Ajker Patrika

নদ-নদীর পানি কমলেও রাস্তাঘাটের বিপুল ক্ষতি

জুবাইদুল ইসলাম, শেরপুর
আপডেট : ১২ জুন ২০২২, ১৩: ২৪
নদ-নদীর পানি কমলেও রাস্তাঘাটের বিপুল ক্ষতি

ভারী বর্ষণ কমে যাওয়ায় শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে ভাটি এলাকায় পানি ধীরে ধীরে বাড়ছে। এতে উপজেলার মালিঝিকান্দা ও হাতীবান্ধা ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে। এদিকে পাহাড়ি ঢলের পানি নামতে শুরু করায় ভেসে উঠছে ক্ষতির চিত্র। ঢলের পানির তোড়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গ্রামীণ, পাকা রাস্তাঘাটসহ বেশ কয়েকটি সাঁকোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার থেকে দুদিনের অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা মহারশি, সোমেশ্বরী ও কালঘোষা নদীর পানিতে উপজেলার চারটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়।

গত বৃহস্পতিবার সকালে মহারশি, সোমেশ্বরী ও কালঘোষা নদীর পাহাড়ি ঢলের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে ঢলের পানির চাপে ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়নের দীঘিরপাড় এলাকায় প্রায় ২০০ মিটারজুড়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে যায়। ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে হাজারো মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে। প্লাবিত হয় ঝিনাইগাতী সদর বাজার, আঞ্চলিক মহাসড়ক, উপজেলা পরিষদ চত্বরসহ অফিস পাড়াগুলো।

এতে সরকারি দপ্তরগুলোয় কর্মকাণ্ড ব্যাহত হয়। ঢলে উপজেলার বিভিন্ন স্থান পানিতে তলিয়ে দেড় শতাধিক পুকুরের কোটি টাকার মাছ ভেসে যায়।

এতে খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। তবে পাহাড়ি ঢলের পানিতে কৃষির তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। বৃষ্টি কমে যাওয়ায় গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই নদীগুলোয় উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি কমতে শুরু করে।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পানি নেমে যাওয়ার পর ঢলের তোড়ে ক্ষতির চিত্র বের হয়ে আসছে। ঢলে মহারশি ও সোমেশ্বরী নদীর বিভিন্ন স্থানে প্রায় আড়াই কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে গেছে এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এ ছাড়া আহম্মেদনগর-দীঘিরপার সড়ক, গুরুচরণ দুধনই-পানবর সড়ক, রামেরকুড়া সড়কসহ বেশ কয়েক জায়গায় সড়ক ভেঙে এসব এলাকার যোগাযোগব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়। এ ছাড়া সদর, হাতীবান্ধা ইউনিয়নসহ উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় কাঠ ও বাঁশের অন্তত ১২টি সাঁকো ঢলের পানিতে ভেঙে গেছে। গ্রামীণ সড়কের বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্ত হয়েছে।

হাতীবান্ধা ইউনিয়নের প্রধানপাড়া এলাকার নমশের আলী বলেন, ‘ঢলের পানিতে এই এলাকার দুটি সাঁকো ভেঙে গেছে। এখন এলাকার মানুষজনকে পানিতে ভিজেই চলাচল করতে হচ্ছে। আমি দ্রুত সাঁকো পুনর্নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।’

ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে পানি বেড়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরসহ ঝিনাইগাতী বাজার ও সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়। এতে রাস্তাঘাট ও ব্রিজ-কালভার্টের ক্ষতি হয়। এবারও ক্ষতি হয়েছে’।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রকৌশলী শুভ বসাক বলেন, ‘দ্রুত এলজিইডির ভাঙনকবলিত ও ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামতে কাজ শুরু করা হবে।’

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফারুক আল মাসুদ বলেন, ‘পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার রাস্তাঘাট, যোগাযোগব্যবস্থাসহ সার্বিক ক্ষতির তালিকা প্রণয়ন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

ঘন ঘন নাক খুঁটিয়ে স্মৃতিভ্রংশ ডেকে আনছেন না তো!

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত