Ajker Patrika

ক্যাসিনোতে শত কোটি টাকাকামান এনু-রুপন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০২১, ১১: ১১
ক্যাসিনোতে শত কোটি টাকাকামান এনু-রুপন

‘ক্যাসিনো ব্রাদার’ নামে পরিচিত পুরান ঢাকার এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়া অবৈধভাবে প্রায় ১০০ কোটি টাকা আয় করেছেন। ক্যাসিনো ব্যবসার মাধ্যমে অবৈধ এই আয়ে ১১ জনের সহযোগিতা পেয়েছেন তাঁরা। রাজধানীর বংশাল থানায় অর্থ পাচারের মামলার এক বছর পর আদালতে জমা দেওয়া অভিযোগপত্রে এমন তথ্য উল্লেখ করেছে তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি। ক্যাসিনো-কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এনু ও রুপনের পুরান ঢাকার বানিয়ানগরের বাসায় এবং তাঁদের দুই কর্মচারীর বাসায় অভিযান চালায় র‍্যাব। সেখান থেকে কয়েকটি সিন্দুক ভর্তি পাঁচ কোটি টাকা এবং সাড়ে সাত কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সূত্রাপুর, গেন্ডারিয়া ও বংশাল থানায় তাঁদের নামে ছয়টি মামলা করা হয়। ২০২০ সালে ও ২০২১ সালের শুরুতে পাঁচ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেয় সিআইডি। সর্বশেষ ২ নভেম্বর অর্থ পাচারের এ মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হলো।

সিআইডির কর্মকর্তারা বলছেন, ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৮৭ দিনে অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসা পরিচালনা করেন এই দুই ভাই। পরবর্তী সময়ে ক্যাসিনো-বিরোধী অভিযানে তাঁদের নাম আসায় দুই ভাইসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। বহিষ্কৃত হন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ থেকেও।

সিআইডি বলছে, তদন্তে তিনজনের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্য না পাওয়ায় তাঁদের অব্যাহতি দিয়ে মোট আটজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। অর্থ পাচারের এই মামলায় অভিযুক্তরা হলেন এনামুল হক এনু, রুপন ভূঁইয়া, জয় গোপাল সরকার, শহীদুল হক ভূঁইয়া, রশিদুল হক ভূঁইয়া, মেরাজুল হক শিপুল, পাভেল রহমান, ভুলু চন্দ্র দেব। এই ৮ জন পরস্পর যোগসাজশে ক্যাসিনো ব্যবসা থেকে ৮৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা অপরাধ লব্ধ আয় করেছেন।

সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইমের বিশেষ পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ক্যাসিনো-কাণ্ডে সিআইডির কাছে মোট ১০টি মামলা ছিল। তার মধ্যে ৮টি মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ ২ নভেম্বর এনু-রুপনের অভিযোগপত্র আদালত গ্রহণ করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত