Ajker Patrika

গাছ চেরাই তাঁর পেশা

আয়নাল হোসেন, ঢাকা
আপডেট : ০৯ জানুয়ারি ২০২২, ১১: ৪১
গাছ চেরাই তাঁর পেশা

ষাটোর্ধ্ব আবদুল কুদ্দুস। দীর্ঘ চার দশক আগে অভাবের তাড়নায় নিজ জেলা সুনামগঞ্জের দিরাই এলাকা ছেড়ে ঢাকার দোহার থানা এলাকায় পাড়ি জমান। শুরুতে রাখালের একটি কাজও পায়ে যান তিনি। পরে সংসারজীবনও শুরু করেন এখানে। জীবনসংসারের চাহিদা পূরণে হাত তুলে নেন ৫ কেজি ওজনের কুড়াল। শুরুতে মাত্র ২৫ টাকায় সারা দিন কুড়াল চালাতেন। তবে বয়সের ভারে এখন কাজের গতি কমে গেছে তাঁর।

আবদুল কুদ্দুস বলেন, অভাবে সংসার হওয়ায় ৪০ বছর আগে বাড়ি থেকে কাজের সন্ধানে বের হন তিনি। দোহারে আসার পর বিভিন্ন বাড়িতে তিনি রাখালের কাজ করেছেন। কখনো দিন মজুরি করেছেন। পরে তিনি মাসিক ৫০০ টাকা বেতনে উপজেলার বাস্তা এলাকার এক বাড়িতে রাখালের কাজ নেন তিনি।

কুদ্দুস আরও জানান, আগে তিনি ৫ কেজি ওজনের কুড়াল চালাতে পারতেন। তখন দিনে ১০ মণ লাকড়ি কাটতে পারতেন তিনি। বয়স বেড়ে যাওয়ায় আগের মতো কুড়াল চালাতে পারেন না। এ জন্য এখন আড়াই কেজি ওজনের একটি কুড়ালে লাকড়ি কাটার কাজ করছেন। এখনো তিনি ইচ্ছা করলে দিনে ১০ মণ লাকড়ি কাটতে পারবেন। জীবনে কখনো তিনি কাজে ফাঁকি দিতেন না বলে জানান তিনি।

কুদ্দুস বলেন, আগে যেকোনো বড় গাছেই উঠতে পারতেন তিনি। কিন্তু এখন লাকড়ি কাটতে পারলও আগের মতো গাছে উঠতে পারেন না। লাকড়ি কাটার কাজ করতে গিয়ে তিনি বিভিন্ন সময়ে আহতও হয়েছেন কয়েকবার। গাছের ফালি শরীরের ওপরে পড়ে তাঁর পাঁজরের হাড় ভেঙে গিয়েছিল। চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। তবে এখনো তিনি কুড়ালকে ছাড়তে পারছেন না।

কুদ্দুস বলেন, জীবনের শুরুতে দিনে ২৫ টাকা রোজে কাজ করেছেন তিনি। বর্তমানে দিনে ৮০০ টাকা রোজ কাজ করার সুযোগ আছে, তবে এখন আগের মতো কাজ করতে পারেন না তিনি। মাঝেমধ্যে অল্প পরিমাণ লাকড়ি কাটার কাজ করছেন। এতে তিনি দিনে ৫০০-৬০০ টাকা আয় হয় তার। এ দিয়ে সংসারের হাল ধরে রেখেছেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত