Ajker Patrika

হারিছের বাড়ি এখন বিমসটেকের অফিস

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৩ জানুয়ারি ২০২২, ১২: ৪০
হারিছের বাড়ি এখন বিমসটেকের অফিস

দোতলা ভবনটির সামনে ছোট একটি মাঠ। মাঠের পাশেই ব্যাডমিন্টন খেলার জায়গা। চারপাশের ছোট গাছগুলো সুন্দর করে ছেঁটে রাখা হয়েছে। মাঠের ঠিক মাঝখানে একটি নারকেলগাছ, গাছের নিচে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য বিভিন্ন রঙের পাথর রাখা। বাড়িটির পেছনে একটি ছোট বাগান। চারপাশে ময়লা-আবর্জনার বিন্দুমাত্র ছাপ নেই।

হারিছ চৌধুরীর গুলশান-২-এর বাড়িটি এখন দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কয়েকটি দেশকে নিয়ে গঠিত একটি আঞ্চলিক জোট বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) কার্যালয়। সরেজমিনে ঘুরে বাড়িটির বর্তমান অবস্থা এমনই দেখা গেছে।

কিছুদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব ও দলের নেতা হারিছ চৌধুরীর মৃত্যুর খবর নিয়ে নানা আলোচনা হচ্ছে। দুর্নীতি, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলাসহ নানান ইস্যুতে তুমুল আলোচনায় ছিলেন তিনি। আলোচনায় ছিল তাঁর গুলশানের বাড়িটিও।

২০১৪ সালে বাড়িটি সরকারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার পর থেকেই এখানে বিমসটেকের কার্যালয় স্থাপন করা হয়। এই কার্যালয়টি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জোট সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় হারিছ চৌধুরী গুলশান-২-এর ৫৩ নম্বর রোডের এনডব্লিউআই-৬ নম্বর বাড়িটি কেনেন। তবে বাড়িটি কেনার ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। প্রায় ২০ কাঠা আয়তনের বাড়িটির তৎকালীন বাজারমূল্য প্রায় ৫০ থেকে ৭০ কোটি টাকা হলেও তিনি মাত্র ৫ কোটি ৩৬ লাখ ৯১ হাজার টাকায় বাড়িটি কিনেছিলেন। খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব থাকাকালে এ বাড়িটিতেই বসবাস করতেন তিনি।

২০০০ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ন্যাম সম্মেলনের তহবিল সংগ্রহের জন্য গুলশান, বনানী ও ধানমন্ডির কয়েকটি পরিত্যক্ত সরকারি বাড়ি নিলামে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেই সুযোগে হারিছ চৌধুরী ২৮টি বাড়ির বাইরে এ পরিত্যক্ত বাড়িটি কিনেছিলেন। তবে বাড়িটি কেনার ক্ষেত্রে তিনি নিজের নাম ব্যবহার করেননি। ফকির মাহবুব খান নামে তাঁর এক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির নামে বাড়িটি কিনেছিলেন তিনি।

২০০৭ সালে গুলশান সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে বাড়িটির রেজিস্ট্রি দলিল সম্পন্ন করা হয়। ২০০৭ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারির পর ভারতে পালিয়ে যান তিনি। স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে সেখানেই বসবাস করতেন।

২০০৭ সাল থেকে বাড়িটিতে আর কেউই থাকতেন না। ২০১৪ সালে সরকারকে বাড়িটি ফেরত দেন ফকির মাহবুব খান। বাড়িটির সামনের একটি ভবনের একজন বয়স্ক নিরাপত্তাপ্রহরী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘অনেক দিন এই বাড়িতে কেউই ছিল না। বাড়িটা বন্ধ থাকত। মাঝে প্রায় পরিত্যক্ত বাড়ির মতো হয়ে গিয়েছিল।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

স্ত্রী রাজি নন, সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের মরদেহের ময়নাতদন্ত হবে না: পুলিশ

বাকৃবির ৫৭ শিক্ষকসহ ১৫৪ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে পারে সরকার, ভয়ে কলকাতায় দিলীপ কুমারের আত্মহত্যা

শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনালে অবতরণ করল প্রথম ফ্লাইট

সাবেক সেনাপ্রধান হারুন ছিলেন চট্টগ্রাম ক্লাবের গেস্ট হাউসে, দরজা ভেঙে বিছানায় মিলল তাঁর লাশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত