রাজশাহী প্রতিনিধি
ফুল চাষ করতে গিয়ে বড্ড ‘ভুল’ করেছে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ)। বাগানে চাষ করা হয়েছিল নিষিদ্ধ পপি ফুল। এই ফুলের রস থেকেই তৈরি হয় আফিম, মরফিন ও হেরোইনের মতো মাদকদ্রব্য। বাংলাদেশের আইনে পপি ফুল চাষ নিষিদ্ধ।
তবে গতকাল সোমবার আরডিএ-এর ফুল বাগানে শত শত পপি ফুলের গাছ দেখা গেছে। কোনো গাছে ফুল ধরে ছিল, আবার কোনো গাছে দেখা গেছে ফলও। পাকা ফলের শুকনো কিছু গাছ কাটা অবস্থাতেও বাগানে দেখা গেছে। বাগান ছাড়াও আরডিএ ভবনের পাশে সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য এই পপি ফুলের গাছ দেখা গেছে।
বাংলাদেশের মাটি পপি ফুল চাষের জন্য খুবই উপযোগী। অক্টোবরের দিকে এই গাছের চারা রোপণ করা হয়। দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে গাছে ফুল ধরতে শুরু করে। ফুল থেকে ওষুধ তৈরির নানা উপাদান পাওয়া যায়। তবে এই গাছের রস থেকে মাদক হয় বলে দেশে এটি নিষিদ্ধ। পপি গাছের কাঁচা ফলের খোসা ব্লেড দিয়ে কেটে রস বের বরা হয়। সেই রস রোদে শুকিয়ে করা হয় আফিম। ভারত এবং আফগানস্থানে এই রস থেকে মরণনেশা হেরোইনও তৈরি করা হয়।
আরডিএ-এর মালি কামরুল ইসলামকে সোমবার অফিসে পাওয়া যায়নি। তাই কোথা থেকে এই ফুলের গাছ সংগ্রহ করা হয়েছে তা জানা যায়নি।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আরডিএ-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হায়াত মো. রহমাতুল্লাহ বলেন, ‘আমি পপি ফুলের গাছ চিনি না। হয়তো ভুল করে এই গাছ লাগানো হয়েছে।’ এ সময় তিনি দুই কর্মচারীকে ডেকে তাৎক্ষণিক বাগান থেকে পপি ফুলের গাছগুলো ধ্বংস করার নির্দেশ দেন। দুই কর্মচারী বাইরে থেকে ঘুরে এসে জানান, মালি কামরুল ইসলামকে পাওয়া যাচ্ছে না। তখন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওই দুই কর্মচারীকে বলেন, ‘আমি কিচ্ছু জানি না। বিকেলে অফিস থেকে বের হওয়ার সময় যেন এসব গাছ না দেখি।’
এরপর আরডিএ কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাগানে গিয়ে গাছগুলো ধ্বংস করতে শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘এগুলো ভুল করেই লাগানো হয়েছিল। সুন্দর ফুল দেখেই হয়তো লাগানো হয়েছিল। আজই সব তুলে ফেলব।’
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাজশাহী উপঅঞ্চলের উপপরিচালক মোহাম্মদ লুৎফর রহমান বলেন, ‘পপি গাছ দুই ধরনের হয়। এর একটি থেকে মাদক হয়। তবে বাংলাদেশের আইনে সব ধরনের পপি ফুলই নিষিদ্ধ। তাও না বুঝে ভুল করে কেউ কেউ সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য বাগানে এই ফুলগাছ লাগায়।’
লুৎফর রহমান আরও বলেন, ‘বগুড়ার দিকে কিছু নার্সারিতে পপির চারা পাওয়া যায়। কেউ যেন পপির চারা উৎপাদন কিংবা বিক্রি না করে সে জন্য আমরা প্রচার চালাই।’
আরডিএ-এর বাগানে পপি ফুলের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তাঁরা নিজেরাই বাগান ভেঙে দিচ্ছে, এটা ভালো। নইলে আমরা গিয়ে ভাঙতাম।’
ফুল চাষ করতে গিয়ে বড্ড ‘ভুল’ করেছে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ)। বাগানে চাষ করা হয়েছিল নিষিদ্ধ পপি ফুল। এই ফুলের রস থেকেই তৈরি হয় আফিম, মরফিন ও হেরোইনের মতো মাদকদ্রব্য। বাংলাদেশের আইনে পপি ফুল চাষ নিষিদ্ধ।
তবে গতকাল সোমবার আরডিএ-এর ফুল বাগানে শত শত পপি ফুলের গাছ দেখা গেছে। কোনো গাছে ফুল ধরে ছিল, আবার কোনো গাছে দেখা গেছে ফলও। পাকা ফলের শুকনো কিছু গাছ কাটা অবস্থাতেও বাগানে দেখা গেছে। বাগান ছাড়াও আরডিএ ভবনের পাশে সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য এই পপি ফুলের গাছ দেখা গেছে।
বাংলাদেশের মাটি পপি ফুল চাষের জন্য খুবই উপযোগী। অক্টোবরের দিকে এই গাছের চারা রোপণ করা হয়। দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে গাছে ফুল ধরতে শুরু করে। ফুল থেকে ওষুধ তৈরির নানা উপাদান পাওয়া যায়। তবে এই গাছের রস থেকে মাদক হয় বলে দেশে এটি নিষিদ্ধ। পপি গাছের কাঁচা ফলের খোসা ব্লেড দিয়ে কেটে রস বের বরা হয়। সেই রস রোদে শুকিয়ে করা হয় আফিম। ভারত এবং আফগানস্থানে এই রস থেকে মরণনেশা হেরোইনও তৈরি করা হয়।
আরডিএ-এর মালি কামরুল ইসলামকে সোমবার অফিসে পাওয়া যায়নি। তাই কোথা থেকে এই ফুলের গাছ সংগ্রহ করা হয়েছে তা জানা যায়নি।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আরডিএ-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হায়াত মো. রহমাতুল্লাহ বলেন, ‘আমি পপি ফুলের গাছ চিনি না। হয়তো ভুল করে এই গাছ লাগানো হয়েছে।’ এ সময় তিনি দুই কর্মচারীকে ডেকে তাৎক্ষণিক বাগান থেকে পপি ফুলের গাছগুলো ধ্বংস করার নির্দেশ দেন। দুই কর্মচারী বাইরে থেকে ঘুরে এসে জানান, মালি কামরুল ইসলামকে পাওয়া যাচ্ছে না। তখন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওই দুই কর্মচারীকে বলেন, ‘আমি কিচ্ছু জানি না। বিকেলে অফিস থেকে বের হওয়ার সময় যেন এসব গাছ না দেখি।’
এরপর আরডিএ কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাগানে গিয়ে গাছগুলো ধ্বংস করতে শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘এগুলো ভুল করেই লাগানো হয়েছিল। সুন্দর ফুল দেখেই হয়তো লাগানো হয়েছিল। আজই সব তুলে ফেলব।’
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাজশাহী উপঅঞ্চলের উপপরিচালক মোহাম্মদ লুৎফর রহমান বলেন, ‘পপি গাছ দুই ধরনের হয়। এর একটি থেকে মাদক হয়। তবে বাংলাদেশের আইনে সব ধরনের পপি ফুলই নিষিদ্ধ। তাও না বুঝে ভুল করে কেউ কেউ সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য বাগানে এই ফুলগাছ লাগায়।’
লুৎফর রহমান আরও বলেন, ‘বগুড়ার দিকে কিছু নার্সারিতে পপির চারা পাওয়া যায়। কেউ যেন পপির চারা উৎপাদন কিংবা বিক্রি না করে সে জন্য আমরা প্রচার চালাই।’
আরডিএ-এর বাগানে পপি ফুলের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তাঁরা নিজেরাই বাগান ভেঙে দিচ্ছে, এটা ভালো। নইলে আমরা গিয়ে ভাঙতাম।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪