Ajker Patrika

‘মুক্তিযুদ্ধের গল্প দাদির কাছ থেকে শুনেছি’

রিফাত মেহেদী, সাভার (ঢাকা)
আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২২, ১৬: ১৬
‘মুক্তিযুদ্ধের গল্প দাদির কাছ থেকে শুনেছি’

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাবা-মা ও ভাইয়ের সঙ্গে ঢাকার সাভারে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধে ঘুরতে এসেছে ছোট্ট হুমায়রা বিনতে কবির। পড়ে নার্সারিতে। স্বাধীনতা দিবস কী, তা বোঝার বয়স হয়নি তার। তবে ঘুরতে এসে অনেক খুশি সে।

হুমায়রার ভাই শাহরিয়ার কবির স্বপ্ন। সে পড়ে ক্লাস টুতে। স্বাধীনতা দিবস ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সে কিছু জানে কি না, এমনটি জানতে চাইলে সে বলে, ‘মুক্তিযুদ্ধের গল্প দাদির কাছ থেকে শুনেছি।’

গতকাল শনিবার বিকেলে জাতীয় স্মৃতিসৌধে তাঁদের সঙ্গে কথা হয়। বাবা-মায়ের হাত ধরে সুন্দর জামাকাপড় পরে, মাথায় স্বাধীনতা দিবসের ব্যান্ড লাগিয়ে স্মৃতিসৌধ ঘুরে দেখছিল তারা দুই ভাই-বোন।

স্বাধীনতা দিবসে সারা দিন বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেছে। এসবের বাইরেও শুধু ব্যক্তি উদ্যোগে পরিবার-পরিজনকে নিয়েও অনেকে এসেছে স্মৃতিসৌধে। বিশেষ করে সাভার-আশুলিয়ার পোশাক কারখানার অনেক শ্রমিকও এসেছেন শ্রদ্ধা জানাতে।

স্বপ্ন ও হুমায়রার বাবা হুমায়ুন কবির আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকায় ডেকো গ্রুপের একটি পোশাক কারখানায় স্টোর বিভাগে কর্মরত আছেন। আজকে ভিড়ের মধ্যে কেন বাচ্চাদের নিয়ে এসেছেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনকার বাচ্চারা স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে তেমন জানে না। তাই ওদের নিয়ে এসেছি যেন ওরা কিছুটা হলেও জানতে পারে, শিখতে পারে।’

হুমায়ুর কবির বলেন, ‘আমি এখনো বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী পড়ে শেষ করতে পারিনি। তবে আমার মা শেষ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক অনেক বই পড়েছেন তিনি। আমি আমার মাকে বই কিনে দিই। গত বইমেলাতেও তাঁর জন্য বই কিনেছি। আমার মা আমার সন্তানদের সঙ্গে সেসব নিয়ে গল্প করেন।’

এমনই আরেক নবদম্পতি কাদের দেওয়ান ও রুমানার সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা দুজনেই সাভারের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। বিয়ের পরে তাঁরা এই প্রথম এসেছেন জাতীয় স্মৃতিসৌধে।

কাদের দেওয়ান বলেন, ‘আমি এর আগে অনেকবার জাতীয় স্মৃতিসৌধে এসেছি। তবে আমার স্ত্রী কখনো আসেনি। স্বাধীনতা দিবসে ভাবলাম একটু ঘুরেও আসি আর শহীদদের উদ্দেশে ফুল দিয়ে আসি। এর আগে কখনো ফুল দিইনি। আজকে ফুল দিয়ে খুব ভালো লাগছে। মনে মনে নিজের কাছেই একটু আনন্দ লাগছে। দেশের জন্য তো কিছু করতে পারি না। তবে শহীদদের যে শ্রদ্ধা জানাতে পেরেছি তাই অনেক কিছু।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত