ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণপাড়ায় শীতের সঙ্গে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ। এর মধ্যে নিউমোনিয়া, হাঁপানি শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বৃদ্ধাসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ। তবে এর মধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যা বেশি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত এক মাসে এ হাসপাতালে শুধু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ২৯৬ জন রোগী চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন। এর মধ্যে বেশির ভাগ ছিল শিশু রোগী। এ ছাড়া ঠান্ডাজনিত জ্বর, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়াসহ অন্যান্য রোগে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ ও আন্তবিভাগে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন শিশু থেকে বিভিন্ন বয়সের আরও ১ হাজার ৭৩৫ জন রোগী।
এ ছাড়া গত এক সপ্তাহে এ হাসপাতাল থেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ১২৫ জন ও জ্বর, শ্বাসকষ্ট, সর্দি, কাশিসহ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ৫০ চিকিৎসা নিয়েছেন।
উপজেলার শিদলাই গ্রামের জেসমিন আক্তার (১৭) চিকিৎসা নিতে এসেছে হাসপাতালে। হাতে স্যালাইনের সুচ লাগানো। গত শনিবার বেলা ১১টায় সে ভর্তি হয়েছে। জেসমিন জানায়, গত পরশু তার অনেকবার পাতলা পায়খানা হয়েছে। ভয়ে হাসপাতালে চলে এসেছে। এখন নিজেকে অনেকটা সুস্থ মনে হচ্ছে।
নন্দীপাড়া গ্রামের নাজমা বেগম সাড়ে তিন বছরের মেয়ে সানজিদাকে গত রোববার হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন। মেয়ের তিনবার পাতলা পায়খানা আর ১০ বার বমি হয়েছিল।
একইভাবে সাহেবাবাদ গ্রাম থেকে দেড় বছরের মেয়ে সুমাইয়াকে নিয়ে এসেছেন পারভীন আক্তার। মেয়ের পাতলা পায়খানার সঙ্গে বমি হচ্ছিল বারবার। তিনি বলেন, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে চিকিৎসকেরা তাঁদের যথাযথ চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়া তাঁদের চিকিৎসার জন্য অধিকাংশ ওষুধ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালে এখন ভালো আছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার আবু হাসনাত মো. মহিউদ্দিন মুবিন বলেন, ‘শীতের মৌসুমে রোটা ভাইরাসের প্রকোপ থাকে। যার কারণে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রোগে মানুষ বেশি আক্রান্ত হন। এর মধ্যে রোটা ভাইরাসের কারণে শিশুরাই বেশি ঝুঁকিতে থাকে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বেশির ভাগ শিশুর ডায়রিয়া হয়। আমাদের হাসপাতালে যেসব রোগী রয়েছে, এর মধ্যে শিশুর সংখাই বেশি এবং তাদের সবাই ডায়রিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত। তবে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত রোগীদের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধ বরাদ্দ আছে। এই ধরনের রোগীদের চিকিৎসায় কোনো প্রকার অবহেলা না করেই সেবা দিয়ে যাচ্ছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও সেবিকারা।’
এ সময় আবু হাসনাত মো. মহিউদ্দিন মুবিন কিছু বিষয় মেনে চলার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ঠান্ডাজনিত রোগ থেকে শিশুকে মুক্ত রাখতে হলে গরম কাপড় পরানোর পাশাপাশি শিশুকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। শিশুকে খাবার খাওয়ানোর পূর্বে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে। তাহলে রোটা ভাইরাস থেকে শিশুরা মুক্ত থাকবে।
ব্রাহ্মণপাড়ায় শীতের সঙ্গে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ। এর মধ্যে নিউমোনিয়া, হাঁপানি শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বৃদ্ধাসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ। তবে এর মধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যা বেশি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত এক মাসে এ হাসপাতালে শুধু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ২৯৬ জন রোগী চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন। এর মধ্যে বেশির ভাগ ছিল শিশু রোগী। এ ছাড়া ঠান্ডাজনিত জ্বর, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়াসহ অন্যান্য রোগে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ ও আন্তবিভাগে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন শিশু থেকে বিভিন্ন বয়সের আরও ১ হাজার ৭৩৫ জন রোগী।
এ ছাড়া গত এক সপ্তাহে এ হাসপাতাল থেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ১২৫ জন ও জ্বর, শ্বাসকষ্ট, সর্দি, কাশিসহ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ৫০ চিকিৎসা নিয়েছেন।
উপজেলার শিদলাই গ্রামের জেসমিন আক্তার (১৭) চিকিৎসা নিতে এসেছে হাসপাতালে। হাতে স্যালাইনের সুচ লাগানো। গত শনিবার বেলা ১১টায় সে ভর্তি হয়েছে। জেসমিন জানায়, গত পরশু তার অনেকবার পাতলা পায়খানা হয়েছে। ভয়ে হাসপাতালে চলে এসেছে। এখন নিজেকে অনেকটা সুস্থ মনে হচ্ছে।
নন্দীপাড়া গ্রামের নাজমা বেগম সাড়ে তিন বছরের মেয়ে সানজিদাকে গত রোববার হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন। মেয়ের তিনবার পাতলা পায়খানা আর ১০ বার বমি হয়েছিল।
একইভাবে সাহেবাবাদ গ্রাম থেকে দেড় বছরের মেয়ে সুমাইয়াকে নিয়ে এসেছেন পারভীন আক্তার। মেয়ের পাতলা পায়খানার সঙ্গে বমি হচ্ছিল বারবার। তিনি বলেন, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে চিকিৎসকেরা তাঁদের যথাযথ চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়া তাঁদের চিকিৎসার জন্য অধিকাংশ ওষুধ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালে এখন ভালো আছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার আবু হাসনাত মো. মহিউদ্দিন মুবিন বলেন, ‘শীতের মৌসুমে রোটা ভাইরাসের প্রকোপ থাকে। যার কারণে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রোগে মানুষ বেশি আক্রান্ত হন। এর মধ্যে রোটা ভাইরাসের কারণে শিশুরাই বেশি ঝুঁকিতে থাকে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বেশির ভাগ শিশুর ডায়রিয়া হয়। আমাদের হাসপাতালে যেসব রোগী রয়েছে, এর মধ্যে শিশুর সংখাই বেশি এবং তাদের সবাই ডায়রিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত। তবে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত রোগীদের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধ বরাদ্দ আছে। এই ধরনের রোগীদের চিকিৎসায় কোনো প্রকার অবহেলা না করেই সেবা দিয়ে যাচ্ছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও সেবিকারা।’
এ সময় আবু হাসনাত মো. মহিউদ্দিন মুবিন কিছু বিষয় মেনে চলার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ঠান্ডাজনিত রোগ থেকে শিশুকে মুক্ত রাখতে হলে গরম কাপড় পরানোর পাশাপাশি শিশুকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। শিশুকে খাবার খাওয়ানোর পূর্বে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে। তাহলে রোটা ভাইরাস থেকে শিশুরা মুক্ত থাকবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪