মো. মাজহারুল হক তানিম
ডায়াবেটিসের রোগীর সংখ্যা দক্ষিণ এশিয়ায় বেড়েই চলেছে। বর্তমানে বাংলাদেশে এ রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি। শারীরিক পরিশ্রম না করা, মানসিক চাপ, ফর্মুলা ফুড বা প্রক্রিয়াজাত খাবার ও ভেজাল খাবার খাওয়া এবং মোবাইল ফোন বা গ্যাজেটে আসক্তি ডায়াবেটিস বাড়ার কারণ হিসেবে দায়ী বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে করণীয়
সুষম খাবার খাওয়া
যেসব খাবারে শর্করা, আমিষ ও চর্বির অনুপাত নির্দিষ্ট থাকে; তা সুষম খাবার বা ব্যালান্স ডায়েট। এ ধরনের খাবারে শর্করা ৫০ শতাংশ, আমিষ ১০ থেকে ১৫ শতাংশ এবং চর্বি ৩৫ শতাংশের কম থাকে। খাবার খেতে হবে সঠিক সময়ে পরিমাণমতো। অনেকের ভুল ধারণা রয়েছে, ডায়াবেটিস হলে শর্করাজাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে। বিষয়টি এমন মোটেই নয়, বরং পরিমাণমতো খেতে হবে। প্রয়োজনে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিতে হবে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা
শরীরে ওজন বাড়লে শরীরে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স তৈরি হয়। অর্থাৎ শরীরে ইনসুলিন থাকে, কিন্তু কাজ করতে পারে না। এই অবস্থা টাইপ-২ ডায়াবেটিসের অন্যতম কারণ। তাই আদর্শ ওজন বজায় রাখতে হবে। যাঁদের ওজন বেশি, তাঁদের ওজন কমাতে হবে।
শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম করা
সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন ঘাম ঝরাতে ব্যায়াম বা হাঁটতে হবে। এমনভাবে হাঁটতে হবে বা ব্যায়াম করতে হবে, যেন হাঁটা বন্ধ করলে হার্টবিট বেড়ে যায়।
পর্যাপ্ত ঘুমানো
একজন সুস্থ মানুষকে প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। রাত জাগা বা অনিদ্রা ডায়াবেটিসের অন্যতম কারণ।
মানসিক চাপমুক্ত থাকা
না চাইলেও আমাদের মানসিক চাপে পড়তে হয়। তবে যতটা সম্ভব মানসিক চাপমুক্ত থাকতে হবে।
বাজে অভ্যাস বাদ দেওয়া
ধূমপান ও তামাকজাতীয় দ্রব্য সেবন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রক্রিয়াজাত ও উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার বাদ দিতে হবে। এখন ফাস্ট ফুড ও উচ্চ প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার সংস্কৃতি চালু হয়েছে। এই উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার টাইপ-২ ডায়াবেটিসের কারণ। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে উচ্চ ক্যালরিমুক্ত খাবার খেতে হবে।
ডিভাইস ব্যবহার কমানো
আগে আমরা যে সময় মাঠে কাটাতাম, এখন সেটা কাটাই মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপে। এই লম্বা সময় বসে থাকা কিংবা বসে কাজ করা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।
সচেতনতা
যাঁদের পারিবারিক ডায়াবেটিসের ইতিহাস আছে; যাঁদের ওজন বেশি কিংবা যাঁদের বয়স ৩০ বছরের বেশি; যাঁদের গর্ভকালীন ডায়াবেটিস ছিল, তাঁদের উচিত প্রতি তিন মাস পর ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা। ডায়াবেটিস হওয়ার আগে উল্লিখিত নিয়ম মেনে এটি প্রতিরোধ করা সম্ভব।
লেখক: মো. মাজহারুল হক তানিম, হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ
ডায়াবেটিসের রোগীর সংখ্যা দক্ষিণ এশিয়ায় বেড়েই চলেছে। বর্তমানে বাংলাদেশে এ রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি। শারীরিক পরিশ্রম না করা, মানসিক চাপ, ফর্মুলা ফুড বা প্রক্রিয়াজাত খাবার ও ভেজাল খাবার খাওয়া এবং মোবাইল ফোন বা গ্যাজেটে আসক্তি ডায়াবেটিস বাড়ার কারণ হিসেবে দায়ী বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে করণীয়
সুষম খাবার খাওয়া
যেসব খাবারে শর্করা, আমিষ ও চর্বির অনুপাত নির্দিষ্ট থাকে; তা সুষম খাবার বা ব্যালান্স ডায়েট। এ ধরনের খাবারে শর্করা ৫০ শতাংশ, আমিষ ১০ থেকে ১৫ শতাংশ এবং চর্বি ৩৫ শতাংশের কম থাকে। খাবার খেতে হবে সঠিক সময়ে পরিমাণমতো। অনেকের ভুল ধারণা রয়েছে, ডায়াবেটিস হলে শর্করাজাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে। বিষয়টি এমন মোটেই নয়, বরং পরিমাণমতো খেতে হবে। প্রয়োজনে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিতে হবে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা
শরীরে ওজন বাড়লে শরীরে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স তৈরি হয়। অর্থাৎ শরীরে ইনসুলিন থাকে, কিন্তু কাজ করতে পারে না। এই অবস্থা টাইপ-২ ডায়াবেটিসের অন্যতম কারণ। তাই আদর্শ ওজন বজায় রাখতে হবে। যাঁদের ওজন বেশি, তাঁদের ওজন কমাতে হবে।
শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম করা
সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন ঘাম ঝরাতে ব্যায়াম বা হাঁটতে হবে। এমনভাবে হাঁটতে হবে বা ব্যায়াম করতে হবে, যেন হাঁটা বন্ধ করলে হার্টবিট বেড়ে যায়।
পর্যাপ্ত ঘুমানো
একজন সুস্থ মানুষকে প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। রাত জাগা বা অনিদ্রা ডায়াবেটিসের অন্যতম কারণ।
মানসিক চাপমুক্ত থাকা
না চাইলেও আমাদের মানসিক চাপে পড়তে হয়। তবে যতটা সম্ভব মানসিক চাপমুক্ত থাকতে হবে।
বাজে অভ্যাস বাদ দেওয়া
ধূমপান ও তামাকজাতীয় দ্রব্য সেবন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রক্রিয়াজাত ও উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার বাদ দিতে হবে। এখন ফাস্ট ফুড ও উচ্চ প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার সংস্কৃতি চালু হয়েছে। এই উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার টাইপ-২ ডায়াবেটিসের কারণ। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে উচ্চ ক্যালরিমুক্ত খাবার খেতে হবে।
ডিভাইস ব্যবহার কমানো
আগে আমরা যে সময় মাঠে কাটাতাম, এখন সেটা কাটাই মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপে। এই লম্বা সময় বসে থাকা কিংবা বসে কাজ করা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।
সচেতনতা
যাঁদের পারিবারিক ডায়াবেটিসের ইতিহাস আছে; যাঁদের ওজন বেশি কিংবা যাঁদের বয়স ৩০ বছরের বেশি; যাঁদের গর্ভকালীন ডায়াবেটিস ছিল, তাঁদের উচিত প্রতি তিন মাস পর ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা। ডায়াবেটিস হওয়ার আগে উল্লিখিত নিয়ম মেনে এটি প্রতিরোধ করা সম্ভব।
লেখক: মো. মাজহারুল হক তানিম, হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ
ডেঙ্গুতে সবশেষ মারা যাওয়া তিনজনই পুরুষ। তাঁদের মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুইজন ও মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছর জানুয়ারি থেকে এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৭৩ জনে।
১ ঘণ্টা আগেপ্রজনন সংক্রান্ত সমস্যা নির্ণয়ে চিকিৎসকদের জন্য এক নতুন সতর্কবার্তা নিয়ে এসেছে লিথুয়ানিয়ার ২৯ বছর বয়সী এক নারীর বিরল সমস্যা। বারবার চেষ্টা করেও গর্ভধারণে ব্যর্থ হওয়া এবং ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (আইভিএফ) চিকিৎসায়ও ফল না আসায় ধন্দে পড়ে গিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা।
৪ ঘণ্টা আগেহাসপাতালে ভর্তি আগুনে পোড়া রোগীদের সেপসিস, একাধিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অকেজো হয়ে যাওয়া, নিউমোনিয়া, মূত্রনালির সংক্রমণ, শক ইত্যাদি হতে পারে। ফলে তাদের বিভিন্ন জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা সাধারণ রোগীর চেয়ে বেশি। এসব জীবাণুর অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়ালসের প্রতি রেজিস্ট্যান্স হার অনেক বেশি...
৭ ঘণ্টা আগেআগুনে পুড়ে যাওয়া একটি মারাত্মক ও যন্ত্রণাদায়ক দুর্ঘটনা। এ দুর্ঘটনা শুধু ত্বকই নয়, চোখের মতো সংবেদনশীল অঙ্গকেও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। আগুন, গরম বাষ্প, বিস্ফোরণ, রাসায়নিক পদার্থ কিংবা ধোঁয়ার কারণে হওয়া চোখের ক্ষতি অনেক সময় স্থায়ী অন্ধত্বের কারণ হতে পারে। তাই আগুনে পুড়ে যাওয়া রোগীর চোখের...
৮ ঘণ্টা আগে