Ajker Patrika

আহত মুক্তিযোদ্ধাদের বহন করতেন তিনি

রামগড় (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২১, ১২: ৪৪
আহত মুক্তিযোদ্ধাদের বহন করতেন তিনি

ভগীরাম মালী। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগী। যুদ্ধের সময় ভারতের হরিনা ট্রেনিং সেন্টার হাসপাতালে যোগদান করেন। সেখানে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের আনা-নেওয়ার দায়িত্ব ছিল তাঁর। আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্থ করার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করতেন তিনি।

স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও ভগীরামের মেলেনি কোনো স্বীকৃতি। রাস্তায় ভিক্ষা করে কাটছে তাঁর জীবন। মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল আতাউল গণি ওসমানী কর্তৃক স্বীকৃত স্বাধীনতাসংগ্রামের সনদপত্র নিয়ে স্বীকৃতির জন্য ঘুরছেন পথে পথে।

জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধে ১ নম্বর সেক্টর ছিল রামগড়। সাময়িকভাবে পাকিস্তানি হানাদারদের কাছে রামগড় পতনের পর সেক্টর-১ এর হেডকোয়ার্টার পুনঃস্থাপন করা হয় ভারতের ত্রিপুরার সাব্রুম মহকুমার হরিণায়। ১ নম্বর সেক্টর তৎকালীন ক্যাপ্টেন রফিকের অধীনে ভারতের (দক্ষিণ ত্রিপুরা) হরিনায় স্থাপিত হরিনা ট্রেনিং সেন্টার হাসপাতালে যোগদান করেন তিনি। তার সঙ্গে আরও যোগদান করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. কৃষ্ণ কুমার সরকার, আবুল হাশেম, অধিক চন্দ্র দে, নূর আলমসহ অনেকে। হাসপাতালে আহত যোদ্ধাদের দেখভাল করতেন তিনি।

বর্তমানে কোনো সুযোগ-সুবিধা পান না তিনি। পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি। তাঁর পরিবারের সদস্যসংখ্যা ৪ জন। ১৩ বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় পায়ে আঘাত পান তিনি। চিকিৎসার অভাবে পঙ্গু হয়ে জীবনযাপন করছেন।

রামগড় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কাউন্সিলের মাধ্যমে জাতীয় দিবসগুলোতে সামান্য সম্মাননা পেলেও বছরের বাকি সময় উপজেলার বাজারের দোকান, বাসস্টেশনে মানুষের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষাবৃত্তি করে পরিবার চালান এই অসহায় ভগীরাম।

ভগীরাম মালী বলেন, ‘যুদ্ধের ৯ মাস ভালো করে ঘুমাতে পারিনি। রাতদিন মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা করে সুস্থ করেছি। স্বাধীনতাযুদ্ধের পর থেকে অনেকবার চেষ্টা করেও স্বীকৃতি পাইনি। সবকিছুতে আমি বঞ্চিত হয়েছি।’

সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মফিজুর রহমান বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ভগীরাম মালী মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগী ছিলেন। আহত যোদ্ধাদের নিঃস্বার্থভাবে সেবা করতেন তিনি। একজন পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি না পেয়ে ভিক্ষা করা আমাদের জন্য কষ্টদায়ক। তাঁর স্বীকৃতির জন্য একাধিকবার আবেদন করেও সাড়া পাওয়া যায়নি। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তিনি তাঁর ত্যাগের স্বীকৃতি পাওয়ার দাবিদার।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তৃতীয়বার বিধ্বস্ত হলো বিমানবাহিনীর এফ-৭, এই চীনা যুদ্ধবিমানের বৈশিষ্ট্য কী

উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত: পাইলটসহ নিহত ২১, আহত দেড় শতাধিক, মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় শোক

৯ লাখ টন চাল কিনবে বাংলাদেশ, আশায় বুক বাঁধছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা

উত্তরায় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত

পাইলটের মা-বাবাকে বিমানবাহিনীর উড়োজাহাজে নেওয়া হলো ঢাকায়

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত