগমূলক খেলাধুলা চিকিৎসার অংশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ।
এ রোগে শুধু ওষুধে নির্ভর না করে পরিবারের মানসিক সহায়তাও অপরিহার্য। শিশুকে স্বাভাবিক জীবনযাপনে সাহায্য করা, তার আত্মবিশ্বাস বাড়ানো এবং স্কুলে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া জরুরি।
শিশুদের বাতরোগ মোটেও অবহেলার বিষয় নয়। এই রোগ যথাসময়ে ধরা পড়লে নিয়মিত চিকিৎসা এবং যত্নের মাধ্যমে বেশির ভাগ শিশুই সম্পূর্ণ সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেতে পারে। তাই শিশুর হাঁটাচলার ধরনে বা আচরণে পরিবর্তন দেখলেই দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
পরামর্শ দিয়েছেন: রেসিডেন্ট, বিএমইউ
চিকিৎসার আশায় ভর্তি হয়েছিলেন, কিন্তু দিনের পর দিন অপেক্ষা করেও চিকিৎসক না পেয়ে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল থেকে একে একে চলে গেছেন সব রোগী। তাঁদেরই একজন সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার রাশিদুল ইসলাম। তিনি চলে যাওয়ার সময় বললেন, ‘২১ দিন ছিলাম, কোনো চিকিৎসা পাইনি। ঈদের পর আবার আসব ভাবছি।’
১১ ঘণ্টা আগেমাইগ্রেনের ভোগান্তি বিশ্বজুড়ে। শুধুমাত্র যুক্তরাজ্যেই ১ কোটিরও বেশি মানুষ মাইগ্রেনে ভোগেন। এই অসুখ কর্মজীবন শেষ করে দিতে পারে, ভবিষ্যৎ বদলে দিতে পারে, এমনকি জীবনকেও ছোট করে দিতে পারে। তাই এর থেকে পরিত্রাণের জন্য যখন কোনো সহজ সমাধান সামনে আসে তখন অনেকেই সেটি চেষ্টা করে দেখেন।
২ দিন আগেনারীর শারীরিক শক্তি নিয়ে প্রচলিত ধারণা বদলে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা পুরুষদের ছাপিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি একাধিক নারী ক্রীড়াবিদ এমন নজির স্থাপন করেছেন, যা কেবল ক্রীড়াঙ্গনের সীমানায় সীমাবদ্ধ নয়। বরং এসব সাফল্য আমাদের শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে বহু পুরোনো ধ্যানধারণার ভিতে নাড়া দিচ্ছে।
৩ দিন আগেপ্রায় দেড় লাখেরও বেশি মুখ ও গলার ক্যানসার রোগী নতুন ইমিউনোথেরাপি ওষুধের মাধ্যমে দীর্ঘ সময় ক্যানসার মুক্ত থাকতে পারবেন। আন্তর্জাতিক ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফল থেকে জানা গেছে, এই ওষুধ ক্যানসার ফিরে আসার ঝুঁকি কমিয়ে রোগীদের রোগমুক্ত থাকার সময় দ্বিগুণ করতে পারে।
৪ দিন আগে