Ajker Patrika

চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হয় রুবেলকে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৭ জানুয়ারি ২০২২, ১১: ১৭
Thumbnail image

শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার কথা বলে লালমনিরহাটের বাসা থেকে বেরিয়েছিলেন রুবেল মিয়া (২৩)। এরপর নিখোঁজ থাকেন। নয় দিন পর গত বৃহস্পতিবার মিরপুরের সরকারি বাঙলা কলেজের একটি নির্মাণাধীন ভবনে রশি দিয়ে তাঁর হাত বাঁধা লাশ পাওয়া যায়। নির্মাণাধীন ওই ভবনের তত্ত্বাবধায়ক আবদুল জলিল মোবাইল চোর সন্দেহে রুবেলকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।

মিন্টো রোডের ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে গতকাল রোববার সংবাদ সম্মেলনে ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ এসব কথা বলেন। তিনি জানান, হত্যার ঘটনায় ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ রোববার রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও গাজীপুরে অভিযান চালিয়ে আব্দুল জলিল (৫৩) ও আব্দুল মান্নানকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে।

হারুন বলেন, জলিল জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। ৯ জানুয়ারি বিকেল ৪টার দিকে ভুক্তভোগীকে বাঙলা কলেজের নির্মাণাধীন ভবনের বাথরুম থেকে বের হলে সন্দেহ করে সে পিটিয়েছে। এরপর লাশের পাশে তাঁর মোবাইলটি বন্ধ করে পালিয়ে যায় হত্যাকারীরা।

ডিবি জানিয়েছে, ভুক্তভোগী রুবেল চলতি মাসের ২ জানুয়ারি বিয়ে করেন। পরে ৫ জানুয়ারি নতুন বউয়ের সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি যেতে রাজি হননি। একপর্যায়ে চুল কাটার কথা বলে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন রুবেল। মানসিকভাবেও তিনি কিছুটা অসুস্থ ছিলেন।

এ বিষয়ে নিহতের চাচা বাদী হয়ে ১৪ জানুয়ারি দারুস সালাম থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে মামলার তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা পুলিশের মিরপুর জোনাল টিম। এতে নেতৃত্ব দেন মিরপুর বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মানস কুমার পোদ্দার ও অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম।

ডিবি জানায়, নিহত রুবেল চিকিৎসার জন্য ঢাকায় এসেছিল। তাঁর জামার পকেটে একটি প্রেসক্রিপশনও পাওয়া গেছে। তবুও ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে এ ব্যাপারে আরও জানা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত