Ajker Patrika

বাউফলে নাব্যতাসংকটে ভোগান্তি লঞ্চযাত্রীদের

আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২১, ১১: ২৫
বাউফলে নাব্যতাসংকটে ভোগান্তি লঞ্চযাত্রীদের

পটুয়াখালীর বাউফলে বিভিন্ন নদীতে নাব্যতাসংকটের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে পণ্যবাহী জাহাজসহ লঞ্চের যাত্রীরা। নদীতে নাব্যতাসংকটের কারণে বিভিন্ন রুটের লঞ্চগুলো নির্ধারিত ঘাটে ভিড়তে পারছে না। লঞ্চগুলোকে নদীর মোহনায় নোঙর করতে হচ্ছে। ফলে যাত্রীদের ঝুঁকি নিয়ে ট্রলার ও নৌকাযোগে মূল নদীর মোহনায় গিয়ে লঞ্চে উঠতে হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার প্রধান নদীবন্দর কালাইয়া ঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশে দুটি ডবল ডেকার লঞ্চ ও ৫টি সিঙ্গেল ডেকার লঞ্চ অভ্যন্তরীণ রুটে আসা-যাওয়া করে। এ ছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রামসহ অন্যান্য স্থান থেকে তেলবাহী ট্যাংকার, পণ্যবাহী জাহাজ কালাইয়া বন্দরের উদ্দেশে আসা-যাওয়া করে। তেঁতুলিয়া নদীসহ অন্যান্য নদীতে পানি কমে নাব্যতাসংকটের কারণে কোনো পরিবহন লঞ্চ কিংবা জাহাজ কালাইয়া বন্দরের ঘাটে প্রবেশ করতে পারে না। এ কারণে লঞ্চ কিংবা জাহাজ তেঁতুলিয়া নদীর মোহনায় নোঙর করে রাখে। ফলে যাত্রীদের লঞ্চঘাটের টার্মিনাল থেকে নৌকা কিংবা ট্রলারযোগে ওঠানামা করতে হয়। অপরদিকে ব্যবসায়ীদের মালামাল নৌকাযোগে নির্দিষ্ট গন্তব্যে নিয়ে আসতে হয়।

কালাইয়া থেকে ঢাকাগামী এমভি ধুলিয়া লঞ্চের মাস্টার রফিক বলেন, ‘কালাইয়ার বন্দর লঞ্চঘাট প্রবেশের মুখে আলগী নদীতে দুই হাত পানিরও গভীরতা থাকে না। বাধ্য হয়ে লঞ্চ তেঁতুলিয়া নদীর মোহনায় ভেড়াতে বাধ্য হচ্ছি।’

কালাইয়া লঞ্চঘাটের ইজারাদারের পক্ষে মো. জামির হোসেন বলেন, ‘আমি স্থানীয় সাংসদ জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজের সুপারিশ নিয়ে আলগী নদীটি খননের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একটি লিখিত আবেদন করেছি। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দপ্তর এখন পর্যন্ত ব্যবস্থা নেয়নি।’

পটুয়াখালী জেলা নদীবন্দরের উপপরিচালক এ কে এম মহিউদ্দিন খান বলেন, ‘দ্রুত সময়ের মধ্যে তেঁতুলিয়া নদীসহ কালাইয়া বন্দরে প্রবেশের আলগী নদী খননকাজ শুরু করা হবে। যাতে সকল প্রকার নৌযান চলাচল করতে পারে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত