সম্পাদকীয়
ভয়াবহ বন্যায় দেশের কমপক্ষে ১২ জেলার প্রায় ৩৬ লাখ মানুষের জীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্গতি। বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাংলাদেশের মানুষের জন্য নতুন কোনো অভিজ্ঞতা নয়। কিন্তু এবার বন্যার আঘাত এসেছে কিছুটা আকস্মিকভাবে। কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণ এবং ভারতের ত্রিপুরা থেকে নেমে আসা ঢলে ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, কক্সবাজার, লক্ষ্মীপুর, সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের বিস্তীর্ণ অঞ্চল তলিয়ে গেছে। একদিকে দুর্গত মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া, তাদের জন্য খাবার সরবরাহে যেমন সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নানা উদ্যোগ লক্ষ করা যাচ্ছে, অন্যদিকে তেমনি এই নজিরবিহীন বন্যা নিয়ে রাজনীতিও দেখা যাচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘কোনো ধরনের আগাম সতর্কতা ও প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ না দিয়েই বাঁধ খুলে দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে ভারত অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছে এবং বাংলাদেশের সঙ্গে অসহযোগিতা করছে।’ উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, ‘আমরা আশা করব, দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভারত বাংলাদেশের জনগণবিরোধী এ ধরনের নীতি থেকে সরে আসবে। ভারতের এ নীতি নিয়ে বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও জনগণ ক্ষুব্ধ।’
সত্যি কি ভারতের ত্রিপুরার ডাম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়াই বাংলাদেশে বন্যার কারণ?
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ত্রিপুরার গোমতী নদীতে ভারতীয় বাঁধ থেকে পানি ছাড়ার কারণে বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত গোমতী নদীর ক্যাচমেন্ট (অববাহিকায়) এলাকায় কয়েক দিন ধরে এ বছরের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। বাংলাদেশে বন্যা মূলত বাঁধের ভাটির দিকের এই বৃহৎ ক্যাচমেন্টের পানির কারণে ঘটেছে।’
এদিকে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেও বলেছেন, ত্রিপুরায় এবার যে বন্যা হয়েছে, তা নজিরবিহীন। সেখানে ৫০ হাজারের মতো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
ওই সাক্ষাৎকারে বন্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি উচ্চতর কমিটি গঠন করার প্রস্তাব করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস; যাতে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলে দুই দেশ যৌথভাবে মোকাবিলা করতে পারে। তিনি অবশ্য বলেননি যে ভারতের কারণেই বাংলাদেশে বন্যা হয়েছে।
বাংলাদেশে তিন সপ্তাহ আগে একটি বড় রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয়েছে। দেশের সব ক্ষেত্রে এখনো স্থিতিশীলতা ফিরে আসেনি। এ অবস্থায় বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ
নিয়ে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে দোষারোপের রাজনীতি করা কতটুকু সমীচীন, সে প্রশ্ন করা যেতেই পারে।
নদী নিয়ে, নদীর পানিবণ্টন নিয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সমস্যা আছে। এ নিয়ে রাজনীতিও আছে। পানিবিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত বলেছেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সঙ্গে রাজনীতির যোগসূত্র যা-ই থাক, পানি নিয়ে রাজনীতি আছে। এক দেশ কতটা পানি দেবে, কতটা ছাড়বে–এটি রাজনীতির অংশ। কিন্তু এবারে যে বন্যা হচ্ছে, তা রাজনীতির অংশ নয়।
ভয়াবহ বন্যায় দেশের কমপক্ষে ১২ জেলার প্রায় ৩৬ লাখ মানুষের জীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্গতি। বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাংলাদেশের মানুষের জন্য নতুন কোনো অভিজ্ঞতা নয়। কিন্তু এবার বন্যার আঘাত এসেছে কিছুটা আকস্মিকভাবে। কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণ এবং ভারতের ত্রিপুরা থেকে নেমে আসা ঢলে ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, কক্সবাজার, লক্ষ্মীপুর, সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের বিস্তীর্ণ অঞ্চল তলিয়ে গেছে। একদিকে দুর্গত মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া, তাদের জন্য খাবার সরবরাহে যেমন সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নানা উদ্যোগ লক্ষ করা যাচ্ছে, অন্যদিকে তেমনি এই নজিরবিহীন বন্যা নিয়ে রাজনীতিও দেখা যাচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘কোনো ধরনের আগাম সতর্কতা ও প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ না দিয়েই বাঁধ খুলে দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে ভারত অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছে এবং বাংলাদেশের সঙ্গে অসহযোগিতা করছে।’ উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, ‘আমরা আশা করব, দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভারত বাংলাদেশের জনগণবিরোধী এ ধরনের নীতি থেকে সরে আসবে। ভারতের এ নীতি নিয়ে বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও জনগণ ক্ষুব্ধ।’
সত্যি কি ভারতের ত্রিপুরার ডাম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়াই বাংলাদেশে বন্যার কারণ?
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ত্রিপুরার গোমতী নদীতে ভারতীয় বাঁধ থেকে পানি ছাড়ার কারণে বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত গোমতী নদীর ক্যাচমেন্ট (অববাহিকায়) এলাকায় কয়েক দিন ধরে এ বছরের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। বাংলাদেশে বন্যা মূলত বাঁধের ভাটির দিকের এই বৃহৎ ক্যাচমেন্টের পানির কারণে ঘটেছে।’
এদিকে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেও বলেছেন, ত্রিপুরায় এবার যে বন্যা হয়েছে, তা নজিরবিহীন। সেখানে ৫০ হাজারের মতো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
ওই সাক্ষাৎকারে বন্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি উচ্চতর কমিটি গঠন করার প্রস্তাব করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস; যাতে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলে দুই দেশ যৌথভাবে মোকাবিলা করতে পারে। তিনি অবশ্য বলেননি যে ভারতের কারণেই বাংলাদেশে বন্যা হয়েছে।
বাংলাদেশে তিন সপ্তাহ আগে একটি বড় রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয়েছে। দেশের সব ক্ষেত্রে এখনো স্থিতিশীলতা ফিরে আসেনি। এ অবস্থায় বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ
নিয়ে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে দোষারোপের রাজনীতি করা কতটুকু সমীচীন, সে প্রশ্ন করা যেতেই পারে।
নদী নিয়ে, নদীর পানিবণ্টন নিয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সমস্যা আছে। এ নিয়ে রাজনীতিও আছে। পানিবিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত বলেছেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সঙ্গে রাজনীতির যোগসূত্র যা-ই থাক, পানি নিয়ে রাজনীতি আছে। এক দেশ কতটা পানি দেবে, কতটা ছাড়বে–এটি রাজনীতির অংশ। কিন্তু এবারে যে বন্যা হচ্ছে, তা রাজনীতির অংশ নয়।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪