Ajker Patrika

নদীভাঙনে হুমকিতে ১৫ গ্রাম

আরিফুল হক তারেক, মুলাদী
আপডেট : ০২ ডিসেম্বর ২০২১, ১১: ০২
নদীভাঙনে হুমকিতে ১৫ গ্রাম

মুলাদীতে আড়িয়াল খাঁ ও জয়ন্তী নদীর ভাঙনে অস্তিত্ব সংকটে আছে উপজেলার অন্তত ১৫টি গ্রাম। হুমকির মুখে পড়েছে বেশ কয়েকটি বাজার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ইতিমধ্যে ব্রজমোহন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদী গর্ভে হারিয়ে গেছে।

মৃধারহাটের ব্যবসায়ী রতন সরদার বলেন, জয়ন্তী নদীর ভাঙনে মৃধারহাটের অনেক দোকান হারিয়ে গেছে। ধীরে ধীরে বাজারটি ছোট হয়ে যাচ্ছে। সারা বছর নদী ভাঙে, তবে বর্ষার শুরু ও শেষে ভাঙন তীব্র হয়।

নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তরা জানান ২০১৯ সালে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম এবং বরিশাল-৩ আসনের এমপি গোলাম কিবরিয়া টিপু ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে সফিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও আশপাশের জায়গা রক্ষার জন্য ৫০০ মিটার বেড়িবাঁধ ও বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু নদীর ভাঙনে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে।

মুলাদী সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. কামরুল আহসান জানান, আড়িয়াল খাঁর ভাঙনে পশ্চিম তেরচর রাস্তার মাথা থেকে মীর কুতুবশাহ মাজার পর্যন্ত সড়ক ভেঙে গেছে।

নাজিরপুরের ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাদল খান বলেন, ইউনিয়নের উত্তর সাহেবেরচর থেকে পাইক বাড়ি , চরনাজিরপুর ভূঁইয়া বাড়ি থেকে ভূঁইয়া বাড়ি লঞ্চঘাট, নাজিরপুর এলাকা নদীতে ভেঙে যাচ্ছে। বাটামারা ইউপি চেয়ারম্যান মো. শহীদুল ইসলাম সিকদার জানান, আড়িয়াল খাঁর পানি কমতে শুরু করায় সেলিমপুর ও চরআলগী গ্রামে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সফিপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু মুছা হিমু মুন্সী জানান, জয়ন্তী নদীর ভাঙনে কয়েক হাজার পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে। চরকালেখান ইউপি চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম সরদার জানান, ভাঙনের মুখে পড়েছে চরকালেখান নোমরহাট ও গলইভাঙা বাজার।

মুলাদী-বাবুগঞ্জ আসনের সাংসদ গোলাম কিবরিয়া টিপু জানান, নদী ভাঙন রোধে ইতিমধ্যে কয়েকটি স্থানে জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডে ডিও লেটার দেওয়া হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাবুগঞ্জ উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবাল বলেন, একটি নতুন প্রকল্পের সমীক্ষা ও সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। প্রকল্পের অনুমোদন হলে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত