Ajker Patrika

সড়কে ভাটার মাটি, ভোগান্তি

জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা) সংবাদদাতা
আপডেট : ১৯ জুন ২০২২, ১২: ৪৫
সড়কে ভাটার মাটি, ভোগান্তি

ইটভাটার মাটি পড়ে বেহাল হয়ে পড়েছে জীবননগর-কালীগঞ্জ মহাসড়কের বাঁকা ব্রিকফিল্ড অংশের রাস্তা। পিচের ওপর মাটি পড়ায় সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তা পিচ্ছিল হচ্ছে। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা, বাড়ছে প্রাণহানির ঝুঁকি। এদিকে ভাটার মালিকেরা রাস্তার পাশে মাটি রাখায় রাস্তা সরু হয়ে যাচ্ছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, জীবননগর-কালীগঞ্জ মহাসড়কের বাঁকা ব্রিকফিল্ড এলাকায় অনিক, বিবিএম, আওয়াল, এনবিএমসহ পাঁচটি ইটভাটা রয়েছে। প্রতিটি ভাটার মালিক মহাসড়কের পাশে ইট তৈরির জন্য মাটি জমা করেছেন। এসব জমা করা মাটির কারণে সড়ক সরু হয়ে গেছে। আর ভাটায় মাটি আনার সময় ট্রাক্টর থেকে মাটি পড়ছে রাস্তায়। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে বিভিন্ন বয়সের মানুষ ও যানবাহন।

সড়কে মাটি পড়া নিয়ে গতকাল শনিবার ফেসবুকে পোস্ট দেন স্থানীয় সাংবাদিক মুন্না। তিনি বলেন, ‘ইটভাটার মাটি পড়ে রাস্তা বেহাল হচ্ছে। পাকা রাস্তা এখন কাচা রাস্তায় পরিণত হয়েছে। দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে, তবে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের চোখে এগুলো পড়ে না।’

বাঁকা স্কুলপাড়ার বাসিন্দা জুবায়ের খান বলেন, ‘জনগণের উচিত অবরোধ করে কঠোরভাবে আন্দোলন করা। কিছু মানুষের জন্য জনগণ কেন কষ্ট করবে?’ বাঁকা পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা জাহিদ হাসান রাব্বি বলেন, ‘ইটভাটার লাইসেন্সবিহীন ট্রাক্টর রাস্তায় চললে প্রশাসন কিছুই বলে না। এ গাড়িগুলো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।’

একই পাড়ার জুলু বলেন, ‘ইটভাটার মাটি রাখার কারণে রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে ভয় লাগে। বড় গাড়ি আসলে সাইড দেওয়া যায় না। ইটভার মাটি রাখার কারণে রাস্তা সরু হয়ে গেছে। প্রশাসনের উচিত এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিবিএম ইটভাটার ব্যবস্থাপক আব্দুল সালাম বলেন, ‘সমস্যা হয় বলে আমরা রাস্তার পাশে মাটি জমা করি না। তবে অন্য ভাটার মালিকেরা রাস্তার পাশে মাটি জমা করেন। আর সবাই তো মহাসড়ক দিয়ে ভাটার মাটি আনে। আমরা একা মাটি আনি না।’

আওয়াল ব্রিকসের মালিক আবুল বাশার বলেন, ‘আমাদের কোনো স্টাইক (মাটির ঢিবি) রাস্তার পাশে নেই। আমরা মহাসড়ক দিয়ে ভাটায় কোনো মাটি আনি না। মাঠের মধ্যে একটি সড়ক আছে, সেখান দিয়ে ভাটায় মাটি আনি।’

এ বিষয়ে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। ভাটার মালিকেরা কথা দিয়েছেন, মাটি আনার পর প্রতিদিন রাস্তা পানি দিয়ে পরিষ্কার করে দেবেন। এ ছাড়া তাঁরা দ্রুত সড়কের পাশ থেকে মাটির স্টাইক সরিয়ে ফেলবেন। সড়কের পাশে স্টাইক রাখার কোনো সুযোগ নেই।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত