Ajker Patrika

আরডিএর ‘ভুলে’ সরকারি বাগানে নিষিদ্ধ পপি

রাজশাহী প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ মার্চ ২০২২, ১৭: ২৬
আরডিএর ‘ভুলে’ সরকারি বাগানে নিষিদ্ধ পপি

ফুল চাষ করতে গিয়ে বড্ড ‘ভুল’ করেছে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ)। বাগানে চাষ করা হয়েছিল নিষিদ্ধ পপি ফুল। এই ফুলের রস থেকেই তৈরি হয় আফিম, মরফিন ও হেরোইনের মতো মাদকদ্রব্য। বাংলাদেশের আইনে পপি ফুল চাষ নিষিদ্ধ।

তবে গতকাল সোমবার আরডিএ-এর ফুল বাগানে শত শত পপি ফুলের গাছ দেখা গেছে। কোনো গাছে ফুল ধরে ছিল, আবার কোনো গাছে দেখা গেছে ফলও। পাকা ফলের শুকনো কিছু গাছ কাটা অবস্থাতেও বাগানে দেখা গেছে। বাগান ছাড়াও আরডিএ ভবনের পাশে সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য এই পপি ফুলের গাছ দেখা গেছে।

বাংলাদেশের মাটি পপি ফুল চাষের জন্য খুবই উপযোগী। অক্টোবরের দিকে এই গাছের চারা রোপণ করা হয়। দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে গাছে ফুল ধরতে শুরু করে। ফুল থেকে ওষুধ তৈরির নানা উপাদান পাওয়া যায়। তবে এই গাছের রস থেকে মাদক হয় বলে দেশে এটি নিষিদ্ধ। পপি গাছের কাঁচা ফলের খোসা ব্লেড দিয়ে কেটে রস বের বরা হয়। সেই রস রোদে শুকিয়ে করা হয় আফিম। ভারত এবং আফগানস্থানে এই রস থেকে মরণনেশা হেরোইনও তৈরি করা হয়।

আরডিএ-এর মালি কামরুল ইসলামকে সোমবার অফিসে পাওয়া যায়নি। তাই কোথা থেকে এই ফুলের গাছ সংগ্রহ করা হয়েছে তা জানা যায়নি।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আরডিএ-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হায়াত মো. রহমাতুল্লাহ বলেন, ‘আমি পপি ফুলের গাছ চিনি না। হয়তো ভুল করে এই গাছ লাগানো হয়েছে।’ এ সময় তিনি দুই কর্মচারীকে ডেকে তাৎক্ষণিক বাগান থেকে পপি ফুলের গাছগুলো ধ্বংস করার নির্দেশ দেন। দুই কর্মচারী বাইরে থেকে ঘুরে এসে জানান, মালি কামরুল ইসলামকে পাওয়া যাচ্ছে না। তখন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওই দুই কর্মচারীকে বলেন, ‘আমি কিচ্ছু জানি না। বিকেলে অফিস থেকে বের হওয়ার সময় যেন এসব গাছ না দেখি।’

এরপর আরডিএ কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাগানে গিয়ে গাছগুলো ধ্বংস করতে শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘এগুলো ভুল করেই লাগানো হয়েছিল। সুন্দর ফুল দেখেই হয়তো লাগানো হয়েছিল। আজই সব তুলে ফেলব।’

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাজশাহী উপঅঞ্চলের উপপরিচালক মোহাম্মদ লুৎফর রহমান বলেন, ‘পপি গাছ দুই ধরনের হয়। এর একটি থেকে মাদক হয়। তবে বাংলাদেশের আইনে সব ধরনের পপি ফুলই নিষিদ্ধ। তাও না বুঝে ভুল করে কেউ কেউ সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য বাগানে এই ফুলগাছ লাগায়।’

লুৎফর রহমান আরও বলেন, ‘বগুড়ার দিকে কিছু নার্সারিতে পপির চারা পাওয়া যায়। কেউ যেন পপির চারা উৎপাদন কিংবা বিক্রি না করে সে জন্য আমরা প্রচার চালাই।’

আরডিএ-এর বাগানে পপি ফুলের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তাঁরা নিজেরাই বাগান ভেঙে দিচ্ছে, এটা ভালো। নইলে আমরা গিয়ে ভাঙতাম।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চকরিয়া থানার ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

হোয়াইট হাউসে মধ্যাহ্নভোজের আগেই বের হয়ে যেতে বলা হয় জেলেনস্কিকে

‘আমাদের অনুমতি ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার করলে থানা ঘেরাও করব’, সরকারি কর্মকর্তার বক্তব্য ভাইরাল

সৈয়দ জামিলের অভিযোগের জবাবে যা লিখলেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা

এনসিপির কর্মীদের ঢাকায় আনতে সরকারের বাস রিকুইজিশন, সমালোচনার ঝড়

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত