Ajker Patrika

তীব্র শীতে বীজতলার ক্ষতি

আলমডাঙ্গা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২১, ১১: ২৪
Thumbnail image

তীব্র শীতে আলমডাঙ্গাসহ চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন উপজেলার ধানের বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কৃষকেরা বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকেও সন্তোষজনক ফল পাচ্ছেন না।

কৃষকেরা জানান, মাত্র কিছুদিন আগে অসময়ের বৃষ্টিতে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে খেতের ধান। পরিস্থিতি এমনও হয়েছে, জমিতেই ধান থেকে বীজ গজিয়েছে। সেই ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে আগেভাগেই শীতের ধানের বীজতলায় ঘাম ঝরিয়েছেন। কিন্তু বিধিবাম! ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে ধানের চারা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

সাতসকালে ধানের বীজতলায় আসা আলমডাঙ্গার বেলগাছি গ্রামের কৃষক বাসুদেব কুমার ঘোষ বলেন, ‘তুমুল ঠান্ডায় জমে যাচ্চি। তবুও পাতুগুলো (চারা) রক্ষা করার চেষ্টা করে যাচ্চি পলিথিন দিয়ে ঢেকে। কারণ কদিন আগেই অসময়ের প্রচণ্ড বৃষ্টিতে আমার পাকা ধান ডুবে যায়। চোখের সামনেই জমিতে বীজ গজিয়ে নষ্ট হয়ে যায়। সেই ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতেই পাতু দিচিলাম। কুয়োই (কুয়াশা) সব শেষ। ভগবানই জানেন কপালে কি আছে!’

কথা হয় দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতা গ্রামের কৃষক আলাউদ্দিন আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ভাবিচিলাম বিঘে জমিতে খানিক ধান লাগাবনে। তাই পাতু দিচি। কিন্তুক সহালের চরম নেওর (শিশির) হভ শ্যাষ হরে দিছে। সব চারার মাতা পুড়ি কালা হোয়ে গ্যাচে গা।’

এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. আব্দুল মাজেদ বলেন, ‘তীব্র শীতে ধানের বীজতলা নষ্ট হওয়ার বিষয়টিকে কোল্ড ইনজুরি বলা হয়। তাপমাত্রা বাড়লে তা আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়। তবে এ সময় কৃষকদের একটু বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। রাতে বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। সকালে আবার তা সরিয়ে নিতে হবে, যেন আলো-বাতাস ঠিকমতো পেতে পারে। সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনে ভুক্তভোগীরা কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগিতা নিতে পারেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত