Ajker Patrika

ভাসানচরে হচ্ছে পাঁচ তারকা হোটেল সহ আধুনিক স্থাপনা

হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২১, ১৮: ২৯
ভাসানচরে হচ্ছে পাঁচ তারকা হোটেল সহ আধুনিক স্থাপনা

নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরে আধুনিক সব সুবিধাসহ একটি পাঁচ তারকা মানের হোটেল নির্মাণ করা হচ্ছে। সেখানে থাকছে সুইমিংপুল, ব্যায়ামাগার, সেলুন, অত্যাধুনিক রেস্টুরেন্টসহ নানা সুবিধা। এ ছাড়া পাশেই জাতিসংঘ ভবন নামে আরও দুটি সুদৃশ্য স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার লোকজন ভাসানচরমুখী হওয়ায় তাঁদের সুবিধার্থেই এসব তৈরি করা হচ্ছে।

হোটেল ও জাতিসংঘ ভবনের পাশেই চলছে আন্তর্জাতিক মানের সুইমিংপুল, ব্যায়ামাগার ও টেনিস কোর্ট তৈরির কাজ। অবসরে নৌকায় ঘুরে বেড়ানোর জন্য কাটা হচ্ছে কৃত্রিম লেক।

পাঁচতারকা মানের হোটেল নির্মাণের দায়িত্বে আছে এসএস এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক হাসিব আহাম্মেদ জানান, পাঁচ তারকা হোটেলের পাশাপাশি একই মানের আরও দুটি বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলেছে। এতে থাকবে আন্তর্জাতিক মানের একটি সুইমিং পুল, জিম ও টেনিস কোর্ট। এ ছাড়া এসব ভবনের একটিতে তৈরি করা হবে অত্যাধুনিক শপিংমল। যাতে থাকবে রেস্টুরেন্ট, সেলুন, লন্ড্রিসহ নানা সুযোগ-সুবিধা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে ভাসানচর প্রকল্প-৩-এর মাধ্যমে একজন প্রকৌশলী এসব কাজ তদারকি করছেন।

মূলত ভাসানচর পর্যবেক্ষণে আসা জাতিসংঘের বিদেশি কর্মকর্তাদের টার্গেট করেই গড়ে তোলা হয়েছে এই শপিং মল। এসবে সাজানো থাকবে বিদেশিদের নিত্য ব্যবহার্য নানা জিনিসপত্র। আবার পাশেই থাকবে উন্নতমানের সেলুন, লন্ড্রি ও রেস্টুরেন্ট।

ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক কমান্ডার আনোয়ারুল কবির বলেন, রোহিঙ্গাদের দেখভাল করার জন্য জাতিসংঘের কর্মকর্তারা সম্মত হয়েছেন। ইতিমধ্যে জাতিসংঘের একটি টিম ভাসানচর পরিদর্শন শেষে ঢাকায় গিয়ে আনুষ্ঠানিক সম্মতি জানিয়েছেন। তাঁদের বসবাসের জন্য এসব স্থাপনা তৈরি করা হচ্ছে।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন (আরআরআরসি) অতিরিক্ত কমিশনার মোয়াজ্জেম হোসাইন বলেন, এখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। হোটেলের পাশেই থাকবে জাতিসংঘ এবং শরণার্থী বিষয়ক কমিশনের জন্য আরও দুটি বহুতল ভবন। তিনটি ভবনেরই নির্মাণকাজ কয়েক মাস আগে শুরু হয়েছে।

২০২০ সালের ডিসেম্বরে প্রথম ধাপে ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গার আগমন দিয়ে শুরু হয় ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের আনুষ্ঠানিক স্থানান্তর কার্যক্রম। এরপর আরও ছয় ধাপে আসা নারী, পুরুষ, শিশুসহ মোট ১৮ হাজার ৩৪৭ জন রোহিঙ্গা বর্তমানে ভাসানচরে অবস্থান করছেন।

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সেলিম হোসেন বলেন, ভাসানচরে সরকার নিজস্ব অর্থায়নে ইতিমধ্যে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করেছে। যাতে ১ লাখের বেশি মানুষের বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে অত্যাধুনিক ১২০টি আশ্রয়কেন্দ্র, দুটি ২০ শয্যার আধুনিক হাসপাতাল, চারটি কমিউনিটি ক্লিনিক, মসজিদসহ অনেক স্থাপনা রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা শুরু হলে পরের কয়েক মাসে অন্তত ৮ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। এর আগে আসেন আরও কয়েক লাখ। বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১১ লাখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিএনসিসির পদ ছাড়লেন এস্তোনিয়ার নাগরিক আমিনুল ইসলাম

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল নিয়ে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা, চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ

এনআইডির নাম ও জন্মতারিখ সংশোধনের দায়িত্বে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা

কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর অতর্কিত গুলি, নিহত ২৬

পদত্যাগ করব না, আলোচনা করে সমাধান করব: কুয়েট উপাচার্য

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত