Ajker Patrika

দুমকিতে বেড়িবাঁধ ভেঙে ১২ গ্রাম প্লাবিত, দুর্ভোগ

দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
দুমকিতে বেড়িবাঁধ ভেঙে ১২ গ্রাম প্লাবিত, দুর্ভোগ

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে ভারী বর্ষণ, উত্তাল নদ-নদীতে জোয়ারে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি আর তীব্র স্রোতের কারণে পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার বিভিন্ন বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। এতে প্লাবিত হয়েছে বেশ কয়েকটি গ্রাম। দুর্ভোগে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ।

গতকাল শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে শাহাবুদ্দীন মাস্টারের বাড়ির উত্তর পাশে, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে সেনবাড়ির পশ্চিম পাশে, মজুমদারবাড়ির লঞ্চঘাট এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রোপা আমনের ফসলি জমি এবং মাছের ঘের। বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় এবং বিকল্প পথ না থাকায় চলাচল করতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের।

জানা গেছে, উপজেলার লেবুখালী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ও আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বেড়িবাঁধের একই অবস্থা। বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে আলগী, নলদোয়ানি, হাজিরহাট, লেবুখালী, মৌকরণ, কার্তিকপাশা, পাড়-কার্তিক পাশা, আঙ্গারিয়া, বাহেরচর, শ্রীরামপুর, রাজাখালী, সন্তোষদীসহ অন্তত ১০-১২টি গ্রাম।

লেবুখালী গ্রামের মৎস্যচাষি মো. আমির হোসেন বলেন, ‘নিজের পুকুর না থাকায় খাস খাল ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করি। মৌকরণ খাস খালের বাঁধ ভেঙে পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় আমার সব মাছ বের হয়ে গেছে। এখন কীভাবে ইজারার টাকা জমা দেব?’ রাজাখালী গ্রামের সৈয়দ শাহাবউদ্দীন বলেন, এ বছর সার ও ট্রাক্টর খরচ আগের থেকে অনেক বেড়েছে। এরপর সময়মতো বৃষ্টি না হওয়ায় আমন ধান রোপণে বিলম্ব হয়েছে। এখন আবার এ দুর্যোগ। বেড়িবাঁধ মেরামত করা না হলে ভবিষ্যতে ফসলের মারাত্মক ক্ষতি হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ করে মাছচাষিরা আবেদন করলে কোনো অনুদান এলে তাঁদের দেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল ইমরান বলেন, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা হয়েছে। দ্রুত তাঁরা ভাঙা বাঁধগুলো মেরামত করবেন। এটা তো প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে মৎস্যচাষিদের সহায়তা করা হবে বলে জানান তিনি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত